Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

গুজব-অপপ্রচার চালিয়েই যাচ্ছে বিএনপি-জামায়াত

তাজিন মাবুদ ইমন
২০ জুন ২০২২ ১২:৪৯

পদ্মা সেতু- এই দুটি শব্দই যথেষ্ঠ বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের সক্ষমতাকে প্রমাণ করতে। বাঙালির এক অবিস্মরণীয় স্বপ্নজয়ের নাম পদ্মা সেতু। এক সময়ের স্বপ্নের সেতু এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়। আগামী ২৫ জুন স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ড.ইউনুস ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে মোটা অংকের চাঁদাও দিয়েছিলেন, অনুদান দিয়েছিলেন। হিলারি ক্লিনটন ড.ইউনুসের বন্ধু ছিল। তিনি ছিলেন আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ড.ইউনুস হিলারি ক্লিনটন এর মাধ্যমে কানাডার পরামর্শক কোম্পানির দেশের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেবার পরিকল্পনার অভিযোগ এনে ২৯ জুন ২০১২ সালে পদ্মা সেতু প্রকল্পে ঋণ বাতিল করেছিল বিশ্বব্যাংক। এরপর থেকেই এই সেতু দেশের বহু স্থাপনার মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। পরবর্তীকালে পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্র থাকার ব্যাপারে বিশ্বব্যাংকের অভিযোগের কোন প্রমাণ পায়নি কানাডার আদালত।

বিজ্ঞাপন

এরপরে ধীরে ধীরে সক্ষমতার পরিচয় দিতে থাকে বাংলাদেশ। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের ফলে এবং তথাকথিত দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক যখন পদ্মা সেতুর ঋণ চুক্তি বাতিল করে এবং অন্যান্য দাতাগোষ্ঠীও সরে দাঁড়ায় তখন ওই বছরই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করেন। এ কথা অনস্বীকার্য যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃঢ় মনোভাবের বাস্তব রূপায়ণই আজকের স্বপ্নের পদ্মা সেতু। আমাদের মতো আমজনতার এটা জানা নেই যে, তিনি কিসের ভিত্তিতে, কোন ভরসায় এরকম একটি বড় সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছিলেন।

প্রায় পুরোটা নিজেদের অর্থায়নে সেতুর কর্মকাণ্ড এগিয়ে যেতে থাকে নানা প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে বাঙালি জাতির স্বপ্ন এখন বাস্তব। পদ্মা সেতু যাতে না হয় সে জন্য ষড়যন্ত্রকারীদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল এ দেশের কয়েকটি সংবাদপত্র, যেগুলো দিনের পর দিন পদ্মা সেতুর কল্পিত দুর্নীতি নিয়ে মনগড়া গল্প চালিয়ে গেছে। শত-সহস্র এসব গল্প উড়িয়ে দিয়ে পাঁচ বছরের বেশি সময়ের বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে কানাডার আদালত বলেছে, এই মামলায় যেসব তথ্য দেয়া হয়েছে, তা অনুমানভিত্তিক, গালগল্প এবং গুজবের বেশি কিছু নয়। অতীতে যেমন পদ্মা সেতু নিয়ে বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়ে এসেছিল বিএনপি-জামায়াত। বর্তমানেও পদ্মা সেতুর উদ্ভোধন এর কথা শুনে বিএনপি-জামায়েত এর মাথাব্যথা শুরু হয়ে গেছে। এমনকি তাদের দলের একজন সিনিয়র নেতা গণমাধ্যমে বললো, পদ্মা সেতুর খরচের সকল টাকা চীন থেকে চওড়া সুদে লোন নিয়ে এই সেতু করা হয়েছে। সঠিক তথ্য হল পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয়ের ৩০ হাজার কোটি টাকাই সেতু বিভাগকে দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ, ১% সুদের হারে। সেতু বিভাগ টোল এর মাধ্যমে এই টাকা পরিষদ করবে অর্থ বিভাগকে। এই অভ্যন্তরীণ ঋণ শোধ করতে সময় লাগবে প্রায় ৩৫ বছর।

বিজ্ঞাপন

টোল আদায়ে আধুনিক স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি এবং সেতু পারাপারে টোল ‘অতিরিক্ত বেশি’ বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একের পর এক অপপ্রচার চালিয়েই যাচ্ছে দলটির নেতাকর্মীরা। ফেরিঘাটের ভোগান্তি ও খরচ বিবেচনায় টোল খুব একটা বেশি হয়নি। আর বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, টোলের অংক সামঞ্জস্যপূর্ণ। নির্ধারিত অংকে টোল আদায় করা ছাড়া পদ্মা সেতুর টাকা উঠানো সম্ভব নয়। আর টোল থেকে আয় জন-উন্নয়ন প্রকল্পেই ব্যয় হবে তাই এ নিয়ে প্রশ্ন তোলাও অবান্তর বলেও মনে করেন অনেক বিশেষজ্ঞ। অন্য সেতুর সাথে তুলনা করলে দেখা যায়, যমুনা সেতুতে মোটর সাইকেলের জন্য টোল দিতে হয় ৫০ টাকা। পদ্মায় দিতে হবে ১০০ টাকা। আর ফেরিতে মোটর সাইকেলের জন্য লাগে ৭০ টাকা। আট থেকে ১০ টনি ট্রাকের জন্য ফেরিতে ১ হাজার ৮৫০ টাকা। সেতুতে অতিরিক্ত লাগবে এক হাজার টাকা। বড় বাসের জন্য ফেরিতে ১ হাজার ৫৮০ টাকা। আর সেতুতে দুই হাজার টাকা। কিন্তু ঘাটের যানজট, ফেরির জন্য অপেক্ষা, শ্রমিকদের খরচ আর সময়- সব মিলে পদ্মা সেতুর টোল সামঞ্জস্যপূর্ণ। পদ্মা পার হতে গেলে পণ্যবোঝাই একটি ট্রাককে অপেক্ষা করতে হয় দুই থেকে তিনদিন। ফেরির টোল ছাড়াও শ্রমিকদের এই অপেক্ষার খরচ সেতুর টোলের চেয়েও কয়েকগুণ বেশি। কারণ একটি ট্রাকচালক ও হেলপারের থাকা-খাওয়া ও হাত খরচ মিলিয়ে ব্যয়টা অনেক। আর ভারি ট্রাকের বেলায় পদ্মা সেতুর কারণে দূরত্ব কমবে কমপক্ষে ৪০০ কিলোমিটার। খরচ, সময়, বাস্তবতাসহ সার্বিক বিবেচনায় পদ্মা সেতুর টোল ঠিক আছে। এতে করে ট্রাকের ব্যয় বাড়বে না, কমবে।

কিন্তু এসব তথ্য-উপাত্তভিত্তিক কথায় কি আর বিএনপি-জামাতসহ বাংলাদেশবিরোধীরা দমার পাত্র! তাদের কাজই জনগণের চোখে ধুলো দেওয়া, এবং মিথ্যাচার করা। জাতীয় স্বার্থবিরোধী নানা অপকর্মের কারণে এবং মানুষের পাশে না থাকার কারণে বিএনপি আজ গণবিচ্ছিন্ন।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর অনেক উন্নয়ন প্রকল্পের পাশাপাশি বেশকিছু মেগা প্রকল্প গ্রহণ করে। এসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হলো ‘পদ্মা সেতু নির্মাণ’ প্রকল্প। এটি বাংলাদেশিদের জন্য একটি স্বপ্ন হিসেবে চিত্রিত বা রূপায়িত হয়েছিল। এই স্বপ্নের রূপকার ছিলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তবে বিশ্বব্যাংকের ওই ঘটনার পরপরই আমরা দেখেছিলাম বঙ্গবন্ধুর মানবিক উন্নয়ন দর্শনের একজন নিস্বার্থ ছাত্র ও স্বনামধন্য গবেষক অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত পদ্মা সেতু নিয়ে গভীর বিশ্লেষণধর্মী ও প্রায়োগিক একটি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করেন, যা ওই সময় সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগায়। বৃহৎ গবেষণাপত্রটির শিরোনাম ছিল ‘নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু: জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ সুযোগ’।

গবেষণাপত্রটি বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি কর্তৃক আয়োজিত ‘নিজ অর্থে পদ্মা সেতু’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ হিসেবে ১৯ জুলাই ২০১২ সালে ড. আবুল বারকাত কর্তৃক পঠিত হয়। ওই গবেষণাপত্রেই তিনি উল্লেখ করেন ‘বিশ্বব্যাংক কর্তৃক পদ্মা সেতুর ঋণ চুক্তি বাতিল অনৈতিক ও মহা অন্যায়; তবে তা বাংলাদেশের জন্য এক মহা আশীর্বাদ (blessing in disguise)’। বিস্তারিত হিসাব-পত্তর করে তিনি দেখান যে, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও সদিচ্ছা থাকলে নিজস্ব অর্থায়নেই পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব। তাও একটি নয় চার-চারটি। তার এই গবেষণাপত্র উপস্থাপনের পরে দেশ-বিদেশের অনেক বিজ্ঞ ও পণ্ডিত ব্যক্তি তীব্র সমালোচনা করেন। এমনকি সেসব সমালোচনায় অধ্যাপক বারকাতকে ব্যক্তিগতভাবেও আক্রমণ করা হয়।

ওই সময় প্রবন্ধটি একটি পুস্তিকাকারে প্রকাশিত হয়। ২০১২ সালে গবেষিত ও প্রকাশিত ড. আবুল বারকাতের ওই গবেষণা পুস্তিকাটি একটি নতুন সংযোজিত অধ্যায়সহ ২০২১ সালে গ্রন্থাকারে দ্বিতীয়বার প্রকাশিত হয়। গ্রন্থটির শিরোনাম ‘নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু: জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ সুযোগ, ২০১২ সালে গবেষণায় প্রমাণিত, ২০২১ সালে দৃশ্যমান বাস্তবতা’। এই গ্রন্থের ‘কৃতজ্ঞতা’ অংশে অধ্যাপক বারকাত কর্তৃক নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু সংক্রান্ত গবেষণার প্রেক্ষাপট, বাস্তবতা ও প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন।

অধ্যাপক বারকাত উল্লেখ করেছেন, “২০০৯ সালের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ী হলো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এ বিজয়ে ভূমিকা রেখেছিল নির্বাচনের লক্ষ্যে প্রণীত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার, ‘দিন বদলের সনদ’। ‘সনদ’ রচনার প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০০৬-০৭ সালের দিকে। এ প্রক্রিয়ায় আমি সম্পৃক্ত ছিলাম। তখন আমার রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক ভাবনাজগতে চারটি বিষয় ছিল সর্বাধিক গুরুত্ববহ:
১. দেশে বৈষম্য-দারিদ্র্য দূর করতে হবে যথাদ্রুত সম্ভব
২. সংবিধানের বিধান মান্য করে মানুষের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দেখভালের দায়িত্ব নিতে হবে রাষ্ট্রকে
৩. মানুষের জন্য শোভন কাজ ও মানবিক আবাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে
এবং ৪. উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রকৃতির শক্তিকে মান্য করে ব্যাপক জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করে নিজস্ব অর্থায়নে প্রয়োজনীয় বড় ধরনের অবকাঠামোগত প্রকল্পের পরিকল্পনা প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়ন করতে হবে।”

“এসব কারণেই বৈশ্বিক পুঁজিবাদ-সাম্রাজ্যবাদ-করপোরেট জুলুমবাজি এবং এই জুলুমবাজির ‘দক্ষ এজেন্ট’ বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল ও বিশ্ববাণিজ্য সংস্থা ধরনের প্রতিষ্ঠানের বহুপ্রতিকূল ও দীর্ঘমেয়াদে দেশের সার্বভৌমত্ববিরোধী শর্তাবিষ্ট ঋণজালের খপ্পর থেকে দেশকে মুক্ত করে অর্থনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালন করতে হবে, নিষ্ঠা ও দূরদর্শিতার সাথে। বিশ্বব্যাংকের কোনো ঋণ ও খবরদারি ছাড়া দেশের অর্থে দেশের সম্পদে পদ্মা সেতু উন্নয়নের এই সমীকরণ দেশে ব্যাপক জনসম্মতি পেয়েছিল। ২০১১-১২ সালের দিকে এই জনসম্মতি-জনমতের দৃশ্যমান প্রতিফলন ঘটেছিল যখন নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু বিনির্মাণের প্রশ্ন হাজির হলো। সে কারণেই ‘নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু বিনির্মাণ’ প্রসঙ্গ এলে প্রথমেই নিঃসঙ্কোচ নিঃশর্ত কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হবে এ দেশের সাধারণ মানুষের কাছে।”

“পদ্মা সেতু নির্মাণের ৩০ বছরের মধ্যেই নির্মাণ ব্যয় উঠে আসবে; ১০ম বছর থেকে যেহেতু ঘাটতি থাকবে না, সেহেতু বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে পদ্মা সেতুর জন্য আর বরাদ্দ রাখার প্রয়োজন হবে না; সেতু চালু হওয়ার ৪০তম বছরে নিট ক্যাশ ফ্লো ১০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে, আর ১০০তম বর্ষে তা ছাড়িয়ে যাবে ২ লাখ কোটি টাকা; উন্নত কানেক্টিভিটি সমগ্র অর্থনীতির (শুধু দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের নয়) চেহারা আমূল পাল্টে দেবে। সুতরাং নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু বিনির্মাণ বিষয়টি হতে পারে উন্নয়ন আন্দোলনের (development as movement) বিশ্বনন্দিত ‘Made in Bangladesh’ মডেল।”

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্যা কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অসীম সাহসিকতা ও সুদৃঢ় প্রত্যয়ের সোনালি ফসল, ১৭ কোটি বাঙালির গর্ব ও অহংকার পদ্মা সেতু উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। দেশের আপামর জনগণ তাদের টাকায় প্রমত্তা পদ্মা নদীর ওপর নির্মিত এই সেতুর ওপর দিয়ে যাতায়াতের অপেক্ষায় এখন অধীর আগ্রহে প্রহর গুনছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব অধ্যাপক আবুল বারকাতের গবেষণা কর্মটি সত্যে পরিণত হয়েছে।

স্বপ্নের পদ্মা সেতু এখন নন্দিত বাস্তবতা। পদ্মা সেতু এ দেশের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক উন্নয়নের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলাদেশ উন্নত দেশে রূপান্তরিত হওয়ার ক্ষেত্রে ও জাতীয় একতা বৃদ্ধিতে এই সেতু মেলবন্ধ হিসেবে কাজ করবে। এ কৃতিত্বের পুরোটাই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তনয়া, বঙ্গকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। শেখ হাসিনার অদম্য সাহস আর যোগ্য নেতৃত্বের কারণেই পদ্মার বুকে আজ দৃশ্যমান স্বপ্নের এ সেতু। সোনালী স্বপ্নের এই পদ্মা সেতু শুধু দক্ষিণবঙ্গের সাথে রাজধানী ঢাকার সংযোগ নয় বরং উপ মহাদেশের বিভিন্ন দেশ সহ এশিয়ান হাইওয়ে নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত হয়ে সড়ক যোগাযোগের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় সৃষ্টি করবে। অসম্ভবকে সম্ভব করার নামই নামি বীরত্ব, তার দৃঢ় প্রত্যয় প্রত্যয় এ বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে তার আপন ঠিকানায়, স্বপ্নের ঠিকানায়। অনেক অনেক দূর।

লেখক: শিক্ষার্থী

সারাবাংলা/এসবিডিই/এএসজি

গুজব-অপপ্রচার চালিয়েই যাচ্ছে বিএনপি-জামায়াত তাজিন মাবুদ ইমন মুক্তমত

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর