আওয়ামী লীগ মানেই অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ
২৩ জুন ২০২০ ১৭:০৬
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই জাতির রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক তথা সার্বিক মুক্তির লক্ষ্য সামনে রেখে নিরবচ্ছিন্নভাবে সংগ্রাম করে চলেছে। যার চূড়ান্ত প্রাতিষ্ঠানিকিকরণে বর্তমানে শেখ হাসিনার হাত ধরে হচ্ছে। গৌরব, সাফল্য ও সংগ্রামের সাত দশক ছোঁয়া আওয়ামী লীগের সফলতা ঠিক এখানেই।
দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার; ২৩ জুন, ১৯৪৯ সাল। পুরান ঢাকার রোজ গার্ডেনে এদিন প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল মুক্তিকামী দল আওয়ামী লীগ। সেদিনের রাজনৈতিক প্লাটফর্মটির নাম দেয়া হয় ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’; যার সভাপতি মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানি এবং শামসুল হক সাধারণ সম্পাদক হন।
অন্যদিকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয় শেখ মুজিবুর রহমানকে। ১৯৫৫ সালে ধর্মনিরপেক্ষতার চর্চা এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংগঠনটির নাম থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেয়া হয়; নতুন নাম হয় ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ’।
মূলত প্রতিষ্ঠার পরপরই রাজনৈতিক সংগ্রাম, ৫২’র ভাষা আন্দোলন, যুক্তফ্রন্ট গঠন ও ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে বিজয়সহ বিভিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে পঞ্চাশের দশকেই পূর্ব পাকিস্তানের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি হয়ে ওঠে আওয়ামী লীগ। তারপরও এ সময়টাকে একাত্তরের প্রস্তুতি পর্ব হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। এ ছিল আওয়ামী লীগের রঙিন ইতিহাসের প্রথম এক দশক।
১৯৬৬ সালে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ কাউন্সিলের মাধ্যমে দলের সভাপতি নির্বাচিত হন শেখ মুজিবুর রহমান। লক্ষ্যই যার ‘সংগ্রাম করে মুক্তি’ আদায়। বঙ্গবন্ধু সময় নষ্ট করেননি, নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করেই স্বাধীনতাপ্রাপ্তির সব অনুষঙ্গ নিয়ে পরিকল্পনার ছক কষতে থাকেন। যার প্রথম পদক্ষেপ ছিল ৬৬’র ছয় দফা।
ছয় দফার কারণে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করেছিল সরকার। প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ ১৯৬৬ সালের ৭ জুন প্রদেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘট আহ্বান করে। সেদিন পুলিশের গুলিতে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জে ১১ জন নিহত হয়। পুলিশ প্রায় ৮০০ লোককে গ্রেফতার করে এবং অগণিত লোকের বিরুদ্ধে মামলা করে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে দ্বিতীয় দশকের আওয়ামী লীগ হয়ে উঠে আরও প্রাসঙ্গিক, আরও শক্তিশালী।
আওয়ামী লীগের সফলতা ’৪৯ সাল থেকেই শুরু হয়েছিল, তবে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক তথা রাষ্ট্রীয় সুফলপ্রাপ্তির ব্যাপারটা এসেছিল তৃতীয় দশকে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে। ১৯৫৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়ে যুক্তফ্রন্ট সরকারের কৃষিমন্ত্রী হয়েছিলেন শেখ মুজিব।
কোয়ালিশন সরকারের মন্ত্রীসভায় শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্তা হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন ১৯৫৬ সালে। তবে রাষ্ট্রীয় নেতা হিসেবে দেশকে সব এনে দেওয়ার গৌরবোজ্জ্বল যে ইতিহাস দলের রয়েছে, পিতা মুজিব সেটা এ দশকেই এনে দেন আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়ে।
অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ১০ বছরের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা আইয়ুব খান সরকারের পতন হয় এ সময়। ৭ কোটি বাঙালি খুঁজে পায় নিজেদের প্রকৃত আত্মপরিচয়, পূর্ব পাকিস্তানকে ঘোষণা করা হয় ‘বাংলাদেশ’। যদিও দেশ তখনও স্বাধীন হয়নি।
১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর আয়োজিত জনসভায় বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেছিলেন, ‘একসময় এদেশের বুক হইতে, মানচিত্রের পৃষ্ঠা হইতে ‘বাংলা’ কথাটির সর্বশেষ চিহ্নটুকুও চিরতরে মুছিয়ে ফেলার চেষ্টা করা হইয়াছে।’
৭০-এর নির্বাচনে কেন্দ্রীয় আইনসভায় (জাতীয় পরিষদ) পূর্ব পাকিস্তানের ১৬৯ আসনের মধ্যে ১৬৭ আসন দখল করে আওয়ামী লীগ। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও আওয়ামী লীগকে সরকার গঠনে আমন্ত্রণ জানানোর পরিবর্তে সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে বাঙালির অধিকার নস্যাৎ করার পথ বেছে নেয় সামরিক শাসক ইয়াহিয়া খান।
বঙ্গবন্ধু তখনই বুঝে যান, পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকদের দুঃশাসনের অবসান ঘটাতে লড়াইয়ের কোনো বিকল্প নেই। শুরু হয় তার ‘ক্যারিশম্যাটিক লিডারশিপ’। অধিকার আদায় ও ফিরে পেতে সোচ্চার হয় আওয়ামী লীগ, দেশব্যাপী ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়।
আওয়ামী লীগ তথা বাংলাদেশের সব প্রাপ্তির এ দশকেই (তৃতীয়) বিশ্ব ইতিহাসের সবচেয়ে ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটে। পঞ্চাশের দশক থেকে মানুষের অধিকার আদায়ে দাপিয়ে বেড়ানো বঙ্গবন্ধুর ঘাতকের হাতে জীবননাশ হয় এ সময়ে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যা এবং ৩ নভেম্বর কারাগারের অভ্যন্তরে চার জাতীয় নেতাকে হত্যার পর সামরিক শাসনের নিপীড়নের মধ্যে পড়ে ঐতিহ্যবাহী এ সংগঠনটি। বঙ্গবন্ধুহীন আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যেও বিভেদ দেখা দেয়।
রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ফের শূন্য অবস্থানে ফিরে যায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। তবে দলের জন্য গণমানুষের যে ভালোবাসা নেতা বঙ্গবন্ধু এনে দিয়েছিলেন, সেটা নিয়েই বঙ্গবন্ধুকন্যা ‘শেখের বেটি’ মাত্র ৫ বছর ৯ মাস ২ দিন পর দেশে প্রত্যাবর্তন করেন। হাল ধরেন দলের, পাশে দাঁড়ান নেতাকর্মীদের।
আওয়ামী লীগের পা তখন তিন দশক পেরিয়ে চার-এ। ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুকন্যার ওই দেশে ফেরা কেবল সাধারণ নাগরিক হিসেবে জীবনযাপন করার উদ্দেশ্যে ছিল না, ছিল জাতীয় রাজনীতির নিয়ন্ত্রক হতে; জেনারেল এরশাদের স্বৈরাচারী সেনাশাসনের কবল থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শের বাংলাদেশ ফিরিয়ে আনতে।
পরবর্তী সময়ে শেখ হাসিনা ও তার আওয়ামী লীগ জিয়া ও এরশাদ বিরোধী দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলেন এবং ১৯৯০ সালে অভিন্ন রাজনৈতিক আন্দোলনের মাধ্যমে এরশাদ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেন।
১৯৯১ সাল। দলের বয়স তখন পঞ্চম দশকে। ১৬ বছর আগে পিতা মুজিব যে আওয়ামী লীগকে সাধারণ মানুষের দলে পরিণত করে শাহাদতবরণ করেছিলেন, সেই আওয়ামী লীগকে শেখ হাসিনা তার আগের অবস্থানে ফিরিয়ে দেন এ সময়ে। দল আত্মপ্রকাশ করে বৃহত্তম বিরোধী দল হিসেবে।
১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা তুলে ধরেন তিনি। পরবর্তী সময়ে ফের মাহেন্দ্রক্ষণ। ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। ১৯৯৬ সালের জুনে ক্ষমতা গ্রহণের পর বিএনপি সরকারের রেখে যাওয়া নানা বিষয় নিয়ে বেশ দুরূহ পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হয়েছিল শেখ হাসিনাকে। তারপরও তিনি দেশে একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনর্নির্মাণ এবং সেটাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান করেন।
পিতার মতো কন্যাও মানুষকে অকৃত্রিম বিশ্বাস করতেন, করেন; যার খেসারত তাকে ২০০১ সালে দিতে হয়। বিদেশি ষড়যন্ত্রে পা রেখে দেশের স্বার্থ বিকিয়ে ক্ষমতায় আসে বিএনপি ও সাম্প্রদায়িক শক্তি জামায়াত।
তবে ওই নির্বাচনের পর সংগঠিত হতে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি আওয়ামী লীগকে। পরবর্তী অর্থাৎ নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেই ফের আওয়ামী লীগে আস্থা খুঁজে পায় বিএনপি-জামায়াতের দুঃশাসনে পিষ্ট দেশের কোটি কোটি মানুষ। তারপর থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এ পর্যন্ত রাষ্ট্রক্ষমতায় রয়েছে। দেশপ্রেমের মহান ব্রত নিয়ে সব বাধা-বিপত্তি, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, নাশকতা মোকাবেলা করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
করোনাভাইরাস মোকাবেলা, দারিদ্র্য বিমোচন, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বৃদ্ধ ভাতা, বিধবা ভাতা, বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঈর্ষণীয় সাফল্যে, পায়রা সমুদ্রবন্দর, রূপপুর পাওয়ার প্রজেক্ট, ২টি সমুদ্রসীমা মামলায় আন্তর্জাতিক আদালতে বিজয়, ভারতের সঙ্গে ভূমি বিরোধের পূর্ণ সমাধান, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন, সীমান্তে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নির্মূলসহ নিজ অর্থায়নে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার, মহাসড়ক উন্নয়ন ও শত শত সেতু নির্মাণসহ সারা দেশে উন্নয়নের যে মহাযজ্ঞ চলছে, তা নিতান্তই আওয়ামী লীগ সরকারের ধারাবাহিকতা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় বিশ্বাস ও দূরদর্শিতার ফল।
কিন্তু বর্তমানে আওয়ামী লীগের ভেতর দুষ্কৃতকারী, জামায়াত, বিএনপির সুযোগ সন্ধানীরা ঢুকে পড়েছে। এমনকি সামাজিকভাবে দল ভারী করার জন্য তাদেরকে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করছে একশ্রেণির নেতারা। তাছাড়া নৌকার বিপক্ষে নির্বাচন করে এখন প্রকৃত আওয়ামী লীগ সাজার চেষ্টা করছে। আওয়ামী লীগের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করছে। প্রবীণ, সক্রিয় বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে।
রাজাকার ও পাকবাহিনীর সহযোগিতায় গঠিত শান্তি কমিটির প্রধান বা গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন- এমন ব্যক্তি ও তাদের সন্তান-স্বজনদের কেউ কেউ নানা কৌশলে ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোতে ঢুকে পড়েছেন। জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ২০০৯ সালের পর তারা দলে দলে সরকারি দলে যোগদান করা শুরু করেন। সংঘবদ্ধ হওয়ার লক্ষ্যেই স্বাধীনতা বিরোধী আদর্শের মানুষরা অর্থের বিনিময়ে ও নানা কৌশলে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ছত্রছায়ায় আছেন, দলের গুরুত্বপূর্ণ পদও পেয়েছেন।
একই সঙ্গে অতীত অপকর্ম থেকে রেহাই পাওয়া, দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার টার্গেট নিয়েও তারা ক্ষমতাসীন দলে যোগ দিয়েছেন। আর কোনো কোনো ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রভাবশালীরা নিজেদের আলাদা বলয় সৃষ্টি করতে শান্তি কমিটির সদস্যদের সন্তান-স্বজনদের থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীদের দলে গুরুত্বপূর্ণ পদ দিয়েছেন। এতে দলের ত্যাগী নেতারা বঞ্চিত হয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দলে এই অনুপ্রবেশের ঘটনা হঠাৎ করে ঘটেনি; শুরু হয় ২০০৯ সাল থেকে, ঢালাওভাবে হয়েছে ২০১৪ সালের পর এবং সব অনুপ্রবেশই ঘটেছে দলের কেন্দ্রীয় নেতা, মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের হাত ধরেই। যা দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে। এমনকি কিছু এমপি প্রকাশ্যে বলে, টাকা দিয়ে মনোনয়ন কিনে এনেছি। আওয়ামী নয়, আমাদের কথা মতো সবাইকে চলতে হবে। এছাড়া হাইব্রিড আওয়ামী লীগের কারণে প্রবীণ, ত্যাগী নেতাকর্মীরা কিছু কিছু ক্ষেত্রে আজ কোণঠাসা হয়ে গেছে।
এদিকে বর্তমান করোনা দুর্যোগে হাইব্রিড নেতা, এমপিরা মানুষের পাশে নেই। তারা দলের সুদিনের অপেক্ষায় থাকে। এবিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন সময় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেও সেটা কার্যকর হয়নি। আশা করব, প্রধানমন্ত্রী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। হাইব্রিড আওয়ামী লীগ, জামায়াত, বিএনপির ক্যাডারদের দল থেকে বের কবে দেবেন। নাহলে যেকোনো সংকটকালীন অবস্থায় দলকে চরম পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হবে। আর আওয়ামী লীগের প্রাণ হচ্ছে তৃণমূল আওয়ামী লীগ। তাই তৃণমূল আওয়ামী লীগকে আরও বেশি সংগঠিত করতে হবে। যাতে তৃণমূল আওয়ামী লীগ আরও সংগঠিত হয়।
এদিকে প্রায় ৩৯ বছর ধরে নিরবচ্ছিন্ন নেতৃত্ব দিয়ে, মৃত্যুভয়কে ছিন্ন করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক ভাবধারার আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছেন এবং আওয়ামী লীগকে কোটি কোটি মানুষের প্রাণের সংগঠনে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছেন।
আওয়ামী লীগ মানেই বাঙালি জাতীয়তাবাদের মূলধারা। ভাষা আন্দোলন, গণআন্দোলন, স্বাধিকার আন্দোলন, স্বাধীনতা যুদ্ধ, স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাসের পাতার পরতে পরতে রয়েছে এ নাম। সব পর্যায়ে রয়েছে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত আওয়ামী লীগের হার না মানা নেতৃত্ব।
স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা, সামরিক স্বৈরশাসন থেকে গণতন্ত্রে উত্তরণ- প্রতিটি অর্জনের সংগ্রাম-লড়াইয়ে নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশে একটি, আর তা হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
দেশ, দশ ও বাঙালির প্রতিটি অর্জনের সঙ্গে যারা জড়িয়েছেন; এত অর্জন, এত প্রাপ্তি, এত কিছুর দাবিদার হলো বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ।
লেখক: সাধারণ সম্পাদক, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগ