শুভ জন্মদিন আগামীর বাংলাদেশ
২৭ জুলাই ২০২২ ১৬:২৫
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রধান নেতা, জাতির জনক ও বাংলাদেশ সরকারের প্রথম রাষ্ট্রপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ-এর প্রতিষ্টাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। সজীব ওয়াজেদ জয় ভারতের বেঙ্গালুরু থেকে ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক শেষ করেন। ঐতিহ্যবাহী রাজনীতির ইতিহাস থাকা পরিবারের সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় এরপর হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোক প্রশাসন বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। আনুষ্ঠানিক শিক্ষাজীবন শেষে একজন আইটি প্রফেশনাল হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালিতে ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠিত করেন জয়। হয়ে ওঠেন একজন সফল আইটি উদ্যোক্তা। দেশের আইসিটি খাত সংশ্লিষ্টদের মতামত ও আনুষ্ঠানিক শিক্ষাগত যোগ্যতা আর পেশাগত কাজের অভিজ্ঞতা; এই দুইয়ের মিশেলেই দেশের আইসিটি খাতের এমন তড়িৎ উন্নতিতে সফল নেতৃত্ব দিতে পেরেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
সজীব ওয়াজেদ জয়-এর পরামর্শে ২০০৯ সালেই আইসিটি পলিসি করা হয়। তখনই কিন্তু এই পলিসি বাস্তবায়নে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে কী কী করতে হবে সেগুলো বলে দেন। তার নেতৃত্বেই এখন শ্রম নির্ভর অর্থনীতি থেকে প্রযুক্তি নির্ভর অর্থনীতির দেশ হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের প্রাথমিক ধাপ হিসেবে ইন্টারনেটকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করেন সজীব ওয়াজেদ জয়। ইউনিয়ন পর্যায়ের পাশাপাশি চর বা পার্বত্য অঞ্চলের মতো প্রত্যন্ত এলাকায় ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। যেসব এলাকা ইন্টারনেট সুবিধার বাইরে আছে, কাজ চলছে সেগুলোতেও। আইসিটি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালে ইউনিয়ন পর্যায়ে গড়ে তোলা হয় ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার। ২০১৪ সালে উচ্চ গতির ফাইবার অপটিক ক্যাবল দিয়ে জেলা পর্যায়কে ইন্টারনেট সুবিধার আওতায় আনা হয়। ২০১৫ সাল থেকে সেটি উপজেলা পর্যায়ে সম্প্রসারণ শুরু হয়। প্রায় তিন হাজার ইউনিয়নে বর্তমানে ফাইবার অপটিক সংযোগ রয়েছে। অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষাখাতেও আইসিটি তথা প্রযুক্তির বিকাশের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। দেশের প্রায় আট হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্থাপন করা হয়েছে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব। সকল প্রতিষ্ঠানেই এই প্রযুক্তির আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্য রয়েছে সরকারের। ছোটবেলা থেকেই শিক্ষার্থীদের আইসিটির সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে প্রাথমিক পর্যায়ের পাঠ্যসূচিতে আইসিটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতকদের চাকরি এবং ব্যবসার বাজারে সুযোগ বৃদ্ধিতে গড়ে তোলা হচ্ছে বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টার। ইতিমধ্যে বুয়েট এবং চুয়েট-এ এমন দুইটি সেন্টার চালু করা হয়েছে। ২০১৬ সালের অক্টোবরে তিনি ‘স্টার্টআপ বাংলাদেশ’ ক্যাম্পেইন চালু করেন। এখন পর্যন্ত পাঁচ হাজারের বেশি দেশিয় স্টার্টআপকে সাপোর্ট করা হয়েছে। ১৩০টি স্টার্টআপকে সরাসরি সহায়তা করা হয়েছে। ইনোভেশন ফান্ড থেকে লক্ষাধিক স্টার্টআপকে পৃষ্ঠপোষকতা করা হচ্ছে। এর ফলে প্রায় আড়াই হাজার দেশিয় স্টার্টআপ কিন্তু একরকমভাবে দাঁড়িয়ে গেছে। দেশে এখন মিলিয়ন ডলার ভ্যালুয়েশনের স্টার্টআপও রয়েছে। দেশের আইসিটি খাতকে এগিয়ে নিতে এবং পূর্ণাঙ্গ-স্বয়ংসম্পূর্ণ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে দুইটি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। এর একটি হচ্ছে, ক্যাশলেস সমাজ গঠন অর্থাৎ সকল লেনদেন নগদের বদলে ডিজিটাল মাধ্যমে করা। অপরটি হচ্ছে সকল সরকারি সেবা অনলাইনে নিয়ে আসা।
আমরা যদি গ্রামের দিকে তাকাই, গ্রাম এখন প্রযুক্তির দিক দিয়ে অনেক উন্নত হয়েছে। এখন বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, মাতৃসনদ ভাতা, বিভিন্ন ভাতা এখন প্রতিটা ইউনিয়ন পরিষদ-এর ডিজিটাল সেন্টার থেকে দেওয়া হচ্ছে। এখন বিভিন্ন ভাতার টাকার জন্য ব্যাংকে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় না। মোবাইলে টাকা চলে আসতেছে। প্রযুক্তি আমাদের জীবন-যাপন অনেক সহজতর করে দিয়েছে। স্কুল, কলেজে ভর্তি এখন অনলাইনে হচ্ছে। আমাদের দেশে এই সব কিছুর পিছনে একটি মানুষের অবদান তিনি হলেন সজীব ওয়াজেদ জয়। তারুণ্য চাইলেই পারে যেকোনো সমস্যার সমাধান করতে। তারুণ্যই পারে সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। তারুণ্যই পারে পরিবর্তন করতে সমাজব্যবস্থাকে। বঙ্গবন্ধু ছিলেন মনেপ্রাণে তরুণ বাঙালি। এ প্রজন্মের তরুণদের মনে রাখা দরকার, বঙ্গবন্ধু ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের ২১ দফা থেকে শুরু করে ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের পূর্ব দিন পর্যন্ত দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের পক্ষে ছিল তার রাষ্ট্রনীতি। তিনি সব সময় শোষিতের মুক্তি কামনা করতেন। আজীবন সংগ্রামে যেমন তিনি অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি; তেমনি স্বাধীন দেশের সমাজকে সব অপশক্তির কবল থেকে মুক্ত করার জন্য দুর্নীতির বিরুদ্ধে ছিল তার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর। তারই দৌহিত্র বর্তমান তরুন প্রজন্মের অহংকার সজীব ওয়াজেদ জয়-এর নেতৃত্বে প্রযুক্তি এর দিক দিয়ে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। তিনিই আগামীর বাংলাদেশ। আগামীতে উনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সব দিক দিয়ে এগিয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।
লেখক: শিক্ষার্থী
সারাবাংলা/এসবিডিই/এএসজি