Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ছাত্রসমাজের সংগ্রামী ভালোবাসার গল্প

রাশেদুজ্জামান রাশেদ
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৭:৫৬

বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশের তরুণ-তরুণীরা নানা রঙে ঢঙে দিনটিকে রাঙিয়ে তোলেন। নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ভালোবাসা দিবসের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। কেউ অপেক্ষায় থাকে কলেজ ক্যাম্পাসে, কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে আবার কেউ অপেক্ষায় থাকে পার্কে। আনন্দময় দিনে দুঃখের বিষয় বিশ্ব ভালোবাসা দিবস পালন করতে গিয়ে অনেকেই লাঞ্ছিত কিংবা নির্যাতিত হয়। তখন খারাপ লাগে কিন্তু এখানেই শেষ নয় বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে একশ্রেণির পুঁজিবাদী মানুষ তাদের পণ্য বিক্রি করে রাতারাতি আরও কোটিপতি হয়ে যায়। ভিতর থেকে এক শ্রেণির মানুষ শোষণের যাঁতাকলে পৃষ্ঠ হয়।

ভালোবাসা মানেই যদি এক দিনের উদযাপন তাহলে বাকী দিন গুলো ভালোবাসা ছাড়া কেমন করে চলে? মানবজাতির বসবাসের যোগ্য গ্রহ হচ্ছে পৃথিবী। এই পৃথিবীর প্রতি মানুষের যদি ভালোবাসা সারাক্ষণ না থাকতো তাহলে পৃথিবীতে মানবজাতির অস্তিত্ব টিকে থাকত না। মুক্ত ভালোবাসায়, নিঃস্বার্থ ভালোবাসায় মানুষকে প্রাণবন্ত আর সজীব করে তুলে। যেমনি করে মা তার সন্তানকে নিঃস্বার্থ ভালোবাসা দিয়ে পৃথিবীতে মানুষ রূপে গড়ে তোলে। ঠিক পৃথিবীতে প্রকৃতি তার নিঃস্বার্থ ভালোবাসা অর্থাৎ আলো, বায়ু, মাটি ও পানি দিয়ে মানবজাতিকে বাঁচিয়ে রাখে। সেই পৃথিবীর প্রতি ভালোবাসা কতটুকু আছে? প্রাণ প্রকৃতি ধ্বংস করতে সর্বদা প্রস্তুত মানবজাতি।

ভালোবাসা মানুষকে উড়তে শেখায়, ভালোবাসা মানুষকে বাঁচতে শেখা, ভালোবাসা মানুষকে অধিকারের কথা বলতে শেখায়, পড়তে শেখায়, জ্বলতে শেখায়, নিভতে শেখায়। মিলনের ভালোবাসা যতই উজ্জ্বল অনুভূতি আসে ঠিক তত বেশি বিচ্ছেদ যন্ত্রণা দেয়। তারপরও আমরা ভালোবাসাকে ধারণ করে বেঁচে থাকতে ভালোবাসি। আর অধিকারের কথা গুলো বুকে ধারণ করে মুক্তির স্লোগান ধরি। পুঁজিবাদী রাজনীতিতে ১৪ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস হিসেবে সারা বিশ্বে পরিচিত হলেও, বাংলাদেশের ইতিহাসের একটু ভিন্ন তাৎপর্য আছে।

১৯৮৩ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি ঢাকার রাজপথ ছাত্রদের রক্তে রঞ্জিত হয়েছে কিন্তু কেউ তা মনে রাখে না। অথচ উড়ে এসে জুড়ে বসা বিশ্ব ভালোবাসা নিয়ে মাতিয়ে আছে ছাত্র সমাজ। এর দায় কার? শিক্ষার্থীদের জ্ঞান দেওয়া দায়িত্ব রাষ্ট্রের। তেমনি ভাবে দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব। এখন রাষ্ট্র যদি তার যথাযথ দায়িত্ব পালন না করে তাদের আমাদের নতুন প্রজন্মের তরুণ- তরুণীরা ভুল পথে এগিয়ে দিবে এটাই স্বাভাবিক।

আমার ভাইয়ের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল রাজপথ আমি কি ভুলিতে পারি? ১৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার রাজপথে আমার ভাইয়ের বুকে মেরেছিল গুলি! আমরা কি নিরব থাকতে পারি। তরুণ – তরুণীদের উদ্দেশ্য প্রশ্ন করতে ১৪ ফেব্রুয়ারি কেন রক্ত দিয়েছিল? কারা রক্ত দিয়েছিল?

ছাত্রসমাজের রক্তে রঞ্জিত ইতিহাস রাষ্ট্র কখনও শিক্ষার্থীদের বুঝতে দিতে চায় না। তাহলে শিক্ষার্থীরা জানবে কীভাবে? কথার প্রসঙ্গে যদি বলা হয় তাহলে ধরে নেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির কোনো শিক্ষার্থীকে যদি প্রশ্ন করা হয় বাবা বলো তো বিশ্ব ভালোবাসা দিবস কবে। সেই শিশু শিক্ষার্থী অকপটে তার সঠিক উত্তর বলে দিতে পারবে। কিন্তু যখন বলা হবে বল তো স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস কবে? তখন সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে না। এমনকি কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরাও বলতে পারে না। স্বাধীন দেশে শিক্ষা ব্যবস্থা কোন পথে। শিক্ষা যে কোনো পণ্য নয়, শিক্ষার্থীদের অধিকার এ কথা রাষ্ট্র বারবার ভুলে রাখতে চায়।

ফলে একই ধারার বিজ্ঞানভিত্তিক গণতান্ত্রিক শিক্ষানীতির দাবিতে রাজপথে শিক্ষার্থীদের গৌরব উজ্জ্বল ইতিহাস আজ চাপা পড়ে আছে। ১৪ ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ব ভালোবাসা পালন না করে কেন ‘স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে পালন করব? ভালোবাসা আদান-প্রদান করতে তো কোনো দিনক্ষণের প্রয়োজন পড়ে না। কারণ প্রিয়জনের প্রতি মানুষের ভালোবাসা থাকে অবিরাম। ভালোবাসা কোন দিবস, মাস, বছর কিংবা কালে আবদ্ধ নয়। সবসময়ই থাকে প্রিয়জনের জন্য এক রাশ ভালোবাসা। এটি সার্বজনীন।

আর অপর দিকে পুঁজিবাদী গোষ্ঠীর বাণিজ্যিক কৌশলের প্রধান হাতিয়ার বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। তাই সচেতন হতে হবে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস না বলে ভাবতে হবে আমাদের শিক্ষার অধিকারের কথা। শিক্ষা আমাদের অধিকার সেই অধিকার টুকু রাষ্ট্র দিতে পারে কী তা বিশ্লেষণ করে দেখতে হবে।

তৎকালীন পাকিস্তান আমলে যদি ইতিহাস দেখি তাহলে দেখতে পাব ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলনের লক্ষ্য ছিল শিক্ষাকে সর্বজনীন অধিকার। সেই সময়ে সামরিক শাসন আইয়ুবের খানের শিক্ষাসচিব ড. এস এম শরিফ অর্থাৎ শরিফ কমিশন রিপোর্ট কয়েকটি সুপারিশ করেছিল তা হল শিক্ষার ব্যয় বৃদ্ধি এবং উচ্চশিক্ষা সংকোচনের জন্য উদ্দেশ্যমূলক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, যেমন: ডিগ্রি কোর্স দুই বছর থেকে তিন বছর করা, কলেজ পর্যায়ে বছর শেষে পরীক্ষা ও তার ফলাফলের ভিত্তিতে পরবর্তী বর্ষে উন্নীত হওয়ার শর্ত, অনার্স ও মাস্টার্স কোর্সে ভর্তির ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী পরীক্ষার ফলাফলের শর্ত।

এগুলোকে ছাত্ররা সাধারণ পরিবারের সন্তানদের জন্য উচ্চশিক্ষার সুযোগ বন্ধ করার ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করে। ফলে শরীফ কমিশনের ১৯৬২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর শিক্ষার অধিকার আদায়ের জন্য ঢাকার রাজপথে তৎকালীন পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর পুলিশের গুলিতে জীবন উৎস্বর্গ করেছিল মোস্তফা ওয়াজিল্লাহ, বাবুল প্রমূখ ছাত্র নেতারা। সামরিক শাসক আইয়ুব খানের শাসনামলে শরীফ কমিশনের শিক্ষানীতি অনুসরণ করে হাটতে চেয়েছে স্বৈরাচার জেনারেল এরশাদ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ড. মজিদ খানের মজিদ কমিশনের শিক্ষানীতি।

তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন আসে যে পাকিস্তানের শিক্ষানীতি রক্ত দিয়ে বাতিল করছে সেই শিক্ষানীতি বাংলাদেশে চালু করা কী উচিত? তৎকালীন সামরিক শাসক স্বৈরাচার জেনারেল এরশাদ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ড. মজিদ খান ১৯৮২ সালের ২৩শে সেপ্টেম্বর একটি নতুন শিক্ষানীতির প্রস্তাব করেন। সেখানে প্রথম শ্রেণী থেকেই আরবি ও দ্বিতীয় শ্রেণী থেকে ইংরেজি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়। উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য মাপকাঠি করা হয় মেধা অথবা পঞ্চাশ শতাংশ ব্যয়ভার বহনের ক্ষমতা। ফলে সেই ধর্মভিত্তিক ও বাণিজ্যিকীকরণ শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে ১৭ সেপ্টেম্বর আন্দোলনের বিষয়ে একমত হয় ছাত্র সংগঠনগুলো। তারপর শুরু হয় ছাত্র আন্দোলন, কালক্রমে যেটি গণআন্দোলনে রূপ নিয়েছিল।

ছাত্রসমাজের দাবি ছিল একটি অবৈতনিক বৈষম্যহীন শিক্ষানীতি। কিন্তু ড. মজিদ খান যে নীতি ঘোষণা করেন, সেখানে বাণিজ্যিকীকরণ আর ধর্মীয় প্রতিফলন ঘটেছে বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন। তাই শুরু থেকেই ওই নীতির বিরোধিতা করতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। ১৪ই ফেব্রুয়ারিতে স্মারকলিপি দিতে শিক্ষার্থীরা মিছিল করে সচিবালয়ের দিকে যাবার সময় পুলিশ টিয়ার গ্যাস, জলকামান, অবশেষে নির্বিচারে গুলি চালায়। ফলে লুটিয়ে পড়েন শহিদ দিপালী সাহা, জাফর, জয়নাল, মোজাম্মেল, আইয়ূব, কাঞ্চনসহ নাম না জানা অসংখ্য শহিদ। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের তোপের মুখে বাধ্য হয়েছিল বাতিল করতে কুখ্যাত মজিদ কমিশনের শিক্ষানীতি।

সেই কারণেই ১৪ ফেব্রুয়ারি স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালন করা হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় স্বৈরাচার ছাত্র প্রতিরোধ দিবস শুধু বাম প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন ছাড়া কোনো ছাত্র সংগঠন বা রাষ্ট্রীয় ভাবে এই দিবস পালন করা হয় না। তাই ভালোবাসার ফুল যাদের চরণে দেই যারা শিক্ষার রক্ষার আন্দোলন করতে গিয়ে রাজপথে জীবন দিল। ভালোবাসার প্রাণ ওই শহীদদেরা। সেই ভালোবাসার কল্যাণেই এই মাটির ইতিহাস কখনোই ভুলবার নয়। স্বাধীন জাতি হিসাবে বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন এবং মজিদ কমিশনের শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে একই ধারায় বিজ্ঞান ভিত্তিক গণতান্ত্রিক শিক্ষানীতির লক্ষ্য কতটা অর্জিত হলো, শিক্ষাব্যবস্থায় কী দুর্বলতা ও অসংগতি রয়ে গেছে, তা রাষ্ট্রকে বিশ্লেষণ করে সমাধানের পথ খুঁজতে হবে। তা না হলে শহীদের রক্তের ঋণ অশ্রদ্ধা করা হবে।

ছাত্রদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে রাজপথে থাকতো শিক্ষার্থীরা যার উজ্জ্বল উদাহরণ ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ৬ দফা, ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থান, ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম ও ১৯৯০ সালের স্বৈরাচারী এরশাদবিরোধী আন্দোলন, ২০১৩ সালে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে আন্দোলন, ২০১৮ সালের কোটা বিরোধী ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ছাত্রসমাজ সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ ও তাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য।

কিন্তু যখন যেই সরকার ক্ষমতায় আসে সেই দলের সমর্থিত ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা যখন হত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিতে জড়িয়ে পড়েন তখনই সবাই ছাত্র রাজনীতির নামে ভয় পায়। আর কেউ কেউ ছাত্র রাজনীতি বন্ধের শোরগোল তুলেন। কিন্তু যুবলীগ নেতারা যে ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিতে জড়িত, কেউ কি একবারও যুব রাজনীতি বন্ধের দাবি তুলেছেন? আবার ধরেন পুলিশ, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার ও সাংবাদিক সহ বিভিন্ন পেশার মানুষের দুর্নীতি খবর পাই তখন কী কোনো পেশা বন্ধের দাবি উঠেছে? উত্তর হচ্ছে বন্ধের কোনো দাবি উঠে নি। কিন্তু ছাত্ররাজনীতি বন্ধ হবে কেন? যাদের সন্ত্রাসী ছাত্রসংগঠন তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা উচিত।

ছাত্র রাজনীতিকে বলা হয় নেতৃত্ব তৈরির বাতিঘর। সেই বাতিঘর তৈরীর কাজ রাষ্ট্রকেই করতে হবে। বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের আড়ালে যেন পড়ে না থাকে স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র প্রতিরোধ দিবস। সেই সাথে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার সামগ্রিক পরিবেশ নেই, শিক্ষার্থী অনুপাতে নেই পর্যাপ্ত শিক্ষক। ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের একক দখলদারিত্ব ও প্রশাসনের নিস্ক্রিয়তায় শিক্ষার গণতান্ত্রিক পরিবেশ ভুলন্ঠিত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের মানবিক মূল্যবোধকে ধ্বসিয়ে দেয়া হচ্ছে। পাঠ্যবইয়ে সাম্প্রদায়িকীকরণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিস্তার লাভ করছে কূপমন্ডুক মনন। এই বিষয় গুলো রাষ্ট্রের কর্তব্যরত ব্যক্তিদের বিশ্লেষণ করে সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে হবে।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি বাজারে শিক্ষা উপকরণের দাম বৃদ্ধি কোনো ভাবে উচিত কাজ নয়। বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে। বেশ ভালো উদ্যোগ কিন্তু নিম্নমানের, ভুলে ভরা বই কোনো ভাবেই কাম্য নয়। ভালো ভালো কথা যুক্ত করে নতুন শিক্ষাক্রমের নামে, শিক্ষার বিদ্যামান বৈষম্যকেই বহাল রেখেছে। তাই সময় এসেছে সুস্থ সংস্কৃতির মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলতে হবে। বিজ্ঞান শিক্ষাকে সংকুচিত নয় প্রসারণ করতে হবে। রক্তঝরা দিনে শপথ হোক শিক্ষাক্ষেত্রে সকল বৈষম্যকে দূর করে সবার জন্য শিক্ষা মৌলিক অধিকার হিসেবে বাস্তবায়ন হোক। তা না হলে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সোনা বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবে রূপান্তরিত হবে না।

লেখক: প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট

সারাবাংলা/এজেডএস

ছাত্রসমাজের সংগ্রামী ভালোবাসার গল্প রাশেদুজ্জামান রাশেদ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর