নাহিদ ইসলাম,
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আপনার ভুমিকাকে আমরা শ্রদ্ধাভরে স্বরণ করি। জুলাই সনদে স্বাক্ষর বিষয়ক আপনাদের অবস্থানকে আমি স্বাগত জানিয়েছি।
তারপরে ইসলামী আন্দোলন জুলাই সনদে স্বাক্ষর করার কারণ হলো, ফিতনা এড়ানো। জুলাই সনদে যা হয়েছে তা আমাদের প্রত্যাশার শতভাগ পূরণ করে নাই। তবে এটাও সত্য যে, স্বৈরতন্ত্র রোধ করার ক্ষেত্রে অনেকখানি পথ অগ্রসর হয়েছে। আমরা গ্লাসের অর্ধেক পানি আছে বিবেচনা করতে চেয়েছি। আর এনসিপি অর্ধেক খালি বিবেচনা করেছে। উভয় বিবেচনাই জরুরী এবং প্রয়োজনীয়।
আজকে জনাব নাহিদ যে পোষ্ট করেছেন তাতে জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে যে কথা বলেছেন তার ব্যাপারে জামায়াত নেতৃবৃন্দ কথা বলবেন বা বলতে পারেন। সেটা তাদের বিষয়।
কিন্তু তিনি পোস্টের এক জায়গায় লিখেছেন, ‘জামায়াত ও তার মিত্ররা এই এজেন্ডা ছিনতাই করে এটিকে একটি প্রযুক্তিগত পিআর ইস্যুতে সীমাবদ্ধ করে ফেলে এবং তাদের সংকীর্ণ দলীয় স্বার্থে দর-কষাকষির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। তাদের উদ্দেশ্য কখনোই সংস্কার ছিল না; ছিল কৌশলী অপব্যবহার।’
এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তার এবং সকলের অবগতির জন্য বলে রাখা হচ্ছে যে,
১. ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পিআর নিয়ে আন্দোলন করে সেই ২০০৮ সাল থেকে। বিগত ফ্যাসিস্ট আমলেও আমাদের সকল বড় কর্মসূচিতে পিআরের দাবী ছিলো। ফলে পিআর নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আন্দোলন একটি দীর্ঘমেয়াদি স্থায়ী সংস্কার প্রক্রিয়া।
২. ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কারো মিত্র বা শত্রু না। আমরা দাওয়াতী মূলনীতিতে কাজ করি। ফলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের অবস্থানকে কারো শত্রু-মিত্র দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় না।
৩. ইসলামী আন্দোলন আগামী নির্বাচন উপলক্ষে একটি আসনভিত্তিক সমঝোতায় তৈরির চেষ্টা করছে। এই প্রচেষ্টায় কেউ কারো নেতৃত্বে না। বরং সকলের রাজনৈতিক লক্ষ্য-উদ্দেশ্য, কৌশল আলাদা। এটা শুধুমাত্র আসনভিত্তিক সমঝোতা।
৪. ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রাজনীতিতে কোন কূটকৌশল করে না। যা করে ঘোষণা দিয়ে প্রকাশ্যে করে। কোন প্রচ্ছন্ন রাজনীতি করে না।
অবহিতকরণ শেষ হলো।
লেখক: কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ