বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুর হৃদয় হোক রঙিন
১৭ মার্চ ২০২২ ১৩:৪১
আজ ১৭ মার্চ—আমাদের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। এই দিনটিতেই জন্ম নিয়েছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে দিনটিকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। কারণ বঙ্গবন্ধু শিশুদের ভালোবাসতেন, শিশুদের সঙ্গে সময় কাটাতে পছন্দ করতেন। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুর হৃদয় হোক রঙ্গিন—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও সারাদেশে দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে প্রথম মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। ১৯৯৭ সালের ১৭ মার্চ দিবসটি পালন শুরু হয়। ২০০১–০৬ মেয়াদে অন্য সরকার ক্ষমতায় আসার কারণে জাতীয় শিশু দিবস পালনের রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতা বন্ধ হয়ে যায়। তবে দলীয় এবং বেসরকারি পর্যায়ে দিনটি পালন অব্যাহত ছিলে। ২০০৯ সাল থেকে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা আবার ক্ষমতায়। তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী। এখন রাষ্ট্রীয়ভাবে আবার পালিত হচ্ছে জাতীয় শিশু দিবস।
জন্মদিন নিয়ে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, “আমার জন্মদিনই কী, আর মৃত্যুদিনই কী? আমার জনগণের জন্য আমার জীবন ও মৃত্যু। আমি তো আমার জীবন জনগণের জন্য উৎসর্গ করেছি।” বঙ্গবন্ধু ছোট্ট শিশুদের আদর স্নেহ করতেন, শিশুদের নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন, শিশুদের মধ্যে ভবিষ্যতের আলোক শিখা দেখতেন। বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন বক্তব্যে তা আমরা দেখতে পাই। তিনি শিশুদের কোনো সমাবেশে উপস্থিত হলে শিশুদের সঙ্গে একাকার হয়ে যেতেন। শিশুদের সঙ্গে মিশে শিশুদের মতো আনন্দে মেতে উঠতেন।
জানা যায়, ১৯৭২ সালে কচিকাঁচার মেলার শিশুরা নিজেদের আঁকা মুক্তিযুদ্ধের ছবি নিয়ে যায় গণভবনে বঙ্গবন্ধুকে উপহার দিতে। বঙ্গবন্ধু ছবিগুলো দেখে এতটাই আবেগপ্রবণ হয়ে বললেন, “আমার দেশের শিশুরা এমন নিখুঁত ছবি আঁকতে পারে, এসব না দেখলে তা বিশ্বাস করা যায় না”। তিনি সেসময় আরও বলেন, “আজকের কর্মব্যস্ত সারাটা দিনের মধ্যে এই একটুখানি সময়ের জন্য আমি শান্তি পেলাম। শিশুদের সান্নিধ্য আমাকে সব অবসাদ থেকে মুক্তি দিয়েছে”।
শুধু দিবস পালনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থেকে আমাদের প্রত্যেকের নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে। শিশুদের সকল প্রকার নির্যাতন ও সহিংসতা থেকে মুক্ত রাখতে আমাদের প্রত্যেকেই ভূমিকা পালন করতে হবে। শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধু যে ভালোবাসা প্রদর্শন করতেন, সেভাবেই একটি শিশুবান্ধব সমাজ বিনির্মাণ হোক এই দিবসের অঙ্গীকার।
লেখক: শিক্ষার্থী
সারাবাংলা/এসবিডিই