Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

প্রাথমিকের শূন্য পদে প্রতিশ্রুত নিয়োগ ঘুচাবে শিক্ষক সংকট

মো. নজরুল ইসলাম
৩০ নভেম্বর ২০২২ ১৭:০৩

করোনা মহামারী সারাবিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলেছে। অসংখ্য মানুষ কর্মসংস্থান হারিয়েছে। বেকারত্বের লাইন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়েছে। বিদ্যমান শিক্ষিত বেকার, নতুন যুক্ত বেকারদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাজ প্রকট হয়েছে।কোভিড সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য চাকরির সার্কুলার হয়নি। বড় কোনো নিয়োগ পরীক্ষাও হয়নি। এভাবে অনেকের চাকরির বয়স শেষ হয়েছে। অনেকের বয়স শেষ হওয়ার দ্বারপ্রান্তে।

বিজ্ঞাপন

বলা বাহুল্য করোনাত্তোর সময়ে শিক্ষিত বেকারদের এক দারুণ দুঃসময়ের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। তবে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২০ এই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত বেকারদের মাঝে অনেকটা আশার বীজ উদিত করেছিল। কারণ উক্ত সার্কুলার প্রকাশের সময় বলা হয়েছিল প্রায় ৩২ হাজার ৫’শ নিয়োগ দেয়া হবে। কিন্তু পরবর্তীতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন মন্ত্রণালয়ের এক মিটিংয়ে বলেছিলেন প্রায় পয়তাল্লিশ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। কিছুদিন পূর্বে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদ্য বিদায়ী সচিবও বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছিলেন যে প্রায় ৫৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হতে পারে।

বিজ্ঞাপন

ইতোমধ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরিক্ষা ২০২০ এর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। প্রায় এক লাখ একান্ন হাজার প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। বিগত বছরগুলোর নিয়োগ পরিক্ষাগুলোতে তিনের এক অনুপাতে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। সে হিসেবে এবারও প্রায় পঞ্চাশ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হওয়ার যৌক্তিকতা রয়েছে।

প্রাথমিকের ইতিহাসে এতো বড় নিয়োগ দ্বিতীয়টি নেই। তাই সকলেই কমবেশি আশায় বুক বেঁধেছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ সহসাই সেই আশায় গুড়ে বালি ছিটিয়ে দিয়েছে। বলা হচ্ছে ৩২ হাজারই নিয়োগ দেয়া হবে অর্থাৎ পদ সংখ্যা বাড়ছে না। যা প্রায় এক লাখ একান্ন হাজার প্রার্থীর মন ভেঙে দিয়েছে। ৩২ হাজার নিয়োগ দিলে অনেকের স্বপ্ন ভঙ্গ হবে।

প্রশ্ন হলো, যদি ৩২ হাজারই নেয়া হবে তাহলে পঁয়তাল্লিশ হাজার বা আটান্ন হাজারের কথা কেন চাউর করা হল? এতো সংখ্যক ( পাঁচের এক অনুপাতে) প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষাইবা কেনো নেয়া হলো? এটা এক ধরনের বৈষম্য। কথা দিয়ে কথা না রাখার শামিল।

এটা স্পষ্ট যে, চলমান প্রকল্প পিইডিপি-৪ অনুযায়ী প্রাথমিকে বহুল সংখ্যক শূন্যপদ ফাঁকা রয়েছে।

অন্যান্যবারের চেয়ে এবার নিয়োগ পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে। শিক্ষাগত যোগ্যতাও স্নাতক ধরা হয়েছে। এমনকি এবারের লিখিত পরীক্ষায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর প্রার্থীরা উত্তীর্ণ হয়েছে।

তাই কর্তৃপক্ষের নিকট আকুল আর্জি, এবারের নিয়োগে সর্বোচ্চ সংখ্যক (সাবেক সচিবের কথা অনুযায়ী ৫৮ হাজার) শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হোক। এতে করে আটান্ন হাজার বেকারের বেকারত্ব ঘুচবে। আটান্ন হাজার প্রার্থীর আটান্ন হাজার পরিবার রয়েছে। সকলের মুখে হাসি ফুটবে। প্রাথমিক শিক্ষাখাতে যে প্রকট শিক্ষক সংটক রয়েছে তাও দূর হবে। বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার ছিল ‘ঘরে ঘরে চাকরি’ তা বাস্তবায়নে সহায়ক হবে। যা সন্দেহাতীত ভাবে আসন্ন নির্বাচনে বর্তমান সরকারের জন্য ইতিবাচক প্রভাব বয়ে আনবে।

লেখক: চাকরি প্রত্যাশী

সারাবাংলা/এজেডএস

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ মো. নজরুল ইসলাম

বিজ্ঞাপন

নতুন ইসির শপথ রোববার দুপুরে
২২ নভেম্বর ২০২৪ ১৪:২৩

আরো

সম্পর্কিত খবর