Monday 25 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জৌলুস হারাচ্ছে বিপিএল

মোহাম্মদ নাদের হোসেন ভূঁইয়া
২৩ জানুয়ারি ২০২৩ ১৬:১৯

দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি আসর বিপিএল। বলা যায় এটি হলো পাইপলাইনে থাকা ক্রিকেটার পরীক্ষার সর্বশেষ স্তর। এই স্তারে যারা যোগ্যতার সাক্ষ্য রাখতে সক্ষম হবে তারা সরাসরি সুযোগ পাবে জাতীয় দলে। অষ্টম আসর শেষ করে নবম আসর চলছে বিপিএলের। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে যুগ ফেরিয়ে আধুনিকতার ছোঁয়া নিয়ে কতটা আধুনিক হলো বিপিএল?

আমার দুই-এক আসর আগেও বিপিএল নিয়ে আগ্রহের কমতি ছিলো না। কিন্তু এবার আমার বিপিএল নিয়ে খুব একটা আগ্রহ নেই বললেই চলে। আমি মনে করি বেশীর ভাগ মানুষের অবস্থা এইরকম। পাশের দেশ ভারতের আইপিএলকে নিয়ে বাংলাদেশে যে উত্তেজনা দেখা যায় তার এক শতাংশও বিপিএল নিয়ে নেই। চট্টগ্রামে বিপিএলের প্রথমদিন শুক্রবার মাঠে এসেছিলেন আট থেকে দশ হাজার দর্শক। কমতে কমতে এখন তা তিন থেকে চার হাজার।

বিজ্ঞাপন

তার মানে দর্শক মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন বিপিএল থেকে। এর পেছনে কিছু বিশেষ কারণ রয়েছে। প্রধানত তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে বিশ্ব ক্রিকেটে বইছে উন্নতির হাওয়া। পাশের দেশ ভারতসহ বিশ্বের সকল বড় বড় ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো সেই প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ নিয়ে নিজেদের নিয়েছে অনন্য উচ্চতায়। কিন্তু বাংলাদেশ বিভিন্ন অজুহাত দেশের বিপিএলের মত এতো বড় আসলে ডিআরএস মত অতীব গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি রাখতে ব্যর্থ।কিন্তু রাখা হয়েছে এডিআরএস নামে হাস্যকর প্রযুক্তির উদ্ভাবন। যা কিনা উপকারের চাইতে অপকার করছে বেশি। ফলশ্রুতিতে আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত নিতে বড় সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এছাড়া রয়েছে বিদেশী খেলোয়াড়দের সাথে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির ব্যর্থতা।বএছাড়াও রয়েছে নানান অভিযোগ। যেমন বিদেশি খেলোয়াড়দের অধিক মূল্য দিয়ে কেনা, কিন্তু বাংলাদেশীদের কম মূল্য দেয়া। রয়েছে দলগুলোর নেট অনুশীলনে সমস্যা, মাঠের স্বল্পতার কারণে এক মাঠে করতে হচ্ছে সব দলের অনুশীলন। যা খেলোয়াড়ের মানসিকতা বড় প্রভাব ফেলছে। সব সমস্যা নিয়ে খেলোয়াড় ও কোচদের মধ্যে রয়েছে বিরূপ প্রতিক্রিয়া। সাকিব তো একপ্রকার অভিমান করে বলেই দিলেন সুযোগ পেলে দুই মাসে বিপিএল এর মান বাড়ানো সম্ভব। তাহলে প্রশ্ন বিসিবি কেন পারছে না?

বিজ্ঞাপন

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট বোর্ডের তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের মান দেখে প্রশ্ন জাগে দেশের ক্রিকেট কি আধো ভালো অবস্থানে রয়েছে। প্রশ্ন উঠে অর্থের সঠিক ব্যবহার হচ্ছে তো! নাকি অধিক অর্থ অনর্থের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আশা করি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিষয়গুলোতে সুনজর দিবে। আর বিষয় গুলো খুব জটিল কিছু নয়। সামান্য সুনজর আর আন্তরিকতা থাকলে সমস্যাগুলো সমাধান করা সম্ভব। আর তাহলে একদিন বাংলাদেশ বিশ্ব ক্রিকেট রাজত্ব করতে পারবে।

লেখক: শিক্ষার্থী

সারাবাংলা/এজেডএস/এসবিডিই

বিপিএল মোহাম্মদ নাদের হোসেন ভূঁইয়া

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর