Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঈশ্বরদী বিমানবন্দর হতে পারে যোগাযোগের নতুন দিগন্ত

গোপাল অধিকারী
১১ মে ২০২২ ১৪:১৯

‘ঈশ্বরদী বিমানবন্দর চালু করা হোক’ এটি আমার কথা নয় এটি এখন সকলের দাবি। দেশের গুরুত্বপূর্ণ জনপদ ঈশ্বরদীতে অনেক প্রত্যাশা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় বিমানবন্দর। এটি উত্তরাঞ্চল শুধু নয়, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জন্যও জাগিয়েছিল বিরাট আশা। অথচ সেই সম্ভাবনাময় বিমানবন্দরটিতে নিয়মিত বিমান অবতরণ বন্ধ রয়েছে দীর্ঘ দিন ধরে। কথায় বলে ‘ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না’। সুতরাং যাদের ভাবনা থেকে ঈশ্বরদী বিমানবন্দর করার উদ্যোগ গ্রহণ করা তারা নিশ্চই ভাবনাহীন ছিল না। চুলচেড়া বিশ্লেষণ করেই সিদ্ধান্তটি নিয়েছিলেন। সুতরাং সেই সিদ্ধান্তকে এখন অকার্যকর করা অর্থই রাষ্ট্রের অর্থনীতিকে অপচয় করা। দীর্ঘদিন বিমানবন্দরটি চালু না হওয়ায় অকেজো হয়ে পরছে বিমানবন্দরের টার্মিনাল বিল্ডিং, রানওয়ে, ট্যাক্সিওয়ে, এপ্রোন, নেভিগেশন ও সংযোগ সরঞ্জাম, অফিসারদের আবাসিক এলাকা এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের রাস্তা।

বিজ্ঞাপন

উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের প্রাচীনতম এই বিমানবন্দর ১৯৪০-১৯৪৫ সালের মাঝা মাঝি সময়ে স্থাপিত হয়। ১৯৬০ সালে ৪১২ একর জমির ওপর ঈশ্বরদী বিমানবন্দরের প্রাথমিক কাজ শুরু হয়। তখন প্রায় ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে রানওয়ে তৈরি করে ডাকোটা ডিসি-৩ বিমান চালু করা হয় । ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের কিছুদিন পরপরই এটি স্থাপিত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই বিমানবন্দরটি হিজলি বেজ এলাকা নামে পরিচিত ছিল। ১৯৪৫ সালের ৮-২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বিমানবাহিনীর ২০তম বোমারুবাহিনী এই বিমানবন্দরটি ব্যবহার করেছিল। তথ্যসূত্রে জানা যায়, ১৯৬৫ সালে ঈশ্বরদী বিমানবন্দরে প্রথম বাংলাদেশ বিমান ওঠানামা শুরু করে। সেই সময় প্রতিদিন সকাল ও বিকেলে দুটি করে ফ্লাইট চলত। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় এ বিমানবন্দরটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। মেরামত করে ১৯৭২ সালে আবার বিমান চলাচল শুরু হয়। তখন পাবনা, কুষ্টিয়া, নাটোর ও রাজশাহীর অনেক যাত্রী ঈশ্বরদী হয়ে বিমানে ঢাকা যাতায়াত করতেন। পরে লোকসানের অজুহাতে ১৯৮৭ সালে এ রুটে ফ্লাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়। যাত্রীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯৪ সালের ১৭ জুলাই থেকে বিমান চলাচল শুরু হলেও ১৯৯৬ সালের ৩ নভেম্বর পুনরায় বিমান চলাচল বন্ধ করা হয়। এরপর যাত্রীদের দাবির মুখে ১৯৯৮ সালের ১০ মে বেসরকারি এয়ারলাইন্স এয়ার পারাবতের ফ্লাইট চালু হয়। মাত্র ৩৮ দিন চলার পর ২৮ জুন এই সার্ভিসও বন্ধ করা হয়। ১৭ বছর বন্ধ থাকার পর ২০১৩ সালের ১৮ নভেম্বর আবার ফ্লাইট উদ্বোধন করা হলেও ৬ মাস পর আবার বন্ধ হয় বিমানবন্দরটি। ওইদিন বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ এই বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করে। কিন্তু ৬ মাস ১১ দিন চালু থাকার পর ২০১৪ সালের ২৯ মে আবার বন্ধ হয়ে যায় বিমানবন্দরটি।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশে ছোট-বড় মিলিয়ে বেশ কয়েকটি বিমানবন্দর রয়েছে। দেশটিতে রয়েছে তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। আছে পাঁচটি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর। এছাড়াও আছে সাতটি স্বল্প পরিসরের বন্দর। এগুলো ছাড়াও বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি এয়ার স্ট্রিপ রয়েছে। যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তৈরি করা হয়েছিল। বাংলার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলো ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে অবস্থিত। অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর রয়েছে রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, চট্টগ্রাম, বরিশাল, ঢাকা ও খুলনা বিভাগ ও জেলা শহরে। এসব বন্দর থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান ওঠা-নামা করে। দেশে আরও কয়েকটি বন্দর রয়েছে। যা শুধু বিমান উড্ডয়ন অবতরণের জন্য ব্যবহৃত হয়। যদিও এগুলোর বেশিরভাগই এখন কাজে আসে না। এই তালিকায় আছে কুমিল্লা, বগুড়া, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট জেলা। বিমানবন্দর বা এয়ারস্ট্রিপ আছে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ, ফেনি, কক্সবাজারের চকোরিয়া, টাঙ্গাইলের ঘাটাইল, মৌলভীবাজার, কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর এবং পটুয়াখালী জেলায়।

বিনিয়োগ তথা উন্নয়নের পূর্বশর্ত আধুনিক যোগাযোগব্যবস্থা। এক্ষেত্রে অগ্রগামী বিমান যোগাযোগ। কিন্তু বাংলাদেশ এক্ষেত্রে পিছিয়ে। বিমানপথ থাকলেও উড়োজাহাজ চলাচলের জন্য উপযুক্ত বিমানবন্দরের সংখ্যা কম। বরিশাল, কুমিল্লা, ঠাকুরগাঁও ও খুলনায় বিমানবন্দর আছে; কিন্তু পুরোপুরি সচল নয়। কোনোটি পরিত্যক্ত, কোনোটি অব্যবহৃত। এগুলো সচল হলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ত। পাশাপাশি সহজ হতো মানুষের চলাচল ও পণ্য পরিবহণ। সুতরাং ভৌগলিক দিক থেকে যোগাযোগের স্বার্থে ঈশ^রদীতে বিমানবন্দর যুক্তিসংগতই। পাবনায় এখন মানুষের চলাচল বেড়েছে। দেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন প্রকল্প পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, ইপিজেড, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের কারণে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষকে পাবনায় যেতে হচ্ছে। সড়কপথে যাতায়াত সময়সাপেক্ষ হওয়ায় ঈশ্বরদী বিমানবন্দর চালুর দাবি অযোক্তিক নয়।

গত সাত বছরেও এই বিমানবন্দরে ওঠা-নামা করেনি কোনো বিমান। কালের পরিক্রমায় আজ ঈশ্বরদী বিমানবন্দরটি শুধু চালুই নয়, এটিকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপান্তর করা সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। ভৌগোলিক সুবিধাজনক অবস্থানে থাকা এবং কৃষি, শিল্প ও বাণিজ্যসমৃদ্ধ এক জনপদের নাম ঈশ্বরদী। এখানে রয়েছে উন্নত সড়ক, নৌ ও রেলপথের দারুণ এক সমন্বয়। এ কারণে ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলে এখানে গড়ে উঠেছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ হওয়ার পরও অনেক প্রতিষ্ঠান হয়েছে। বাংলাদেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের প্রথম এই বিমানবন্দরটিতে নিয়মিত বিমান চলাচল শুরু হলে যাত্রী বাড়বে অনেকগুণ। ঈশ্বরদী বিমানবন্দর ফিরে চান পাবনা শহরের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীরা ছাড়াও সিরাজগঞ্জ, পাবনা, সুজানগর, সাঁথিয়া, চাটমোহর, ফরিদপুর, ভাংগুড়া, কুষ্টিয়া, ভেড়ামারা, দৌলতপুর, রাজশাহীর বাঘা, নাটোরের লাল্পুর, বাগাতিপাড়া, বড়াইগ্রামের আকাশপথে যাতায়াতকারী বিশিষ্ট নাগরিকরা।

ঈশ্বরদীতে যেসব জাতীয় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের যখন তখন জরুরি ভিত্তিতে ঢাকায় যাতায়াতের প্রয়োজন হয় তাদের মধ্যে রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি এবং মূল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের রাশিয়ান নাগরিক, বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয়, ঈশ্বরদী ইপিজেড, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা মেডিক্যাল কলেজ, পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, বাংলাদেশ ডাল গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএটিআই), বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বেনারসি শিল্প, রেশম বীজাগার, আবহাওয়া অধিদফতর, পাকশী পেপার মিল (বর্তমানে বন্ধ), ঈশ্বরদীতে অবস্থিত পাবনা সুগার মিলস লিমিটেড, দ্বিতীয় বৃহত্তম রেলওয়ে জংশন, পাবনা মানসিক হাসপাতাল, বাংলাদেশ রেলওয়ে বিভাগীয় ম্যানেজার অফিসের (ডিআরএম অফিস) কর্মকর্তারা এই বিমানবন্দরটি চালু হলে সুবিধা পাবেন।

তাছাড়া ঈশ্বরদী বিমানবন্দরটি চালু করা হলে অবশ্যই দেশী-বিদেশী শিল্পোদ্যোক্তারা এখানকার ইপিজেডে আরো বেশি করে বিনিয়োগ করবেন। দেশী ও বিদেশী শিল্পোদ্যোক্তারা আকাশপথে আসা-যাওয়ার বিষয়টি বারবার ইপিজেড কর্তৃপক্ষে অবহিত করেছেন। আকাশপথের অভাবে এবং সড়কপথে আসতে অনেক সময় লেগে যাওয়ায় তারা এখানে বিনিয়োগে আগ্রহ হারাচ্ছেন। তাদের এমন মন্তব্য শুনে ইপিজেড কর্তৃপক্ষ সরকারের উচ্চমহলে যোগাযোগ করেছেন। ঈশ্বরদী বিমানবন্দর চালু করার বিষয়ে বিভিন্ন মহল থেকে জোর দাবি রয়েছে বলে জানা গেছে।

ঈশ্বরদী থেকে বিপুল পরিমাণ কৃষিপণ্য প্রতিদিন ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন হাটবাজারে সরবরাহ করা হয়। পাশাপাশি দেশের বাইরেও রফতানি হয় এখানকার কৃষিপণ্য। বিমানব্যবস্থা চালু হলে সরকার এখান থেকে বিপুল অঙ্কের রাজস্ব আয় করতে পারবে। কারণ দেশের চাহিদার প্রায় এক-দশমাংশ সবজির উৎপাদন হয় ঈশ্বরদীতে। কৃষিপণ্য সরবরাহের জন্য অন্তত একটি বিমান চালু করলে দেশবাসী সময় মতো টাটকা সবজি হাতে পাবে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটসহ বড় বড় শহরগুলোতে কমে যাবে ট্রাকের যানজট।

কথায় বলে যত্ন করলে রত্ন মিলে। কোন কিছু সৃষ্টি করা সহজ তবে তা ধরে রাখা কঠিন। বিমানবন্দরের ক্ষেত্রে এমন কথাটিই মনে আসছে। তবে আমি আশাবাদি ঈশ^রদী বিমান বন্দর চালু হবে। কারণ যেখানে প্রয়োজনীয়তা রয়েছে সেখানে নতুন করে হলেও স্থাপন করা যোক্তিক। সেখানে ঈশ্বরদী বিমান বন্দরের কিছু রক্ষণাবেক্ষণ করলেই চালুর উপযোগী হবে সেখানে ঈশ্বরদী বিমান বন্দরটিকে চালু করা আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়। যেহেতু সরকার উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করেছে সেই সাথে বিমান বন্দরটি চালু করার বিষয়ে স্থানীয় সাংসদও অঙ্গিকার দিয়েছেন সুতরা এটি চালু হবে এটা আমরা প্রত্যাশা করতেই পারি। কারণ এটি চালুর থেকে পরিত্যক্ত রাখা রাষ্ট্রের জন্য বেশি লোকসানের।

বিজয়ের ৫০ বছরে বহু পন্ডিত বিশেষজ্ঞদের ধারণা ভুল প্রমাণিত করে বাংলাদেশের অনেক উন্নতি হয়েছে। এই শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বেই বিগত ১২ বছর গড়ে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। এর মধ্যে আবার টানা তিন বছর প্রবৃদ্ধি অর্জন ছিল ৭ শতাংশের ওপরে। এরই ধারাবাহিকতায় জিডিপি প্রবৃদ্ধি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮ শতাংশ অতিক্রম করে। শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্ব এখন বৈশ্বিকভাবে প্রশংসনীয়। তিনি দেশকে নিয়ে গেছেন এক অনন্য উচ্চতায় এবং আন্তর্জাতিক অর্জনও তার কম নয়। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যের (এমডিজি) অনেক সূচক অর্জন করে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি কাড়ে বাংলাদেশ। সম্প্রতি জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশনস নেটওয়ার্ক (এসডিএসএন) শেখ হাসিনাকে ‘এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কারে’ ভূষিত করেছে। সুতরাং পরিত্যক্ত সম্পদকে নষ্ট না করে কিভাবে দক্ষ সম্পদে পরিণত করা যায় তা মনে হয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অজানা নয়। নিন্দুকদের মুখে কালি লাগিয়ে পদ্মা সেতু এখন দৃশ্যমান। সুতরাং অবকাঠামোগত উন্নয়নের জোয়ারে ঈশ^রদী বিমান বন্দর বন্ধ থাকবে এটা মনে হয় বেশিদিন ভাবার সুযোগ নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ চাই ঈশ্বরদীবাসী। আপনার মেগা প্রজেক্ট রূপপুর পারমানবিক প্রকল্প আজ ঈশ্বরদীতে। এটা আমাদের গর্ব। সেই গর্বিত ঈশ্বরদীতে বিমান বন্দর থাকবে না এটা মনে হয় সমীচীন হতে পারে না। সকলের প্রত্যাশা ঈশ্বরদী বিমানবন্দর চালুর শুভ বার্তা আমরা অচিরেই পাবো। এগিয়ে যাবে ঈশ্বরদী, এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ সেই মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায় রইলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঈশ্বরদী বিমানবন্দরে আপনার আগমন দিয়েই নব দিগন্তের সূচনা করতে চাই যোগাযোগের।

লেখকঃ সাংবাদিক ও কলামিস্ট।

সারাবাংলা/এসবিডিই/এএসজি

ঈশ্বরদী বিমানবন্দর হতে পারে যোগাযোগের নতুন দিগন্ত গোপাল অধিকারী মুক্তমত

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর