বাঙালি জাতির আত্মপরিচয় ও বঙ্গবন্ধু
২২ মার্চ ২০২২ ১৭:১৭
একজন মানুষ হিসেবে সমগ্র মানবজাতি নিয়েই আমি ভাবি। একজন বাঙালি হিসেবে যা কিছু বাঙালিদের সাথে সম্পর্কিত তাই আমাকে গভীরভাবে ভাবায়। এই নিরন্তর সম্পৃক্তির উৎস ভালোবাসা, যে ভালোবাসা আমার রাজনীতি এবং অস্তিত্বকে অর্থবহ করে তোলে’ কথাটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। বলেছিলেন তাঁর অসমাপ্ত আত্মজীবনী গ্রন্থে। বাংলার এই মহামানব বাঙালির নিরন্তর প্রেরণার উৎস। আলোকবর্তিকা হয়ে বাঙালি জাতির হাজার বছরের এই শ্রেষ্ঠ সন্তান আমাদের পথ দেখাচ্ছেন। বিশ্বের দরবারে লাল-সবুজের পতাকা নিয়ে মাথা উঁচু করে বাঙালি জাতি যে আজ স্বমহিমায় দাঁড়িয়ে আছে, তা বঙ্গবন্ধুর সারা জীবনের আত্মত্যাগ আর দূরদর্শী, বিচক্ষণ রাজনৈতিক নেতৃত্বের ফল। বাংলাদেশ যে আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় উন্নত শির নিয়ে দাঁড়িয়ে, বিশ্বের উদীয়মান অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দেশ হিসেবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে বাঙালির যে ঐতিহাসিক অগ্রযাত্রা, তার শেকড় প্রোথিত সোনার বাঙলা বির্নিমাণে বঙ্গবন্ধুর আমৃত্যু স্বপ্নে। বঙ্গবন্ধুর জীবন-দর্শন, বাংলাদেশকে নিয়ে তাঁর স্বপ্ন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর মাত্র সাড়ে তিন বছরে বাংলাদেশের উন্নয়নে এবং মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় তাঁর গৃহীত পদক্ষেপ আর পরিকল্পনাকে যথাযথভাবে বিশ্লেষণ করলে আমরা বাংলাদেশের উন্নয়নের সুস্পষ্ট পথনির্দেশনা পাই। যে পথনির্দেশনাই বর্তমান বাংলাদেশের উন্নয়নের কৌশলপত্র। এ কথার সত্যাসত্য খুঁজে পাওয়া যায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার কণ্ঠেও। তিনি বলেন, ‘আমি যখনই, যেখানে উন্নয়নের জন্য হাত দিই, সেখানেই দেখি আমার বাবা বঙ্গবন্ধুর ছোঁয়া আর দিকনির্দেশনা।
বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শনের পরিব্যাপ্তি ছিল বাঙালি জাতিসত্তায়। বঙ্গবন্ধু এদেশের মানুষকে জীবনের চেয়ে বেশি ভালোবাসতেন। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বদেশের মাটিতে পা রেখে সেই ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে ছুটে যান গণমানুষের সমাবেশে। কণ্ঠে উচ্চারণ করলেন, ‘… আমি বাঙালি, আমি মানুষ, আমি মুসলমান, মুসলমান একবার মরে দুইবার মরে না। আমি বলেছিলেম, যদি আমার মৃত্যু এসে থাকে, আমি হাসতে হাসতে যাব। … তোমাদের কাছে ক্ষমা চাইব না এবং যাবার সময় বলে যাব, জয় বাংলা, স্বাধীন বাংলা, বাংলা আমার ভাষা, বাংলার মাটি আমার স্থান। … আজ আমি বাংলাদেশে ফিরে এসেছি। আমার ভাইদের কাছে, আমার মা’দের কাছে। আমার বোনদের কাছে। বাংলা আমার স্বাধীন। বাংলার মানুষ আজ স্বাধীন।’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে এদেশের মানুষের ছিল আত্মার সম্পর্ক।
দক্ষিণ এশিয়ার মানচিত্রে আজ লাল-সবুজের যে পতাকা উড়ছে, তার পেছনে আছে বাঙালি জাতির শত বছরের সংগ্রাম, আন্দোলন আর রক্তক্ষয়ী লড়াই। ইংরেজ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে, পাকিস্তান সরকারের শোষণ-নির্যাতনের বিরুদ্ধে ছিল এই লড়াই। এ লড়াইয়ের ভেতর দিয়ে, সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে, প্রিয়জন হারানোর বেদনা আর মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে, এক সাগর রক্তপেরিয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর অর্জিত হয় সেই কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। এই স্বাধীনতার মূল নায়ক শেখ মুজিবুর রহমান। ইতিহাসের এই অগ্নিপুরুষ দীর্ঘ ২৩ বছর নিরবচ্ছিন্ন-নিরলস সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার অগ্নিমন্ত্রে সংগঠিত করেছিলেন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার যে প্রেক্ষিত তৈরি হয়, তা হঠাৎ করে আসেনি। একটি নৃগোষ্ঠী হিসেবে বাঙালি জাতির জন্ম ও গড়ে ওঠা কয়েকশ’ বছর আগে। অভিন্ন ভাষা, আর্থ-সামাজিক জীবনধারা, শারীরিক, মানসিক, মনস্তাত্ত্বিক গড়নের অভিন্নতা নিয়েই এই জাতি ধীরে ধীরে একটি উন্নত জনগোষ্ঠীতে পরিণত হয়। পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্রবিধৌত পলিমাটির দেশের এই জাতিকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন এই অঞ্চলের প্রায় দক্ষিণঘেঁষা সবুজ, শান্ত গ্রাম টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেওয়া ‘মুজিব’ নামের এই মহিরুহ।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু যে কৌশলী পথ বেছে নিয়েছিলেন, তাতে বিশ্বের সেরা সমর-কৌশলীরাও অবাক হয়েছেন। বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসের দায় মোচন করেছিলেন অবিস্মরণীয় এক ভাষণের মধ্য দিয়ে। তিনি অবিশ্বাস্যভাবে মুক্তিপথে সংহত করে দাঁড় করিয়ে দিলেন বাংলার মানুষকে, যার ফলে সামনের দিনগুলোয় যা-ই ঘটুক না কেন, অনন্যদৃঢ়তায় ঐক্যবদ্ধ বাঙালি জাতি তা মোকাবিলায় হয়ে উঠেছিল ক্ষমতাবান। অধ্যাপক অজয় রায় ৭ মার্চের ভাষণ সম্পর্কে তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, ‘মন বলছিল আজ বাংলার-বাঙালির এক নতুন ইতিহাসের অধ্যায় রচিত হবে। ইতিহাস রচনার এই মাহেন্দ্রক্ষণে উপস্থিত থাকা হাজার বছরে একবারই আসে। কাজেই সেদিন এই ময়দানে উপস্থিত ছিলেন যাঁরা, তাঁরা অনেকের চাইতে ভাগ্যবান, তাঁরা জননন্দিত নেতা বঙ্গবন্ধুর সাথে ইতিহাস রচনায় অংশ নিয়েছিলেন, আর ইতিহাসের নিয়ন্ত্রক অমর কাব্যখানি লিখেছিলেন বঙ্গবন্ধু স্বয়ং, যে কাব্যের নাম ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’
বঙ্গবন্ধু ভোগ, বিলাস, ক্ষমতার অংশীদারত্ব ইত্যাদিকে তুচ্ছজ্ঞান করে বাঙালি জাতির ভাগ্যোন্নয়নের জন্য আপসহীনভাবে লড়াই করে গেছেন শেষদিন পর্যন্ত। নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে সগর্বে ঘোষণা করেছেন, ‘দাবায়ে রাখতে পারবা না।’ সেই সাহসী উচ্চারণ অহেতুক ছিল না। প্রমাণ করে দিয়েছেন যে, বাঙালি জাতিকে দাবিয়ে রাখা সহজসাধ্য নয়। এই ঘুমন্ত জাতিটিকে আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ধাপে ধাপে এগিয়ে নিয়ে গেছেন চূড়ান্ত বিজয়ের দিকে। যে জাতি কখনো বন্দুক-বেয়নেট দেখেনি, সে জাতি একাত্তরে অস্ত্র হাতে লড়াই করেছে বাঁশের লাঠি, লগি-বৈঠা ফেলে। ‘জীবন-মৃত্যু পায়ের ভৃত্য’ হিসাবে জেনেছেন তিনি। ঘুমন্ত জাতির প্রতিটি শিরা-উপশিরায় রক্তপ্রবাহের উত্তাপ বঙ্গবন্ধু ধারণ করতেন। তাই জাতিকে নিজের মতো করে ধীরে ধীরে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। ইতিহাসের চাকাকে ঘুরিয়ে দিয়েছেন। হাজার বছর ধরে পরাধীন-পর্যুদস্ত থেকে থেকে যে জাতিটি আধমরা থেকে পুরো মরায় পরিণত হচ্ছিল ক্রমশ; বজ্রহুংকারে শুধু নয়, আদরে-সোহাগে প্রাণের প্রবাহে স্পন্দন তুলে একটি বিন্দুতে এনে দাঁড় করিয়েছিলেন।
শেখ মুজিব ছিলেন বাঙালি জাতীয়তাবাদের শ্রেষ্ঠ যোদ্ধা। যিনি বাঙালির স্বার্থের প্রশ্নে জেল, জুলুম, অত্যাচার এমনকি মৃত্যুর কাছেও মাথা নত করেননি। লেখক হুমায়ুন আজাদ বলেন, ‘জনগণকে ভুল পথে নিয়ে যাওয়া যায়, হিটলার মুসোলিনির মতো একনায়কেরাও জনগণকে দাবানলে, প্লাবনে, অগ্নিগিরিতে পরিণত করেছিল, যার পরিণতি হয়েছিল ভয়াবহ। তারা জনগণকে উন্মাদ আর মগজহীন প্রাণীতে পরিণত করেছিল। একাত্তরের মার্চে শেখ মুজিব সৃষ্টি করেছিল শুভ দাবানল, শুভ প্লাবন, শুভ আগ্নেয়গিরি, নতুনভাবে সৃষ্টি করেছিলেন বাঙালি জাতিকে, যার ফলে আমরা স্বাধীন হয়েছিলাম।’ বঙ্গবন্ধুর সেই শুভ দাবানল রচিত হয়েছিল যে দর্শন নিয়ে তা ছিল বাঙালি জাতীয়তাবাদ আর ধর্মনিরপেক্ষতার মহাদর্শে মহীয়ান। তিনি বলেছিলেন, ‘সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা ছাড়া রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্থহীন। তাই মাটি ও মানুষকে কেন্দ্র করে গণমানুষের সুখ, শান্তি ও স্বপ্ন এবং আশা-আকাক্ষাকে অবলম্বন করে গড়ে উঠবে বাংলার নিজস্ব সংস্কৃতি।’ তিনি বলেছিলেন, ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদ না থাকলে আমাদের স্বাধীনতার অস্তিত্ব বিপন্ন হবে।’ ‘আর সাম্প্রদায়িকতা যেন মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে। ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র বাংলাদেশ। মুসলমান তার ধর্মকর্ম করবে। হিন্দু তার ধর্মকর্ম করবে। বৌদ্ধ তার ধর্মকর্ম করবে। কেউ কাউকে বাধা দিতে পারবে না।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেভাবে উপমহাদেশের রাজনৈতিক মানচিত্র বদলে দিয়েছিলেন, তা বিশ্বের বিস্ময়! শুধু উপমহাদেশ নয়, বিশ্বের শোষিত মানুষের পক্ষে সগৌরবে অবস্থান নিয়েছিলেন তিনি। উদাত্ত কণ্ঠে বলেছিলেন, বিশ্ব শাসক ও শোষিত দুই ভাগে বিভক্ত, তিনি শোষিতের পক্ষে। কেবল বাংলাদেশ নয়। এশিয়া, আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকার কোটি কোটি মুক্তিকামী মানুষের অনুপ্রেরণার অপর নাম বঙ্গবন্ধু। মাত্র সাড়ে তিন বছরের রাষ্ট্রপরিচালনায় তিনি বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে যে উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন, তার তুলনা আর কোথাও নেই। বিশ্ব পরিমণ্ডলে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ অসামান্য মর্যাদা ও সম্মান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিল। তাঁর নেতৃত্বে আয়তনে ছোটো রাষ্ট্র বাংলাদেশ হয়ে উঠেছিল বৈশ্বিক পরিমণ্ডলের বড়ো পক্ষ। জাতিসংঘ, ওআইসি, কমনওয়েলথ, ন্যাম প্রভৃতি বিশ্ব সংস্থায় বঙ্গবন্ধু ছিলেন নিপীড়িত রাষ্ট্রগুলোর প্রাগ্রসর প্রতিনিধি। সে কারণে আজও পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে স্বাধীনতা বা স্বাধিকারের প্রশ্ন এলে একজন শেখ মুজিবের প্রয়োজনীয়তার কথা উদাহরণ হিসেবে উঠে আসে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সংহতির প্রতীক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এখনো তাঁর জীবন, কর্ম ও বাণী দিয়ে জাতিকে শক্তি জুগিয়ে চলছেন। ভবিষ্যতের দিনগুলোয়ও বঙ্গবন্ধুর জীবন, কর্ম ও বাণী বাঙালি জাতি ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে পথ দেখিয়ে চলবে।
আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের কাছে সমকালীন রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা থাকবে, থাকুক। কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধুই শ্রদ্ধা-সম্মানের নেতা হিসেবেই বেঁচে থাকবেন প্রতিটি বাঙালির প্রাণে, প্রতিটি বাংলাদেশি নাগরিকের প্রাণে যতদিন পৃথিবীর বুকে ‘বাংলাদেশ’ নামক দেশটি থাকবে। বঙ্গবন্ধুকে বাংলা থেকে বারবার মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তিনি বারবার বাংলার কোটি হৃদয়ে স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছেন। দেশ-জাতি যখন সংকটে পড়ে, তখনই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আমাদের অনুপ্রেরণা জোগায়, সঠিক পথ খুঁজে দেয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সংগ্রামের পথিকৃৎ এবং বাঙালি জাতির একমাত্র নেতা। বঙ্গবন্ধু বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, চুয়ান্নর যুক্তফ্রন্ট গঠন, আটান্নর সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ছেষট্টির ছয় দফা, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন, একাত্তরের সুমহান মুক্তিযুদ্ধসহ বাঙালির প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর অমর শ্রেষ্ঠ কীর্তি। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা আজ স্বপ্নপূরণের পথে। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক এবং অবিচ্ছেদ্য। বলা যেতে পারে, একটি মুদ্রার দুটি ভিন্ন পিঠ। বাংলার স্বাধীনতা, ভাষা, সমাজ, সংস্কৃতি ও সভ্যতার মধ্যে বঙ্গবন্ধু চিরকালের জন্য চিরজাগ্রত। তিনি শুধু একটি নাম নন, হলেন একটি জাগ্রত ইতিহাস। একটি স্বাধীন জাতিসত্তার অপরিমেয় অহংকার, বর্ণিল ঐশ্বর্য। বঙ্গবন্ধু, বাঙালি এবং স্বাধীনতা একসূত্রে গাঁথা। বাঙালি জাতির আত্মপরিচয়ের অস্তিত্বস্পর্শী অমর নাম। তিনিই বাংলাদেশ, অন্যভাবে বললে, তাঁর নাম বাংলাদেশ।
লেখক: শিক্ষার্থী
সারাবাংলা/এসবিডিই/এএসজি
বাঙালি জাতির আত্মপরিচয় ও বঙ্গবন্ধু মুক্তমত মো. আশিকুর রহমান সৈকত