Saturday 01 Nov 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জুলাই: প্রত্যয়, পরিবর্তন ও প্রতিশ্রুতির এক নতুন ইতিহাস

সুদীপ্ত শামীম
৩ আগস্ট ২০২৫ ১৮:২৩

জুলাই, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক তপ্ত মাস, এক রক্তাক্ত বাঁক। এই মাস নিয়ে আলো আছে, হতাশাও আছে, আছে ভাঙনের গ্লানি। কেউ বলছেন, ‘জুলাই ব্যর্থ’, কেউ বলছেন, ‘সব মিছে আশাবাদ’। কিন্তু আমরা কি সত্যিই ইতিহাসের প্রতি সুবিচার করছি? একটি বিপ্লব বা গণঅভ্যুত্থান মানে কি পরদিন সকালেই একটি সুশৃঙ্খল স্বপ্নরাজ্য?

না, বাস্তবতা কখনোই এত সরল বা একরৈখিক নয়। একটি সংগ্রামের পূর্ণতা সময় নেয়, সমাজের স্তরে স্তরে ছড়িয়ে থাকা শোষণ ও অবিচার একদিনে ভাঙে না। তেমনি একটি আন্দোলনের ফলাফলও রাতারাতি দৃশ্যমান হয় না। যদি আমরা জুলাইয়ের ঘটনাবলিকে কেবল ব্যর্থতার কাঁচ দিয়ে দেখি, তবে হয়তো আমরা সেইসব তরুণের ত্যাগ, সেই সাহসী হৃদয়ের দাহ, এবং স্বপ্নবাজ চোখের আকাঙ্ক্ষাকে অস্বীকার করি। এই জুলাই শুধু ব্যর্থতার গল্প নয়, এটি একটি সাহসী উচ্চারণের নাম। যেখানে হাজারো মানুষের রক্তে রঞ্জিত হয়েছে নতুন স্বপ্নের বীজ। যে সাহস, যে প্রতিবাদ, যে আত্মত্যাগ এই মাসে আমরা দেখেছি, স্বাধীনতার পরবর্তী বাংলাদেশে তা আর কখনো এমনভাবে প্রত্যক্ষ হয়নি। এটা ঠিক, আমরা হয়তো কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনকে তাৎক্ষণিকভাবে হাতে পাইনি, কিন্তু আন্দোলনের সেই চেতনা, সেই দৃঢ়তা, সেই প্রতিবাদ আজও অনেকের রক্তে ধ্বনিত হয়, অনেক সংগ্রামের প্রেরণায় অনুরণিত হয়। এই জুলাই-ই আমাদের দেখিয়েছে মানুষ যখন সংগঠিত হয়, নিপীড়নের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়- তখন ইতিহাস কাঁপে। আর সময় থমকে দাঁড়িয়ে বলে- ‘হ্যাঁ, পরিবর্তন সম্ভব।’

বিজ্ঞাপন

সংবিধানে যুগান্তকারী পরিবর্তন

জুলাইয়ের সবচেয়ে বড়ো অর্জন, সংবিধানে একগুচ্ছ কাঠামোগত ও নীতিগত সংস্কার, যা দেশটির রাজনৈতিক ভবিষ্যতের গতিপথ পাল্টে দেওয়ার সম্ভাবনা রাখে। এতদিন যে দেশে কার্যত একনায়কতন্ত্র-সদৃশ প্রধানমন্ত্রীকেন্দ্রিক শাসনব্যবস্থা চালু ছিল, সেখানে এখন একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুই মেয়াদ বা ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন—এমন একটি সীমা সংযোজন হয়েছে। এটি নিঃসন্দেহে ক্ষমতার কেন্দ্রীয় ভবনে বড় ধরনের ‘পাওয়ার ব্রেক’ হিসেবে কাজ করবে। দীর্ঘদিন ধরে একটি গোষ্ঠী বা ব্যক্তি ক্ষমতায় থেকে যে ধরনের কর্তৃত্ববাদ প্রতিষ্ঠা করে, তার বিরুদ্ধে এ এক সংবিধানিক প্রতিরোধ। পাশাপাশি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলো, সংসদে একটি উচ্চকক্ষ (সেনেট বা সমপর্যায়ের) প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত। এ পদক্ষেপ আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে আরও ভারসাম্য আনবে এবং দ্রুত পাস করিয়ে নেওয়া বিলগুলোকে দ্বিকক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে জনমতের প্রতিফলন ঘটানোর সুযোগ দেবে। দীর্ঘ সময় ধরে এই উচ্চকক্ষের দাবি থাকলেও রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে তা বাস্তবায়ন হয়নি। নির্বাচন ব্যবস্থাতেও যুগান্তকারী পরিবর্তন এসেছে। প্রচলিত ‘ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট’ পদ্ধতির পাশাপাশি প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (PR) পদ্ধতির সংযোজন রাজনৈতিক বৈচিত্র্যকে সংসদে প্রতিফলিত করবে। এখন আর বড় দলগুলোই শুধু সংসদে আধিপত্য বিস্তার করতে পারবে না, বরং ছোট দল ও বিকল্প মতাদর্শও প্রতিনিধিত্ব পাবে।

আরেকটি দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ হলো, ভবিষ্যতের যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক চুক্তি বা নিরাপত্তা জোটে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে দ্বিকক্ষীয় সংসদের সম্মতি বাধ্যতামূলক করা। অতীতে এসব চুক্তি সরকার এককভাবে গ্রহণ করত, যা রাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদি ভবিষ্যতের ওপর প্রভাব ফেলত। এখন এ ধরনের সিদ্ধান্তে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তি তৈরি হবে। এইসব পরিবর্তন শুধু আইনেই সীমাবদ্ধ নয়, এগুলো একটি অধিকতর অংশগ্রহণমূলক, জবাবদিহিমূলক ও ভারসাম্যপূর্ণ শাসনব্যবস্থার ভিত্তিপ্রস্তর রচনা করছে। সময় বলবে কতটা সফল হবে এই রূপান্তর। তবে ইতিহাস বলবে এই পরিবর্তনগুলো ছিল সাহসী, কাঙ্ক্ষিত এবং বহুদিনের অপেক্ষার ফসল।

৭০ অনুচ্ছেদ ও বিরোধী দলের মর্যাদা

বাংলাদেশের সাংবিধানিক ইতিহাসে ৭০ অনুচ্ছেদ দীর্ঘদিন ধরে বিতর্কিত ছিল। এই অনুচ্ছেদ দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে সংসদ সদস্যদের স্বাধীন মতপ্রকাশ এবং ভোটদানকে সীমাবদ্ধ করত। ফলে, সংসদ সদস্যদের মধ্যে যারা জনগণের স্বার্থে ভিন্নমত পোষণ করতে চেয়েছেন, তাদের সামনে দলীয় শৃঙ্খলার বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল এই অনুচ্ছেদ। সংসদ কার্যত এক ‘দলীয় স্ট্যাম্পিং যন্ত্রে’ পরিণত হয়েছিল, যেখানে মত প্রকাশ নয়, বরং নিঃশর্ত আনুগত্যই ছিল একমাত্র চর্চা। তবে জুলাইয়ের রাজনৈতিক জাগরণ ও গণচাপের ফল হিসেবে ৭০ অনুচ্ছেদের কাঠামোগত সংস্কার এখন বাস্তবতা পাচ্ছে। সংশোধিত রূপে এই অনুচ্ছেদ এখন সংসদ সদস্যদের অধিকতর স্বাধীনতা দিয়েছে। তারা এখন দলীয় চাপ নয়, বরং নিজ এলাকার জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে স্বাধীনভাবে মত দিতে পারবেন, এমনকি দলীয় অবস্থানের বিরুদ্ধেও যুক্তিসংগতভাবে কথা বলতে পারবেন। এর মাধ্যমে গণতান্ত্রিক পরিবেশে আলোচনার সংস্কৃতি বিকাশের সম্ভাবনা জেগেছে।

একইসঙ্গে বিরোধী দলের মর্যাদাও ইতিবাচকভাবে পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। সংসদে শুধু সংখ্যাগরিষ্ঠ দল নয়, বিরোধী দলকেও এখন একটি গঠনমূলক শক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ডেপুটি স্পিকারের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে বিরোধী দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিগুলোর নেতৃত্বেও বিরোধী দলকে যুক্ত করা হচ্ছে, যা স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এক বড় অগ্রগতি। একসময় যেসব পদ বা সুযোগ শুধু ক্ষমতাসীনদের জন্য সংরক্ষিত ছিল, এখন তা ধীরে ধীরে রাজনৈতিক ভারসাম্যের প্রতীক হয়ে উঠছে। এভাবে ৭০ অনুচ্ছেদের সংশোধন এবং বিরোধী দলের মর্যাদাবৃদ্ধি শুধু আইনগত বা সাংবিধানিক উন্নয়ন নয়; বরং এটি গণতন্ত্রের অন্তর্নিহিত মূলনীতিগুলোর পুনরুদ্ধার ও প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের দিকেও এক সাহসী পদক্ষেপ। জুলাইয়ের আত্মত্যাগ ও আন্দোলনের মাধ্যমেই এ ধরনের পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত হয়েছে, যা ভবিষ্যতের বাংলাদেশের রাজনীতিকে আরও পরিণত ও দায়িত্বশীল করে তুলতে পারে।

বিচার বিভাগ ও পুলিশ প্রশাসনে কাঠামোগত সংস্কার

বর্তমান সময়ের একটি যুগান্তকারী পরিবর্তনের দিক হলো, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গৃহীত কাঠামোগত সংস্কারগুলো। দীর্ঘদিন ধরে বিচার বিভাগের প্রশাসনিক স্বাধীনতা প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। বিচারপতিদের প্রশাসনিক বিষয়ে নির্ভর করতে হতো আইন মন্ত্রণালয়ের ওপর, যার ফলে বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা বারবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে। এই প্রেক্ষাপটে ‘স্বাধীন বিচার বিভাগীয় সচিবালয়’ গঠনের সিদ্ধান্ত একটি ঐতিহাসিক অগ্রগতি। এর মাধ্যমে বিচার বিভাগ নিজের অর্থ, জনবল ও নীতিনির্ধারণে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে। জনগণের ন্যায়বিচার পাওয়ার পথ আরও মসৃণ ও বিশ্বাসযোগ্য হবে।

একইসঙ্গে বিচারপতি নিয়োগে স্বচ্ছতা ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করার লক্ষ্যে ‘Judicial Appointments Commission’ গঠনের ঘোষণা আরও একটি সাহসী পদক্ষেপ। এ কমিশন যদি সত্যিকার অর্থে যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও নৈতিকতার ভিত্তিতে বিচারপতি নিয়োগ করতে পারে, তাহলে নাগরিকদের ন্যায়বিচারের আস্থা বহুগুণে বাড়বে। বিচার বিভাগের প্রতি জনগণের আস্থা প্রতিষ্ঠা পাবে নতুন ভিত্তিতে। এছাড়া হাইকোর্ট বেঞ্চগুলোকে রাজধানীকেন্দ্রিক না রেখে বিভাগীয় শহরে প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ বাস্তবিক অর্থেই গণমুখী চিন্তার প্রতিফলন। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের নাগরিকদের জন্য ঢাকায় এসে ন্যায়বিচার চাওয়া অত্যন্ত ব্যয়সাপেক্ষ, সময়সাপেক্ষ ও কষ্টকর। এখন যদি রাজশাহী, খুলনা, চট্টগ্রাম, সিলেট বা বরিশালেও হাইকোর্ট বেঞ্চ গড়ে ওঠে, তবে স্থানীয় মানুষেরা অনেক সহজে ও দ্রুত বিচার পেতে সক্ষম হবেন।

অন্যদিকে, পুলিশ বাহিনীকেও দলীয় রাজনৈতিক প্রভাব থেকে মুক্ত করে একটি পেশাদার, জনবান্ধব ও নিরপেক্ষ বাহিনীতে রূপান্তর করার প্রত্যাশায় ‘স্বাধীন পুলিশ কমিশন’ গঠনের যে ঘোষণা এসেছে, তা যুগোপযোগী। এখন পর্যন্ত পুলিশের ব্যবহার অনেক ক্ষেত্রেই ক্ষমতাসীনদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ার অভিযোগে জর্জরিত। যদি এই কমিশন পুলিশের নিয়োগ, বদলি, শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা এবং নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণে পুরোপুরি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে পারে, তবে প্রশাসনিক নিরপেক্ষতা ও সুশাসনের পথে এটি বড় ধাপ হয়ে উঠবে। এইসব উদ্যোগ শুধুমাত্র কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ না থেকে বাস্তবে রূপ পেলে, তা হবে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পথ উন্মুক্ত করার এক নতুন ইতিহাস।

স্থানীয় সরকারে নতুন সম্ভাবনার দরজা

দলীয় প্রতীকের অবসান স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় একটি ঐতিহাসিক পরিবর্তনের সূচনা করেছে। এতদিন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন আর প্রতীক নির্ধারণ করত কে জিতবে, কে হারবে। ফলে বহু জায়গায় স্থানীয় উন্নয়ন নয়, প্রাধান্য পেত দলীয় আনুগত্য, শক্তিশালী গোষ্ঠী, এমনকি গুণ্ডা-সন্ত্রাসীদের দখলদারিত্ব। শুধু দলীয় প্রতীকের কারণে অনেক জায়গায় নির্বাচনে মাদকাসক্ত, দুর্নীতিবাজ বা চিহ্নিত অপরাধীরাও নির্বাচিত হয়ে আসতেন।।এবার সেই সংকীর্ণতার শৃঙ্খল ভেঙে সামনে এগোতে শুরু করেছে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা। এখন জনপ্রতিনিধি নির্বাচন হবে তার ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা, সততা, দক্ষতা এবং জনসেবায় আগ্রহের ভিত্তিতে। এতে করে তরুণ, শিক্ষিত, উদার ও মানবিক ব্যক্তিরাও নেতৃত্বে আসার সুযোগ পাচ্ছেন।
বিকেন্দ্রীকরণের মূল সৌন্দর্য এখানেই, যেখানে ক্ষমতা কেবল ঢাকায় কেন্দ্রীভূত না থেকে ছড়িয়ে পড়ে জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে। স্থানীয় পর্যায়ে শক্তিশালী ও গ্রহণযোগ্য নেতৃত্ব গড়ে উঠলে গণতন্ত্র হয় কার্যকর, এবং জনগণের সমস্যা স্থানীয়ভাবেই দ্রুত সমাধান সম্ভব হয়। এই পরিবর্তন শুধু প্রশাসনিক নয়, সামাজিকভাবেও নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দিচ্ছে- যেখানে নেতৃত্ব মানে হবে সেবা, নয় শাসন।

হ্যাঁ, কিছু হতাশা আছে। কিন্তু…

এতসব অর্জনের পরেও হতাশা অস্বীকার করা যাবে না। অন্তর্বর্তী সরকারের গাফিলতি, জুলাই ভাগাভাগি, চাঁদাবাজি, দলীয় কোন্দল- সবকিছুই আমাদের কষ্ট দিয়েছে। কিন্তু ইতিহাস বলে, গণঅভ্যুত্থানের পরে এমন অরাজকতা অপরিহার্য এক ‘Emancipatory Violence’। স্থিতিশীলতা আসতে সময় লাগে। ফ্রান্সের বিপ্লবের পর রাজনৈতিক ভারসাম্য পেতে সময় লেগেছে চার বছর। তিউনিসিয়া পেয়েছে পাঁচ বছরে। আমাদের কী তা-ও লাগবে না?

একটা বিপ্লবের সফলতা শুধু অর্জন দিয়ে নয়, সময় ও সহিষ্ণুতার পরিপক্বতায় নির্ধারিত হয়। তাই এখন হতাশ হয়ে পড়ে থাকার সময় নয়, এই জুলাই-পরবর্তী পরিবর্তনকে লালন করা, সংহত করা ও সুরক্ষা দেওয়ার সময়। আমরা চাই না কথিত প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীদের মুখে ‘জুলাই ব্যর্থ’ বলাটা ইতিহাস হয়ে থাকুক। ইতিহাস বরাবরই তাদের মুখে কথা বলেছে, যারা রক্ত দিয়েছে, যারা পথ খুলেছে। জুলাই ব্যর্থ নয়। জুলাই হলো বাংলাদেশের নতুন শাসনতান্ত্রিক রূপান্তরের ঘোষণা। এখন দরকার ঐক্য, ধৈর্য আর দিকদর্শন। এই পথ পেরিয়ে যদি আমরা যেতে পারি, তবে একদিন ইতিহাস বলবে; জুলাই আমাদের সবচেয়ে বড়ো পাওয়া ছিল।

লেখক: কলামিস্ট, গণমাধ্যমকর্মী ও সংগঠক

সারাবাংলা/এএসজি