ভ্যাকসিন নিয়ে বিএনপির অপপ্রচার
২৩ জানুয়ারি ২০২১ ১৮:৫৩
অবৈধ সামরিক শাসকের গর্ভে জন্ম নেওয়া বিএনপি তার চিরাচরিত অপপ্রচারের অংশ হিসেবে এবার করোনার ভ্যাকসিন নিয়েও অপপ্রচার শুরু করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যখন করোনা প্রতিরোধে সফলভাবে ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হয়েছে এবং বাংলাদেশও যখন ভ্যাকসিন প্রয়োগের একদম চূড়ান্ত পর্যায়ে তখন সেই পুরানো খেলায় মেতে উঠেছে সরকারি ও বিরোধীদল হিসেবে চূড়ান্ত ব্যর্থ বিএনপি। বাংলাদেশে ইতিমধ্যে ২০ লাখ কোভিড ভ্যাকসিন ভারত সরকারের উপহার হিসেবে এসেছে। এগুলো যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড-এস্ট্রাজেনিকার তৈরি করোনা ভ্যাকসিন ‘কোভিশিল্ড’। বিশ্বের সর্ববৃহত ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউট অক্সফোর্ড-এস্ট্রাজেনিকার সাথে চুক্তির আওতায় এগুলো তৈরি করেছে।
আসলে সর্বক্ষেত্রে ব্যার্থ ও যেকোন প্রকারে ক্ষমতায় যেতে মরিয়া বেসামাল বিএনপি নেতারা কোভিড প্রতিরোধে দেশে ভ্যাকসিন আসায় হতাশ হয়ে পড়েছে। যে কারণে কোভিড প্রতিরোধে ভ্যাকসিন আসা এবং এর সুষ্ঠু প্রয়োগকে সাধুবাদ না জানিয়ে নির্লজ্জ অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। অহেতুক সাধারণ মানুষের মধ্যে ভ্যাকসিন প্রয়োগে অবিশ্বাস, সন্দেহ তৈরি করছে। তা না হলে ভ্যাকসিন আসার প্রাক্কালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বললেন, দেশের সাধারণ মানুষ করোনা ভাইরাসের টিকা কতটা কীভাবে পাবে, সে বিষয়ে তার সংশয় আছে; কেননা টিকা আগে ‘ধনীদের দেওয়া হবে’ বলে তারা খবর পেয়েছেন! ঠিক ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই বক্তব্যের পরের দিনই অন্য এক অনুষ্ঠানে বুঝে না বুঝে সব বিষয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় পারদর্শী বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বললেন, “স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, যে ভ্যাকসিন আসছে, এটা ভিআইপিরা আগে পাবে না। ও, ভিআইপিরা আগে দেখবেন- গরীব মানুষের ওপর প্রয়োগ করে! গরীব মানুষ গিনিপিগ নাকি? আগে ভ্যাকসিন দিয়ে দেখবেন ওরা মরে না বাঁচে।” এছাড়াও বিএনপি পন্থী অনেক বুদ্ধিজীবী ভ্যাকসিন প্রয়োগ নিয়ে কল্পনা প্রসূত,মনগড়া অচিকিৎসসুলভ বক্তব্য দিয়ে জনমনে সন্দেহ ও অবিশ্বাস তৈরির অপচেষ্টা চালাচ্ছেন যা খুবই দুঃখজনক।
বিএনপি তার জন্মলগ্ন থেকেই বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ, আওয়ামী লীগ ও সব শুভ কাজের বিরুদ্ধেই অসত্য, অবৈজ্ঞানিক, ভিত্তিহীন মনগড়া সব অপপ্রচারে লিপ্ত থেকেছে। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে জিয়াউর রহমান তার অবৈধ ক্ষমতা ব্যবহার করে হেন কোন অপপ্রচার নাই যা করেননি। ভারতের দালাল, ক্ষমতায় গেলে দেশ বিক্রি করে দেবে, দেশে ধর্ম থাকবে না, ইসলাম থাকবে না ইত্যাদি ইত্যাদি নানা ধরণের যে অসত্য অপপ্রচার শুরু করেছিল তা তার স্ত্রী খালেদা জিয়া আরও এককাঠি এগিয়ে নানা রঙ লাগিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সেই অপপ্রচার জিইয়ে রেখেছিলেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে মসজিদে উলুধ্বনি হবে, দেশ ভারতের দখলে চলে যাবে, দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে, ইসলাম থাকবে না ইত্যাদি অপপ্রচারের সাথে সাথে দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি নিয়েও মনগড়া আর হাস্যকর নানা ধরণের অপপ্রচার দেশ বিদেশে শুরু করেছিল। স্বপ্নের পদ্মাসেতু নিয়ে হেন কোন অপপ্রচার নাই যে বিএনপি ও তার দলনেতা বেগম জিয়া করেননি। সব চক্রান্ত আর ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে নিজস্ব অর্থায়নে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করলেন তখন দুর্ভাগ্যজনকভাবে দেশের একাধিকবার সরকারের দায়িত্ব পালন করা খালেদা জিয়া বলে বসলেন “এই সেতু নির্মাণ শেষ করতে পারবে না আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ জোড়াতালি দিয়ে এই সেতু তৈরি করেছে। এই সেতুতে কেউ উঠবে না। আমরা ক্ষমতায় গেলে দুটো পদ্মা সেতু তৈরি করবো।” সেসব কথা বা অপপ্রচার এখন মানুষের হাসির খোরাক পরিণত হয়েছে।
কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাসের কারণে সারা পৃথিবী যখন বিপর্যস্ত, অর্থনীতির চাকা যখন মন্থর, দেশে দেশে যখন লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা যাচ্ছে তখন বাংলাদেশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে এই মহামারি দৃঢ়তার সাথে সামাল দিচ্ছে। আল্লাহর অশেষ রহমতে ও সরকারের নানাবিধ প্রচেষ্টায় দেশে এখন অনেকটা সহনীয় পর্যায়ে এই ভাইরাসের প্রকোপ বিদ্যমান। দেশের মানুষকে এই মহামারি থেকে রক্ষা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে ও তাঁর সরকার দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, অর্থনীতি সচল রাখতে নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন এবং দেশের সার্বিক অবস্থা যখন বেশ স্বাভাবিক আছে তখনই মাথা গরম হয়ে যাচ্ছে বিএনপি নামক এই অভিশপ্ত দলের ও তার শীর্ষ নেতাদের। এখন তারা তাদের পুরানো খেলা সেই অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছেন। উপর্যুপরি আন্দোলনে ব্যার্থ ও নির্বাচনে পরাজিত এবং শীর্ষ নেতৃত্ব যখন দুর্নীতিসহ নানা অপকর্মের দায়ে দণ্ডিত ও পলাতক, তখন এদের এই অপপ্রচার দেশের মানুষ ঘৃন্যভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় বৈশ্বিক এই মহামারি নিয়ে এবং এর টিকা নিয়ে বিএনপির নেতা-নেত্রীরা ও তাদের দোসররা যে ধরণের অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে তা একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের জন্য অত্যন্ত গর্হিত কাজ এবং অবশ্যই তা নিন্দনীয়।
এখন আসা যাক বিএনপি বা তাদের মিত্ররা এই ভ্যাকসিন নিয়ে কি কি অপপ্রচার করছে। “ইতোমধ্যে বাংলাদেশে যে ভ্যাকসিন এসেছে ভারত থেকে, সেটি অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন নয়। ভারতের তৈরি কোভ্যাক্সিন, যার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল এখনও সম্পন্ন হয়নি।” কিন্তু বাংলাদেশে ২০ জানুয়ারি আসা ২০ লাখ ভ্যাকসিন যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড-এস্ট্রাজেনিকার তৈরি কোভিশিল্ড যা ভারতীয় প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউট তৈরি করেছে।
ভ্যাকসিন নিয়ে কুচক্রীরা অন্য আরও যে গুজব ছড়াচ্ছে তা হল, ‘বাংলাদেশে ভারত থেকে আসা করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল করা হবে স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর। স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর প্রয়োগ করে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হবে। ভিআইপিরা এই কারণে আগে ভ্যাকসিন নিচ্ছেন না।” অপপ্রচারে যে হিতাহিত জ্ঞান থাকে না, তা আরেকবার প্রমান করলো অপপ্রচারকারীরা। সঠিক তথ্য হল বাংলাদেশ কোন ট্রায়াল ভ্যাকসিন আনেনি। বাংলাদেশে অক্সফোর্ড-এস্ট্রাজেনিকার ভ্যাকসিন দিয়েই সারা দেশে ভ্যাকসিন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এটি সব ধরনের ট্রায়াল সম্পন্ন করে কার্যকারিতা, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার হার ও ধরণ নিশ্চিত হয়ে একাধিক আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা কর্তৃক অনুমোদিত ভ্যাকসিন। তাই বাংলাদেশে স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর প্রয়োগ করে নতুনভাবে কার্যকারিতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পরীক্ষা করা হবে না। পচিশজন স্বাস্থ্যকর্মী ও প্রায়োরিটি লিস্টের অন্যান্য পেশাজীবীদের (আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী, মুক্তিযোদ্ধা, পরিচ্ছনতাকর্মী ইত্যাদি) উপর প্রয়োগ করা হবে ভ্যাকসিন কার্যক্রমের মহড়া হিসেবে, যার একটি অংশ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষন ও লিপিবদ্ধকরণ। সারা দেশে ভ্যাকসিন কার্যক্রম চলাকালীন ভাকসিন গ্রহীতাদের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর কর্তৃক প্রস্তুতকৃত পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষন ছক অনুসারে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এই ব্যাপারগুলোই মহড়ার মাধ্যমে যাচাই করে নেওয়ার উদ্দেশ্যে প্রথমে ২৫ জনের উপর প্রয়োগ করা হবে। সারা পৃথিবীতেই স্বাস্থ্যকর্মী ও বয়োবৃদ্ধদের প্রায়োরিটি তালিকার সর্বাগ্রে রাখা হয়েছে এবং সেভাবেই ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশেও সেটি ঘটছে। অক্সফোর্ডের এই ভ্যাকসিন খোদ যুক্তরাজ্যেই প্রথমে দেওয়া হয়েছে একজন ৮২ বছর বয়সের বৃদ্ধকে। এরপর স্বাস্থ্যকর্মীরা নেওয়া শুরু করেছেন এবং তারও কিছুদিন পরে যুক্তরাজ্যের রাণী এলিজাবেথ ও প্রিন্স ফিলিপ ভ্যাকসিন পেয়েছেন।
সত্যি সত্যি ভ্যাকসিন দেশে চলে আসায় বিএনপি ও তার অন্যান্য অপপ্রচারকারী মিত্ররা বেসামাল হয়ে পড়েছে। সরকার বিনে পয়সায় যখন দেশের সব মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে তখনই তারেক-ফখরুল-রিজভী-জাফরুল্লাহরা এই ভ্যাকসিন নিয়ে মানুষের মধ্যে সন্দেহ ও অবিশ্বাস তৈরি করতে মরিয়া হয়ে গেছে। আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানীতে ও শেখ হাসিনার সরকারের নানামুখী কার্যক্রমের কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় কোভিড-১৯ এর প্রকোপ ও মৃত্যু হার তুলনামূলক অনেক কম। অর্থনৈতিকভাবে স্থবির বিশ্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি যখন বেশ সচল ও রিজার্ভ যখন ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে, তখন বিএনপি ও তাদের অপপ্রচারকারী মিত্রদের আর অপপ্রচার ছাড়া কোন পথ থাকে না। কিন্তু দেশের মানুষকে নিয়ে এই সর্বনাশা অপপ্রচার বিএনপি কেন করছে? সোশ্যাল মিডিয়াসহ নানা মাধ্যমে তারা যে অপপ্রচার চালাচ্ছে তা কার বিরুদ্ধে? আওয়ামী লীগ সরকারের বিরোধিতা করতে গিয়ে তারা দেশের বিরোধিতা করছে, দেশের মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। যা খুবই দুঃখজনক ও লজ্জাকর। করোনার পুরো প্রায় একবছরে বিএনপি ও তার নেতাকর্মীরা কি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে? এর কোন আলামত বা প্রমাণ দেশের মানুষ দেখেনি। এই মহামারি থেকে নিজেদের নিরাপদ রাখতে সচেষ্ট বিএনপি নেতারা এখন দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে ঘৃণ্য অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে।
করোনা মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত সরকারের পাশাপাশি শেখ হাসিনার নির্দেশে আওয়ামী লীগ ও এর ভাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো মানুষের কল্যাণে ছুটে বেড়িয়েছে। কর্মহীন গরীব অসহায় মানুষদের ঘরে ঘরে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া, প্রয়োজনীয় ওষুধ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্ৰী দেওয়া, এম্বুলেন্স সেবা প্রদান, কৃষকের জমির ফসল কেটে ঘরে তুলে দেওয়া, মৃতদেহের দাফন-কাফন করানোসহ করোনার সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের কল্যাণে দিনরাত কাজ করেছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষকলীগসহ ভাতৃপ্রতিম অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ কাজ করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী, এমপি থেকে বড় নেতা ও তৃণমূলের অনেক নেতাকর্মী মারা গেছেন। অনেক নেতাকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং সুস্থও হয়েছেন। আওয়ামী লীগের প্রায় সব শীর্ষ নেতারা, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল মানুষের সেবায় নিয়োজিত থেকে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। একইভাবে ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষকলীগ ও শ্রমিক লীগের শীর্ষ নেতৃত্ব করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অনেকেই ইহলোক ত্যাগ করেছেন। নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে এসবই তারা দেশের মানুষের জন্য করেছেন। জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত দলের নেতাকর্মীরা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের সেবা করে চলেছেন।
যেকোন প্রকারে সরকারের পতন ও ক্ষমতায় গিয়ে খুনখারাবী ও লুটপাটে অভ্যস্ত বিএনপি কোভিডকালীন সময়ে মনে করেছিল এই মহামারি হয়তো সরকার সামাল দিতে পারবে না। অর্থনৈতিকভাবে দেশ বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে, বিনা চিকিৎসায় মানুষ মারা যাবে, সর্বোপরি সরকার জনপ্রিয়তা হারাবে। আর অমনি ক্ষমতার চেয়ারে গিয়ে বসবে আদালত কর্তৃক অবৈধ ক্ষমতা দখলদার হিসেবে পরিচিত জেনারেল জিয়ার প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক প্লাটফর্ম বিএনপি। কিন্তু তাদের সেই আশা দুরাশায় পরিনত করে বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও সময়োপযোগী নেতৃত্বে ও সঠিক কর্মতৎপরতার মাধ্যমে সাহসের সাথে এই বৈশ্বিক মহামারি মোকাবেলা করে দেশ এগিয়ে যাবে তা ছিল অতীতে সরকার পরিচালনায় পুরোপুরি ব্যার্থ বিএনপি ও তার নেতাদের কাছে অবিশ্বাস্য। আর এখানেই এদের গায়ের জ্বালা, আর যার জন্য এসব অমানবিক অপপ্রচার। তারা ভুলেই গেছে এ দেশটিও তাদের, তারা এদেশেরই সন্তান। এই করোনা ভ্যাকসিন সফলভাবে প্রয়োগ হলে এবং এর কার্যকারিতা সঠিকভাবে হলে এ থেকে তারাও উপকার পাবে, দেশের মানুষ উপকার পাবে। কিন্তু প্রতিহিংসাপরায়ণ ও প্রতিক্ষেত্রে ব্যার্থ বিএনপি বর্তমান সরকারের এসব সঠিক ও সময়োপযোগী পদক্ষেপকে সাধুবাদ না জানিয়ে নির্লজ্জ, রুচিহীন, বায়বীয় সব অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে যা দেশের মানুষের জন্য অনাকাংক্ষিত ও দুঃখজনক।
কিন্তু বর্তমান বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা দেশি বিদেশি সব ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তকে উপেক্ষা করে দেশের মানুষের দোয়ায়, ভালোবাসায় ও অব্যাহত সহযোগিতায় সাহসের সাথে বৈশ্বিক এই করোনা মহামারি সফলতার সাথে মোকাবেলা করে বিশ্বের দরবারে বুকটান করে মাথা উঁচু করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানে যেভাবে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তা অব্যাহত থাকবে। চলমান উন্নয়ন প্রকল্প, স্বপ্নের পদ্মাসেতুর সার্থক বাস্তবায়ন, রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প, মেট্রোরেল প্রকল্প, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ, দেশকে চারলেন, ছয়লেনের সড়ক নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসা, বিদ্যুৎ ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, মাতারবাড়ি ও পায়রা বন্দর নির্মাণ, কর্ণফুলী নদীতে টানেল নির্মাণসহ সামাজিক সুরক্ষায় বিভিন্ন প্রকল্পের সফল বাস্তবায়ন করে বিশ্বের বুকে দেশকে ও শেখ হাসিনাকে আজ অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। ত্রিশ লাখ শহীদ ও দু’লাখ মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে অর্জিত স্বাধীন এই বাংলাদেশ তাঁর জন্মের সুবর্ণ জয়ন্তী ও জনকের জন্ম শতবার্ষিকী পালন করবে মহামারি কোভিডকে পরাজিত করে বীরদর্পে। সেই সাথে পরাজিত হবে সব দেশবিরোধী অপশক্তি এবং অবশ্যই বিএনপি।
লেখক: কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ