Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিশ্বের নারী সমাজের গর্ব শেখ হাসিনা

মো.আসাদ উল্লাহ তুষার
৮ মার্চ ২০২১ ১১:১০

শেখ হাসিনাকে একজন নারী হিসেবে গণ্য করে আলাদাভাবে তাঁর কর্মের মূল্যায়ন করা হয়তো সঠিক হবে না। কারণ তিনি শুধু নারী হিসেবে না, একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে, দূরদর্শী নেতা হিসেবে সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে এক অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে নিজেকে পরিণত করেছেন। তাঁর নেতৃত্বের গুণাবলীর কারণে তিনি আজ অনন্য, অদ্বিতীয়। আর সে কারণেই শুধুমাত্র নারী হিসেবে আলাদা করে বলতে গেলে বলতে হবে তিনি অবশ্যই সারা পৃথিবীর নারী সমাজের গর্ব।

বিজ্ঞাপন

সম্প্রতি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৪৮ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় সংগঠনটির চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে যথার্থই বলেছেন “এখানে আমাদের অনেকেরই কন্যা সন্তান রয়েছে। আমি মনে করি, পৃথিবীর যেকোন পিতাই গর্ববোধ করবে যদি তার সন্তান, কন্যা সন্তান যদি অর্ধেক পরিমাণও আপনার মতো হতে পারে। আপনি শুধু পিতার প্রতি ভালোবাসা বা মমত্ববোধের বিরল নিদর্শনই রেখে যাননি, আপনি শুধু পিতার স্বপ্নই বাস্তবায়ন করেন নাই; আপনি পিতার স্বপ্ন ‘own’ করেছেন, নিজের স্বপ্ন বিসর্জনের মধ্য দিয়ে। এটা অনেক মহান আত্মত্যাগ। যেটা আমার জানা মতে, খুব কম সন্তান করতে পারে। প্রতিটি নারী ও কন্যা সন্তানের জন্য আপনি অনুকরণীয়। আপনার কাছে এ দেশবাসীর তথা আমাদের অনেক কিছু এখনও শেখার আছে। আল্লাহতাআলা আপনাকে দীর্ঘজীবী করুক। আপনার নেতৃত্বে এই দেশ আরও এগিয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ।”

বিজ্ঞাপন

”নিজের স্বপ্ন বিসর্জন দিয়ে পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন, পিতার প্রতি ভালোবাসা বা মমত্ববোধের বিরল নিদর্শনই রেখে যাননি, পিতার স্বপ্ন own করেছেন”। যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ পরশের এই কথাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পৃথিবীর প্রায় সব সন্তানের কাছেই তাঁর পিতা শ্রেষ্ঠ পিতা। পিতার জন্য কিছু করতে পারা বা পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারা বিরাট এক সৌভাগ্যের বিষয়। কিন্তু শেখ হাসিনার ব্যাপারটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। কারণ শেখ হাসিনা কোন সাধারণ পিতার সন্তান নন, তাঁর পিতা ছিলেন ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ, সংগ্রামমুখর, কন্টকভরা পরিবেশ পাড়ি দেওয়া এক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। যিনি নিজের জীবন যৌবনের সাড়ে চৌদ্দ বছর অন্ধকার কারা প্রকোষ্ঠে কাটিয়েছেন দেশের জন্য, স্বাধীনতার জন্য।সেই সময়গুলো পিতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন শেখ হাসিনা। তিনি এমন এক পিতার কন্যা যখন তাঁর জন্ম হয়েছে তখন তাঁর পিতা জেলে, যখন তাঁর বিয়ে হয়েছে তখন তাঁর পিতা জেলে, যখন তাঁর প্রথম সন্তানের জন্ম হয়েছে তখনও তাঁর পিতা পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী অবস্থায় মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। শেখ হাসিনা এমন এক পিতার সন্তান যখন সেই পিতা আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্মম নিসংশ ভাবে হত্যা করা হয় তখনও কন্যা হিসেবে, সন্তান হিসেবে শহীদ বাবার মুখটাও শেষবারের মতো দেখতে পারেননি। পৃথিবীতে এমন ঘটনার উদাহরণ আর একটিও আছে কিনা জানা নাই। পিতৃহত্যার পর ছয় বছর দেশে আসতে দেয়নি তৎকালীন সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান। পিতার কবরের পাশে বসে দোয়া দরুদ পড়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে তৎকালীন অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলদার পঁচাত্তরের খুনী চক্রের প্রধান মাস্টারমাইন্ড জিয়া। এ যে কতবড় একটা কষ্টের ব্যাপার তা ভুক্তোগীরাই ভালো জানেন। তারপর যেখানে যে ঐতিহাসিক বাসভবনে স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয় সেই ধানমন্ডির ৩২ নং এর বাসভবনে ঢুকতে দেয়নি বঙ্গবন্ধুর দু’কন্যাকে। পঁচাত্তরের পনেরোই আগস্টের শহীদদের স্মরণে বাড়িতে ঢুকতে না পেরে রাস্তায় বসে দোয়া পড়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে হয়েছে শেখ হাসিনাকে।

১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে পিতার খুনিদের বিচার ও জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার ফিরিয়ে আনতে তথা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবয়নের সংগ্রামে সব সুখ স্বাচ্ছন্দ্য পায়ে ঠেলে সেই যে মাঠে নামলেন এবং নিজে পনের বছর সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়ে একুশ বছর পর আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় নিয়ে আসলেন। এই সময়ের মধ্যে নিজের ছোট দুই বাচ্চাকে মায়ের আদর স্নেহ থেকে বঞ্চিত করলেন, স্বামীকেও করলেন স্ত্রীর ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত। পিতা, মাতা ভাই, ভাবী, আত্মীয়-স্বজন সব হারিয়ে নিজ সন্তান, স্বামীর আদর সোহাগ ভালোবাসা থেকে নিজেও বঞ্চিত হয়ে পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের কঠিন পথে আবারো নিজেকে নিয়োজিত করলেন। এবার সঙ্গি তাঁর দেশের মানুষ। যে বয়সে এবং যে গুমোট পরিবেশে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের হাল ধরেছিলেন তা ছিল এক কথায় নিজ ইচ্ছায় মৃত্যুকে আলিঙ্গন করা। একদিকে সামরিক স্বৈরাচারী শাসকের রক্তচক্ষু, অন্যদিকে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আস্ফালন। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ফ্রিডম পার্টি নামে রাজনৈতিক দল গঠন করে খুনীরা মাঠ দাবড়ে বেড়ায়! বঙ্গবন্ধুসহ শহীদদের আত্না যেন কেঁপে ওঠে। সেই সময়গুলোতে অসীম সাহস ও ধৈর্যের পরিচয় দেন শেখ হাসিনা। দীর্ঘ সংগ্রাম ও ত্যাগ তিতিক্ষার পর জিয়া-এরশাদ-খালেদার দু:শাসনমুক্ত হয়ে একটা নজিরবিহীন অবাধ সুষ্ঠু সর্বজন গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে একুশ বছর পর দেশ সেবার সুযোগ পায় আওয়ামী লীগ, যার সফল নেতৃত্ব দেন রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা।

এবার সুযোগ হয় পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের। প্রথমেই কলঙ্কজনক ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করার উদ্যোগ গ্ৰহণ করেন। সংসদে সর্বসম্মত ভাবে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচারের পথ রোধকারী এই কালো আইনটি বাতিল করে বিচারের পথ উম্মুক্ত করা হয়। স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় বিচার কাজ শুরু হয়। যদিও দেশবাসীর আশা ছিল খুনিদের বিচার বিশেষ ট্রাইব্যুনালে করার। যে কাজটি হয়তো দেশের অন্য নেতাদের করার কথা ছিল বা কোন শাসকদের, কিন্তু সেই কাজটি করতে হলো কন্যা শেখ হাসিনাকেই। শুধু নিজের পিতা কিংবা জাতির পিতা বা মা এবং পরিবারের অন্য সদস্যসহ জাতীয় চার নেতার খুনিদের বিচার প্রক্রিয়ায় নিয়ে আসা কন্যা হিসেবে অনেক বিয়োগ ব্যাথার পরেও অনেক বড় অর্জন। যেকোন মেয়ের জন্যই তাঁর পিতার খুনিদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানোটা যেমন চ্যালেঞ্জের একই সাথে তা দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অনেক আবেগের। কোন প্রতিহিংসা থেকে নয়, সাধারণ কোর্টে বিচার হয়েছে। যদিও সেই সময়ে রায় বাস্তবায়ন করা যায়নি। পরে বিএনপি সরকার ইচ্ছেকৃতভাবে সেই রায় বাস্তবায়ন করেনি। পরবর্তীতে দ্বিতীয়বারের মত দেশের দায়িত্বভার কাঁধে নিয়ে খুনিদের রায় বাস্তবায়ন করা হয়। ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলানো হয় ইতিহাসের রাখাল রাজা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের খুনিদের। যদিও কয়েকজন এখনো পলাতক আছে, কলঙ্কমুক্ত হয় জাতি, যার নেতৃত্ব দেন তাঁরই কন্যা শেখ হাসিনা। একইভাবে একাত্তরের ঘাতকদেরও বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হয়। যা এখনো চলমান।

শুধু বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারই না, তাঁর স্বপ্নের সফল বাস্তনায়ন করে যাচ্ছেন তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা। দেশ এখন উন্নয়নশীল দেশে পরিনত হয়েছে। অর্থনৈতিক ভাবে দেশ আজ সমৃদ্ধ। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে অনেক আগে। সড়ক যোগাযোগে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। বড় বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের ফলে দেশ প্রায় শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় চলে এসেছে। দেশের বড় দুটো সেতু শেখ হাসিনার হাতেই নির্মিত। পদ্মা সেতু তো নিজেদের অর্থায়নে নির্মিত হচ্ছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী টানেল, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, মেট্রোরেল, রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এখন স্বপ্ন নয়, বাস্তব। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় নারী, বয়স্ক, গরিব, প্রতিবন্ধী অসহায় দরিদ্র মানুষের জন্য বিভিন্ন ভাতা চালু ও দশ লক্ষাধিক রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে মানবিক নেত্রী হিসেবে বিশ্বে শেখ হাসিনার নাম সর্বাগ্রে। বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ মোকাবেলায় সময়মতো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ ও সর্বাগ্রে দেশের মানুষের জন্য কার্যকরী টিকার ব্যবস্থা করে দেয়ায় বিশ্ববাসীর ন্যায় দেশের মানুষও একবাক্যে শেখ হাসিনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। আর এসবের যারা প্রশংসা করতে পারছে না তারা হীনমন্য, হতভাগা।

শেখ হাসিনা বর্তমান বিশ্বে নারী হিসেবে ব্রিটেনের রানী এলিজাবেথের পরে সবচেয়ে অভিজ্ঞ রাজনীতিক এবং একই সাথে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন সরকার প্রধান। একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের প্রধান নেতা হিসেবে চার দশকের পথচলার পাশাপাশি দেশ পরিচালনায় দেড় দশক অতিক্রম করে দুই দশকের পথে সফল যাত্রায় বিশেষ করে নারী অধিকার রক্ষায় ও নারী উন্নয়নে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে তাঁর সফল ও গতিশীল নেতৃত্বে। এটা অবশ্যই বিশ্বের নারী সমাজের জন্য অনন্য সাধারণ ঘটনা। সারা পৃথিবীতে নারী অধিকার রক্ষায় ও সব ক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়নে শেখ হাসিনা নিঃসন্দেহে সব নারীর অনুপ্রেরণা। মা হিসেবেও গর্ব করার মত একজন মা, যাঁর দুই সন্তানকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করে সুসন্তান রূপে গড়ে তুলেছেন, যাদের কিনা ক্ষমতা ও বিত্তবৈভব স্পর্শ করতে পারেনি। তাঁরা নিজেরা স্বমহিমায় উদ্ভাসিত।

শেখ হাসিনার ক্ষমতার সময়েই নারীর সার্বিক উন্নয়নের জন্য মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক নারী বিদ্বেষী অপশক্তির রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে প্রণয়ন করা হয়েছে “জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিমালা-২০১১”। নারী শিক্ষাকে উৎসাহিত করতে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত চালু করা হয়েছে উপবৃত্তি কার্যক্রম। সমাজের প্রতিটি স্তরে নারীর অংশগ্রহণকে নিশ্চিত করতে গৃহীত হয়েছে নানামুখী পদক্ষেপ। প্রযুক্তি জগতে নারীদের প্রবেশকে সহজ করতে ইউনিয়ন ডিজিটাল কেন্দ্রের মতো ইউনিয়নভিত্তিক তথ্যসেবায় উদ্যোক্তা হিসেবে একজন পুরুষের পাশাপাশি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে একজন নারী উদ্যোক্তাকেও। নারী বঞ্চনার তিক্ত অতীত পেরিয়ে বাংলাদেশ নারীর ক্ষমতায়নে অনেকদূর এগিয়েছে। পোশাকশিল্পে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ দেশ। আর এই শিল্পের সিংহভাগ কর্মী হচ্ছে নারী। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের নারী ও শিশুর উন্নয়নে ভূমিকা রাখার জন্য শেখ হাসিনাকে ভূষিত করা হয়েছে জাতিসংঘের সাউথ–সাউথ এওয়ার্ডে। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন গবেষণা সংস্থা ‘দ্য স্ট্যাটিসটিক্স’ তাদের প্রতিবেদনে বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনাকে মনোনীত করেছেন। নারী শিক্ষা ও নারী উদ্যোক্তাদের অগ্রগতি অর্জনের স্বীকৃতি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারী সংস্থা ‘গ্লোবাল সামিট অব উইমেন’ এর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘গ্লোবাল উইমেনস লিডারশিপ’ এ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে। জাতিসংঘে অনুষ্ঠিত সাধারণ পরিষদের সভায় নারীর ক্ষমতায়নের জন্য ‘প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ এবং ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ এ্যাওয়ার্ড’ পদকে ভূষিত হয়েছেন। আর এসব অর্জন সহজ হয়েছে তাঁর গতিশীল নেতৃত্বের কারণেই।

তাই শেখ হাসিনা আজ শুধু বাংলাদেশ বা এই উপমহাদেশই নয় তিনি আজ সমগ্র বিশ্বের নারী সমাজের গর্ব। তিনি কন্যা হিসেবে, বোন হিসেবে, স্ত্রী হিসেবে, মা হিসেবে সর্বোপরি রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে সফল এবং অবশ্যই গর্ব করার মত সফল। তাঁর সফলতা দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে আজ বিশ্বময় আলো ছড়াচ্ছে। করোনা মোকাবিলায় বিশ্বের সফল তিন নেতার একজন হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কমনওয়েলভুক্ত ৫৪ দেশের সরকার প্রধানদের মধ্যে শীর্ষ তিন নেতৃত্বের মধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম রয়েছে। গত ৪ মার্চ কমনওয়েলথ মহাসচিব পেট্রেসিয়া স্কটল্যান্ড কিউসি আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২১ উপলক্ষে দেওয়া এক বিশেষ ঘোষণায় ‘অসাধারণ নারী নেতৃত্ব ও গভীর অনুপ্রেরণা’ হিসেবে অভিহিত করে কোভিড মহামারি মোকাবিলায় নিজ নিজ দেশে তাদের সফল নেতৃত্বের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। কমনওয়েলথ মহাসচিব বলেন, ‘কমনওয়েলভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে আমি তিনজন অসাধারণ নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করতে চাই। তারা হলেন, নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিকা আরডেন, বার্বাডোসের প্রধানমন্ত্রী মিয়া আমোর মোটলে ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কোভিড মহামারি মোকাবিলায় তারা নিজ নিজ দেশে অসাধারণ নেতৃত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। তাই শুধু তিনি দেশের মানুষের নন, সারা বিশ্বের গর্ব।

লেখক: সদস্য, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ।

সারাবাংলা/আরএফ

আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০১৯ নারী দিবস শেখ হাসিনা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর