Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

করোনাকালীন বাজেটেও বঞ্চিত সেই ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক


১ জুলাই ২০২০ ১৯:২৬

এমন একটা সময়ে বাজেট ঘোষণা কর হলো, যখন কোভিড-১৯ করোনাভাইরাসের মহামারী তাণ্ডবে থমকে গেছে পুরো দেশ। মানুষের আয় কমছে, ক্রয়ক্ষমতা কমছে, প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ বেকার হচ্ছে। বড় হচ্ছে লাশের মিছিল। এমন একটা সময়, যখন শিল্প উৎপাদন ও সেবাখাত থমকে গেছে। তার মাঝেও আশা দেখাচ্ছে কৃষি। করোনা সংক্রমণ রোধে ৩ মাসের টানা লকডাউনে কৃষিখাত যে ক্ষতির মুখে পড়েছে তা অবর্ণনীয়। তবুও এমন সংকটাপন্ন পরিস্থিতিতে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা, অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে কৃষিই হতে পারে একমাত্র পথ। সেই ধারাবাহিকতায় বাজেটে কৃষিখাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে, সেই আশা ছিল সংশ্লিষ্টজনদের। আদতে তা হয়নি। বরাবরের মতো মোট বাজেটের আকার বেড়েছে, তাতে কৃষিখাতে বরাদ্দও বেড়েছে। কিন্তু শতকরার হিসেবে কৃষি পিছিয়েছে বিগত বছরগুলোর মতোই। তার চাইতেও বড় কথা, করোনাকালে কৃষিখাতে সবচেয়ে ক্ষতির মুখে পড়া ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক; যাদের হাত ধরে দেশের ৮০% ফসল উৎপন্ন হয়, তারা বাজেটে একরকম অবহেলিতই হয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

মাননীয় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গত ১১ জুন জাতীয় সংসদে ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথ পরিক্রমা’ শিরোনামে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেন। প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা,যা গত বছরের মূল বাজেটের তুলনায় তা ৮.৫৬ শতাংশ আর সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ১৩.২৪ শতাংশ বেশি। বাজেট ঘোষণায় কৃষিকে ‘দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার’ হিসেবে দাবি করা হলেও, প্রস্তাবিত বাজেট সংক্ষিপ্তসার (বিবরণী-২ (ক)) অনুযায়ী, বরাদ্দের ক্ষেত্রে ৬ নম্বর অগ্রাধিকার পেয়েছে কৃষিখাত। বাজেটে বৃহত্তর কৃষি খাতে (সংশ্লিষ্ট ৫টি মন্ত্রণালয় মিলে) বরাদ্দ করা হয়েছে ২৯ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা। গত বছরের মূল বাজেটের তুলনায় তা ১ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা বেশি। গেল বছরের বাজেটের তুলনায় এই বছরের বাজেটে আকার ৮.৫৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেলেও বৃহত্তর কৃষিখাতে বাজেটের আকার বেড়েছে ৫.৭৪ শতাংশ। কিন্তু খাতওয়ারি বরাদ্দের হিসেব দেখাচ্ছে, প্রস্তাবিত অর্থবছরেও কমেছে কৃষিখাতের হিস্যা। বাজেট পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বৃহত্তর কৃষিখাতে বরাদ্দ ছিল ৬.০৩%, ২০১৯-২০ সালে তা কমে ৫.৩৮%-এ এসে দাঁড়ায় এবং আসন্ন ২০২০-২১ অর্থবছরে তা আরো কমে ৫.২৭% শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। সংশোধিত বাজেটে তা আরও কমে আসার আশঙ্কাও রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

কৃষি বাজেটের প্রায় পুরোটাই বিগত অর্থ বছরগুলোর মতো। বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে অন্যান্য যেসব ঋণ সুবিধা ছিল, আগের মতোই সেগুলো রয়েছে। তবে কয়েকটি খাতে বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, গুরুত্বের সাথে নেওয়া হয়েছে, যেমন কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ, পোল্ট্রি ও মৎস্য খাতে বাড়তি সুবিধা প্রদান ইত্যাদি। আর একেবারে নতুন সংযোজন বলতে ৪% সুদে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা ঋণ। যা শুরুতে ছিল ৫% সুদ। সরকার ১% সুদ ভর্তুকি দেবে। এই মুহূর্তে এই ঋণ সুবিধার সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল দেশের আপামর ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের। কিন্তু এমনই কৌশলী ফাঁদ, যেখানে বঞ্চিত হবেন শুধুমাত্র এই শ্রেণীরই কৃষক। তাতে ভয় হয়, বাড়তে পারে গ্রামীণ আয় বৈষম্য, সঙ্কট দেখা দিতে পারে দেশের সার্বিক খাদ্য নিরাপত্তা পরিস্থিতির।

প্রশ্ন উঠতে পারে, কাদেরকে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক বলবো? হিসাব অনুযায়ী, যেসব কৃষকের নিজস্ব জমির পরিমাণ ৫০ শতাংশের নিচে, তারা ক্ষুদ্র কৃষক, যাদের কোন জমিই নেই; অর্থাৎ সম্পূর্ণভাবে বর্গা ও সামাজিক কৃষির উপর নির্ভরশীল; তারা প্রান্তিক কৃষক। দেশের কৃষিতে তাদের অবদান কতটুকু? বাংলাদেশ খাদ্য নীতি গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ১ কোটি কৃষি পরিবার রয়েছে, যাদের ৬৫ লাখের কোন নিজস্ব জমি নেই। ২০১৪ সালে Climate Action Network South Asia- এর একটি গবেষণায় উঠে আসে, বাংলাদেশের গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর ৮০ শতাংশ কৃষিজীবী এবং এর মধ্যে ৫৭ শতাংশ ভূমিহীন। তবে এসব ক্ষুদ্র ও ভূমিহীন কৃষকরাই দেশের মোট ফসল উৎপাদনের কাণ্ডারি। দেশের মোট উৎপাদিত ফসলের ৮০% তাদের হাত ধরে আসে। এবারের মোট বোরো’র ৮৫% উৎপাদিত হয়েছে তাদের মাধ্যমেই। করোনার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এসব ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরাই, যাদের পুরো আয়ের উৎস একমাত্র কৃষি। শুধু করোনা নয়। সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক দুর্যোগেও রক্ষা হয়নি। আম্ফানের তাণ্ডবে সরকারিভাবে কৃষকের ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক পরিমাণ ১,১০০ কোটি টাকা। এরই মধ্যে আসছে বন্যা। বলা হচ্ছে, দেশের ১৮ থেকে ২০টি জেলার নিচু এলাকা এবারের বন্যায় প্লাবিত হতে পারে। এমন একটা সময়, যখন আমনের বীজতলা তৈরি শেষ, ক্ষেত্রে আউশ ধানে মাত্র থোড় এসেছে। ভুট্টা চাষ কেবল শুরু হয়েছে। গ্রীষ্মকালীন সবজির প্রায় অর্ধেকের বেশি মাঠে।

অর্থাৎ করোনা, প্রাকৃতিক দুর্যোগে এই ছোট কৃষকেরা একরকম চিড়ে চ্যাপ্টা। আসন্ন মৌসুমে তারা কিভাবে আবাদ করবে, সেই চিন্তায় কাবু। তাই ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা ঋণ তাদেরই সবার আগে প্রাপ্য। কিন্তু নির্দেশনা অনুযায়ী, এই কৃষিঋণ পেতে হলে জমির মালিককে দলিল এবং বর্গা চাষিকে জমির মালিকের সাথে করা চুক্তিপত্র দেখাতে হবে। বাংলাদেশের কৃষিব্যবস্থা তথা কৃষি সংস্কৃতি এখনও ততটা উন্নতি হয়নি, যেখানে কাগজে-কলমে চুক্তিপত্র থাকে। স্পষ্টভাবে ধরে নেওয়া যায়, এই ঋণ সুবিধা ভোগ করবে বড় কৃষকরা।

সঙ্কট আছে জমির মালিকেরও। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, কৃষকরা ১ এপ্রিল থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত এই ঋণ পাবেন। ঋণের অন্তত ৬০ শতাংশ শস্য খাতে দিতে হবে। কিন্তু সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কৃষকদের সেবা দিতে এগিয়ে আসেনি ব্যাংকগুলো। লকডাউনে শহরাঞ্চলের ব্যাংক সীমিত আকারে খোলা থাকলেও, যেখানে বেশি দরকার; সেই উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যায়ের সব শাখা বন্ধ ছিল। নতুন ফসল আবাদে ঋণের জন্য আবেদনই করতে পারেননি কৃষকরা।

এদিকে ভর্তুকির ক্ষেত্রে একই কুমিরের বাচ্চাকে দেখানো শেয়াল মাস্টারের গল্পের কথা মনে আসে। বিগত ৫টি অর্থ বছরের কৃষি বাজেটে ভর্তুকির খাত পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, প্রতিবারই প্রস্তাবিত বাজেটে ৯ হাজার কোটি টাকা রাখা হয়, সংশোধিত বাজেটে তা ১ থেকে ৩ হাজার কোটি পর্যন্ত কমিয়ে আনা হয়। এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ভর্তুকির জন্য ঘোষণা করা হয়েছে। কৃষিতে এই ভর্তুকি দেওয়া হয় কৃষিখাতের নানান উপকরণ যেমন সার, বীজ, কীটনাশক, ইত্যাদি আমদানিতে শূন্য শুল্কহার অব্যাহত রাখতে। কিন্তু এতে করে এসব পণ্য আমদানীকারকই লাভবান হচ্ছে। কৃষক সরাসরি কখনই উপকৃত হয় না।

সাম্প্রতিক সময়ে সেচ, বীজ, শ্রমিকের মজুরী ইত্যাদি নিয়ে কৃষকের ভোগান্তি বেড়েছে। করোনাকালে সেই ভোগান্তি আরও প্রসারিত হয়েছে। কৃষকের হাতে নগদ অর্থ নেই। এমন অবস্থায় ভর্তুকির অর্থ সরাসরি কৃষকের হাতে যাওয়া জরুরী। শুধু তাই নয়, এবারের প্রস্তাবিত বাজেটের ভর্তুকির জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ সংশোধিত বাজেটে কমিয়ে আনলে বিপদ বাড়তে পারে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী, একটি উন্নয়নশীল দেশ, নির্দিষ্ট খাত হতে প্রাপ্ত জিডিপির ১০% ভর্তুকি হিসেবে দিতে পারে। তাছাড়া প্রতি বছর যে অর্থ কৃষিতে ভর্তুকি দেওয়া হয়, তার বড় একটি অংশ অব্যবহৃত থেকে যায়। উদাহরণস্বরূপ, ২০১৬, ২০১৭ এবং ২০১৮ অর্থবছরে যথাক্রমে ২,৫৭০ কোটি টাকা, ৫,৩৯০ কোটি টাকা এবং ৩,৮০০ কোটি টাকা অব্যবহৃত ছিল,যা সরাসরি কৃষককে উৎপাদন/ সংরক্ষণ/ বিপণন পর্যায়ে দেওয়া যেত।

বরাবরের মতো নারী কৃষকদেরকেও এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে কৃষি বাজেটে। অথচ পরিকল্পিত প্রকল্প হাতে নেওয়ার মাধ্যমে নারী কৃষকদের উৎসাহিত করে সঙ্কট মোকাবেলায় আরও এক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল। সেখানে আমরা আমাদের নারী কৃষকদের ‘কৃষক’ হিসেবেই স্বীকৃতি দিতে চাইছি না। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, দেশের কৃষি খাতে নিয়োজিত আছে ৯০ লাখ ১১ হাজার নারী। গত ১০ বছরে কৃষিতে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে ১০৮ শতাংশ। আর পুরুষের অংশগ্রহণ কমেছে দুই শতাংশ। খাদ্যনীতি বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ২০১৫ সালের একটি জরিপে দেখা গেছে, দেশের ৯০ শতাংশ বাড়িতে মুরগি পালন নিয়ন্ত্রণ করেন নারী। ছাগল ও গরু পালনে নারীদের নিয়ন্ত্রণ ৫৫ শতাংশ। ২০১৬ সালের সিএসআরএল এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, কৃষিখাতের ২১ ধরনের কাজের মধ্যে ১৭ ধরনের কাজেই গ্রামীণ নারীরা অংশগ্রহণ করে। অথচ কৃষি তথ্য সার্ভিস এর ‘কৃষিতে নারী’ শীর্ষক প্রতিবেদনে কৃষি জমির মালিকানায় নারীর অংশগ্রহণ মাত্র ১৯ শতাংশ। অর্থাৎ, এই মুহূর্তে দেশের কৃষিব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে নারীকেন্দ্রিক। এই অবস্থায় নারী কৃষকের স্বীকৃতি প্রদান প্রয়োজন। পাশাপাশি সরকারের কার্যক্রমে নারীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের অনুমতি প্রয়োজন। তাতে করে দেশের কৃষি আরও ভালো অবস্থানে জায়গা করতে পারবে।

বাজেটে কৃষি যান্ত্রিকীকরণকে উৎসাহিত করতে বড় অংকের অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অবশ্যই তা প্রশংসনীয় উদ্যোগ। যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে কৃষিতে উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব। কিন্তু পাশাপাশি এটাও মনে রাখতে হবে, কৃষি শ্রমিকদের পুনর্বাসনে কি উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ঘুরেফিরে আবারও প্রান্তিক কৃষকদের কথা আসে। বাজেটে কৃষি যন্ত্রের উপর ভর্তুকি, দেশি কৃষি যন্ত্র প্রস্তুতকারীদের উৎসাহিত করার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা শুরুটাই ভুলে গেছি। টানা লকডাউনের কারণে যে কৃষিপণ্য বাজারজাত করা সম্ভব হয়নি, পণ্য পরিবহন করা সম্ভব হয়নি। অথচ, বাজেটে এগুলোকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে কৃষিপণ্য সংরক্ষণাগার, স্থানীয় পর্যায়ে ওয়্যারহাউজ, কৃষিপণ্য পরিবহনে আলাদা পরিবহণ ব্যবস্থা, ট্রেনে ফ্রিজিং কম্পার্টমেন্ট যুক্ত করা ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে নির্দেশনা থাকা জরুরি ছিল।

আমরা খাদ্য নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের দাবি নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করে চলেছি। প্রচার ও প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। এই করোনাকালীন সঙ্কট আমাদের আরও একবার দেখিয়ে দিল, এই বিশাল জনগোষ্ঠীর খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই আইন প্রণয়ন কতটা জরুরী। শেষটা করবো কিছু পরিসংখ্যান দিয়ে। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা সংস্থা (বিআইডিএস) এর সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে, কোভিড-১৯ এর প্রভাবে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে দেশে ১ কোটি ৬৪ লাখ মানুষ নতুন করে দরিদ্র হয়েছে। পাশাপাশি কোভিডের সময়ে শহরাঞ্চলের শ্রমিকের আয় কমেছে ৮০ শতাংশ এবং গ্রামীণ শ্রমিকের আয় কমেছে ১০ শতাংশ। অন্যদিকে, সর্বশেষ বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা সূচক-২০১৯ অনুযায়ী,দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান সবার নিচে। সূচকে উল্লেখিত ১১৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৯৩তম। এছাড়া বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচকে ১১৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৮৮ তম। ২৫.৮ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশ মারাত্মক মাত্রায় ক্ষুধা সঙ্কটে রয়েছে। করোনা পরিস্থিতি এই অবস্থাকে আরও জটিল করে তুলবে। পিআরসি এবং বিআইজিডির হিসাব অনুযায়ী, করোনাকালীন সময়ে দেশে শহরাঞ্চলে মানুষের ৪৭ শতাংশ ও গ্রামের মানুষের ৩২ শতাংশ খাবার গ্রহণের পরিমাণ কমেছে।

কৃষিকে আধুনিক করতে হলে, এই খাতকে লাভবান করতে হলে ভাবতে হবে তৃণমূল পর্যায় থেকে, কৃষকের জায়গা থেকে। শুধু বরাদ্দের অর্থ বৃদ্ধি নয়, এই মুহূর্তে কৃষিখাতে সত্যিকার অর্থেই ‘সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার’ প্রয়োজন।

লেখক: যোগাযোগ কর্মকর্তা, খাদ্য নিরাপত্তা নেটওয়ার্ক (খানি)

করোনা করোনাভাইরাস

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর