Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শুভ জন্মদিন আমাদের একমাত্র অভিভাবক

তাজিন মাবুদ ইমন
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১১:২৮

‘জাতির যে কোনো ক্রান্তিলগ্নে ছাত্রলীগ সব সময় বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করেছে। যখন আমার বাবা (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) জেলে থাকতেন তখন ছাত্রলীগ সব সময় যোগাযোগ রাখত আমার মায়ের সাথে এবং তিনি নির্দেশনা দিতেন। সেই নির্দেশনা মোতাবেকই কিন্তু ছাত্রলীগ কাজ করত’- প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রধান নেতা, জাতির জনক ও বাংলাদেশ সরকারের প্রথম রাষ্ট্রপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ-এর প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।

বিজ্ঞাপন

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের ৫ সন্তানের মধ্যে জ্যেষ্ঠ শেখ হাসিনা। গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তিনি জন্মগ্রহণ করেন। শেখ হাসিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৩ সালে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সরকারি ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজের ছাত্রসংসদের সহসভাপতি ছিলেন। তিনি এই কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পরের বছর সভাপতি ছিলেন। শেখ হাসিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একজন সদস্য এবং ছাত্রলীগের রোকেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকেই শেখ হাসিনা সকল গণআন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।

বিজ্ঞাপন

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ভয়াল রাত্রিতে সপরিবারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হলেও তৎকালীন পশ্চিম জার্মানিতে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা। পরবর্তী ছয় বছর লন্ডন ও দিল্লিতে নির্বাসিত জীবন কাটাতে হয় তাদের দুই বোনকে।

১৯৮১ সালে সর্বসম্মতিক্রমে শেখ হাসিনাকে তার অনুপস্থিতিতেই আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনা দীর্ঘ ছয় বছর পর যখন বাংলার মাটিতে পা দেন। ১৯৯৬ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ১৪৬টি আসন পেয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করে। ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন প্রথমবারের মতো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। ১৯৯৬-২০০১ পাঁচ বছর ছিল স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল সময়। শেখ হাসিনার নিরলস প্রচেষ্টায় ১৯৯৯ সালের নভেম্বরে ইউনেস্কোর ৩০তম সাধারণ সম্মেলনে ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে বাঙালি জাতির গর্ব ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদান করে।

২০০৪ সালে ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে তাকে এবং তার অনুগামীদের হত্যার উদ্দেশে নারকীয় গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। ওই ঘটনায় সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবাণীতে বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও নারী নেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। কানের পর্দা ফেটে গিয়ে আহত হন শেখ হাসিনা। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদের নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৬৪টি আসন লাভ করে।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ। ১২ জানুয়ারি তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা। ২০১৮ সালে চতুর্থ বারের মত নির্বাচনে জয়লাভ করে দলকে দেশের নেতৃত্বের আসনে বসাতে সক্ষম হন।তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। স্থায়ী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, খাদ্যে স্বনির্ভরতা, নারীর ক্ষমতায়ন, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গ্রামীণ অবকাঠামো, যোগাযোগ, জ্বালানী ও বিদ্যুৎ, বাণিজ্য, আইসিটি এবং এসএমই খাতে এসেছে ব্যাপক সাফল্য। এছাড়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিচার, পার্বত্য চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি সম্পাদন, একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতিসহ জাতীয় জীবনের বহুক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছেন তিনি।

শেখ হাসিনা বেশ কয়েকটি গ্রন্থের রচয়িতা। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে: ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’, ‘ওরা টোকাই কেন?’, ‘বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রের জন্ম’, ‘দারিদ্র্য বিমোচন, কিছু ভাবনা’, ‘আমার স্বপ্ন, আমার সংগ্রাম’, ‘আমরা জনগণের কথা বলতে এসেছি’, ‘সামরিকতন্ত্র বনাম গণতন্ত্র’, ‘সাদা কালো’, ‘সবুজ মাঠ পেরিয়ে’, ‘Miles to Go, The Quest for Vision-2021 (two volumes)’। শেখ হাসিনার জ্যেষ্ঠ পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় একজন তথ্য প্রযুক্তি বিশারদ। তার একমাত্র কন্যা সায়মা হোসেন ওয়াজেদ একজন মনোবিজ্ঞানী এবং তিনি অটিস্টিক শিশুদের কল্যাণে কাজ করছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন কেন অনন্য? অনন্য এ কারণেই তিনি এখন বাংলাদেশের মুখচ্ছবি। তার হাত ধরেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের স্বর্ণ শিখরে। তিনি যেন আজ বাংলাদেশের আশা আকাঙ্খার মূর্ত প্রতীক। শেখ হাসিনা মানেই বাংলাদেশের উন্নয়ন। শেখ হাসিনা মানেই মানুষের আস্থা। শেখ হাসিনার জন্মদিন মানে শুধুমাত্র একজন ব্যাক্তির জন্মদিন নয়, আমাদের স্বপ্ন বুননের দিন, আমাদের স্বপ্নের জাগরণের দিন, আমাদের আস্থার দিন, আমাদের অর্জনের দিন। ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেত্রী, বঙ্গবন্ধু কন্যা, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে উনার সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু, সফলতা কামনা করি। এবং উনার গতিশীল নেতৃত্বে দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর লক্ষ্যে, দুর্নীতি, মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে কার্যকরী পদক্ষেপের বাস্তবায়ন-ই হোক।

লেখক: শিক্ষার্থী

সারাবাংলা/এসবিডিই/এএসজি

তাজিন মাবুদ ইমন মুক্তমত শুভ জন্মদিন আমাদের একমাত্র অভিভাবক

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

সিটিকে সরিয়ে শীর্ষে লিভারপুল
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:২০

পদ্মায় কমেছে পানি, থামছে না ভাঙন
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:১৯

সম্পর্কিত খবর