ধর্মের গুজব দিয়ে একের পর এক শিক্ষক লাঞ্ছনার শেষ কোথায়
৪ জুলাই ২০২২ ১৮:০৭
মোদের দেশ, মোদের জননী। এ যেন এক মানবতার মাপকাঠি। কে হিন্দু, কে মুসলিম, কে বৌদ্ধ এবং কে খ্রিস্টান সব ভেদাভেদ ভুলে মোদের বড় পরিচয় মানুষ। তাই তো মানুষ হিসাবে শোষকদের কাছ থেকে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল মোদের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানরা। আমরা সবাই মানুষ। মানুষের সেবা করায় আমাদের পরম ধর্ম। যেমন টা আমরা দেখেছি বায়ান্ন কিংবা একাত্তরের তেজোদৃপ্ত আন্দোলনের অভিজ্ঞতা থেকে। এ জন্য আমরা নাম দিয়েছি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডায় তো মুক্তবুদ্ধির চর্চা করা হয় না।কিন্তু মুক্ত বুদ্ধির চর্চা করা হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। ফলে শ্রেণিকক্ষে কোনো শ্রেণি বৈষম্য থাকে না। এজন্যই তো অধিকাংশ স্কুল, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের গেটেই লেখা থাকে ‘শিক্ষার জন্য এসো, সেবার জন্য বেড়িয়ে যাও’। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হচ্ছে শ্রেণি বৈষম্য দূর করার প্রধান বাতিঘর। আর সেই বাতিঘরের প্রত্যেকটি জলন্ত আগুনের শিখা হলো ‘শিক্ষক’। সমাজের অন্ধত্ব, উন্মাদনা, কুসংস্কার, কূপমণ্ডূকতা, গোরামি, হিংসাত্মক মনোভাব ইত্যাদি সমস্ত অনৈতিক কর্মকান্ড থেকে মুক্ত করে সমাজ কিংবা রাষ্ট্রকে আলোকিত করেন। মানুষকে মনুষ্যত্ব বোধের মানুষ হিসাবে গড়ে তোলেন।
কিন্তু অত্যন্ত বিপদজনক কথা শিক্ষার পরিবর্তে অশিক্ষা ও কুশিক্ষার দাপট বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিক্ষাঙ্গনের মর্যাদা বৃদ্ধির চেয়ে ব্যাপক হারে সামাজিক অন্ধবিশ্বাস, সাম্প্রদায়িকতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিজ্ঞান শিক্ষার প্রচার ও প্রসার সংকোচন করা হচ্ছে। যেই বাংলাদেশ ৫১ বছর আগে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় দেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিল সেই বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিষবাষ্প চাষ কারা করে? ধ্যানে, জ্ঞানে, মগজে কিংবা সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে উন্মাদনা, কুসংস্কার, কূপমণ্ডূকতা আর ধর্মান্ধতা ভাইরাসের চেয়েও মারাত্ম আকারে গ্রাস করে নিয়েছে। শিক্ষক, ছাত্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা ব্যবস্থা।শব্দ গুলো যেন অবিরাম কাঁদছে। সেই কান্না রাষ্ট্র কি শুনতে পাচ্ছে? বাঙালি জাতি বীর জাতি আছে আমাদের গৌরব-গাথা সংগ্রাম। আজি সব যেন অসভ্যদের দাপটে সব ম্লান হয়ে যাচ্ছে। এমনকি সভ্য সমাজের দাবিদার যেন অসভ্যদের ভীরে জাতিকে মহা অন্ধকার পথে নিয়ে যাচ্ছে। পাঠক আমার কথায় হয়তো কষ্ট পেতে পারেন। কারণ আপনারা হয়তো বলবেন বিশ্বায়নের যুগে মোদের সবুজ শ্যামল সোনার বাংলাদেশেও ডিজিটাল দেশে পরিনত হয়েছে। উন্নয়নের ছোঁয়ায় বিশ্বে আমাদের প্রশংসা বাড়ছে। তা সত্য কথা কিন্তু সব উন্নয়ন দুমড়ে মুচড়ে ধ্বংস হওয়ার সম্ভবনায়। তখন বিশ্বে প্রশংসিত নয় নিন্দার পর নিন্দার বাণী আকাশে ভেসে আসবে যদি আমাদের শিক্ষাব্যস্থা সুস্থ ধারায় পরিচালিত করতে না পারি। সেই সাথে শিক্ষককের মর্যদা দিতে না পারি তাহলে নিমিষেই সব কিছু ধ্বংসস্তুপে পরিনত হবে। তখন দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া কিছু থাকবে না।
আমাদের সমাজে অপরাধের মাত্রা এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে আমরা অপরাধের সাথে থেকে অভ্যাস্ত হয়ে গেছি। ফলে অপরাধকেও অনেক সময় সঠিক কাজ হিসাবে বিবেচিত করি। ক’দিন আগেই ব্যথিত মন নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম ‘পুলিশের সামনে কলেজের অধ্যক্ষের গলায় জুতার মালা! হতভাগ্য জাতির শিক্ষার মানদণ্ড রসাতলে পৌঁছে গেছে। বাতিঘরের গলায় জুতারমালা- এ মালা শিক্ষককের গলায় নয় জাতির গলায় পড়ে দিল ধর্মান্ধতা আর উন্মাদ দল। উন্মাদনা, ধর্মান্ধতা, উগ্রতা আজি এক হয়ে মিশে গেছে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে চুষে খাচ্ছে ওরা।’ এই কয়েকটি বাক্য লেখার কারণে ব্যক্তিগত আক্রমণের শিকার হতে হয়েছে। এমনকি আমি কোন ধর্মের তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। শুধু তাই নয় জনপ্রিয় একটি জাতীয় পত্রিকায় ‘কাঠমোল্লা ও পুঁজিবাদের দৌরাত্ম্যে’ শিরোনামে আমরা একটি কলাম প্রকাশিত হয়েছিল। সেই লেখা নিয়ে নানা মহলে আলোচনা ও সমালোচনা হয়। এখানেও ব্যক্তিগত আক্রমণের শিকার হতে হয়েছিল। অথচ আমার লেখার মধ্যে আমি বুঝিয়েছি ধর্মকে ব্যবহার করে যারা নিজের স্বার্থে কাজ করেন, যারা কোমলমতি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের বলাৎকার করে, যারা ধর্ম ও নারী বিদ্বেষী কথা বলেন, যারা মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করেন, যারা জাতি পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভেঙে দেয়, যারা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত বলে গুজব রটায়ে নিরীহ মানুষকে আগুনে পুড়ে মারেন, যারা পহেলা বৈশাখ নিয়ে অপপ্রচার চালায়,যারা লালন শাহ, কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা কিংবা প্রগতিশীল লেখকের লেখা পাঠ্যপুস্তক থেকে বাদ দেওয়ার জন্য স্লোগান তুলেন- আমি সেই সব মানুষের বিরুদ্ধে লেখেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় কলামের ভিতর অংশ না পড়েই গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করে।
বাংলাদেশের ১৯৭২ সালে রচিত সংবিধানের চার মূলনীতির মধ্যে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলা আছে এবং সংবিধানের নাগরিকের মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে। ফলে রাষ্ট্রের নাগরিক হিসাবে সবার মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে। কিন্তু খুব উদ্বিগ্নতার সাথে বলতে হয় মত প্রকাশের স্বাধীনতা যেন ঝুরির তলানিতে যাচ্ছে। কিন্তু খুব উদ্বিগ্নতার সাথে বলতে হয় মত প্রকাশের স্বাধীনতা যেন ঝুরির তলানি যাচ্ছে। কারণ বর্তমানে মানুষকে অপমান, অপদস্ত, নির্যাতন, হামলা, মামলা, হুমকি, হত্যা করার বড় হাতিয়ার ধর্মের গুজব। যার ফলাফল হিসাবে আমরা দেখতে পাচ্ছি। কয়েক বছর আগে একজন সংসদ সদস্য ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অপবাদ দিয়ে একজন প্রধান শিক্ষককে কান ধরিয়ে ওঠবস করিয়েছিলেন। এই ঘটনায় কি শেষে? উত্তর হচ্ছে এটাই শেষ নয়। ক’দিন আগে মুন্সিগঞ্জের বিনোদপুর রামকুমার উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক হৃদয় মণ্ডলকে খুব পরিকল্পিত ভাবে হেনস্তা করার জন্য শ্রেণিকক্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থী ধর্ম অবমাননার মিথ্যা অপবাদ দিয়ে দেশে পত্রিকার শিরোনাম বানিয়েছে। যারা বিজ্ঞানের শিক্ষক হৃদয় মণ্ডলকে জেলে পাঠিয়েছেন তাদের কি কোনো বিচার হয়েছে? সেটা উত্তর রাষ্ট্রেই ভালো দিতে পারবেন। নওগাঁ মহাদেবপুরের ঘটনা কি আমরা ভুলে গেছি? সেখানে হিন্দু শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ধর্মীয় পোশাক পরার বিরুদ্ধে ধর্মের গুজব ছড়িয়ে সেখানকার উন্মাদের দল তান্ডবলীলা চালিয়েছিল স্কুলে।
সম্প্রতি নড়াইলের মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে জুতার মালা পরিয়ে অপদস্থ করা, তিনজন শিক্ষকের মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়াসহ কলেজে ভয়ানক দাঙ্গা সৃষ্টির মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এর কারণ ফেসবুকের সরাসরি ধর্ম-সংক্রান্ত নয় এমন একটি পোস্ট একজন শিক্ষার্থী শেয়ার দেওয়ার অপরাধে হিন্দু সম্প্রদায়ের কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর উপর বর্বর অসভ্য কাজ হয়েছিল তা আপনার বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছেন। সেই রেষ কাটতে না কাটতেই সাভারের হাজী ইউনুছ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আশরাফুল আহসান জিতু তারই শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে ক্রিকেট স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। হাসপাতালে মারা যান সেই শিক্ষক। শিক্ষককের সব চেয়ে বড় অপরাধ তিনি তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী জিতুকে শাসন করেছিলেন। শাসন করার কারণ সেই ছাত্র ইভ টিজিং নানা অনৈতিক কাজে জড়িত ছিল। সবচেয়ে আশ্চর্যের কথা দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী শিক্ষককে আঘাত করার পরও শিক্ষাঙ্গন থেকে বীরের মত বেড়িয়ে গেছে।
প্রশ্ন হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এসব হচ্ছে কেন? কেন একজন শিক্ষার্থী সন্ত্রাসী কিংবা সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ঘটানোর মানুষিকতায় তৈরী হচ্ছে? কেন যত দিন যাচ্ছে ততই শিক্ষক সমাজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন? রাষ্ট্র কি শিক্ষকের মর্যাদা দিতে পারে? শিক্ষককে পেটানো কিংবা ছাত্রকে পেটানো সংস্কৃতি তো রাষ্ট্রেই তৈরী করেছে। রাজপথে যখন শিক্ষক সমাজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয় করণের দাবিতে আন্দোলন করেন তখন দেখি প্রশাসনের দ্বারা আমাদের শিক্ষক সমাজ নির্যাতিত হয়। যখন দেখি পরিবেশ বাঁচাও দেশ বাঁচাও দাবিতে শিক্ষক আন্দোলন করে তখনও নির্যাতন করেন। আবার কোনো যৌক্তিক দাবি নিয়ে যখন ছাত্রসমাজ রাজপথে আন্দোলন করে তখনও হামলা মামলা নির্যাতনের শিকার হতে হয়। এই সংস্কৃতি আমাদের নতুন প্রজন্ম দেখে শিখে। কিছু অংশ আবার রাজনৈতিক পরিচয়ে এমন বেপরোয়া হয়ে ওঠার ‘সুযোগ’ পায়। অপর দিকে ধর্মীয় কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত গুজবে বিশ্বাসী হয়ে শিক্ষার্থী নামধারী কিশোর-তরুণদের একটি অংশ শিক্ষককে অপদস্থ করতে মোটেও দ্বিধা করে না। ফলে এর পেছনের গল্পটা রাষ্ট্রের খুঁজে বের করা উচিত। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ধরনের ঘটনা প্রধান কারণ গুলো হতে কখনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটি, কখনো স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ শিক্ষকের অংশ। ফলে দেশের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থায় নিয়মনীতি ও নৈতিকতার পরিবর্তে অনিয়ম, পেশিশক্তি, উচ্চবিত্তের অহংবোধ, দলবাজি ইত্যাদিকে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে।
গোটা শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে কাঠামোগত ভাবে গভীর চক্রান্ত চলছে। একের পর এক গুজব কিংবা চক্রান্তে শ্যামল কান্তি, লতা সমাদ্দার, হৃদয় মণ্ডল, আমোদিনী পাল, স্বপন কুমার বিশ্বাস, সঞ্জয় সরকার, উমেশ রায়, মিল্টন তালুকদার, উৎপল সরকার- এরকম শত মানুষ নির্যাতিত অথবা জীবন দিতে হয়েছে। আরও কত মানুষ এ ভাবে বলির পাঠা হবে? কথাগুলো বলতে না বলতেই গত ১ জুন শুক্রবার জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সাবেক দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পাওয়া অধ্যাপক ড. রতন সিদ্দিকীর বাসার সামনে বাজার বসাতে না করায় নাস্তিক আখ্যা দিয়ে অধ্যাপকের বাসায় ‘মুসল্লিদের’ হামলা। দেশ আজ কোন পথে? হামলার কারণ তিনি জানান ‘একটি চক্র বাসার গেটের সামনে নিয়মিত বাজার বসায়, গেটের সামনে সবজির ভ্যান দাঁড়িয়ে থাকে। এসব কারণে আমরা বাড়িতে গাড়ি নিয়ে ঢুকতে পারি না। আজও গাড়ি ঢুকতে দিচ্ছিল না। গেটের সামনে একটি মোটরসাইকেল রাখা ছিল, বাবা মোটরসাইকেলটি সরাতে বলেন। তারা বলেন, সরাবেন না। এরপর হঠাৎ করেই নাস্তিক নাস্তিক বলে চিৎকার করে বাসার গেটে হামলা শুরু করে। এ সময় অনেকেই হিন্দু, হিন্দু বলে চিৎকার করেন। এদের মধ্যে কেউ ঢিল ছোড়েন, তারপর গেট ভাঙার চেষ্টা করেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ নারায় তাকবির বলে স্লোগানো দিতে থাকেন।’ এভাবে যদি গুজবের নামে এই সহিংসতা ঘটতেই থাকে তাহলে শেষ পরিনতি কি হবে? আদতে যারা সাম্প্রদায়িক ভাঙা সৃষ্টি করেন তারা কি সভ্য সমাজ চায়?
জাতির এই দুর্দশায় যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। শিক্ষক উৎপল সরকারের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষককের সর্বোচ্চ মর্যাদা দিতে পর্যাপ্ত বেতন বোনাস দিতে হবে। বিজ্ঞান শিক্ষা সংকোচন নয় প্রসার করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। দেশের সুস্থ ধারার রাজনীতি পরিচালিত করতে হবে। যারা কথায় কথায় ধর্মের নামে গুজব ছড়িয়ে দেশে সহিংসতা তৈরী করে। তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। অক্সিজেন ছাড়া যেমন মানুষ পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে পারে না। ঠিক তেমনি শিক্ষার আলো ছাড়া রাষ্ট্র চলতে পারে না। আর সেই আলো ছড়ানো শিক্ষক, শিক্ষার্থী আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মুক্তবুদ্ধির চর্চার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
লেখক: প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট।
সারাবাংলা/এসবিডিই/এএসজি
ধর্মের গুজব দিয়ে একের পর এক শিক্ষক লাঞ্ছনার শেষ কোথায় মুক্তমত রাশেদুজ্জামান রাশেদ