চট্টগ্রামে অগ্নিদুর্গতদের পাশে শেখ হাসিনার সৈনিকেরা
৭ জুন ২০২২ ১৩:৩৩
সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ আগুন ও বিস্ফোরণের ঘটনায় আহতদের জন্য ওষুধ, রক্ত, খাবার নিয়ে দুর্ঘটনার পরেই গভীর রাত থেকে পাশে ছিল ছাত্রলীগ,যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা। জনগণকে পাশে নিয়ে বিপদ মোকাবিলা করতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আপ্রাণ। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা এগিয়ে এসেছেন। বাংলাদেশ পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা একযোগে কাজ করে যাচ্ছেন। চিকিৎসকরা তাদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। অগ্নিদূর্গতদের চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টার দিয়ে ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন সরকার।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের দল, গণমানুষের দল। সংকটে, সেবা আর্ত মানবতায় সদা প্রস্তুত থাকে জনগণের কল্যাণে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে সকলেই স্ব স্ব অবস্থান থেকে সর্বাত্মক কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
মানবসৃষ্ট দুর্যোগ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় অতীতের মতো সর্বদা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে জনগণ পাশে পেয়ে আসছে। আর এটাই প্রমাণ করে এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে উন্নয়ন অগ্রগতিতে রাজনৈতিক অঙ্গনের মধ্যমণি আমরাই।
চট্টগ্রামের মানুষ সর্বস্তরের জনগণ তাদের সর্বোচ্চ দিয়ে অগ্নিদুর্গতদের চিকিৎসায় সহযোগিতা করেছেন। যেখানে ভ্রাতৃপ্রেম স্বদেশপ্রেম মূখ্য সেখানে বিএনপির মতো ক্যান্টনমেন্টে জন্ম নেওয়া দলটি আজও নোংরা মানসিকতা আকড়ে ধরে বসে আছে। বিপদে আপদে কখনও মানুষের পাশে থেকে সহযোগিতা তো দূরের কথা বরং কিভাবে মানুষের কাজে বাধা দিবে সেকাজে সচেষ্ট থাকে। অসুস্থ মানুষকে নিয়ে ও মশকরা করতে পিছপা হয় না। কখনো স্বেচ্ছায় এক ব্যাগ ব্লাড দিয়ে সহযোগিতা করা তো দূরের কথা, এক গ্লাস পানি দিয়ে সহযোগিতা করতে দেখা যায়নি। সীতাকুণ্ডে অগ্নিদুর্গতদের পাশে ওষুধ, রক্ত পৌঁছে দিতে যখন সবাই ব্যতিব্যস্ত সেসময় তারা এসিরুমে বসে পদ্মা সেতু নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার কেন্দ্রস্থল হতে পারেনি কখনো দলটি আজীবন ক্ষমতার চর্চা করে গেছে।
করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠে যখন দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং বৈশ্বিক রাশিয়- ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে, সেসময় তারা নিজেদের নোংরামি রাজনীতি নিয়ে মশগুল। এদের সমাজের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করার সময় এসেছে। এ দলটি যেমন করোনা ভ্যাক্সিনেশন নিয়ে গুজব ছড়িয়ে ছিল, তেমনি পদ্মা সেতু উদ্বোধনের বিষয় নিয়ে ও গুজব ছড়িয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ২০২২ সালে দক্ষিণ এশিয়ায় উন্নয়নের রোল মডেলের পরিণত হয়েছে আর এই মির্জা ফখরুলরা পড়ে আছে শ্রীলঙ্কা নিয়ে। যে শ্রীলঙ্কাকে বাংলাদেশ ঋণ দিয়ে সহযোগিতা করছে। পাশের দেশ ভারত অর্থনৈতিক ক্রাইসিস মোকাবিলায় বাংলাদেশের সচল অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে উদাহরণ হিসেবে গ্রহণ করেছে সেখানে এই বিএনপি ফখরুল গংরা বিলাপ করে যাচ্ছেন সস্তা গল্প বানিয়ে।
দেশরত্ন শেখ হাসিনা আছেন বলেই আমরা বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে আছি। আমরা বাংলাদেশের উন্নয়নের অংশীদার।কোন গুজব,কোন কুসংস্কার, রুখতে পারবে না।২৫ জুন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন ইনশাআল্লাহ। দক্ষিণ বঙ্গের মানুষের দীর্ঘদিনের চাওয়া এই সেতু।বাংলাদেশের মানুষের আবেগ ভালোবাসা জড়িয়ে আছে এই সেতুর মধ্য দিয়ে।এ আবেগ বোঝার ভাষা ফখরুল গংদের নেই।
আমরা এদের রাজপথে যেমন প্রতিহত করেছি অতীতে, এতিমের সম্পদ মেরে খাওয়া এই দলটিকে এখনোও প্রতিহত করতে প্রস্তুত যেকোনো মূল্যে যদি তারা পুনরায় অরাজকতা /নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা চালায়। জনগণের পাশে থাকাই রাজনীতি যেকোনো পরিস্হিতিতে। গুজব রটানো ফখরুল গংদের ক্ষমা নেই। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা এবং দেশরত্ন শেখ হাসিনার অর্থনৈতিক উন্নয়ন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে আমরা বদ্ধপরিকর।
দেশপ্রেম আমাদের মূল শক্তি।
জনসেবা আমাদের ধর্ম।
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।
লেখক: সহ সম্পাদক, বাংলাদেশ যুবমহিলা লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি
সারাবাংলা/এসএসএ