করোনা মহামারি ও সোশ্যাল মিডিয়ায় হুজুগের বাঙালি!
১২ জুন ২০২০ ২০:৩৫
টেলিভিশনে কাজ করার সময় ২০১৭ সালে নারী দিবসের একটি প্রতিবেদন করতে ময়মনসিংহ ব্রক্ষপুত্র নদের চরাঞ্চলে যাই। সকালে নদের নৌকায় করে চরে গিয়ে ভাড়ায় মোটর সাইকেলে একটি প্রত্যন্ত গ্রামে যাওয়ার পর কৃষিজীবি নারীদের খোঁজ পেলাম। পরে একজন নারীর সাক্ষাৎকার নিলাম। হঠাৎ কয়েক ব্যক্তি বললেন, আপনারা চলে যান দ্রুত। কারণ জিজ্ঞেস করলে তারা বললেন, সরকার বিভাগীয় শহর করতে এ অঞ্চলের জমি অধিগ্রহণ করছে। এ নিয়ে এলাকাবাসী আন্দোলন করছেন চরাঞ্চলে বিভাগীয় শহরের অবকাঠামো না বানাতে। এলাকাবাসী ভাবছে, আপনারা ক্যামেরা নিয়ে ম্যাপ করতে এসেছেন। তাই দ্রুত এলাকা না ছাড়লে বিপদে পড়বেন।
আমি ওনাদের বোঝাতে চেষ্টা করেও কোন লাভ হয়নি। তারা বিষয়টি বুঝতেই চায়নি। তাদের কথা শুনে বিষয়টি বুঝলাম। তাই ফিরতে শুরু করলাম। আসার সময় দেখলাম সত্যিই লোকজন জড়ো হচ্ছে, অনেকের হাতে রামদা, বল্লম, লাঠিসহ দেশিয় অস্ত্র। মোটর সাইকেল চালক বললেন, মনে হয় বিপদে পড়ে যাবেন। যাক সাহস করে তাকে বাইক ছাড়তে বললাম। রাস্তা যেন শেষ হয় না। যাক কোনরকম নদের পাড়ে। নৌকার জন্য অপেক্ষা করার সময় একজন মোবাইলে বললেন, সত্যি না গেলে বিপদে পড়তেন।
পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়েছে এর আগেও। পরে অন্য উপজেলার চরাঞ্চলে গিয়ে নারীদের মজুরি বৈষম্য নিয়ে কাজ করতে হলো। পরে ওইদিনের ঘটনাটি শুনে স্থানিয় একজন জনপ্রতিনিধি বললেন, এই অঞ্চলে হুজুগে অনেক সময় অনেক ঘটনা ঘটে। এই সব হুজুগের মানুষ কিছু বুঝতেই চাইবে না। ঘটনা ঘটিয়ে ফেলবে। কিছু ঘটনার কথাও শুনালেন।
পেশাগত দায়িত্ব পালন নিয়ে পুরনো এ বিষয়টি লেখার কারণ, বাঙালির ‘হুজুগ’ বিষয়ে নানা ঘটনা নিয়ে কয়েক’শ পাতার কয়েকটা সংকলন বের করা যাবে। হুজুগের সাথে সাথে বাজারকে বাঙালি নাকি দেখে উপর বা দোতলা থেকে। যেমন- এক লোক ছয়ফুট লম্বা। সে বাজারে গেছে ছোট মাছ কিনতে। বিক্রেতাকে সে বললো- গন্ধ শুঁকে মনে হচ্ছে এই মাছ পঁচা। বিক্রেতা রেগে গিয়ে বললো- মাছ অবশ্যই তাজা।
তবে হুজুগ নয়, গুজব নিয়ে প্রাচীনতম গল্পটা হয়ত অনেকেই জানেন। রানী মা মৃত যমজ সন্তান প্রসব করেছেন। গুজবের ডালপালায় ভর করে দূরতম প্রজার কাছে এই সংবাদ এইভাবে পৌঁছাল যে রানী মা এক জোড়া কালো কাক প্রসব করেছেন! প্রসবের পরপরই ওড়ার চেষ্টা করায় কাক দুটির মৃত্যু হয়েছে। কালো সেই কাক দেখার জন্য প্রজারা দলে দলে ভিড় জমাতে লাগলো রাজমহলের আশেপাশে।
বাজার এবং গুজব নিয়ে শুধু যে বাঙালিকে দোষ দেওয়া হয়ে থাকে ব্যাপারটা ঠিক তেমন নয়। গুজবের জিহ্বার স্বাদ হতে দেশ-বিদেশের মানুষ নিজেই যেন ছুটে যায়। যেমন ধরুন চিন ও জাপানের ঘটনা। জাপানে ভূমিকম্পের কারণে সুনামি হলো বা সুনামির কারণে ভূমিকম্প। বিদ্যুৎ ছিল না বলে কয়েক ঘন্টার মধ্যে বেড়ে গেল মোমবাতির দাম। মোমবাতি পাওয়া যাচ্ছে না এমন গুজব ছড়িয়ে পড়লে সবাই উর্ধ্বশ্বাসে ছুটলো মোমবাতি কিনতে। ২০১১ সালে ভূমিকম্পের কারণে জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুর্ঘটনা ঘটলে সেখান থেকে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে। ২০১৯ সালের নভেম্বরে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে লবণের দাম বেড়ে যাবে কয়েকগুণ। দেশবাসী হুজুগের বশবর্তী হয়ে লবণ কিনতে থাকে কিন্ত একদিন পরেই জানা যায় লবণের দাম আদৌ বাড়েনি এবং মজুদ আছে প্রচুর। হুজুগ বাঙালিকে টেনে নেয় বাজারের দিকে। কিন্তু বিশ্ব মহামারি করোনাভাইরাস, ফেসবুকে গেলেই বর্তমানে মনে হচ্ছে চরাঞ্চলের হুজুগের বাঙালি এখানেও কম না!
তবে এতদিন গ্রাম ও বাজারে ভর করা হুজুগ মানুষকে টেনে নিয়ে এসেছে ফেসবুকেও। ফেসবুক ব্যবহারকারীরাও পাগলের মতো কপি করা, শেয়ার দেওয়ার গুজব বা হুজুগ বিষয়ক লেখা বিশ্বাস করে ছড়ায়। চাঁদে সাইদীকে দেখা গেছে টাইপ গুজব আর মানুষের চাঁদ দেখার হুজুগ মাঝেমাঝেই যেন ফিরে আসে। যে চাঁদ সাধারণ মানুষ কিনতে পারে না বা যেখানে তারা যেতে পারে না, সেই জায়গাটার দখল নেয় অন্ধ বিশ্বাস। এই বিশ্বাসের কারণে বাজার থেকে চাল, লবণ, পেঁয়াজ কেনার মতো মাজার থেকে পড়া পানি কিংবা তাবিজ কেনে মানুষ!
করোনাকালে ঘরবন্দি মানুষের এই হুজুগ চলে এসেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। করোনার আগে বাজার করার পরের ছবি ফেসবুকে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া ফ্যাশন ছিল। বাজার থেকে ফেরার সময়ে কেউ জানতে না চাইলেও ফেসবুকে প্রশ্নের ঝড় উঠবে- ভাই কতো দিয়ে কিনলেন? দেখেছি, তাবিজ কবজের প্রশংসাও পাওয়া যায় ফেসবুকে! কোন পীরের কোন তাবিজে বা আংটিতে কার কী উপকার হয়েছে সেই বর্ণনা কিংবা বিজ্ঞাপনও মিলবে।
হুজুগ ছাড়া আমাদের চলে না। বজ্রপাতে কেউ মারা যায় তখন সেসব লাশ নাকি কবর থেকে চুরি হয়ে যায়, চড়া দামে বিক্রি হয়। সীমান্ত পিলার নিয়েও এমন গুজব ছিল। সীমান্ত পিলারের নীচে নাকি ইউরেনিয়াম থাকে তাই সেসব নাকি চোরাচালানীদের মাধ্যমে বিক্রি হয়। এই হুজুগ নিয়ে কত মানুষ যে ঘুরে বেরিয়েছে, কতজন যে গ্রেফতার হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। অনেকে জমি জমা হারিয়ে ফতুরও হয়েছেন। করোনাকালে গেল কয়েকদিন ধরে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আছে অক্সিজেন সিলিন্ডার। কোভিড-১৯ সংক্রমিতদের মধ্যে মাঝারি উপসর্গ বহনকারী রোগিদের অক্সিজেন প্রয়োজন হয়। সংক্রমিত অনেকে বাসায় বসেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাই অনেকেই কিনছেন অক্সিজেন সিলিন্ডার। কিন্তু অভিযোগ আছে ৫ থেকে ৮ বা ১০ গুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে অক্সিজেন সিলিন্ডার। নিম্ন ও মধ্য নিম্নবিত্তরাও ৩০ বা ৪০ হাজার টাকা দিয়ে অক্সিজেন সিলিন্ডার কিনতে হিমসিম খাচ্ছে। কিন্তুু করোনা আক্রান্ত রোগীদের কিভাবে এই অক্সিজেন ব্যবহার করা হবে, তাঁর কোন নিয়ম কি চিকিৎসকরা দিয়েছেন। তাহলে করোনা দেশে প্রথম শুরু হওয়ার পর জিনিসপত্র কেনার যে প্রবণতা দেখা গিয়েছিল, এখন চলছে ওষুধপত্র এবং সর্বশেষ অক্সিজেন সিলিন্ডার।
ফেসবুকে মারা যাওয়ার সংবাদ কে কার আগে পোষ্ট করবেন, তার প্রতিযোগিতা চলছে। এক সময় হুজুগের পাখায় ভর করে বাড়তে থাকে কয়েনের দাম, এক টাকার কয়েনের দাম বাড়তে বাড়তে তিনশ টাকায় গিয়ে ঠেকে! পরে সরকারি ঘোষণার মাধ্যমে এই গুজব থামানো হয় এবং বাঙালির এক টাকার কয়েন কেনার হুজুগ থামে। কিছুদিন আগে সুরাইয়া গুজব তো ফেসবুকময় ছিল। সুরাইয়া তারা উঠলে করোনা চলে যাবে বা সেতু নির্মাণে মানুষের মাথা লাগবে এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ে দ্রুত। সোশ্যাল মিডিয়া বা ফেসবুকে একজন যে বিষয়টি পোস্ট করলেন, তা হাজার হাজার কপি হয়ে ছড়িয়ে পড়ে দ্রুত।
জিনিসপত্র, ওষুধ বা অক্সিজেন সিলিন্ডার কম দামে কিনে রাখছেন লাভবান হয়ে ওঠার জন্য, নতুবা নিজে বাঁচার জন্য। আপনাদের কারণে হয়ত একজন জরুরি রোগীর প্রয়োজনের সময় ওষুধ বা অক্সিজেন সরবরাহ করা যাচ্ছে না। বাংলাদেশের গুজব আর পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের কারণে প্রায়শই ধ্বংসযজ্ঞ দেখা যায়। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাধারণ জনগন।
হুজুগ নিয়ে বাঙালির পথচলা। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়াতে হুজুগের পেছনে দৌঁড়ানোর অপসংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। মানুষ মাত্রই কমদামে তাদের প্রিয় পণ্য কিনতে চায়। কেউ কেউ ব্যবসায়ে লাভ করতে আর কেউ কেউ নিজ প্রয়োজনে জমিয়ে রাখতে চায় পণ্য। কেউ কেউ অন্যদের দেখে হুজুগে মাতে। বহু বছর ধরে এমন চলে আসছে। চাইলে বা চেষ্টা করলেও কী এর থেকে পরিত্রাণ সম্ভব?
আপনাদের নিশ্চয় মনে আছে, ২০ জুলাই ২০১৯ তারিখে চার বছরের সন্তান তুবাকে ভর্তির জন্য রাজধানীর বাড্ডার একটি স্কুলে খোঁজ নিতে গিয়েছিলেন তাসলিমা বেগম রেণু। কিন্তু ফিরলেন লাশ হয়ে। তুবা’কে আর স্কুলে ভর্তি করাতে পারলেন না রেণু। ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে গণপিটুনিতে মুহূর্তেই ঝরে গেল একজন মায়ের প্রাণ। ‘পদ্মা সেতু নির্মাণে মাথা লাগবে’-এমন গুজবে সারা দেশে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এ গুজবে ২১ জুলাই পর্যন্ত ৯ জেলায় অন্তত ১৯ জন গণপিটুনির শিকার হয়েছেন। মারা গেছেন ৯ জন। একই বছর ১৮ জুলাই নেত্রকোনায় ব্যাগে করে এক শিশুর ছিন্ন মাথা নিয়ে পালানোর সময় মাদকাসক্ত এক যুবককে (২৮) ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে গণপিটুনিতে হত্যা করে বিক্ষুব্ধ জনতা। এ ঘটনার পর থেকেই ‘ছেলেধরা’ গুজবে গণপিটুনির খবর আসতে থাকে সারা দেশ থেকে। অনাকাক্ষিত গণপিটুনিতে সাধারণ মানুষ বিশেষ করে নারী যারা রাস্তা-ঘাটে, শপিং মলে বাচ্চা দেখলে আদর করে তারাও আতঙ্কগ্রস্ত বলে নিজেদের মতপ্রকাশ করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কেউ কেউ লিখছেন, ‘আমাকে মারতে চাইলে ছেলেধরা বলে চিৎকার দাও।’
বাস্তবে মানুষ এই ‘ছেলেধরা’ গুজবকে কাজে লাগিয়ে পূর্ব শত্রুকে হত্যাসহ মারধর করছে। নওগাঁর মান্দায় ছেলেধরা গুজব রটিয়ে ছয় জেলেকে মারধর করেছে (২২ জুলাই, প্রথম আলো)। ২০ জুলাই নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মিজমিজিতে গলাকাটা সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত হন বাকপ্রতিবন্ধী মো. সিরাজ। কিন্তু পরিবারের অভিযোগ, নিজের মেয়েকে দেখতে গেলে সাবেক স্ত্রী ‘গলাকাটা’ গুজব রটিয়ে সিরাজকে হত্যা করান। কি ভয়ঙ্কর সংবাদ!
প্রবাদে আছে, হুজুগের বাঙালির কাছে গুজব বাতাসের আগে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশ কিংবা উপমহাদেশে ‘গুজব’ বা ‘গণপিটুনি’ নতুন ধারণা নয়। যুগ যুগ ধরে কুসংস্কারাছন্ন জাতির মস্তিষ্কে এ ধারণা বিরাজ করছে। গুজবে বিশ্বাসী হুজুগে বাঙালির কর্মকাণ্ড নিয়ে বহু আগে থেকেই এদেশে সাহিত্য রচিত হয়েছে। করোনাকালীন সময়ে ফেসবুকে গেলে দেখা যায়, সবাই জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ।
শেষ করছি দুটি চলমান ঘটনা দিয়ে, কিছুদিন আগেও যে ছেলেটাকে নিয়ে এলাকাবাসী গর্ব করত। বলছিলাম করোনায় আক্রান্ত হয়ে উপ-কর কমিশনার (বিসিএস ট্যাক্স) শুধাংশ সাহা মৃত্যুবরণ করার পর তার মৃতদেহ গ্রামের বাড়িতে দাহ করতে বাঁধা দেয়ার কথা। মানবিকতা কোথায় এসে দাড়ালো! গণমাধ্যমে প্রকাশিত শুধাংশু সাহার স্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরা হলো, ‘শুধাংশ সাহার স্ত্রী মানসী দাশ বলেন, শুধাংশ সাহা করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার গাড়ামাসি গ্রামে। মৃত্যুর পর নিজ বাড়িতে শুধাংশের মৃতদেহ দাহ করার কথা ছিল। কিন্তু করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করায় গ্রামের লোকজন বিরোধীতা করায় সেখানে দাহ করা সম্ভব হয়নি। পরে আমার বাবার বাড়ি (শুধাংশের শশুর বাড়ি) টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের পাড়াগ্রামে পারিবারিক শ্মশানঘাটে তার দাহ সম্পন্ন হয়। যদিও সেখানে দাহ না করার জন্য গ্রামের লোকজন রাজি ছিল না। পরে প্রশাসনের সহযোগিতায় মৃতদেহের দাহ করা হয়। তিনি আরেও বলেন, আমি ও আমাদের ৬ বছরের মেয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকার বাসাতেই চিকিৎসা নিচ্ছি। করোনা আক্রান্ত হওয়ায় বাসা লকডাউন করা হয়েছে। বাসা থেকে বের হতে দিচ্ছে না। মৃত্যুকালে আমার স্বামীর কাছে যেতে পারি নাই। তার শেষকৃত্য দেখতে পারি নাই। মেয়েও তার বাবাকে শেষ দেখা দেখতে পেল না।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বেডে বাবা করোনাতে আক্রান্ত হয়ে খুব শ্বাসকষ্টে আছে। তাইতো সন্তান নিজের বুকে বালিশ রেখে সারাটা রাত এভাবেই বাবাকে একটু শান্তিতে শ্বাস নিয়ে ঘুমাতে সহায়তা করতে করতে কখন যে নিজের অজান্তেই ঘুমিয়ে গেছে!
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ময়মনসিংহ জেলা জজ আদালতের সিনিয়র সহকারি জজ উমা দাসের স্বামী মৃত্যুবরন করেন। একজন হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষের সৎকার করার জন্য আত্নীয়স্বজনরা এগিয়ে না আসায় নিজেই উদ্যোগ নিয়ে তা সম্পন্ন করেছেন মুসলিম এক সমাজকর্মী আলী ইউসুফ।
এতদিন বিশ্ব মহামারি করোনাভাইরাস শুরু হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে নানা হুজুগের বাঙালির গুজব দেখা গেছে। এখনও চলমান। গৃহবন্দি থেকে অনেকে নানারকম তথ্য নির্ভরযোগ্য সূত্র ছাড়া কপি পেষ্ট করছেন। একটুও তথ্য যাচাই না করে শেয়ার বা কপি করেন। এমনিতেই আমরা যে পরিমাণ হুজুগের মানুষ, সেখানে গুজব বা ভুল তথ্য অনেক ক্ষতি করে। আসুন সবাই সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই বৈশ্বিক দুর্যোগে হুজুগে যেন গুজব না ছড়াই!