আজকের মহামারি ও রাষ্ট্রের দায়
৯ জুন ২০২০ ১৮:২২
প্রায়ই দেশের কর্তাব্যক্তিদের আত্মতৃপ্তির ঢেকুরের শব্দ শোনা যাচ্ছে, যেমনটি প্রায় সব ইস্যুতেই শোনা যায়। পাকিস্তান, ভারত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, যে সূচকে যার চাইতে সফল তাই নিয়ে তৃপ্ত হতে তাঁদের নিত্য দেখা যায়। কোভিড-১৯ মহাদূর্যোগ ইউরোপ-আমেরিকা পর্ব পেরিয়ে আবার এশিয়ার দিকে ঝুঁকেছে। এখন আমরা বলছি, করোনা মোকাবেলায় ইউরোপ-আমেরিকার চেয়ে সফল আমরা। সংক্রমণ এবং মৃত্যু সংখ্যা বিবেচনায় কথা সত্য। সেইসাথে যে সত্য আমরা বা রাষ্ট্র বলছে না তা হলো একই মানদণ্ডে পাশের দেশ নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ বা ভিয়েতনাম থেকে আমরা রয়েছি অনেক পেছনে। চীন থেকে সূচনা হওয়া তো দূরের কথা, ইউরোপের ভয়ানক অভিজ্ঞতা দেখার পর আমাদের দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু। প্রথম সনাক্ত হওয়ার সময় তথা মার্চের প্রথমার্ধেও যদি কিছু ব্যবস্থা নেওয়া যেতো তাহলে আমাদের সাফল্যের পারদ নিশ্চয়ই আরও উর্ধ্বমূখী থাকত। সে সময় কি করলে সংক্রমণ কম ছড়াতো?
ক. সম্ভাব্য বিদেশফেরতদের সঙ্গনিরোধ কার্যকর করতে উপযুক্ত আবাসের ব্যবস্থা করা।
খ. বন্দর, স্থলবন্দর ও বিমানবন্দরে সবাইকে পরীক্ষা করা ও সঙ্গনিরোধ কার্যকর করা।
গ. চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীদের সুরক্ষা সামগ্রি ও টেস্টিং কিট আমদানি ও তৈরির যুগপৎ উদ্যোগ নেয়া।
ঘ. অন্তত জেলা সদরের প্রধান হাসপাতালগুলোতে করোনা পরীক্ষা ল্যাব ও পৃথক ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করা।
ঙ. খোলা মাঠগুলোতে তাবু ও ভ্রাম্যমাণ টয়লেটের সমন্বয়ে সঙ্গনিরোধ কক্ষ তৈরি করা।
চ. চিকিৎসাকর্মীদের প্রস্তুতিমূলক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, পরিস্থিতি মোকাবেলায় চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ করা এবং নিয়োগপ্রাপ্তদের প্রশিক্ষণে যুক্ত করা।
ছ. অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমজীবি মানুষসহ সম্ভাব্য বিপন্ন জনগোষ্ঠীর তালিকা প্রণয়ন ও তাদের রক্ষায় পরিকল্পনা গ্রহণ করা।
জ. শহর, বন্দর, হাট, বাজার, গণপরিবহন ও জনসমাগমস্থল নিয়মিত জীবানুমুক্ত করা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচালনা করা।
ঝ. সমগ্র পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অনুমিত বরাদ্দ অনুমোদন করা।
দলীয় আনুগত্য নির্ভর কমিটির বদলে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ ও অংশীজনদের সমন্বয়ে দূর্যোগ মোকাবেলা কমিটি করে কমিটির মতামত নিলে হয়ত আরো প্রশস্ত পথ বেরোতে পারত।
এরকম পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ কোথায়? প্রথমেই আসবে জনগণের অসচেতনতার প্রসঙ্গ। শুরুর দিকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন থেকে প্রবাসীদের পালানোর ঘটনাকে প্রামাণ্য হিসেবে নেয়া যেতে পারে। সেখানেও কর্তৃপক্ষ দায় এড়াতে পারে কি? যে প্রবাসী শ্রমিক পরিবার-পরিজনকে ভালো রাখতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অজানার পথে পাড়ি দিয়ে, অমানুষিক শ্রম করে, প্রতিকূলতার মধ্যে খেয়ে না খেয়ে দেশে টাকা পাঠান, তাঁকে বোঝানো সম্ভব হল না যে মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা তাঁর প্রিয় মানুষদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। ব্যাপারটা কি শুধুই অসচেতনতা, নাকি ব্যবস্থা বা আয়োজনের প্রতি অনাস্থা? আমরা দেখেছি সেই অনাস্থার কারণ অনুসন্ধান বা দূরীকরণের চেষ্টা না করে মন্ত্রী মহোদয় প্রবাসী শ্রমিকদের বিদ্রুপ করাকেই দায়িত্ব জ্ঞান করলেন। আবার শাহাদুজ্জামান, সুমন রহমান ও ইমরান মতিনের গবেষণা দেখিয়েছে, ‘বাড়িতে থাকা’, ‘সামাজিক দূরত্ব’, ‘কোয়ারেন্টিন’, ‘লকডাউন’ শব্দগুলো ভিন্ন ভিন্ন সামাজিক অবস্থানের মানুষের কাছে ভিন্ন অর্থবোধক। [সূত্র: শাহাদুজ্জামান, সুমন রহমান ও ইমরান মতিন, তথ্য ও বার্তা বিভ্রাটে করোনা মহামারি, দৈনিক প্রথম আলো, ২৩ এপ্রিল, ২০২০] সচেতনতাও আসলে সামাজিক অবস্থানের উপর নির্ভরশীল, যে অবস্থানের জন্য ব্যক্তি নিজে দায়ী না। আবার তথ্যগত সচেতনতাও বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা প্রদান করেনা। কারণ যে অর্ধশতাধিক বস্তিবাসী পরিবার একই বাথরুম ব্যবহারে বাধ্য তাদেরকে সামাজিক দূরত্ব বোঝানো গেলেও বাস্তবায়নযোগ্যতা কোথায়? এমন পরিস্থিতি বিবেচনায় রাষ্ট্র আগেভাগেই দায়িত্ব নিলে জনদূর্ভোগ লাঘবের আশা থাকতে পারত।
আরেকটি সংকট থাকে আতঙ্ক সৃষ্টি সংক্রান্ত। আগেভাগে আলোচনা ও উদ্যোগ নিলে জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করতে পারত। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এমন একটা সাফাই গেয়েছিলেন যে তাঁর দেশের জনগণকে সাহস জোগাতে অর্থহীন হম্বিতম্বিগুলো প্রয়োজনীয়। তিনি এবং ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট বলসোনারো করোনা মহামারিকে গুজব আখ্যা দিয়েছিলেন। তাই দেখে আমাদের নেতারাও বলতে লাগলেন, “আমরা করোনার চেয়ে শক্তিশালী”। এত করেও আতঙ্ককে কি রোখা গেল? আজ নিশ্চয় যে কেউ স্বীকার করবেন যে নেতৃবৃন্দের ব্যবহৃত এ পদ্ধতি আতঙ্ক বা করোনা কাউকেই রুখতে সফল হয়নি। মিছে শান্তনা দেয়ার চেয়ে সত্যিকারের ভয়াবহতা তুলে ধরে কার্যকর ব্যবস্থা নিলে জনজীবন রক্ষা পেতে পারত।
এবার আসি সব চ্যলেঞ্জের বড় চ্যালেঞ্জ- বাজেট। এসব প্ল্যান বাস্তবায়ন করতে ব্যপক অর্থের প্রয়োজন। সত্যিই কি তাই? আমি নিশ্চিত নই। তবে ধারণা করি করোনা মোকাবেলায় এখন পর্যন্ত যা ব্যয় হয়েছে তার অর্ধেকেরও কম বরাদ্দে মার্চের শুরু থেকে উক্ত কর্মসূচি গ্রহণ করলে জান-মালের আজকের ক্ষতি দেখতে হত না। রূপপুরের বালিশ, ফরিদপুরের পর্দা, ফ্লাইওভারের ওভারভ্যালুড ফ্লাইং খরচ, ত্রাণ লুটপাট থেকে শেয়ারবাজার আর ব্যাংকলুটের হিসাব বাদ দিলেও মধ্যম আয়ের দেশের বাড়ন্ত জিডিপি আর বিশাল বাজেটে যদি জনগণকে রক্ষা করা না যায় তো এত উন্নয়ন আর প্রবৃদ্ধি দিয়ে বঙ্গোপসাগর ভরাট করে দালান তুলে কী হবে?
কিছু রাষ্ট্র সম্ভাব্য বিপদ আঁচ করতে পেরেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। সিআইএর জনসংযোগ বিভাগের সাবেক কর্মকর্তা কেন্ট হ্যারিংটন জানাচ্ছেন, “গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিজুড়ে গোয়েন্দারা করোনাভাইরাসের হুমকি বিষয়ে বারবার বললেও ট্রাম্প তা কানে তোলেননি।” [সূত্র: কেন্ট হ্যারিংটন, গোয়েন্দাদের কথা কানে তোলেননি ট্রাম্প, দৈনিক প্রথম আলো, ২০ এপ্রিল, ২০২০] ব্রাজিলের প্রাদেশিক গভর্নরগণ লকডাউন ঘোষণা করতে চাইলে প্রেসিডেন্ট বলসোনারো অভিযোগ করে বলেছেন যে তাঁরা দেশের মানুষের চাকরি খাওয়ার চেষ্টা করছেন। এমন আচরণের কারণ খুঁজতে গিয়ে বার্সেলোনা ইউনিভার্সিটির দর্শনের অধ্যাপক সান্তিয়াগো জাবালা সমাধানে পৌঁছেছেন, “দেশের অর্থনীতিকে বাঁচানোর কথা বলে বলসোনারো আসলে বৃহত্তর শিল্পগোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা করছেন।” [সূত্র: সান্তিয়াগো জাবালা, জনতুষ্টিবাদীদের মুখোশ খুলে যাচ্ছে, দৈনিক প্রথম আলো, ২৩ এপ্রিল, ২০২০] গ্রহণযোগ্য ও সুলভ সমাধান থাকা সত্বেও বিভিন্ন সময় রাষ্ট্রগুলো কেন সে পথ মাড়ায় না? আজ উত্তর খুঁজতে সহায়তা নেব দুই বিপরীত দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন অর্থনীতিবিদের। অর্থনীতিবিদ ও আন্দোলনকর্মী অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ করোনা ভাইরাসের ফলাফল নিয়ে বলতে গিয়ে তিনটি বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে কার্যকারণ খুঁজেছেন, “যেসব দেশের সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা সবল, তাদের তুলনায় যাদের নিরাপত্তা বলয় দুর্বল, তাদের অবস্থা অধিকতর খারাপ। দ্বিতীয়ত, যে দেশ তার সর্বজনের বা পাবলিক স্বাস্থ্যসেবাব্যবস্থা যত বেশি দক্ষভাবে দাঁড় করাতে পেরেছে, সে দেশ তত নাগরিকদের স্বাভাবিক সময়ে যেমন এ রকম সংকটকালেও তেমনি সুরক্ষা দিতে পারছে। বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫০ বছরের মাথায় এটাই স্পষ্ট করেছে যে তার নাগরিকদের ‘সামাজিক নিরাপত্তাজাল’ শতচ্ছিন্ন, খুবই দুর্বল। আর এই দেশ সর্বজনস্বাস্থ্যব্যবস্থা থেকে অনেক দূরে গিয়ে এটাকেও একটা ব্যবসার ক্ষেত্রে পরিণত করেছে। তৃতীয়ত চলছে পরিবেশধ্বংসী ‘উন্নয়নের’ অন্ধযাত্রা।” [সূত্র: আনু মুহাম্মদ, নাজুক জীবনে মহামারির হানা, দৈনিক প্রথম আলো, ১৬ এপ্রিল, ২০২০]
ব্যবসা সবসময় মুনাফাপ্রয়াসী। স্বাস্থ্যসেবার মত খাতগুলো ব্যবসার ক্ষেত্র হওয়ার ফলাফল খুঁজে দেখা যাক নোবেল বিজয়ী মার্কিন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক জোসেফ ই স্টিগলিৎসের বক্তব্যে, “মুনাফা অর্জনকেই চূড়ান্ত বিষয় হিসেবে মনে করা প্রতিষ্ঠানগুলো এইসব মহাসংকটকেও তাদের মুনাফা বাড়ানোর সুযোগ হিসেবে বিবেচনা করে থাকে।” জোসেফ ই স্টিগলিৎস, করোনা মোকাবেলায় ট্রাম্পই বড় বাধা, দৈনিক প্রথম আলো, ১৩ মার্চ, ২০২০] একটু মিলিয়ে দেখুন, আমাদের দেশে স্যানিটাইজার ও বিভিন্ন রকম জীবানুনাশক ব্যক্তি ও সাংগঠনিক উদ্যোগে জনগণকে বিনামূল্যে সরবরাহ করলেও বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকা কি? আরো লক্ষণীয়, যেসব কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি বা ওষুধ কোম্পানির স্যানিটাইজার বা জীবানুনাশক আগে ছিল না, তারাও দূর্যোগকালে ‘জাতীয় প্রয়োজনে’ এগুলো বাজারে এনে উচ্চমূল্যে বিক্রি করছে। একই কথা মাস্ক, নিরাপত্তা চশমাসহ প্রয়েজনীয় পণ্যের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।এখানে রাষ্ট্রের ভূমিকা কী? রাষ্ট্র ঐসব প্রতিষ্ঠানের মুনাফার পাহারা দিচ্ছে। জনজীবন রক্ষায় বিনামূল্যে দূরে থাক, নায্যমূল্যে সরবরাহ করতেও ন্যূনতম উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। কারণ, বিদ্যমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় বাজারের উপর সরকারের কোনরূপ হস্তক্ষেপ পাপ বলে গণ্য করেন ঐসব মুনাফাখোর পুঁজিপতিরা। অথচ ২০০৮ এর অর্থনৈতিক মহাবিপর্যয় বা অতীতের যেকোন বিপর্যয়ে ঐ পুঁজিপতিরাই ধর্না দিয়েছেন নিজ নিজ সরকারের কাছে। তখন বাজারের স্বয়ংসম্পূর্ণতায় আস্থা রাখতে তারাও অপারগ। চলমান সংকটকালে একদিকে দুনিয়াজোড়া মানুষ তাকিয়ে আছে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগের দিকে, অপরদিকে পুঁজিপতিরাও তাকিয়ে আছেন কী করে প্রণোদনার স্বল্প সুদের ঋণ এবং কর রেয়াত বাগিয়ে নেয়া যায়।
স্টিগলিৎস রাষ্ট্রের আরেকটি ভূমিকার কথাও আমাদের সামনে উন্মোচিত করেছেন, “ট্রাম্প প্রশাসন এই খাতে (সংক্রামক ব্যাধি মোকাবেলা) বরাদ্দ ২০১৮ সালে ১০ শতাংশ, ২০১৯ সালে ১৯ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে। সবচেয়ে ভয়ের কথা হলো, এ বছরের শুরুতেই সংক্রামক ব্যাধি মোকাবেলা খাতে ২০ শতাংশ বরাদ্দ কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প।” [সূত্র: জোসেফ স্টিগলিৎস, প্রাগুক্ত] ডেমোক্রেসি ইন ইউরোপ মুভমেন্ট- ডিয়েম-২৫কে দেয়া এক ইউটিউব সাক্ষাৎকারে ভাষাতাত্ত্বিক ও চিন্তাবিদ নোম চমস্কি ১৫ বছর আগে মোকাবেলা করা সার্স ভাইরাসের পরিবর্তিত রূপ হিসেবে করোনার অবশম্ভাবী আগমন প্রতিরোধে কার্যকর গবেষণা না হওয়ার কারণ অনুসন্ধানে বলেছেন, “প্রাইভেট কোম্পানীগুলোর দৌরাত্মের হাতে আমরা ভাগ্য সঁপে দিয়েছি। মালিক কর্পোরেশনগুলো যাদেরকে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হয়না, এইক্ষেত্রে যেমন বড় ওষুধ কোম্পানিগুলো, তারা নতুন বডি ক্রিম বানায়, কারণ মানুষকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য নতুন ভ্যাকসিন খুঁজে বের করার চেয়ে সেটা বেশি লাভজনক। এ কারণে চমস্কি মহামারিটির নাম দিয়েছেন নিওলিবারেল মহামারি।
অতীত বিভিন্ন সংকটের মত আজকের ‘নিওলিবারেল মহামারি’ও আমাদের স্বাস্থ্যনিরাপত্তার বাস্তব অবস্থাকে উন্মোচিত করল, যা আমরা ভুলে থাকতে পছন্দ করি। বিপর্যস্ত ও আতঙ্কিত ধরণীর দিকে দিকে আজ এই সত্যই উদ্ভাসিত হচ্ছে, অধিকাংশ রাষ্ট্র যে মুনাফাভিত্তিক মতাদর্শপুষ্ট হয়ে চলছে কোটি কোটি মানুষের অবর্ণনীয় বিপন্নতা সেই মতাদর্শেরই অবদান। বাংলাদেশ, ভারত, ব্রাজিল বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই মতাদর্শকে আদর্শিক ও সাংগঠনিকভাবে মোকাবেলা না করে নিজেদের নিরাপদ করার কোন উপায় নেই।