Wednesday 29 Oct 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক: অসাম্প্রদায়িক চেতনার কিংবদন্তি রাজনীতিবিদ

সৈয়দ আমিরুজ্জামান
২৬ অক্টোবর ২০২৫ ১৪:৪৩ | আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২৫ ১৪:৪৭

প্রভাতের আলোকবর্তিকা _ বাংলার মাটি সবসময়ই লালন করেছে মানবতাবাদী, অসাম্প্রদায়িক ও সাম্যের চেতনা। এই চেতনার রাজনৈতিক প্রতিভূ ছিলেন শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হক। আজ তার ১৫২তম জন্মবার্ষিকীতে আমরা ফিরে দেখি এক জীবন—যে জীবন সংগ্রামের, যে জীবন ছিল জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের মুক্তি ও মর্যাদার জন্য নিবেদিত।

শেরে বাংলার রাজনীতি ছিল বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের রাজনীতি; তার আদর্শ আজও বাংলাদেশে ন্যায়, সমতা ও মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে প্রাসঙ্গিক ও প্রেরণাদায়ক।

১. শৈশব, পরিবার ও প্রারম্ভিক শিক্ষা: এক মেধার বিস্ময়

১৮৭৩ সালের ২৬ অক্টোবর বরিশাল জেলার রাজাপুর থানার সাতুরিয়া গ্রামে মামার বাড়িতে জন্ম নেন আবুল কাশেম ফজলুল হক। তার পিতা কাজী মুহম্মদ ওয়াজেদ ছিলেন তৎকালীন বাংলার মুসলমান সমাজের অগ্রগামী শিক্ষিত মানুষদের অন্যতম— প্রেসিডেন্সি কলেজের স্নাতক এবং আইনজীবী। মাতা সৈয়দুন্নেসা খাতুন ছিলেন ধর্মপ্রাণ ও শিক্ষানুরাগী নারী।

বিজ্ঞাপন

ফজলুল হকের শিক্ষাজীবন শুরু হয় বাড়িতে। আরবি, ফারসি ও বাংলা ভাষায় তার দখল ছিল অসাধারণ। বরিশাল জেলা স্কুলে ভর্তি হয়ে তিনি ধারাবাহিকভাবে মেধার প্রমাণ দেন— ১৮৮৯ সালে প্রবেশিকা পরীক্ষায় ঢাকা বিভাগে মুসলমান ছাত্রদের মধ্যে প্রথম হন। এরপর প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ১৮৯৩ সালে তিন বিষয়ে অনার্সসহ প্রথম শ্রেণিতে বি.এ. পাশ করে তিনি নজর কাড়েন আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়েরও। বন্ধুর ব্যঙ্গেই তার গণিতে এম.এ. নেওয়া, এবং মাত্র ছয় মাস পড়েই প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়া— তার অধ্যবসায় ও অদম্য জেদের এক অনন্য নজির।

২. কর্মজীবনের সূচনা: আইন, প্রশাসন ও জনসেবার প্রথম পাঠ

১৮৯৭ সালে কলকাতার রিপন কলেজ থেকে বি.এল. পাশ করে তিনি স্যার আশুতোষ মুখার্জির অধীনে প্রশিক্ষণ নেন। ১৯০০ সালে সরাসরি আইন পেশায় যোগ দিয়ে অল্প সময়েই খ্যাতি অর্জন করেন। কিন্তু কেবল ব্যক্তিগত উন্নতি নয়—তার লক্ষ্য ছিল সমাজ পরিবর্তন। তাই ১৯০৬ সালে সরকারি চাকরিতে যোগ দিয়ে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে জামালপুরে দায়িত্ব পালনকালে হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা প্রশমনে তার ন্যায়পরায়ণতা ও মানবিকতা তাকে জনপ্রিয় করে তোলে।

এই প্রশাসনিক জীবনের অভিজ্ঞতা তাকে গ্রামীণ কৃষক, শ্রমিক ও নিম্নবর্গের দুঃখ-দুর্দশার কাছাকাছি নিয়ে আসে। জমিদার ও মহাজনের শোষণ প্রত্যক্ষ করে তিনি বুঝেছিলেন—বাঙালির মুক্তি কেবল সামাজিক ন্যায় ও অর্থনৈতিক পুনর্বিন্যাসের মধ্য দিয়েই সম্ভব।

৩. সাহিত্য ও সংস্কৃতির অগ্রনায়ক: চিন্তার বিকাশ ও মানবিকতা

ফজলুল হকের মানবিক ও সাংস্কৃতিক সত্তা গড়ে উঠেছিল তার সাহিত্যপ্রীতির মধ্য দিয়ে। বরিশালে তিনি নিজ সম্পাদনায় ‘বালক’ নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করেন; পরে যৌথভাবে ‘ভারত সুহৃদ’ প্রকাশ করেন।

কলকাতায় এসে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের সম্পাদনায় ‘নবযুগ’ পত্রিকার অন্যতম পৃষ্ঠপোষক হন। ব্রিটিশবিরোধী লেখার কারণে সরকারের হুমকি সত্ত্বেও তিনি নজরুলকে উৎসাহ দিয়েছিলেন—’আরও গরম লিখে যাও!’

এই সাহসী মনোভাবই প্রমাণ করে—ফজলুল হক ছিলেন কেবল রাজনীতিবিদ নন, ছিলেন মুক্ত চিন্তার ধারক ও সংস্কৃতিবান মানবতাবাদী বুদ্ধিজীবী।

৪. রাজনীতিতে প্রবেশ: জনগণের কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠা

৪.১ বরিশাল পৌরসভা থেকে বঙ্গীয় আইন পরিষদে

রাজনীতিতে প্রবেশের সূত্রপাত হয় বরিশাল পৌরসভার নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। কমিশনার হিসেবে নির্বাচিত হয়ে তিনি স্থানীয় প্রশাসনে গণমুখী দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োগ শুরু করেন।

১৯১৩ সালে মাত্র ৩৯ বছর বয়সে তিনি বঙ্গীয় আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯১৩ থেকে ১৯১৬ সাল পর্যন্ত ১৪৮টি বক্তৃতায় ১২৮ বারই তিনি মুসলমানদের শিক্ষার উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেছেন—এ যেন শিক্ষার গণতন্ত্রী এক যোদ্ধা।

৪.২ মুসলিম লীগ ও কংগ্রেস—দুই ধারার ঐক্যের স্বপ্ন

১৯০৬ সালে নিখিল ভারত মুসলিম লীগ গঠনের সময় তিনি ছিলেন যুগ্ম সম্পাদক। আবার ১৯১৪ সালে যোগ দেন কংগ্রেসেও। একসঙ্গে দুই দলের নেতৃত্বে থেকে তিনি চেয়েছিলেন হিন্দু-মুসলমান ঐক্যের ভিত্তিতে ভারতের মুক্তি।

১৯১৮ সালে তিনি কংগ্রেসের সেক্রেটারি জেনারেল এবং একই বছরে নিখিল ভারত মুসলিম লীগের সভাপতির দায়িত্ব পান—যা প্রমাণ করে তার নেতৃত্ব সর্বজনীন ছিল, কেবল সাম্প্রদায়িক নয়।

৫. ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন ও খেলাফত আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ের খেলাফত আন্দোলনে তিনি নিখিল ভারত খেলাফত কমিটির সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন। এই সময়েই তার জনপ্রিয়তা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে।

তিনি বিশ্বাস করতেন—রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক ও সামাজিক মুক্তি জরুরি। এই বোধ থেকেই তার পরবর্তী কৃষক-প্রজা রাজনীতির বীজ রোপিত হয়।

৬. শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে অবদান: আধুনিক শিক্ষা আন্দোলনের অগ্রদূত

১৯২৪ সালে বাংলার শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে তিনি শিক্ষাক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনেন। স্বরাজ্য দলের বিরোধিতা করেও তিনি সাধারণ শিক্ষার প্রসারে বাজেট প্রণয়ন করেন।

যদিও রাজনৈতিক মতভেদের কারণে তিনি মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করেন, তবে তার উদ্যোগেই প্রাথমিক শিক্ষা বিনামূল্যে করার প্রস্তাব আলোচনায় আসে, এবং মুসলমানদের জন্য উচ্চশিক্ষার সুযোগ বাড়ে।

ফজলুল হক ছিলেন বিশ্বাসী— ‘শিক্ষা না থাকলে স্বাধীনতা অর্থহীন।’

৭. কৃষক ও শ্রমিকের মুক্তির রাজনীতি: প্রজা সমিতি থেকে কৃষক শ্রমিক পার্টি

১৯২৯ সালে গঠিত নিখিল বঙ্গ প্রজা সমিতির মাধ্যমে তিনি কৃষকদের স্বার্থরক্ষার রাজনীতি শুরু করেন। তার স্লোগান—’লাঙল যার জমি তার, ঘাম যার দাম তার’—ছিল প্রান্তিক কৃষকের মুক্তির আহ্বান।

এই ধারাই পরবর্তীতে কৃষক-প্রজা পার্টির জন্ম দেয়, যা ১৯৫৩ সালে ‘কৃষক শ্রমিক পার্টি’ নামে নতুন রূপ নেয়।
বাংলার রাজনীতিতে তিনি ছিলেন প্রথম নেতা যিনি শ্রমজীবী মানুষের ভোট ও অধিকারকে কেন্দ্রবিন্দুতে এনেছিলেন।

৮. বাংলার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কর্মযজ্ঞ: এক স্বপ্নদ্রষ্টার প্রশাসন

১৯৩৭ সালের নির্বাচনে কৃষক-প্রজা পার্টি ও মুসলিম লীগের জোট সরকারে ফজলুল হক বাংলার প্রধানমন্ত্রী হন। তার নেতৃত্বে বাংলায় ঘটে ঐতিহাসিক পরিবর্তনসমূহ:

বিনা ক্ষতিপূরণে জমিদারি উচ্ছেদ: ১৯৩৮ সালের ‘বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইন’ পাস করে কৃষকের পক্ষে আইন প্রণয়ন।

কর্মসংস্থানের ন্যায়নীতি: সরকারি চাকরিতে মুসলমানদের জন্য ৫০% কোটা নির্ধারণ।

চাষী খাতক ও মহাজনী আইন: কৃষককে ঋণখেলাপি মামলার জালে ফেলা বন্ধ।

শিক্ষা ও কৃষি সংস্কার: দৌলতপুরে কৃষি ইনস্টিটিউট ও ১৯৩৮ সালে পাট অধ্যাদেশ প্রণয়ন।

দোকান কর্মচারি আইন: শ্রমিকদের সাপ্তাহিক ছুটি ও ন্যায্য মজুরি নির্ধারণ।

এই সময়েই বাংলার মানুষ তাকে ডাকতে শুরু করে ‘শেরে বাংলা’—বাংলার বাঘ।

৯. লাহোর প্রস্তাব: ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া মুহূর্ত

১৯৪০ সালের ২৩ মার্চ লাহোরে অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগের অধিবেশনে ফজলুল হকই উপস্থাপন করেন সেই প্রস্তাব, যা ইতিহাসে ‘লাহোর প্রস্তাব’ বা ‘পাকিস্তান প্রস্তাব’ নামে খ্যাত।
যদিও তিনি মুসলিম লীগের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে পরবর্তীতে বিরোধের শিকার হন, তথাপি তার এই প্রস্তাব ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনৈতিক কাঠামো পরিবর্তনে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখে।

১০. পাকিস্তান আমলে রাজনীতি: যুক্তফ্রন্ট ও স্বপ্নের পুনর্জাগরণ

পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পরও ফজলুল হক জনসেবার মঞ্চে সক্রিয় ছিলেন।

১৯৫৩ সালে তিনি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও মাওলানা ভাসানীর সঙ্গে যুক্তফ্রন্ট গঠন করেন।

১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের ঐতিহাসিক বিজয়ের ফলে তিনি পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন।

২১ দফা কর্মসূচি: প্রগতিশীল রাষ্ট্রগঠনের রূপরেখা

এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য ছিল অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক পাকিস্তান গঠন।
উল্লেখযোগ্য দফাসমূহ—

বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি,

২১ ফেব্রুয়ারি সরকারি ছুটি ও শহীদ দিবস ঘোষণা,

বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠা,

জমিদারি প্রথা উচ্ছেদ,

পহেলা বৈশাখকে সরকারি ছুটি ঘোষণা।

এ ছিল এক অসাম্প্রদায়িক ও জনগণতান্ত্রিক বাংলাদেশ স্বপ্নের প্রথম রাজনৈতিক রূপরেখা।

১১. গভর্নর ও জীবনের শেষ অধ্যায়

১৯৫৬ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর নিযুক্ত হন। বর্ণাঢ্য জীবনের প্রায় অর্ধশত বছর রাজনীতির মঞ্চে কাটিয়ে তিনি ১৯৫৮ সালে অবসর নেন।

১৯৬২ সালের ২৭ এপ্রিল ৮৯ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তাকে সমাহিত করা হয় ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তিন নেতার মাজারে— সোহরাওয়ার্দী ও নাজিমুদ্দিনের পাশে।

জাতি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে এই মহান নেতাকে, যিনি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সমতা ও মানবতার কথা বলেছেন।

১২. অসাম্প্রদায়িক চেতনা: ফজলুল হকের রাজনৈতিক দর্শনের মূল

শেরে বাংলার রাজনীতির মূলে ছিল তিনটি ভিত্তি—
১. ধর্মনিরপেক্ষ মানবতাবাদ,
২. অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার,
৩. শিক্ষার সমান সুযোগ।

তিনি বিশ্বাস করতেন, ‘মানুষ আগে মানুষ, পরে ধর্মের পরিচয়।’ যে সময় হিন্দু-মুসলমান বিভেদের রাজনীতি তুঙ্গে, সেই সময় তিনি দুই সম্প্রদায়ের ঐক্যের কথা বলেছিলেন। বাংলার কৃষক-শ্রমিক, ছাত্র-শিক্ষক, ধনী-দরিদ্র— সবাই তার রাজনীতিতে স্থান পেয়েছিল।

এই মানবতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গিই তাকে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের চিন্তাবীজ বপনের অন্যতম পথিকৃৎ করে তোলে।

১৩. উত্তরাধিকার ও স্মারক: চিরজাগরুক এক প্রেরণার নাম

আজকের বাংলাদেশে তার নাম বহন করছে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান ও এলাকা—

ঢাকার শেরে বাংলা নগর, যেখানে জাতীয় সংসদ অবস্থিত।

শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়—১৯৩৮ সালে তার হাতে প্রতিষ্ঠিত।

শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ, বরিশাল।

বুয়েট, কুয়েট, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হলসমূহ তার নামে।

শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, মিরপুর—বাংলাদেশের গর্ব।

এইসব নামকরণ কেবল স্মৃতি নয়; এগুলো বাঙালির অসাম্প্রদায়িক চেতনার ধারাবাহিকতা, শেরে বাংলার আদর্শের জীবন্ত প্রতীক।

১৪. সমকালীন প্রাসঙ্গিকতা: বৈষম্যহীন সমাজের আহ্বান

আজও যখন সমাজে অর্থনৈতিক বৈষম্য, ধর্মীয় বিভাজন ও নৈতিক সংকট মাথাচাড়া দেয়—তখন ফজলুল হকের রাজনীতি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় মানবিক রাষ্ট্রগঠনের প্রয়োজনীয়তা।

তার শিক্ষা আমাদের শেখায়— ‘রাজনীতি মানে ক্ষমতা নয়, রাজনীতি মানে মানুষের সেবা।’

একুশ শতকের বাংলাদেশে উন্নয়ন ও গণতন্ত্রকে টেকসই করতে হলে তার মতো নেতাদের আদর্শ—ন্যায়, শিক্ষা, সমতা ও অসাম্প্রদায়িকতা—এই চার স্তম্ভকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে।

১৫. উপসংহার: ইতিহাসের প্রেরণার মশাল

শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক ছিলেন বাংলার রাজনীতিতে এক আলোকবর্তিকা। তিনি ছিলেন এমন এক নেতা, যিনি জাতিকে দিয়েছিলেন আত্মবিশ্বাস, শিক্ষা দিয়েছিলেন সমতার, এবং শিখিয়েছিলেন—মানুষের কল্যাণই রাজনীতির চূড়ান্ত লক্ষ্য।
তার জীবন, কর্ম ও চিন্তা আজও আমাদের পথনির্দেশ করে।

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যদি তার আদর্শকে ধারণ করে, তবে আমরা গড়ে তুলতে পারব এক বৈষম্যহীন, মানবিক, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ—যার স্বপ্ন দেখেছিলেন শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক।

প্রাতঃস্মরণীয় এই কিংবদন্তি নেতার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও চিরন্তন সালাম।

লেখক: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক, সাংবাদিক ও কলামিস্ট

সারাবাংলা/এএসজি
বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর