সবার রোজা কবুল করুন
৬ এপ্রিল ২০২৩ ১৬:০২ | আপডেট: ৬ এপ্রিল ২০২৩ ১৬:০৩
থাকি শীতের দেশে, বছরের প্রায় নয় মাসই ঠান্ডা। শরীরের তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস। বাইরের তাপমাত্রা কখনও মাইনাস ৩০ ডিগ্রী কখনও প্লাস ৩০ ডিগ্রী। শ্বাস প্রশ্বাসের কারণে আমার শরীর প্রতিক্ষণ যে পরিমাণ শক্তি ব্যয় করছে সেটা নিয়ে ভাবছি। এও ভাবছি কি চমতকার ভাবে শরীরের নানা অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সক্রিয়ভাবে কাজ করে শরীরের তাপমাত্রা সারাক্ষণ নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। একই সময় রক্ত পা থেকে মাথা অবধি চলাচল করছে এবং অক্সিজেন থেকে শুরু করে যেখানে যা দরকার সেটা সময় মত পৌঁছে দিচ্ছে। শরীরের স্নায়ুতন্ত্র সময় মত যখন যে বার্তা যেখানে দরকার পাঠিয়ে চলছে। ভাবনা তার গতিতে কাজ করে চলছে। পাকস্থলী খাবারকে হজম করা থেকে শুরু করে যথাযথভাবে তার দায়িত্বে অটুট। চোখ, কান, নাক, ব্রেন শতভাগ দায়িত্ব পালনে অটুট। আমি স্রষ্টার সৃষ্টি মানুষ, আমি পৃথিবীর শুধু শ্রেষ্ঠ জীব নই আমি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ কোম্পানী ।
কীভাবে বুঝব আমার কোম্পানী শ্রেষ্ঠ? যখন সবকিছু চমৎকার ভাবে পরিচালিত হচ্ছে, যখন আমি ফিলিং গুড তখন মনে হচ্ছে আমার কোম্পানী শ্রেষ্ঠ। কিন্তু যখন ফিলিং ব্যাড তখন সাহায্যের জন্য ছুটি। এমনও সময় মাঝে মধ্যে দেখা দেয় যখন কোন উপায় থাকে না সমাধানের, তখন কি করি? স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করি। সে প্রার্থনা হতে পারে এক বা একাধিক। তবে স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং তার রহমতের প্রশংসা করি কখন জানেন?
নানা জনের নানা উত্তর হতে পারে। তবে প্রতিদিন পাঁচ বার নামাজে প্রতিটি রাকাতে যে সুরাটি পাঠ করি সেটা হচ্ছে সুরা ফাতিহা। মূলত সুরা ফাতিহা সেই সত্যিকার মোনাজাত যেখানে রয়েছে স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং তার রহমতের প্রশংসার চাবিকাঠি।
স্রষ্টা সুরা ফাতিহার মাধ্যমে জানিয়েছেন কীভাবে মোনাজাত করতে হয়।
পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মত সুইডেনেও রোজা চলছে। সুইডেন মূলত একটি লম্বা দেশ, দেখতে এমন।
প্রচন্ড শীত এখানে এবং শীতে দিন ছোট রাত বড় হয়ে থাকে। এবছর রোজা পড়েছে চমতকার একটি সময়ে দেখুন সূর্য অস্ত এবং উদয়ের টাইম টেবিলটি।
এ বছর রোজা রাখা জটিল বলে মনে হচ্ছে না। তবে জটিল মনে হচ্ছে যখন দেখছি সারা বিশ্বে রমজান মাসে খাবারে পিছে বেশি অর্থ ব্যয় হচ্ছে! খাবার এমন একটি জিনিষ যা সবারই প্রয়োজন। চাহিদানুযায়ী খাবার না পাওয়া গেলে খাবারে সংকট দেখা দেয়। সংকটের কারণে দামও চড়া হতে থাকে। যাদের টাকা আছে তারা চড়া দামে সেটা কেনে। পরে এমন একটি সময় আসে তখন অর্থ থাকলেও খাবার পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে আর তখনই শুরু হয় ক্রাইসিস; পরিবার, সমাজ, দেশ এবং গোটা বিশ্বে কিন্তু রমজান মাসে খাবারে ক্রাইসিস বুজতে পারছিনে! আমরা প্রকৃত পক্ষে রোজা পালন করার যে তাৎপর্য সেটা কি সঠিক ভাবে মেনে চলছি? ভাবছি!
হঠাৎ মনে হলো রমজান মাসে আসুন সবাই বার বার সুরা ফাতিয়াকে অনুসরণ এবং অনুকরণ করি।
পরম করুণাময় অতীব দয়ালু আল্লাহর নামে।
সমস্ত প্রশংসা জগৎ সমূহের প্রতিপালক আল্লাহর জন্যে।
অনন্ত দয়াময়, অতীব দয়ালু।
প্রতিফল দিবসের মালিক।
আমরা শুধু আপনারই দাসত্ব করি এবং শুধু আপনারই নিকট সাহায্য কামনা করি।
আমাদের সরল পথনির্দেশ দান করুন।
তাদের পথে, যাদের আপনি অনুগ্রহ করেছেন।
এবং তাদের পথে নয় যারা আপনার ক্রোধের শিকার ও পথভ্রষ্ট ।
লেখক: সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন
সারাবাংলা/এজেডএস