Monday 25 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিশ্বের বিস্ময়কর আবিস্কার রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা

নাজমূল হুদা ওয়ারেছী চঞ্চল
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২০:৪৭
আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫ তম জন্মদিন। ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় তিনি জন্মগ্রহণ করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জ্যেষ্ঠ সন্তান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি তিনি।
এবারের জন্মদিনে তিনি জাতিসংঘের সাধারন পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। তার অনুপস্থিতিতেই দিনটি উৎসবমুখর পরিবেশে পালন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
জাতির পিতার যোগ্য উত্তরসূরি, বাংলাদেশের রেকর্ড চারবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সারা বিশ্বের বিস্ময়। দক্ষিণ এশিয়াসহ বিশ্ব রাজনীতিতে প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে আবির্ভূত করে আজ তিনি বিশ্বনেতা। বঙ্গবন্ধুর মতো তার চরিত্রে মানুষের প্রতি বিশ্বাস-ভালোবাসা, সততা, দক্ষতা, ধৈর্য ও ক্ষমাশীলতার বিশেষ গুণ বিদ্যমান। বঙ্গবন্ধুকন্যা ব্যক্তিজীবনে প্রয়াত পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। তাদের দুই সন্তান তথ্যপ্রযুক্তিবিদ সজীব ওয়াজেদ জয় এবং আন্তর্জাতিক অটিজম বিশেষজ্ঞ সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
ছাত্রজীবনে বেগম বদরুন্নেসা কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল থেকে শুরু করে গোটা জীবন তার নানা আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অতিক্রান্ত হচ্ছে। দূরদর্শিতার চিহ্ন যিনি এরই মধ্যে প্রতিনিয়ত রেখে চলেছেন সারা বিশ্বে। পদ্মাসেতুসহ জাতিসংঘের উন্নয়ন লক্ষমাত্রার প্রায় সব ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের স্বাক্ষর রেখে ইতোমধ্যে তিনি সমগ্র বিশ্বে অর্থনীতিররোল মডেলে রুপান্তরিত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শান্তির দর্শন, চেতনা আর মানবতাবাদী পদক্ষেপ সারা বিশ্বে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
শান্তিতে নোবেলজয়ীদের ভূমিকা যখন প্রশ্নবিদ্ধ, তখন বিশ্বের মানচিত্রে শান্তির পতাকা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। মিয়ানমার থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে ও সুরক্ষা নিশ্চিতে তাদের জন্য আলাদা অবকাঠামো নির্মাণ করে সমগ্র বিশ্বের প্রশংসিত ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন।
মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় শেখ হাসিনা সবসময়ই আপসহীন। ২০০৯ সালে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব তার সরকার ১৯৭১ সালে সংগঠিত মানবতাবাদী অপরাধের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল স্থাপনের জন্য আইন প্রণয়ন করে। এই ট্রাইব্যুনাল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছে এবং রায় কার্যকর করা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়ে ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে গণতন্ত্র পূনরুদ্ধারের সংগ্রামে লিপ্ত হবার পরপরই শাসকগোষ্ঠীর রোষানলে পড়েন তিনি। তাকে বার বার কারান্তরীণ করা হয়। তাকে হত্যার জন্য কমপক্ষে ২২ বার সশস্ত্র হামলা করা হয়।
১৯৮৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সামরিক সরকার তাকে আটক করে ১৫ দিন অন্তরীণ রাখে। ১৯৮৪ সালের ফেব্রুয়ারি এবং নভেম্বর মাসে তাকে দুই বার গৃহবন্দী করা হয়। ১৯৮৬ সালের ১৫ অক্টোবর থেকে তিনি ১৫ দিন গৃহবন্দী ছিলেন। ১৯৮৭ সালের ১১ নভেম্বর তাকে গ্রেফতার করে এক মাস অন্তরীণ রাখা হয়। ১৯৮৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনা গ্রেফতার হয়ে গৃহবন্দী হন। ১৯৯০ সালে ২৭ নভেম্বর শেখ হাসিনাকে বঙ্গবন্ধু ভবনে অন্তরীণ করা হয়। ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই সামরিক বাহিনী সমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকার তাকে গ্রেফতার করে সংসদ ভবন চত্ত্বরে সাবজেলে পাঠায়। প্রায় ১ বছর পর ২০০৮ সালের ১১ জুন তিনি মুক্তিলাভ করেন।
শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে উল্লেখযোগ্য হামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচী পালনকালে তাকে লক্ষ্য করে পুলিশের গুলিবর্ষণ। এতে যুবলীগ নেতা নূর হোসেন, বাবুল ও ফাত্তাহ নিহত হন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তাকেসহ তার গাড়ি ক্রেন দিয়ে তুলে নেওয়ার চেস্টাকরা হয়। ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রাম কোর্ট বিল্ডিংয়ের সামনে শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে এরশাদ সরকারের পুলিশ বাহিনী লাঠিচার্জ ও গুলিবর্ষণ করে। এ ঘটনায় শেখ হাসিনা অক্ষত থাকলেও ৩০ জন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী শহীদ হন। লালদিঘী ময়দাবে ভাষণদানকালে তাকে লক্ষ্য করে ২ বার গুলিবর্ষণ করা হয়। জনসভা শেষে ফেরারপথে আবারও তার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করা হয়।
১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার গঠনের পর শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য বারবার হামলা করা হয়। ১৯৯১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদের উপ-নির্বাচন চলাকালে তাকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করা হয়। ১৯৯৪ সালে ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে তার কামরা লক্ষ্য করে অবিরাম গুলিবর্ষণ করা হয়। ২০০০ সালে কোটালীপাড়ায় হ্যালিপ্যাডে এবং শেখ হাসিনার জনসভাস্থলে ৭৬ ও ৮৪ কেজি ওজনের দুটি বোমা পেতে রাখা হয়। শেখ হাসিনা পৌঁছার পূর্বেই বোমাগুলো শনাক্ত হওয়ায় তিনি প্রাণে বেঁচে যান। বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময় সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী হামলা হয় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট। ওইদিন বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে এক জনসভায় বক্তব্য শেষ করার পরপরই তাকে লক্ষ্য করে এক ডজনেরও বেশি আর্জেস গ্রেনেড ছোড়া হয়। লোমহর্ষক সেই হামলায় শেখ হাসিনা রক্ষা পেলেও আইভি রহমানসহ তার দলের ২২ নেতা-কর্মী শহীদ হন এবং পাঁচশরও বেশি মানুষ আহত হন। শেখ নিজেও সেদিনের কানের আঘাত নিয়ে আজও রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন।
শত বাধা-বিপত্তি এবং হত্যার হুমকিসহ নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে শেখ হাসিনা ভাত-ভোট এবং সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার আদায়ের জন্য অবিচল থেকে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগন অর্জন করেছে গণতন্ত্র ও বাক-স্বাধীনতা। বাংলাদেশ পেয়েছে মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা। শেখ হাসিনার অপরিসীম আত্মত্যাগের ফলেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে। শেখ হাসিনার শাসনামলে আর্থ-সামাজিক খাতে দেশ অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জন করে। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে শেখ হাসিনা সরকারের উল্লেখযোগ্য সাফল্যগুলো ছিল: ভারতের সঙ্গে ৩০ বছর মেয়াদি গঙ্গা নদীর পানিচুক্তি, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি, যমুনা নদীর উপর বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণ এবং খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ং- সম্পূর্ণতা অর্জন।
এছাড়া তিনি কৃষকদের জন্য বিভিন্ন কল্যাণমূলক কর্মসূচী এবং ভূমিহীন, দুস্থ মানুষের জন্য সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচী চালু করেন। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল: দুস্থ মহিলা ও বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বয়স্কদের জন্য শান্তি নিবাস, আশ্রয়হীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প এবং একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প।
২০০৯-২০১৩ মেয়াদে উল্লেখযোগ্য অর্জনগুলোর মধ্যে রয়েছে বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা ১৩,২৬০ মেগাওয়াটে উন্নীতকরণ, গড়ে ৬ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন, ৫ কোটি মানুষকে মধ্যবিত্তে উন্নীতকরণ, ভারত ও মায়ানমারের মধ্যে সামদ্রিক জলসীমা বিরোধের নিস্পত্তি, প্রতিটি ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন, মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থীর মধ্যে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, কৃষকদের জন্য কৃষিকার্ড এবং ১০ টাকায় ব্যাংক হিসাব খোলা, বিনা জামানতে বর্গাচাষীদের ঋণ প্রদান, চিকিৎসা সেবার জন্য সারাদেশে প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন, দারিদ্র্যের হার ২০০৬ সালের ৩৮.৪ থেকে ২০১৩-১৪ বছরে ২৪.৩ শতাংশে হ্রাস, হাতিসংঘ কর্তৃক শেখ হাসিনার শান্তির মডেল গ্রহণ ইত্যাদি।
২০০১৪-১৮ মেয়াদে উল্লেখযোগ্য সাফল্যগুলোর মধ্যে রয়েছে: বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীতকরণ, ভারতের পার্লামেন্ট কর্তৃক স্থল সীমানা চুক্তির অনুমোদন এবং দুই দেশ কর্তৃক অনুসমর্থন, (এর ফকে দুই দেশের মধ্যে ৬৮ বছরের সীমানা বিরোধের অবসান হয়েছে), মাথাপিছু আয় ১,৬০২ মার্কিন ডলারে উন্নীতকরণ, দারিদ্র্যের হার ২২.৪ শতাংশে হ্রাস, ৩২ বিলিয়ন ডলারের উপর বৈদেশিক মুদার রিজার্ভ, পদ্মাসেতুর বাস্তবায়ন শুরু, মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ ইত্যাদি।
২০১৯ থেকে চতুর্থ মেয়াদে এ পর্যন্ত অর্জিত উল্লেখযোগ্য অর্জনগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশকে সল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নত দেশের কাতারে অত্নর্ভুক্তিকরণ, নিজস্ব অর্থায়নে পিদনা সেতুর নির্মাণ কাজ সমাপ্তির দিকে নিয়ে যাওয়া এবং ঢাকায় মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু। রাজধানী ঢাকারসঙ্গে বেশ কয়েকটি জেলা শহরের সংযোগ সড়ক চার-লেনে উন্নীতবকরা হয়েছে। রুপপূরে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ, চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ, মাতারবাড়ি বহুমুখী প্রকল্পসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের বাস্তবায়নের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।সারাদেশে ১০০ টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মিত হচ্ছে। সবগুলি বিভাগে আইসিটি পার্ক নির্মাণ কাজ চলমান। বর্তমানে মাথাপিছু আয় ২২২৭ মার্কিন ডলার এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে।শান্তি প্রতিষ্ঠা, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান এবং আর্থিক-সামাজিক উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখার জন্য বিশ্বের বেশকিছু বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রতিষ্ঠান শেখ হাসিনাকে বিভিন্ন ডিগ্রি এবং পুরস্কার প্রদান করে।
যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন ইউনিভার্সিটি, ব্রিজপোর্ট বিশ্ববিদ্যালয় এবং ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয়, জাপানের ওয়াসেদা বিশ্ববিদ্যালয়, স্কটল্যান্ডের অ্যাবার্টে বিশ্ববিদ্যালয়, ভারতের বিশ্বভারতী এবং ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়, অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ব্রাসেলসের বিশ্বখ্যাত ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটি, রাশিয়ার পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি এবং স্টেট ইউনিভার্সিটি অব পিটার্সবার্গ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রী প্রদান করে। এছাড়া ফ্রান্সের ডাওফি বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ডিপ্লোমা প্রদান করে।
সামাজিক কর্মকান্ড, শান্তি ও স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য শেখ হাসিনাকে বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা সম্মানিত করেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে সুদীর্ঘ ২৫ বছরের গৃহযুদ্ধ অবসানের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসাম্যন্য অবদানের জন্য ১৯৯৮ সালে ইউনেস্কো তাঁকে ‘হুপে বোয়ানি’ শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করে। রাজনৈতিক,অর্থনৈতিক ও মানবাধিকারের ক্ষেত্রে সাহসিকতা ও দূরদর্শিতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের রানডলপ ম্যাকন উইমেনস কলেজ ২০০০ সালের ৯ ই এপ্রিল মর্যাদাসূচক ‘ Pearl S. Buck ‘৯৯’ পুরস্কারে ভূশিত করে। সর্বভারতীয় শান্তিসংঘ শেখ হাসিনাকে ‘ মাদার তেরেসা’ পদক প্রদান করে। জাতিসংঘ পরিবেশ উন্নয়ন কর্মসূচী দেশে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরিবেশ এবং টেকসই উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখার জন্য লিডারশীপ ক্যাটাগরিতে শেখ হাসিনাকে তাদের সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘ চ্যাম্পিয়ন অব দা আর্থ ২০১৫ ’ পুরস্কারে ভূষিত করে।
শেখ হাসিনা বেশ কয়েকটি গ্রন্থের রচয়য়িতা। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে “ শেখ মুজিব আমার পিতা “, ‘ওরা টোকাই কেনো ’, ‘ বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রের জন্ম ’, ‘দারিদ্র‍্য বিমোচন কিছু ভাবনা ’, ‘ আমার স্বপ্ন আমার সংগ্রাম’, ‘ আমরা জনগনের কথা বলতে এসেছি’, ‘ সামরিকতন্ত্র বনাম গণতন্ত্র’, ‘ সাদা কালো ’, ‘ সবুজ মাঠ পেরিয়ে’, ‘ মুজিব বাংলার বাংলা মুজিবের’, ‘ Miles to Go, The quest for Vision-2021(two volumes) ইত্যাদি।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার পাশাপাশি, প্রযুক্তি,রান্না,সঙ্গীত এবং বই পড়ার প্রতি তাঁর বিশেষ আগ্রহ রয়েছে। পুত্র জয় ও কন্যা পুতুল ছাড়াও শেখ হাসিনার নাতি- নাতনীর সংখ্যা ৭ জন।
৭৫ তম জন্মদিনে আমরা কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করি সৃষ্টিকর্তা বিশ্বের বিস্ময়কর আবিস্কার বাঙ্গালীর গর্ব শেখ হাসিনাকে দীর্ঘজীবী করুন।
লেখক: নাজমূল হুদা ওয়ারেছী চঞ্চল, রাজনীতিবিদ

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএসএ

রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর