শিবিরের নৃশংসতার ইতিহাস; রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (পর্ব-২)
৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৯:০২
১৯৮৮ সালের জুলাই মাসের শুরুর দিকে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে শিবির ক্যাডাররা হামলা চালায় জাসদ ছাত্রলীগ নেতা কর্মীদের উপরে। সেদিনের অতর্কিত হামলায় গুরুতর আহত হন আমির আলী হল ছাত্র সংসদের জিএস ও জাসদ ছাত্রলীগ নেতা প্রিন্স-সহ ২০-২৫ জন। একই মাসের ১৭ জুলাই ভোরে সবাই যখন গভীর ঘুমে ঠিক সেই সময়ে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে শিবির ক্যাডাররা জাসদ ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রিত শাহ্ মখদুম হলে (এস এম হল) আক্রমণ চালিয়ে জাসদ ছাত্রলীগের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি ও সিনেট সদস্য আইয়ূব আলী খান, বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ও সিনেট সদস্য আহসানুল কবির বাদল এবং হল সংসদের ভিপি নওশাদের হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়।
১৯৮৮ সালের আগস্টে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মো. ইউনুসের বাসভবনে ছাত্র শিবির বোমা হামলা করে। এতে অধ্যাপক ইউনুস বেঁচে গেলেও তার বাড়ির কর্মচারী আহত হয়।
১৯৮৯ সালে রমজান মাসে ছাত্র ইউনিয়নের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি গাজী গোলাম মোস্তফাকে বিশ্ববিদ্যালয় পার্শ্ববর্তী চকপাড়ায় ইফতারের দাওয়াত দিয়ে নিয়ে গিয়ে হাতের রগ কেটে দেয় শিবির ক্যাডাররা।
১৯৯০ সালের ২২ জুন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সঙ্গে শিবিরের সংঘর্ষে নিহত হন শিবির নেতা খলিলুর রহমান। এভাবেই একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করলেও নব্বই এর গণঅভ্যুত্থানের পূর্ব পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় দখলের সকল চেষ্টা ব্যর্থ হয় শিবিরের। ১৯৯১ সালে জামায়াতের সমর্থনে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন হয় বিএনপি। একের পর এক দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করে সরকারি ছাত্র সংগঠন ও ছাত্র শিবির। এখানে একটি ব্যাপার লক্ষণীয়, তা হচ্ছে শিবির শুধু হল বা ক্যাম্পাস দখল করেই ক্ষান্ত থাকেনি, তাদের লক্ষ্য ছিল সুদূর প্রসারী, তাই নিজেদের টার্গেট করা প্রতিষ্ঠানে প্রশাসনিক পদগুলোতেও নিজেদের সমর্থকদের অবস্থান নিশ্চিত করে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভিসি থেকে একজন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী পর্যন্ত সকল স্তরে নিজেদের দলীয় সমর্থকদের বসিয়ে রাবি দখলের চূড়ান্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করে শিবির।
১৯৯২ সালের ১৭ মার্চ পবিত্র রমজান মাসে চট্টগ্রামের কুখ্যাত সিরাজুস সালেহীন বাহিনীসহ কয়েক হাজার সশস্ত্র বহিরাগত শিবির সন্ত্রাসী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বেলা ১১ টার সময় অতর্কিত হামলা চালালে জাসদ ছাত্রলীগ নেতা ইয়াসীর আরাফাত পিটু নিহত হয় এবং জাসদ ছাত্রলীগের আইভি, নির্মল, লেমন, রুশো, জাফু, ফারুক এবং সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের রাজেশসহ প্রায় দেড়শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী আহত হয়। এদের অধিকাংশেরই হাত-পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয় এবং রাজেশের কবজি কেটে ফেলা হয়। এই হামলার সময় শিবির ক্যাডাররা এস এম হল, আমির আলী হল এবং লতিফ হল আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। ব্যাপক আকারে গান পাউডারের ব্যবহার করায় হলের জানালার কাঁচ গলে গিয়েছিলে। হলের অসংখ্য কক্ষ ভস্মীভূত হয়ে যায় এবং হলের অনেক প্রয়োজনীয় আসবাবপত্রের সঙ্গে মূল্যবান কাগজপত্র নষ্ট হয়ে যায়। লতিফ হলের অনেকগুলো কক্ষ এখনো অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। এই হামলার তীব্রতা এতই ছিল যে, বেলা ১১টায় শুরু হওয়া হামলা রাত ৩টায় বিডিআর নামানোর আগ পর্যন্ত বন্ধ হয়নি। রাসায়নিক দ্রব্যের দ্বারা হলের যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে, যা আগামী দিনের ইতিহাসে কলঙ্কিত হিসেবেই লিপিবদ্ধ থাকবে।
১৯৯২ সালের ৭ মে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পার্শ্ববর্তী নতুন বুদপাড়ায় শিবির ক্যাডার মোজাম্মেলের বাড়িতে বোমা বানানোর সময় শিবির ক্যাডার আজিবরসহ অজ্ঞাতনামা অন্তত আরেও তিন জন নিহত হয়। বিষ্ফোরণে পুরো ঘর মাটির সঙ্গে মিশে যায় এবং টিনের চাল কয়েকশ গজ দুরে গাছের ডালে ঝুলতে দেখা যায়। পরবর্তীতে পুলিশ মহল্লার একটি ডোবা থেকে অনেকগুলো খণ্ডিত হাত-পা উদ্ধার করে। যদিও শিবির আজিবর ছাড়া আর কারো মৃত্যুর কথা স্বীকার করেনি। পুলিশ বাঁদি হয়ে মতিহার থানায় শিবির ক্যাডার মোজাম্মেলকে প্রধান আসামী করে বিষ্ফোরক ও হত্যা মামলা দায়ের করে। প্রায় ৫ বছর পলাতক থাকার পর মামলা ম্যানেজ করে মোজাম্মেল এলাকায় ফিরে আসে এবং জামাতের রাজনীতিতে পুনরায় সক্রিয় হয়।
১৯৯৩ সালের ১৭ জানুয়ারি রাত এগারোটার দিকে সোহরাওয়ার্দী হল এবং শিবির নিয়ন্ত্রিত জোহা হল এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় মুহাম্মদ ইয়াহিয়া নামে একজনের মৃত্যু হয়।
১৯৯৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালালে ছাত্রদল ও সাবেক ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ মিলে গঠিত সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের ওপর শিবিরের হামলায় ছাত্রদল নেতা বিশ্বজিৎ ও নতুন এবং ছাত্র ইউনিয়নের তপন সহ ৫ জন ছাত্র নিহত হয়।
১৯৯৩ সালে ১৯ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়া যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন শিবির ক্যাডাররা হামলা চালিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বিএনপি নেত্রী মিসেস জেলেনা চৌধুরীর (সেই সময় ছিলেন সংরক্ষিত আসনের মহিলা সাংসদ) পুত্র জুবায়ের চৌধুরী রিমুর হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়। এতেই সন্তুষ্ট হয়নি ঘাতকেরা। মেঝেতে পড়ে থাকা রিমুকে কুপিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
১৯৯৪ সালে ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত ছাত্র মৈত্রী নেতা প্রদ্যুৎ রুদ্র চৈতী পরীক্ষা দিতে ক্যাম্পাসে আসার পথে তৃতীয় বিজ্ঞান ভবনের সামনের রাস্তায় তার হাতের কবজি কেটে নেয় শিবির কর্মীরা।
১৯৯৫ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি শিবির কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয় পার্শ্ববর্তী চৌদ্দপাই নামক স্থানে রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী সকাল-সন্ধ্যা বাসে হামলা চালিয়ে বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী নেতা দেবাশীষ ভট্টাচার্য রূপমকে বাসের মধ্যে যাত্রীদের সামনে কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যার আগে বর্বর শিবির ক্যাডাররা তার হাত ও পায়ের রগ কেটে নেয়।
১৯৯৫ সালের জুলাই মাসে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ওপর সশস্ত্র শিবির কর্মীরা হামলা করে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফরহাদের হাতের কবজি কেটে নেয়। এ হামলায় প্রায় ২৫ জন ছাত্রদল নেতা-কর্মীর হাত পায়ের রগ কেটে নেয় শিবির ক্যাডাররা।
১৯৯৬ সালে জাসাস রাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আমান উল্লাহ আমানকে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে হত্যা করে এবং ছাত্রদল নেতা ডুপ্লের হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়। এদের বাঁচাতে এসে দুইজন সহপাঠী ছাত্রী এবং একজন শিক্ষকও আহত হয়।
১৯৯৭ সালে বঙ্গবন্ধু পরিষদের রাবি শাখার সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল খালেক, জিয়া পরিষদ নেতা হাবিবুর রহমান আকন্দসহ প্রায় বিশ জন শিক্ষকের বাসায় বোমা হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে ছাত্র শিবির।
১৯৯৭ সালের গভীর রাতে রাবি ক্যাম্পাসে বহিরাগত শিবির সন্ত্রাসীদের হামলায় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা আহত হয়। রাবি জিমনেশিয়াম পুলিশ ক্যাম্পেও বোমা হামলা করে শিবির।
১৯৯৮ সালে শিক্ষক সমিতির মিটিং থেকে ফেরার পথে রাবি শহীদ মিনারের সামনে অধ্যাপক মো. ইউনুসের ওপর সশস্ত্র হামলা চালায় ছাত্র শিবির। ছাত্র-কর্মচারীদের প্রতিরোধে অধ্যাপক ইউনুস প্রাণে বেঁচে গেলেও মারাত্মক আহত হন তিনি।
১৯৯৯ সালে রাবিতে অবস্থিত ’৭১ এর গণকবরে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের জন্য স্থাপিত ভিত্তি প্রস্তর রাতের আঁধারে ছাত্র শিবির ভাঙতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মচারী বাধা দেন। ফলে শিবির ক্যাডাররা তাকে কুপিয়ে আহত করে এবং ভিত্তিপ্রস্তর ভেঙে ফেলে।
১৯৯৯ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিবির সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর পাকিস্তানে তৈরি রিভলবার, গুলি ও গান পাউডারসহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়।
২০০১ সালে রাবি ছাত্রী হলে বহিরাগত অনুপ্রবেশকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত ছাত্রী বিক্ষোভে সশস্ত্র ছাত্র শিবির কর্মীরা কমান্ডো হামলা চালায় এবং ছাত্রীদেরকে লাঞ্ছিত ও রক্তাক্ত করে।
২০০১ সালের অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ রাবি অধ্যাপক সনৎ কুমার সাহাকে ছাত্র শিবির কর্মীরা হাত-পা বেধে জবাই করার চেষ্টা করে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা টের পেয়ে যাওয়ায় তাদের হস্তক্ষেপে তিনি প্রাণে বেঁচে যান।
২০০২ সালে রাবি সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নেতা সুশান্ত সিনহাকে প্রকাশ্য দিবালোকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেয় শিবির কর্মীরা।
২০০৪ সালের ২৫ জুলাই শিবির ক্যাডার রবি এবং রোকনের নেতৃত্বে প্রায় ১৫/২০ জনের একটি দল রাবি ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক সুশান্ত সিনহার ওপর হামলা চালায়। ইট দিয়ে জখম করার পাশাপাশি তার মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা চালায় শিবির ক্যাডাররা।
২০০৪ সালে রাবি ছাত্রী হলে বহিরাগত অনুপ্রবেশকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত ছাত্রী বিক্ষোভে সশস্ত্র ছাত্র শিবির কর্মীরা হামলা চালায়।
২০০৪ সালের ৩০ অক্টোবর জামাতের বর্তমান রাজশাহী মহানগরের আমির আতাউর রহমান এবং প্রক্টর নূরুল আফসারের উপস্থিতিতে ছাত্রীদের মিছিলে হামলা চালিয়ে শিবির ক্যাডাররা প্রায় অর্ধ শতাধিক ছাত্রীকে রক্তাক্ত করে।
২০০৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর ফজরের নামাজের ওয়াক্তে প্রাতঃভ্রমণ শেষে বাড়ি ফেরার সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর এলাকায় নিজ বাসভবনের খুব কাছে ধারালো অস্ত্র হাতে অধ্যাপক ইউনুসের ওপর হামলা চালায় মানবতার শত্রু ও স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবিরের কিলিং স্কোয়াড । পরে তারা কুপিয়ে প্রগতিশীল এই শিক্ষককে হত্যা করে। যদিও এই হত্যা মামলায় জেএমবির দুই জন সদস্যকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। তারপরও এলাকাবাসী অনেকেরই মতামত হচ্ছে ছাত্র শিবিরের ক্যাডাররাই তাকে হত্যা করেছে। উল্লেখ্য ১৯৮৮ ও ১৯৯৮ সালে দুই দফায় ছাত্র শিবির তাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল।
২০০৫ সালের ১০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় জুবেরী ভবনের সামনে রাবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি এস এম চন্দনের ওপর হামরা চালিয়ে তার রগ কেটে নেওয়ার চেষ্টা চালায় শিবির ক্যাডাররা।
২০০৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জামাতপন্থী শিক্ষক মহিউদ্দিন এবং রাবি ছাত্র শিবির সভাপতি মাহবুব আলম সালেহীন-সহ আরেও দুইজন শিবির ক্যাডার মিলে একযোগে অতর্কিত হামলা চালিয়ে রাবি’র ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আবু তাহেরকে হত্যা করে।
২০০৬ সালের ২১ আগস্ট রাবিতে অনুষ্ঠিত ‘সেকুলারিজম ও শিক্ষা’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য দেওয়ার অপরাধে অধ্যাপক হাসান আজিজুল হককে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে শিবির। প্রকাশ্য সমাবেশে তারা অধ্যাপক হাসান আজিজুল হকের গলা কেটে বঙ্গোপসাগরে ভাসিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দেয়।
২০০৭ সালের ৮ আগস্ট রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ সাংবাদিকের ওপর হামলায় জড়িত থাকার অপরাধে রাবি প্রশাসনের কর্মকর্তা শিবির ক্যাডার মোকাররম আব্দুলস্নাহ মনি র্যাব কর্তৃক আটক হয়।
২০০৭ সালের ১০ সেপ্টেম্বর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস হত্যা মামলার চার্জশিট উপস্থাপনের সময় সিআইডি জানায় যে, জেএমবি নেতা আব্দুর রহমান এই হত্যাকাণ্ডে ৫ শিবির ক্যাডারের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
চলবে
শিবিরের নৃশংসতার ইতিহাস; রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (পর্ব-১)
লেখক: প্রচার সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ