Monday 25 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জাপান ভারত ও বাংলাদেশে আসলে কি চায়?

ইরিনা হক
৫ জুন ২০২৩ ১৪:৪৩

বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে জাপান আর যুক্তরাষ্ট্র অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছে। প্রকৃত অর্থে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, নিরাপত্তার স্বার্থ, আর আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ওপর ভিত্তি করা যুক্তরাষ্ট্র-জাপান সম্পর্ক মূলত যুক্তরাষ্ট্রের একক আধিপত্য বিস্তারের এক কার্যকরী পন্থায়ই পরিণত হয়। বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী চুক্তি ও সমঝোতার দরুন জাপানের শুধু যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর ওপর নিজ নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষার জন্য নির্ভরশীল থাকায় যুক্তরাষ্ট্রের জন্য জাপানকে নিজ স্বার্থ অনুযায়ী বিশ্বব্যবস্থায় ব্যবহার করা আরও সহজ হয়ে ওঠে। এ জন্যই এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে জাপান ওয়াশিংটনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র।

বিজ্ঞাপন

এই মিত্রতা এখন আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল অনেকটাই একই লক্ষ্য অর্জনের জন্য গঠিত। ওয়াশিংটনের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল ও স্বার্থ বাস্তবায়নে এখন এক অনন্য ও সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা পালনে সক্ষম। দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়াতে জাপানের সফট্ পাওয়ার বেশ কার্যকরী ও এর ব্যাপ্তিও অনেক। এ অঞ্চলে জাপান যে পরিমাণ বাণিজ্যিক ও উন্নয়নমূলক বিনিয়োগ করেছে তাতে সৃষ্ট জাপানের প্রভাব এই অঞ্চলে ওয়াশিংটনের পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়নে দুর্বলতাগুলো উত্তরণে সহায়তা করবে। যুক্তরাষ্ট্র এখন উপলব্ধি করছে যে, ভারত মহাসাগর এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলব্যাপী নিজ স্বার্থ ও কৌশল বাস্তবায়নে যে বিশ্বাসযোগ্যতা, সফট্ পাওয়ার ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের প্রয়োজন সেটা ওয়াশিংটনের নেই। আদৌ সেটা হওয়ারও নয়। কিন্তু জাপান এর ঠিক উল্টো। এ ক্ষেত্রে জাপানের এই অঞ্চলব্যাপী বিস্তর সুখ্যাতি রয়েছে। জাপানের সামরিক সীমাবদ্ধতার কারণে জাপানকে নিয়ে এ অবধি তেমন কোনো আধিপত্য বিস্তারকেন্দ্রিক ষড়যন্ত্রতত্ত্ব বা আশঙ্কারও সৃষ্টি হয়নি। ফলে ইন্দো-প্যাসিফিক ও ভারত মহাসাগর অঞ্চলে, বিশেষ করে দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়াতে জাপানের বিভিন্ন পর্যায়ের বিনিয়োগ ও বহুমাত্রিক সম্পর্ক নিয়ে তেমন কোনো সমস্যা আজও হয়নি।

বিজ্ঞাপন

তবে জাপান এখন তার বৈশ্বিক পরিচিতি পরিবর্তন করতে অনেকটাই সচেষ্ট। জাপান এখন ভারত মহাসাগর অঞ্চলে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে আগ্রহী, যাতে নিজ প্রভাব আরও বিস্তৃত করতে পারে। এর প্রধান কারণ, অবশ্যই চীনের প্রভাব বিস্তার রোধ করা। চীন ভারত মহাসাগর, বিশেষ করে দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়াতে যে পরিমাণ প্রভাব বিস্তার করেছে, সেটাকে প্রতিরোধ করতে জাপান এখন তার কূটনৈতিক ও পররাষ্ট্রনীতিতে বিপুল পরিবর্তন আনতে প্রতিনিয়ত কাজ করছে।

জাপানের এই পরিবর্তন প্রচেষ্টায় জি৭ সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ এক সুযোগে পরিণত হয়। এ বছরের জি৭ সম্মেলনের স্বাগতিক ও জি৭ গ্রুপের প্রেসিডেন্ট জাপান। একই সঙ্গে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যপদও পেয়েছে জাপান। এরই সুবাদে জাপান সম্প্রতি তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলপত্র প্রকাশ করেছে। এই কৌশলপত্রগুলো জাপানের আঞ্চলিক নিরাপত্তা দৃষ্টিভঙ্গি, কৌশল, নীতি পরিবর্তনের সবচেয়ে প্রকট নিয়ামক বহন করে। তিনটি কৌশলপত্রই জাপানের জাতীয় প্রতিরক্ষা কৌশল ও প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বর্ধন কর্মপরিকল্পনা। অর্থাৎ প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে জাপান যে এখন শুধু যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নয়, বরং নিজ সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে পারিপার্শ্বিক অঞ্চলে আরও সক্রিয় ও প্রভাবশালী ভূমিকা পালন করতে চায়, সেটা তারা পরিষ্কার করেই বিশ্বব্যাপী জানান দিয়েছে। জাপানের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা দৃষ্টিভঙ্গির এই ব্যাপক পরিবর্তন দেশটির সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই করা হচ্ছে। অর্থাৎ বিশ্বযুদ্ধপরবর্তী আগ্রাসী মনোভাব থেকে সরে আসার প্রত্যয়ে জাপান যে সংবিধান, চুক্তি ও সমঝোতাগুলো প্রবর্তন করে, সেগুলোর প্রতি এখনো শ্রদ্ধা বজায় রাখছে। পরিবর্তন শুধু এতটুকুই যে, জাপান এখন আঞ্চলিকভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকেন্দ্রিক নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা ক্ষেত্রে তার কূটনীতি বিস্তৃত করতে আগ্রহী। জাপানকে এখন আর সেই নীরব পরোক্ষ দর্শক নয়, প্রত্যক্ষ ও সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যাবে ভারত মহাসাগর ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে।

জাপান তার এই অভিলাষ খুব স্পষ্টভাবেই জি৭ সম্মেলনে প্রকাশ করেছে। জি৭ সম্মেলনের সদস্যদের পাশাপাশি জাপান এবার ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম ও আফ্রিকান ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ করে। আমন্ত্রিতদের তালিকা পর্যালোচনা করলেই স্পষ্ট হয় যে, জাপান এখন বৈশ্বিক পর্যায়ে, বিশেষ করে গ্লোবাল সাউথ অঞ্চলে আরও নিবিড়, ঘনিষ্ঠ ও প্রভাবশালী ভূমিকা প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকরী অংশীদারত্ব প্রতিষ্ঠা করতে আগ্রহী। এ জন্যই দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব এশিয়া ও আফ্রিকার গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে। জাপান এখন পশ্চিমাবিশ্ব, তথা বিশ্ব সাত মোড়লের হয়ে এই অঞ্চলে তাদের নেতৃত্বমূলক ভূমিকা প্রদান করতে চায়। জাপান এই অঞ্চলে বিপুল পরিমাণ বাণিজ্যিক ও উন্নয়নমূলক বিনিয়োগ অব্যাহত রাখতে চায়। একই সঙ্গে যেখানে প্রয়োজন সেখানে বাণিজ্যিক ঘনিষ্ঠতা বা নিরাপত্তা নীতি পরিবর্তন কিংবা প্রতিরক্ষা নীতি পরিবর্ধন, অর্থাৎ যেকোনো পদক্ষেপ নিয়ে জাপান পশ্চিমাদের জন্য এ অঞ্চলে তার প্রভাব বৃদ্ধি করতে এখন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। যাতে চীনের বর্ধমান প্রভাব ও আধিপত্য যেকোনো মূল্যে প্রতিরোধ করা যায়। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র ভারতের মাধ্যমে চীন প্রতিরোধের যে কৌশল নিয়েছিল, সেটা এখন ওয়াশিংটন জাপানের মাধ্যমে করতে আগ্রহী। ভারতকে দিয়ে যে কাজ হচ্ছে না, সেটা যুক্তরাষ্ট্র অনেক দিন ধরেই অনুভব করছিল। ভারতকে চীনের প্রকৃত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে এ অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত করার প্রয়াসে যুক্তরাষ্ট্র অনেকটাই ব্যর্থ। ভারত কার্যকর রূপে এই ভূমিকা পালনের কথা বারংবার বলে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আঞ্চলিক সুবিধাই ভোগ করেছে। কিন্তু তেমন কোনো কার্যকরী প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারেনি দিল্লি। উল্টো ভারতের সঙ্গে তথাকথিত প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে এই অঞ্চলে, বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের প্রভাব বেড়েছে বৈকি কমেনি।

এই অঞ্চলে চীনের প্রতিরোধক ও যুক্তরাষ্ট্রের চোখ-কানের ভূমিকায় ভারতের ব্যর্থতার কারণ নিয়ে একটু কথা না বললেই নয়। ভারতের মতো একটি রাষ্ট্রের তার প্রতিবেশীদের সঙ্গে এখন যে সম্পর্ক সেটা আসলেও অবাক করার মতো। প্রায় সবার সঙ্গেই ভারতের সম্পর্কের টানাপোড়েন। ভারত শুধু তার নিজের স্বার্থ দেখে, অন্যদের নয়, এমনটা সর্বদাই শোনা যায়। আর ভারত এখনো তার আমদানিকারক পণ্যের দীর্ঘ তালিকার অধিকাংশের জন্যই চীনের ওপর নির্ভরশীল। অর্থাৎ চীনের প্রকৃত প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়ার সক্ষমতা বলতে গেলে নেই ভারতের। সুতরাং ভারত যে তার আকাঙ্ক্ষিত ভূমিকা কেন পালন করতে পারছে না, সেটা পরিষ্কার। আর সেটা এখন যুক্তরাষ্ট্র ভালোই উপলব্ধি করতে পারছে। মজার বিষয় হলো, ভারতের যেসব দুর্বলতা ও অক্ষমতার কারণে ভারত চীনকে এই অঞ্চলে প্রতিরোধে ব্যর্থ, জাপানের সেগুলোর একটিও নেই। অন্যদিকে একটি নির্ভরযোগ্য, সক্ষম ও প্রভাবশালী আঞ্চলিক নেতৃত্ব প্রদানে যা যা প্রয়োজন জাপানের তার প্রত্যেক বৈশিষ্ট্যই বিদ্যমান। জাপানও বিষয়টি এখন উপলব্ধি করা শুরু করেছে। সুতরাং এই অঞ্চলে আরও প্রভাবশালী ভূমিকার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে ভারতের জায়গায় অধিষ্ঠিত হতে সচেষ্ট এখন জাপান। আবার টোকিও দিল্লিকে সরিয়ে নয়, বরং সঙ্গে নিয়েই কাজ করতে চাইছে। ভারতের উঠোনে, ভারতকে বাদ দিয়ে যে কাজ করা যাবে না, সেটা জাপান ভালোই জানে।

এতে করে জাপানের অনেক সুবিধাও হচ্ছে। চীনকে প্রতিরোধ করতে, ভারত মহাসাগরে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে জাপানের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। জাপান ও সাউথ চীন সমুদ্র অঞ্চলে নিজ নৌবাহিনীর সক্ষমতা দিয়ে জাপান চীনের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা গড়ে তুলতে সক্ষম। এ জন্য ভারত মহাসাগরে প্রতিরক্ষা প্রভাব প্রতিষ্ঠায় যে পরিমাণ সামরিক শক্তি প্রয়োগ করা দরকার সেটা জাপানের আপাতত নেই। তাই ভারত মহাসাগরে নিজের নতুন প্রতিরক্ষা ভূমিকা প্রণয়নে টোকিও আপাতত ভারতের ওপর নির্ভর করছে।

বাংলাদেশের জন্য জাপান এক নির্ভরশীল, সম্মানিত, শ্রদ্ধেয় ও পরীক্ষিত বন্ধু। জন্মলগ্ন থেকেই জাপান বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ উন্নয়ন অংশীদার। আর ২০২০ সাল থেকে জাপানের সর্বাধিক উন্নয়ন সহায়তা গ্রহণকারী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। এই দুটি তথ্যই বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্কের ব্যপ্তি, ঘনিষ্ঠতা, গুরুত্ব, গভীরতা প্রকাশে যথেষ্ট। বাংলাদেশের কৌশলগত ভূরাজনৈতিক অবস্থান উভয় জাপান ও ভারতের ভূরাজনৈতিক স্বার্থের জন্য প্রয়োজনীয়। জাপান ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সংযোগ বৃদ্ধি করতে ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে আরও বিনিয়োগ করছে।

বাংলাদেশের মতো, মিয়ানমার, ভারত ও এই অঞ্চলের অন্যান্য রাষ্ট্রেও জাপানের উন্নয়ন সহায়তা প্রশংসনীয় ও কার্যকরী। এই অঞ্চলে চীনের প্রভাব প্রতিরোধে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে জাপানের সম্পর্ক এক অত্যন্ত কার্যকর ও প্রভাবশালী হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে। বিশেষ করে ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে জাপানের অংশীদারত্ব এ ক্ষেত্রে আরও কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম। বাংলাদেশে এ জন্যই জাপান একটি শিল্পনগরও প্রতিষ্ঠা করতে চায়, যাতে উত্তর-পূর্ব ভারত, ভুটান ও নেপালের সঙ্গে সাপ্লাই চেইন সংযোগ প্রতিষ্ঠা করা যায়। জাপানের এই আকাঙ্ক্ষা গত এপ্রিল মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরকালে জাপান আরও জোরালোভাবে ব্যক্ত করে। একই সঙ্গে জাপান বাংলাদেশে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত প্রকল্পে বিনিয়োগ করছে। এর মধ্যে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি ভারত মহাসাগর, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে সংযোগ স্থাপনে এক অনন্য ভূমিকা রাখতে পারে। এই বিনিয়োগ জাপানের বিগ-বি উদ্যোগের অংশ হিসেবেই করছে টোকিও। এই বিগ-বি উদ্যোগের আওতায় বাংলাদেশে আরও কতগুলো উন্নতমানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্প ও বিনিয়োগ করবে জাপান।

জাপানের মোট বাণিজ্যের প্রায় ৮০ শতাংশ ভারত মহাসাগরের ওপর দিয়ে হয়। এ জন্য বঙ্গোপসাগর জাপানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এই সমুদ্র অঞ্চলে বাংলাদেশের মাধ্যমে জাপান সরাসরি সংযোগ স্থাপন করছে। এ জন্য শুধু বাণিজ্য, আঞ্চলিক সংযোগের জন্যই নয়, জাপানের নতুন প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্বকারী প্রক্সির ভূমিকা পালনেও বাংলাদেশকে জাপানের প্রয়োজন।

যাই হোক, জি৭ সম্মেলন, উত্তর-পূর্ব ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সংযোগ স্থাপন, আর জাপানের নতুন প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা দৃষ্টিভঙ্গিও মাধ্যমে জাপান তার নতুন পরিচয় বিশ্বব্যাপী, বিশেষ করে এই ভারত মহাসাগর অঞ্চলে প্রতিষ্ঠায় তৎপর। আসন্ন দিনগুলোতে আমরা এক নতুন জাপানকে দেখব। এতদিন যে যুক্তরাষ্ট্রের পেয়াদা হিসেবেই এগিয়েছে, এখন কিন্তু সে বোর্ডের আরেক প্রান্তে পৌঁছে গেছে। এ অঞ্চলে বিশ্বমোড়ল যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক দাবা খেলার নতুন উজিরে পরিণত এখন জাপান।

লেখক: গবেষক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং ফ্রিল্যান্স কলামিস্ট

সারাবাংলা/এসবিডিই

ইরিনা হক জাপান ভারত ও বাংলাদেশে আসলে কি চায়? মুক্তমত

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর