Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পদ্মা সেতু: নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ভাবনা

মো. আশিকুর রহমান সৈকত
২৬ জুন ২০২২ ২২:১২

পূরণ হলো দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের বহু যুগের লালিত স্বপ্ন। সেতুর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বিশ্ববাসী আরেকবার জানলো বাংলাদেশের অহং, আবেগ ও আভিজাত্যের জৌলুশ। যোগাযোগ, বাণিজ্য, পর্যটনসহ অনেক ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ও সম্ভবনাময় পদ্মা সেতুর মাধ্যমে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষ সুফল ভোগ করবে। ভারত, ভুটান, নেপাল, মায়ানমারসহ প্রতিবেশী দেশ তথা আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্যেও আনবে নতুন মাত্রা। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বাড়বে শিল্প-কারখানায় বিনিয়োগ, গতি পাবে নগরায়ণ, কৃষিতে আসবে নতুন বিপ্লব, বাড়বে কর্মসংস্থান, বিকশিত হবে পর্যটন এবং হ্রাস পাবে দারিদ্র্যতা। শুধুমাত্র বিনিয়োগেই অন্তত সাড়ে তিনগুণ সুফল ফেরত আসবে, এমনই ধারণা বিশেষজ্ঞদের। সেতুর ওপারে প্রক্রিয়াধীন ১৭ অর্থনৈতিক অঞ্চল কার্যকর হলে নিশ্চিত হবে সাড়ে সাত লাখ নতুন কর্মসংস্থান। অমিত সম্ভাবনাময় পদ্মা সেতুর মাধ্যমে আমরা বহুলাংশেই এগিয়ে যাবো সুখী-সমৃদ্ধ-উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্নপূরণে।

বিজ্ঞাপন

পদ্মা সেতু নিয়ে উচ্ছস্বিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও।

বাঙালি জাতির সাহস আর সক্ষমতার প্রতীক

মো. ওয়াহিদুল ইসলাম, লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগ

বাঙালি জাতির সাহস আর সক্ষমতার প্রতীক হয়ে মাথা উঁচু করে স্ব-গৌরবে মহাকালের সাক্ষী হয়েছে এই পদ্মা সেতু। বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আজন্ম সাহসিকতা আর বিজয়ের প্রতীক হিসেবে এই সেতু বাংলাদেশ ছাপিয়ে বিশ্বের দরবারে উন্নয়ন খাতে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকবে। প্রমত্তা পদ্মার ওপর নির্মিত দেশের সর্ববৃহৎ সেতু ‘পদ্মা সেতু’ বাংলাদেশের গণমানুষের জন্য এক গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহাসিক অর্জন হিসাবে উন্মোচিত হয়েছে। হাজারো ব্যর্থতা আর গ্লানি মুছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে এক সুতোই যুক্ত করা এক গৌরবোজ্জ্বল সেতু এটি। বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতিতে সক্ষমতার প্রতীক পদ্মা সেতু আগামী দিনেও গণমানুষের আশা-আকাঙ্খা ও স্বপ্ন পূরণে অবদান রাখবে বলে আমার বিশ্বাস। আর এভাবেই আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন লালিত ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়ে তুলতে সক্ষম হবো।

মনান্তরও রুখতে পারেনি পদ্মা সেতু

নিহার সরকার অংকুর, শিক্ষার্থী, ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ

স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক, আন্তর্জাতিক মতোভেদ, মনান্তর, আক্রোষ থাকার পরেও বাংলাদেশের স্বপ্নের পদ্মা সেতু রুখতে পারেনি। কেবল ৬.১৫ কি.মি. দৈর্ঘ্যের একটি সেতু নয় এটি। বাঙালীর শিরদাঁড়া উঁচু করবার দৃষ্টান্তও এটি। রড, সিমেন্টের নির্মাণের বাইরে এটির গুরুত্ব কেবল তারাই অনুধাবন করতে পারবে যারা নদীর দুই পাড়ে বসতি গড়েছে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে যাদের কাছে রড, সিমেন্টের এই স্বপ্ন অনেক কটাক্ষ বক্তব্য, অসহযোগিতা, কালো বটসম ছায়া, তারাও রুখতে পারেনি আমাদের স্বপ্নকে। এগিয়ে যাবার স্বপ্ন সারথি হোক আমাদের পদ্মা সেতু।

বিজ্ঞাপন

ভাত-রুটির মতো জরুরি ছিলো

মো. নওসাদ আল সাইম, দর্শন বিভাগ

সারাদেশে জন্য পদ্মাসেতু ছিল সপ্নের মতো, কিন্তু দক্ষিণাঞ্চলে মানুষ গুলোর জন্যই পদ্মাসেতু ছিলো ভাত রুটির মতোই জরুরি। দক্ষিণের অনেক মানুষ মারা গিয়েছে শুধু ঢাকায় এসে জরুরি সময়ের মধ্যে চিকিৎসা নিতে না পারায়। ফেরি পারাপারে অনেকেই সময় লেগে যাওয়ায় অনেকে ঢাকায় গিয়ে বিভিন্ন পরিক্ষায় অংশ পর্যন্ত নিতে পারেনি, অনেক জরুরি পণ্য পারাপারে লেগেছে দীর্ঘ সময়। দক্ষিণের মানুষ অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় ছিলো, কবে তাদের “ব্লাক আউটের” দিন কাটবে! অপেক্ষার অবসান হল, আজ তাদের জন্য রৌদ্র করো জ্বল দিনের শুরু।

সারাবাংলা/এজেডএস

পদ্মা সেতু: নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ভাবনা মো. আশিকুর রহমান সৈকত

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর