বাঙালির মনোবলে মুজিব জীবিত
১৫ আগস্ট ২০২১ ১২:১০
শোকের মাস আগস্ট। আগস্ট মাস এলেই বাংলার আকাশ আঁধারে ঢেকে যায়। ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসে কলঙ্কময় একটি দিন। ঘাতকরা এই দিন সুবহে সাদিকের সময় ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাসায় বঙ্গবন্ধুসহ বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, তিন পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল ও ১০ বছরের শিশুপুত্র শেখ রাসেল, দুই পুত্রবধূ ও এক সহোদর আত্মীয়-পরিজনসহ হত্যাকাণ্ডের শিকার হন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার পরিবারের সদস্যদের নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করে ঘাতকের দল। এমনকি শিশু রাসেলকেও ছাড় দেয়নি।
পঁচাত্তরের এই দিনে পিতা হারানোর শোকে ম্লান হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর রক্ত আর বাঙ্গালির অশ্রুতে সেদিনও প্রবল বৃষ্টি হচ্ছিল, সেই বৃষ্টি ছিল যেনো বাংলার মানুষের আর্তনাদ। পর্দার আড়ালে ছিল সামরিক এবং বেসামরিক ষড়যন্ত্রকারীরা। মূলত এই হত্যালীলায় তারাই ছিল সুবিধাভোগী।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা অরক্ষিত না থাকতে বিভিন্নভাবে সতর্ক করত। নিজের ব্যাপারে সাবধান হওয়ার কথা বলতো। কিন্তু বঙ্গবন্ধু বরাবরই তার নিজ নিরাপত্তায় নারাজ ছিলেন, বরং তিনি অবিচল আস্থায় বলতেন, ‘আমায় কোনো বাঙালি মারবে না’। অথচ বিশ্বাসঘাতকের দল বঙ্গবন্ধুর কথা, বঙ্গবন্ধুর বিশ্বাস পুরোপুরি ভুল প্রমাণ করে সেই ১৫ আগস্ট ভোরের আলো ফুটার আগেই তাকে খুব নির্মমভাবে হত্যা করে।
বঙ্গবন্ধু শুধু নেতা ছিলেন না, ছিলের বাঙালির আত্মবিশ্বাস, বাঙালির মনের জোর, বাঙালির অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সাহস। তিনিই শিখিয়ে গিয়েছেন কিভাবে নিজের মুক্তি ছিনিয়ে আনতে হয়, কিভাবে দেশকে ভালোবাসতে হয়।
তাইতো কবি বলেছেন,
যতকাল রবে পদ্মা-মেঘনা-গৌরী যমুনা বহমান,
ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান।
লেখক: শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
সারাবাংলা/এসবিডিই/আইই