Thursday 28 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিন্দু থেকে সিন্ধু

রহমান মৃধা
৯ এপ্রিল ২০২৩ ১৭:১৬

সারা বিশ্বজুড়ে যে সমস্যাটি বেশি এখন সেটা হলো খাবারের দাম বৃদ্ধি। কিন্তু কেন খাবারের দাম বেড়ে গেল? অনেকের মতে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে খাবারের দাম বেড়েছে। এটা অনেকগুলো কারণের মধ্যে একটি। খাবার এমন একটি জিনিস যা সবারই প্রয়োজন। চাহিদানুযায়ী খাবার না পাওয়া গেলে খাবারে সংকট দেখা দেয়। সংকটের কারণে দামও চড়া হতে থাকে। যাদের টাকা আছে তারা চড়া দামে সেটা কেনে। পরে এমন একটি সময় আসে তখন অর্থ থাকলেও খাবার পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে আর তখনই শুরু হয় ক্রাইসিস; পরিবার, সমাজ, দেশ এবং গোটা বিশ্বে কিন্তু বাংলাদেশের জন্য এখানেই শেষ নয় এবং এটাই আসল সত্য নয়।

বিজ্ঞাপন

আমি ফিরে আসছি সে বিষয়ে তবে তার আগে বিশ্ব খাদ্য ক্রাইসিসের ওপর আলোকপাত শেষ করি।

খাদ্য তৈরি করতে দরকার সততা, নিষ্ঠতা, ন্যায়বিচার, ভূমি, জনশক্তি, জ্বালানিশক্তি, অর্থশক্তি, সৌরশক্তি, মিনারালশক্তি, পুষ্টিশক্তি, খনিজশক্তি ইত্যাদি।

পুষ্টিনিরাপত্তা বিষয়টি খাদ্যনিরাপত্তার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। একসময় খাদ্যনিরাপত্তা বলতে প্রয়োজন অনুযায়ী ক্ষুধা নিবারণের জন্য খাবারের প্রাপ্যতাকেই বোঝানো হতো। যদিও পুষ্টি কথাটি তেমন গুরুত্ব পায়নি প্রথমদিকে তবে খাদ্যনিরাপত্তার ক্ষেত্রে তিনটি বিষয় অত্যাবশ্যক।

খাদ্যের প্রাপ্যতা, লভ্যতা ও পুষ্টিমান। এর মধ্যে খাদ্যের পুষ্টিমান নিশ্চিত করতে হলে খাদ্যতালিকায় সবজির অন্তর্ভুক্তি অবশ্যই থাকতে হবে। একটি স্লোগান আছে, ‘সুস্থ সবল জাতি চাই, পুষ্টিসম্মত নিরাপদ খাদ্যের বিকল্প নাই’।

সময়ের সঙ্গে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। আশঙ্কাজনক হারে জমির পরিমাণও কমেছে। কিন্তু তারপরও উৎপাদনে বিশ্ব স্বয়ংসম্পূর্ণ। কৃষক, খেতমজুর, কৃষিবিদ ও কৃষিবিজ্ঞানীদের ঐকান্তিক চেষ্টার ফলে কৃষিক্ষেত্রে উন্নতি হয়েছে। তবে এতে আত্মতুষ্টির কোনো সুযোগ নেই। কেননা আমরা এখনো পুষ্টি ও গুণগত মানের খাবার উৎপাদন ও গ্রহণে অনেক পিছিয়ে। তা ছাড়া আমরা এখনো খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করতে পারিনি। খাদ্যনিরাপত্তায় শস্যখাদ্য শক্তিশালী পর্যায়ে থাকলেও ভুগছি পুষ্টিনিরাপত্তাহীনতায়। তারপর ভালো পুষ্টি পেতে দরকার সার, প্রাকৃতিক অথবা কৃত্রিম উৎসের জৈব ও অজৈব বস্ত্ত (চূনাকরণ বস্ত্ত ব্যতীত), যা গাছের বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য এক বা একাধিক পুষ্টি-উপাদান মৃত্তিকাতে সরবরাহ করে। ফলশ্রুতিতে শস্যের প্রয়োজন মিটানোর জন্য প্রাকৃতিক জৈব বস্ত্তর তুলনায় কম পরিমাণে সারের প্রয়োজন হয়।

বিজ্ঞাপন

মৃত্তিকা গাছের পুষ্টি উপাদান সরবরাহকারী প্রধান মাধ্যম। পুষ্টি-উপাদান সরবরাহের এ ক্ষমতা সময়ের সঙ্গে ধীরে ধীরে হ্রাস পেতে থাকে,
অপর্যাপ্ত সরবরাহের কারণে শস্যগুলো পুষ্টি-উপাদান ঘাটতির সম্মুখীন হয়, যা শস্যের উৎপাদন ও গুণ হ্রাসে প্রতিফলিত হয়। সে কারণে কাঙ্ক্ষিত ফলন পাওয়ার জন্য সার প্রয়োগের মাধ্যমে মৃত্তিকাতে পুষ্টি-উপাদান সরবরাহ করার প্রয়োজন হয়।

বর্তমান কৃষিতে শস্য উৎপাদন সিস্টেমের জন্য সার অপরিহার্য। শস্য উৎপাদন প্রভাবকারী নিয়ামকের মধ্যে ফলন বৃদ্ধিতে সার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সার ব্যবহার বৃদ্ধির প্রবণতা, বিশেষ করে ইউরিয়া-নাইট্রোজেনের ব্যবহার বৃদ্ধি এখনো বহাল আছে। সারের মধ্যে নাইট্রোজেনের ব্যবহারই প্রধান অবস্থান দখল করে আছে। এর কারণগুলো হলো মৃত্তিকাতে নাইট্রোজেনের পরিমাণ কম এবং শস্যের বৃদ্ধিতে নাইট্রোজেন সংবলিত সারের দৃশ্যমান প্রভাব অতি দ্রুত দেখা যাওয়ার কারণে এ সার কৃষকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পেরেছে।

অন্যান্য সারের কম দৃষ্টি আকর্ষণ করার কারণ হলো এদের প্রভাব সাধারণত কম দেখা যায়, যদিও এদের প্রয়োজনকে অস্বীকার করা যায় না।

বিভিন্ন প্রকারের জৈব সার মৃত্তিকাতে প্রয়োগ করা হয়, যেমন- গোবর, মূত্র, মুরগির বিষ্ঠা, খামারজাত সার, কম্পোস্ট, শুষ্ক রক্ত, হাড়ের গুড়া, মৎস্যজাত সার,বাদামের খৈল, খৈল, ধইঞ্চা, সানহ্যাম্প, গোমটর, মাষকলাই, মুগডাল, ধান ও গমের খড়, আখের পাতা, আগাছা, ছাই, ইত্যাদি। এসব বস্ত্তর মধ্যে প্রাণিজ সার, কম্পোষ্ট, সবুজ সার ও খৈল সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ।

খাদ্যে বিভিন্ন উপাদানের অসামঞ্জস্যতার কারণে যে ধরনের অপপুষ্টি ঘটে, তাকে অসমপুষ্টি বলে। এখন বিশ্বে যদি সারাক্ষণ গোলমাল লেগে থাকে নানা কারণে তখন সবকিছু সময়মতো পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়ে। অনেক সময় ভালো সম্পর্কের অভাবে সঠিক সময়ে সঠিক তথ্য, সঠিক সাহায্য না পাওয়ার কারণেও কিন্তু সঠিক ফসল ফলানো কঠিন হয়ে পড়ে।

পৃথিবীতে এমন কোনো দেশ নেই যে দেশ বলতে পারে তারা সব দিক দিয়ে স্বয়ংসম্পন্ন। সেক্ষেত্রে বিশ্বের সকল দেশের উচিত অন্যান্য দেশের সঙ্গে সবসময় ভালো কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখা। শাসন, শোষণ বা ভাষণ নয় দরকার বদ্ধুসুলভ আচরণ এবং দেওয়া-নেওয়া কনসেপ্টের ওপর গুরুত্ব আরপসহ বিশ্বাস স্থাপন করা। সর্বোপরি প্রতিটি দেশের ক্ষেত্রে সে দেশের জন্য একটি স্থিতিশীল রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক পরিকাঠামো গড়ে তোলা খুবই দরকার।

বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে বটে কিন্তু স্থিতিশীল রাজনীতি ও কূটনৈতিক পরিকাঠামো এখনও গড়ে তুলতে পারেনি, এবং এই সত্য কথাটি স্বীকার করতেও শেখেনি। সত্য যে কঠিন, সত্য কথা যায় না বলা সহজে। কারণ দেশ এখন পরিচালিত হচ্ছে অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে। আমার এই অপ্রিয় সত্য কথাটির বিশ্লেষণ হচ্ছে নিম্নরূপ;

মুক্তিযুদ্ধে গ্রামের কতজন কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র ও সাধারণ সেনা অংশ নিয়েছিল আর কতজনই বা শহরের-এলিট শ্রেণির। কারা গেঞ্জি বা খালি গায়ে, খালি পায়ে, লুঙ্গি কাছা দিয়ে, জীবন বাজি রেখে সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। যুদ্ধে কারা বেশির ভাগ জীবন দিয়েছিল, বীর শ্রেষ্ঠদের কতজন গ্রামের সাধারণ মানুষ, সাধারণ সেনা সদস্য, আর কতজন সমাজের উচু সম্প্রদায়ের এলিট শ্রেণির শহুরে!

সে সব কথা না হয় বাদই দিলাম। মুক্তিযুদ্ধের পরে কারা মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিটের জন্য উতলা-ব্যাকুল হলো? যারা শত্রুবাহিনীর দোসর হয়েছিল, পাড়ায়, মহল্লায়, গ্রামে, শহরে শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান হলো, মুক্তিকামী মানুষদের যারা ধরে নিয়ে মেরে ফেললো তারাই আগে মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেটের জন্য দৌড়ালো। নিজেকে বাঁচাতে, নিজের অপকর্ম ঢাকতে অনেকেই মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট নিল। কত গল্প- গালভরা গল্প বানালো যে সে মুক্তিযোদ্ধা ছিল। তাদের কেউ কেউ বড় বড় পজিশনে গেল। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর ছড়ি ঘোরালো, হয়তো অনেককে মেরেও ফেললো। তাদের কেউ কেউ ক্ষমতাধরদের ধরে ভোল পাল্টালো। কেউ কেউ একদিন ধরাও খেলো। কিন্ত তাতে তাদের লজ্জা নেই। তাদের অপকর্মে আমরাই লজ্জায় মরি! এখনও অনেকেই মুক্তিযোদ্ধা সাজার চেষ্টায় আছে- হোক তা অসদুপায়ে বা অন্যায়ভাবে। তবে এখন তারা তা করে মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের কৃত অপকর্ম ঢাকতে নয়। মুক্তিযোদ্ধা সেজে মুক্তিযোদ্ধাদের দেয়া সুবিধা লুটতে। গ্রামের কৃষক-শ্রমিক-সাধারণ মানুষ সেনা-সদস্য তাদের কতজনা ভুয়া সার্টিফিকেটের জন্য লালায়িত হয়?

যারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ছিল, কৃষক-শ্রমিক-সাধারণ সেনা- মুক্তিযোদ্ধা তাদের বেশীর ভাগই নিশ্চুপ রইলো। মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেটের জন্য তারা দৌড়ালো না। কারণ তারা সার্টিফিকেটের জন্য যুদ্ধ করেনি, দেশকে শত্রুমুক্ত করতে তারা লড়েছিল। রাজাকার আল-বদরদের মতো তাদের প্রাণের ভয় ছিল না। বড় বড় পদে যাবার, সম্পদের মালিক হওয়ার, নিজেদের জাহির করার কোনো বাসনা বা উদ্দেশ্য তাদের ছিল না। তারা নীচে পড়ে রইল, আর তাদের অর্জনের ওপর পা রেখে অনেকে অনেক অনেক উপরে উঠে গেল। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকে রোগে ভুগে না খেয়ে মরলো। তবু নিজের মান-সম্মানের জন্য তারা কারও কাছে মাথা নত করলো না।

মুক্তিযোদ্ধারের বেশীর ভাগই গ্রামের কৃষক, শ্রমিক, সাধারণ ছাত্র জনতা। তারা দিনের পর দিন হেঁটে, না খেয়ে (কেউ কেউ পথে মরে পড়ে থেকে), ভারতে গিয়ে, ক্যাম্পে থেকে, প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিলো। কেউ গেরিলা যুদ্ধ করলো, কেউ সম্মুখ সমরে, কেউ চ্যালেঞ্জিং গেরিলা যুদ্ধে। কেউ শাহাদৎ বরণ করলো, বীরশ্রেষ্ঠ হলো। সে তুলনায় শহরের মানুষ, এলিট শ্রেণি অনেক পিছিয়ে। শহরের মানুষ, এলিট শ্রেণি অনেক সহজে ভারতে গিয়ে হোটেলে- ভালো জায়গায় অবস্থান করলো। তারা, তাদের ছেলেরা ট্রেনে বোম্বে, সিমলা, নৈনিতাল, কাশ্মির ঘুরে বেড়ালো। তারপর এলিট বাহিনীতে যোগ দিলো। কারণ এলিট বাহিনীতে ঝুঁকি কম। খালিপায়ে কাদা মেড়িয়ে, জলে ভিজে, নদী খাল সাতরিয়ে যুদ্ধ করার প্রয়োজন নেই। উঁচু-এলিট শ্রেণির ছেলে, তারা কী করে তা পারে!

এতকিছু করে, জীবন দিয়ে, মানসম্ভ্রাম খুইয়ে, অঙ্গ খুইয়ে আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধারা (তা তারা গ্রামের বা শহরের সাধারণ বা এলিট শ্রেণির হোক) আমাদের এ দেশটাকে স্বাধীন করলো। সেই দেশ, সেই মানুষকে যারা অবজ্ঞা করে তারা কি মানুষ ? রাজাকার, আল-বদর, আল-শামসরা এ দেশের বিরুদ্ধে, এদেশের মানুষের বিরুদ্ধে কাজ করে ছিল। তাদের ঘৃণা, তাদের থুথু। কিন্তু আজ যারা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে, দেশ-মানুষের সেবা করবে বলে ওয়াদা করে দেশের মানুষের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করে, মানুষের সেবক হবে বলে শপথ নিয়ে মানুষের সেবা নেয়, ঘুষ খায়, যারা যোগ্য লোকদের বাদ দিয়ে অর্থের বিনিময়ে অযোগ্য লোকদের চাকরি দেয়, দায়িত্বে অবহেলা করে, সুবিচারের নামে অবিচার করে, নারীর ইজ্জত লুটে অর্থের-ক্ষমতার দাপটে তা ঢাকে, সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢাকে তারা কি রাজাকার, আলবদর, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি থেকে কম অপরাধী? আমার মনে হয় না। তাদেরকেও বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো উচিৎ। কিন্তু তাদের বিচার কে করবে?

দেশের জনগণের প্রতিনিধিদের প্রধান এবং প্রথম কাজ বিচার বিভাগ থেকে শুরু করে সকল বিষয়ের ওপর নীতিমালা তৈরি করা এবং সেগুলো যাতে সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয় সেদিকে নজর দেওয়া, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ আইন তৈরি করা এবং আইন বিভাগ যেন সে কাজগুলো সঠিকভাবে পালন করে সেদিকে খেয়াল রাখা, কিন্তু হচ্ছে কি এসব কাজ জাতীয় সংসদ ভবনে?

জনগণের কমিটমেন্ট ছাড়া এবং জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হয়ে জাতীয় সংসদ ভবনের দায়ভার নিলে বা বিসিএস পাশ করে দেশের দায়ভার নিলে দেশকে সোনার বাংলা বা স্মার্ট বাংলা করা যে সম্ভব না তার প্রমাণ ৫২ বছরই যথেষ্ট। রাষ্ট্রের সকল বিসিএসধারী যন্ত্রের অতিসত্বর অবসান ঘটিয়ে তাদেরকে চাহিদাভিত্তিক প্রশিক্ষণ দিতে হবে, একই সাথে জনগণের প্রতিনিধিদের কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। টিকিট কেনার অর্থ থাকলেই কিন্তু দেশ ভ্রমণ করা যায় না, দরকার হয় ভিসার। বাংলাদেশকে সঠিক পথে চালিত করতে শুধু টিকিট কেনার অর্থ থাকলেই হবে না বা টিকিট দিলেই হবে না, দেখতে হবে তাদের দেশ চালানোর যোগ্যতা আছে কিনা। কেস স্টাডি করুন! একই সাথে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা গুলোতে ‘রাইট পারসন রাইট প্লেস কনসেপ্ট’ ব্যবহার করুন, অর্থ বিনিয়োগ ছাড়া, দেখবেন দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। সঠিক শিক্ষা শেষে যখন সিভিল প্রশাসন কাজে যোগদান করবে তখন তারা সুষ্ঠুভাবে দেশ পরিচালনা করতে সক্ষম হবে, একই সাথে ফলোআপ করা শিখবে। দেশ যদি সঠিকভাবে পরিচালিত হয় তাহলে অপ্রত্যাশিত ঘটনা চিরজীবনের জন্য বিদায় নিবে দেশ থেকে। একই সাথে দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা সতর্ক হবে এবং তারা জানবে কত ধানে কত চাল। দুঃখের বিষয় স্বাধীনতার ৫২ বছর চলছে এখন, সঠিক ম্যানেজমেন্ট তথা দেশের অবকাঠামো গঠন করা হয়নি। প্রশ্ন জাতির কাছে কবে সম্ভব হবে এই ছোট্ট কাজটি সঠিকভাবে পরিচালনা করা? বিন্দু বিন্দু পানির ফোঁটার সমন্বয়ে যেমন সিন্দু নদীর উৎপত্তি হয়েছে, ঠিক ছোট ছোট সকল সমস্যার সমাধানই স্বাধীন বাংলাদেশের পরিপূর্ণ অবকাঠামো গড়তে সাহায্য করবে।

লেখক: সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন

সারাবাংলা/এজেডএস

বিন্দু থেকে সিন্ধু রহমান মৃধা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর