Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

গণমানুষের মুক্তি সংগ্রামের মহানায়ক মওলানা ভাসানী


১৮ নভেম্বর ২০২০ ০২:০০

ফাইল ছবি

উপমহাদেশ তথা বাংলার কৃষক-শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে আজীবন গ্রাম-গঞ্জের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের নয়নমণি মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। সারা জীবনই যার সংগ্রাম ছিল মেহনতি মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে। ১৭ নভেম্বর গেলো মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৮৮০ সালে তৎকালীন পাবনার সিরাজগঞ্জের এক প্রত্যন্ত গ্রামে জন্ম নেওয়া মওলানা ভাসানী ১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর চলে যান না ফেরার দেশে। পিতা হাজি শরাফত আলী খান ছিলেন সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি।

বিজ্ঞাপন

অনেক নেতাদের নেতা মওলানা ভাসানী তথাকথিত প্রথাগত শিক্ষায় শিক্ষিত ছিলেন না, তিনি উচ্চতর ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত ছিলেন। আধ্যাত্মিক শিক্ষায় তার অন্তর ছির পরিপূর্ণ। ভারতের ইসলামী শিক্ষার প্রাণকেন্দ্র দেওবন্দ মাদরাসার ছাত্র হয়েও তিনি ছিলেন মুক্তিকামী মানুষের নেতা। ব্রিটিশ উপনিবেশবাদবিরোধী প্রগতিশীল ধারার রাজনীতি ধারণ করে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সময়ের অগ্রগতির সাথে সাথে মওলানা ভাসানী সর্বভারতীয় রাজনীতি, জাতীয় কংগ্রেস দল, খিলাফত আন্দোলন এবং মুসলিম লীগের নেতৃত্বে পাকিস্তান আন্দোলনেরও নেতাতে পরিণত হন। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়েই শেষ করেননি তিনি, পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর শাসক শ্রেণির হাত থেকে গণমানুষের মুক্তির লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত করেন আওয়ামী মুসলিম লীগ— যার পরবর্তী রূপ হচ্ছে আওয়ামী লীগ।

বিজ্ঞাপন

পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার মাত্র এক দশকেরও কম সময়ের মধ্যেই তিনি পাকিস্তানের একটি বিশেষ গোষ্ঠী ও শ্রেণির রাজনীতি এবং শোষণ-শাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। প্রথমে লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতা এবং তার কিছুদিন পরই পূর্ব বাংলার পূর্ণ সার্বভৌমত্ব দাবি করে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নের বীজ বপিত করেছিলেন এ অঞ্চলের মানুষের মাঝে। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নেতৃত্ব প্রদানের মাধ্যমে পাকিস্তানের ব্যর্থ শাসকগোষ্ঠী মুসলিম লীগের পরাজয় ঘটিয়েছিলেন। আবার সেই যুক্তফ্রন্টের সরকারের বিরুদ্ধেও বিদ্রোহ করেছিলেন আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসন ও পূর্ব বাংলার জনগণের অধিকারের প্রশ্নে। আওয়ামী লীগ ত্যাগ করে গঠন করেছিলেন ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ।

১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর পূর্ব পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া এক প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে প্রায় ১০ লক্ষাধিক মানুষ নিহত হলেও পাকিস্তান সরকার তাদের দেখতে না আসলে তার প্রতিবাদ জানান। ‘স্বাধীনতা ছাড়া বাংলার মানুষের মুক্তি নাই’, ‘ভোটের বাক্সে লাথি মার পূর্ব বাংলা স্বাধীন কর’ স্লোগান ছিল তার। ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচন বর্জন করেছিলেন মওলানা ভাসানী। পাকিস্তানের অপশাসন ও শোষণ থেকে মুক্তির লক্ষ্যে তিনি বেছে নিয়েছিলেন স্বাধীনতার পথ।

৭০’র ঘূর্ণিদূর্গত বিধ্বস্ত দক্ষিণাঞ্চল ঘুরে এসে ভাসানী পল্টন ময়দানে বিশাল জনসভায় বক্তব্য রাখলেন আবেগাপ্লুত হয়ে। তার বর্ণনা শুনে সভায় উপস্থিত সাহসী কবি ও সাংবাদিক সাংবাদিক শামসুর রাহমান লিখেছিলেন ‘সফেদ পাঞ্জাবী’ কবিতা। মওলানা ভাসানী নির্বাচন বর্জন করেছিলেন। কিন্তু কেন বর্জন করলেন তা কখনো কেউ বলতে চায় না। তবে বিরুদ্ধে প্রচারের জন্য ‘ভোটের আগে ভাত চাই, নইলে এবার রক্ষা নেই’ স্লোগানের কথা বলেন অনেকেই।
সত্য তো বলেন-ই না, বরং এক শ্রেণির দালাল ও সুবিধাবাদী তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা অনেক সময় মওলানা ভাসানীকে ‘জনগণবিরোধী’ প্রমাণের জন্যই চেষ্টা করে থাকেন। কিন্তু সত্যটা হলো— সামরিক শাসনের অবসান ঘটানোর বৃহত্তর স্বার্থে মওলানা ভাসানী চেয়েছিলেন ‘শেখ মুজিবুর রহমান’ নির্বাচনে পূর্ণ বিজয় লাভ করুক। অথচ এই সত্যটা বিরুদ্ধ প্রচারকারীরা স্বাভাবিক কারণেই চেপে যায়।

এ কথা দিবালোকের মত সত্য যে, মওলানা ভাসানীই পূর্ববঙ্গে মুসলিম লীগ রাজনীতির বিপরীতে প্রথম বিরোধিতা করে নতুন রাজনৈতিক দলের জন্ম দিয়েছিলেন যার নাম পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ। এই কৃতিত্বময় নেতৃত্ব মওলানা ভাসানীর, এটা ইতিহাসের নির্মোহ সত্য। অথচ কেউ কেউ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে এই কৃতিত্ব দেওয়ার চেষ্টা করেন। যারা এই চেষ্টা করেন তারা ভুলে যান ইতিহাস ও সময় সাক্ষ্য দেয়, আওয়ামী মুসলিম লীগ যখন গঠন হয় তখন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী তখন করাচিতে ‘নেহরু হাউজ’-এ বসবাস করছিলেন এবং তিনি গঠন করেছিলেন ‘জিন্না মুসলিম লীগ’।

১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার রোজ গার্ডেনে আতাউর রহমান খানের সভাপতিত্বে বিরোধী দলের যে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়, সেখানেই ‘আওয়ামী মুসলিম লীগ’ গঠিত হয় এবং মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হন। এখানে ইতিহাস বলে, আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রথম কমিটির তালিকা যখন করা হচ্ছিল তখন মওলানা ভাসানীর আদরের ‘মুজিবুর’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের দাবি-দাওয়া নিয়ে সংগ্রাম করতে গিয়ে গ্রেফতার হয়ে জেলে ছিলেন। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে টাঙ্গাইলের শামসুল হকের নাম লেখার পর যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমানের নাম লেখেন।

সে যাই হোক, ১৯৭০ এর নির্বাচন মওলানা ভাসানী বর্জন করলেন যর ফলশ্রুতিতে সে নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলো। কিন্তু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী সংখ্যাগরিষ্ঠ দলকে ক্ষমতা হস্তান্তর করল না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতা থেকে বঞ্চিত করা হলো। প্রতিবাদে মওলানা ভাসানী তার প্রিয় উত্তরসূরি বঙ্গবন্ধুর গণ-আন্দোলনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেছিলেন।

২৫ মার্চের কালরাতে ঢাকাসহ পূর্ব পাকিস্তানের প্রায় সকল জায়গায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নৃশংস হত্যাকাণ্ড শুরু করেছিল। মধ্যরাতের পর বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তখন মওলানা ভাসানী ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিলেন। এবং বাংলাদেশের প্রবাসী সরকারের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। তখন মওলানা ভাসানী ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সমন্বয় কমিটির সভাপতি। নেতৃত্বের প্রশ্নে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী কখনো বঙ্গবন্ধুর প্রতিপক্ষের ভূমিকা গ্রহণ করেননি। এটা দিবালোকের মত স্পষ্ট যে, বঙ্গবন্ধুর জীবনে রাজনৈতিক নেতৃত্ব বিকশিত হয়েছিল মওলানা ভাসানী ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর স্নেহের ছায়ায়।

‘মজলুম জননেতা’ হিসেবে পরিচিত মওলানা ভাসানীকে প্রথাগত ক্ষমতার রাজনীতি কোনো দিনই আকর্ষণ করেনি। তিনি গ্রামগঞ্জের কৃষক কিংবা শহর-নগরের ব্যাপক শ্রমিক শ্রেণি ও অন্যান্য মেহনতি মানুষের অর্থনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য এ দেশের প্রেক্ষাপটে অনেক পথের সন্ধান করেছেন। ‘কৃষক-শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের রাজ’ প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন।  বস্তুবাদী রাজনৈতিক জগতে আধ্যাত্মিকতার সমন্বয় ঘটাতে চেয়েছেন। সে কারণে
জীবনের শেষ দিকে ইসলামী সমাজতন্ত্রের রূপরেখা প্রণয়নে অত্যন্ত তৎপর হয়ে উঠেছিলেন।

সাম্রাজ্যবাদ, উপনিবেশবাদ, সামন্তবাদ ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন আপসহীন। আফ্রো-এশিয়া ও লাতিন আমেরিকার কোটি কোটি মেহনতি মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে সোচ্চার ছিলেন মওলানা ভাসানী। সে কারণে জনগণ তাকে আফ্রো-এশিয়া, লাতিন আমেরিকার শোষিত, নির্যাতিত ও বঞ্চিত মানুষের নেতা বলেই মনে করে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করেন মওলানা ভাসানীর রাজনীতি ছিল তার সমকালীন যুগের তুলনায় খুব বেশি অগ্রসর। পাকিস্তানের কাঠামোর মধ্যে থেকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান বা পূর্ববাংলার গণমানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন ঘটবে না বলেই দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন তিনি। আর সেই কারণেই তিনি বেছে নিয়েছিলেন রাজপথে গণ-অসন্তোষ প্রকাশ এবং সর্বোপরি গণ-অভ্যুত্থানের পথ। ৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে ৫৪’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন কিংবা বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে ‘আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা’ এবং পাকিস্তানের স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে ৬৯’র গণ-অভ্যুত্থানে মওলানা ভাসানীর অগ্নিগর্ভ আন্দোলনের স্বরূপ প্রত্যক্ষ করেছিল বিশ্ববাসী। আর সে কারণে ৬৯’র গণ-আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন তাদের কভারে (প্রচ্ছদে) মওলানা ভাসানীকে তুলে ধরেছিল ‘প্রফেট অব ভায়োলেন্স’ (প্রচণ্ড বিক্ষোভ কিংবা সহিংসতার নবী) হিসেবে। আর ২০০৪ সালে অর্থাৎ তার মৃত্যুর বহু পরে তাকে সর্বকালের অষ্টম শ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে আখ্যায়িত করে বিবিসি।

উপমহাদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মওলানা ভাসানীকে চিত্রিত করেছেন উপমহাদেশের রাজনৈতিক বিক্ষোভ ও বৃহত্তর গণ-আন্দোলনের অগ্নিপুরুষ হিসেবে। আবার কোনো কোনো বিশ্লেষকগণ তাকে আখ্যায়িত করেছেন একজন ক্ষণজন্মা রাজনীতিক হিসেবে। ব্রিটিশ শাসনামলে আসামে বাঙালিদের অধিকার প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে ব্রিটিশ শাসন ও উপনিবেশবাদ, সামন্তবাদ ও মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে মওলানা ভাসানী হয়ে উঠেন আন্দোলনের প্রতীক। জীবনের প্রায় অর্ধেক সময় তিনি ভারতে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক ও পাকিস্তানি ফ্যাসিবাদী সরকারের বন্দিশালায় কাটিয়েছেন। কিন্তু কখনোই গণমাণুষের এই ‘মজলুম জননেতা’ মেহনতি ও ভুখানাঙা মানুষের অধিকার আদায়ের প্রশ্নে কারো সঙ্গে আপস করেননি।

এ বাংলার স্বাধীনতা ছিল মওলানা ভাসানীর আজন্ম লালিত স্বপ্ন। তাই মওলানা ভাসানীর বুকে একটি স্থায়ী আসন গড়ে নিয়েছিলেন সংগ্রামী নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে যখনই জনতার এই দুই অবিসংবাদিত নেতা মিলিত হয়েছেন, তখনই দেখা গেছে বঙ্গবন্ধুকে তার পিতৃতুল্য এই বর্ষীয়ান নেতাকে জড়িয়ে ধরে তার বুকে অপরিসীম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় মাথা রেখেছেন— যা ছিল এক বিরল দৃশ্য।

মওলানা ভাসানী প্রায়ই এবং জীবনে শেষ প্রান্তে কখনো কখনো প্রকাশ্য সভায় নির্দ্বিধায় বলতেন, পাকিস্তান ও পরবর্তী সময়ে তার আধাডজন সেক্রেটারির মধ্যে (দলের সাধারণ সম্পাদক) শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন সবচেয়ে যোগ্য ও কর্মক্ষম, মাঠপর্যায়ে জনগণের সাথে যার সম্পর্ক ছিল। বঙ্গবন্ধু তার জীবনের শেষ প্রান্তে এসেও এ প্রবীণ নেতার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতেন এবং তার দেখাশোনার আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, একটি সুবিধাবাদী গোষ্ঠী সব সময়ই মওলানা ভাসানীকে একান্তভাবেই তাদের নিজস্ব সম্পদ হিসেবে কুক্ষিগত করে রাখার চেষ্টা করতেন। নানা সুবিধাবাদী গোষ্ঠী মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীকে অনেকভাবে ব্যবহার করতে চেয়েছে তার জীবনসায়াহ্নে এমনকি তার মৃত্যুর পরও। যার ফলশ্রুতিতে এ মহান নেতার সঠিক মূল্যায়ন হয়নি কখনো। তাকে যেমন সম্মান দেয় না তারই হাতে প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী লীগ, তেমনই দেয় না তাকে ব্যাবহার করা বিএনপিও। মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর মতো একজন জাতীয় নেতার জন্ম কিংবা মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয় না জাতীয়ভাবে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও লজ্জাজনক।

মওলানা ভাসানী বেঁচে থাকবেন অনাদিকালজুড়ে। এই দেশ ও এই জাতি যত দিন টিকে থাকবে, মওলানা ভাসানীকে কেউ অবহেলা কিংবা অবজ্ঞা করতে পারবে না। তার সংগ্রামী আদর্শের কোনো মৃত্যু নেই। ইতিহাসই তার সঠিক মূল্যায়ন করবে, তাতে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। ভাসানী স্মৃতি অমর হোক। জয় হোক বাংলার গণমানুষের।

লেখক: মহাসচিব, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ ও আহ্বায়ক, জাতীয় কৃষক-শ্রমিক মুক্তি আন্দোলন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর