আওয়ামী লীগের চ্যালেঞ্জ আওয়ামী লীগ
১৮ জুন ২০২৩ ১৬:০৭
‘বঙ্গবন্ধু, আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ’ ইতিহাসে এই তিনটি নাম অবিনশ্বর। ইতিহাসে এই তিনটি নাম যেন একই সূত্রে গাঁথা এবং এই তিনটি নামের সাথে স্পষ্ট অক্ষরে যে নামটি বাঙালির সংগ্রাম ও অর্জনের অভিধানে যুক্ত হয়েছে, সেই নামটি শেখ হাসিনা। ২৩ জুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার তেহাত্তর পার করে চুয়াত্তর বর্ষে পদার্পণ করবে। দলটি তার কিশোর সময় কিংবা যৌবনের মহাতরঙ্গ পার করে পরিণতর দিকে হেটে চলেছে অর্জন ও সাফল্যের তরী বেয়ে। দীর্ঘ সময়ের পথচলায় রয়েছে গৌরবের অতীত। পৃথিবীতে রাজনৈতিক দল হিসেবে জাতি ও রাষ্ট্রের পরিচয় নির্ণয়ে স্বাধীন পতাকা বিশ্বের বুকে তুলে ধরার এমন গৌরব উজ্জ্বল ইতিহাসে কম রাজনৈতিক দলেরই নাম লেখা আছে। আওয়ামী লীগ মানেই দেশের স্বাধীনতা, স্বাধীন মানচিত্র, স্বাধীন পতাকা।
‘আওয়ামী লীগ শুধু একটি রাজনৈতিক দল নয়, এটি একটি অনুভূতি।’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম নিজের শেষ বক্তব্যে ২০১৬ সালের ২২ অক্টোবর এটি বলেন। সেই ‘অনুভূতি’ এখন কতটা লালন করেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে অনেকের।
আসন্ন নির্বাচনে দলের জয়লাভ নিশ্চিতে অগ্নিপরীক্ষার পথ পাড়ি দিতে হবে আওয়ামী লীগকে। এই নির্বাচন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং চ্যালেঞ্জের। বিরোধী দলের আন্দোলন, অভিযোগ ও প্রপাগান্ডা মোকাবিলা, বিদ্যমান সংকট উত্তরণ, বাজেট বাস্তবায়ন, দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখা, দলীয় কোন্দল নিরসন করে নির্বাচনের প্রার্থী ঠিক করাসহ নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে দলটিকে। ৭৪ বছরের পুরাতন দল আওয়ামী লীগ এবার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার প্রত্যয় ঘোষণা করেছে।
গত নির্বাচনে ঘোষণা করা ইশতেহারের অবশিষ্ট কাজও এ বছরের মধ্যেই সম্পন্ন করতে হবে আওয়ামী লীগকে। নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা করা কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হলে নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে দলটিকে। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে দলীয় কোন্দল মিটিয়ে আগামী নির্বাচনের প্রার্থী ঠিক করা এবং বিজয় নিশ্চিত করা।
দ্রব্যমূল্য নিয়ে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠলেও সরকার কিংবা রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ কার্যকরী কোন পদক্ষেপ নিতে পারেনি। বরং যে সিণ্ডিকেট বাজার নিয়ন্ত্রণ করে জনগণের টাকা লুট করছে তাদের পক্ষে কথা বলতে শোনা গেছে বাণিজ্যমন্ত্রীকে। এখানে আমলা,ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক সিণ্ডিকেট এই হরিলুটের সাথে যুক্ত তা দেশের মানুষের কাছে পরিস্কার। কিন্তু রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ সরকারে বিলীন হয়ে যাওয়ায় কোন পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে।
মাদক আজ যুবসমাজকে কিভাবে কতটুকু গ্রাস করছে সে কথা বলে বোঝানো যাবে না। মাদক নিয়ন্ত্রণের যে ডাক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছিলেন, সেটি পরিকল্পিতভাবে ভেস্তে দেয়া হয়েছে। মাদক সিন্ডিকেটের টাকা আজ সবার পকেটে। আজ প্রকাশ্যে সর্বগ্রাসী মাদকে সয়লাব দেশ। দেশী বিদেশী চক্র বিগত ৩ দশকে পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে পঙ্গু করার মিশনে নেমেছে। অন্যদিকে আমলা ও ঠিকাদাররা মিলে যেভাবে মেগা প্রজেক্টগুলোকে মেয়াদ বাড়িয়ে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে সেটি গণমাধ্যমে বারবার আসার পরও কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। বরং গণমাধ্যমের মুখ বন্ধ করতে যা করনীয় তাই করা হয়েছে। এখানে চায়নার বড় মেগা প্রজেক্টগুলো খেয়াল করলে পরিস্কার বোঝা যায়।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান কিংবা প্রশাসনে যে অব্যবস্থাপনা আওয়ামী লীগ সরকার তৈরি করেছে যা কোনভাবে রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের কাছে প্রত্যাশিত নয়। এই অব্যবস্থাপনাই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সামনের বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। ন্যায়বিচার ও সামাজিক মুল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় ৭ দশকের লড়াই করা দল যেন এক আমলানির্ভর সিণ্ডিকেটের হাতে জিম্মি। গণবিচ্ছিন্ন কিংবা কর্মীবিচ্ছিন্ন রাজনীতি আজ এই পরিনতির দিকে ধাবিত করেছে আওয়ামী লীগকে। এমপি,মন্ত্রী ও নেতারা কেউ আওয়ামী লীগের জনভিত্তির উপর আস্থা রাখেনি বা রাখতে চায়নি। তাঁরা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ভোগের রাজ্যের উন্মাদ রাজায় পরিনত হয়েছে।
ত্রিশলাখ শহীদের রক্তে অর্জিত বাংলাদেশ। জাতির পিতার আজীবন লড়াইয়ের মাধ্যমে অর্জিত যে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ যেটি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সৃষ্টি সেটি যেন ভুলতে বসেছে আওয়ামী লীগ। ধর্মভিত্তিক জঙ্গি সাম্প্রদায়িক শক্তির কাছে মাথা নত করছে বারবার। প্রকাশ্যে তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে কিছু মন্ত্রী ও এমপি। মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বেড়ে ওঠা প্রজন্মকে দূরে রেখে এক সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে পুনর্বাসন করছে নানা জায়গায়। কিছু চিহ্নিত যুদ্ধাপারাধিদের বিচার করলেও যেভাবে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে দলে এবং সরকারে পুনর্বাসিত করা হয়েছে তা নজিরবিহিন। কমিশনের বিনিময়ে বড় বড় কাজগুলো ও প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ দেয়া হয়েছে তাদের হাতে। যে কারণে তৃণমূলের নেতাকর্মী বা মুক্তিযুদ্ধের পরিবারের যে ক্ষোভ জমেছে তা নিরাসনের কোন উদ্যোগ বিগত ১০ বছরে নেয়া হয়নি।
গত কয়েক বছর ধরে আমরা মৌলবাদী, উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর আস্ফালন দেখছি। স্বাধীনতাবিরোধী বা তাদের সন্তানেরা কথায় কথায় হুমকি দিচ্ছে। সরকারকে আলটিমেটাম দিচ্ছে। ধমক দিচ্ছে। সরকারের মধ্যে একটি অংশ আবার প্রকাশ্যেই এদের সঙ্গে সমঝোতা করছে, তোয়াজ করছে। অনেকের প্রশ্ন আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকার পরও কেন আওয়ামী লীগ মৌলবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে আপস আপস খেলছে? আওয়ামী লীগ কি তাহলে তার মৌলিক অবস্থান পরিবর্তন করেছে? আওয়ামী লীগ কি তার অসাম্প্রদায়িক অবস্থান থেকে সরে এসেছে?
অথচ আমরা জানি, পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ‘বাংলাদেশ আওয়ামী মুসলিম লীগ’ গঠিত হয়েছিল। মুসলিম লীগের দুঃশাসন, দমননীতি এবং সাম্প্রদায়িক রাজনীতির প্রতিবাদই ছিল আওয়ামী মুসলিম লীগের ভূমিষ্ঠ হওয়ার মূল প্রেরণা। ১৯৫৫ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগের কাউন্সিলে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেওয়া হয়। এখান থেকেই বাংলাদেশের রাজনীতি সবচেয়ে পুরনো এবং জনপ্রিয় অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দলটির নবযাত্রার সূচনা। জাতির পিতার বক্তব্য, বিবৃতি, লেখালেখি পড়লে দেখা যায় তিনি ধর্মান্ধ, সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে ঘৃণা করতেন। এ ধারার বিরুদ্ধেই তিনি সারা জীবন সংগ্রাম করেছেন। বঙ্গবন্ধু অসমাপ্ত আত্মজীবনীতেই বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ ও তার কর্মীরা যে কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িকতাকে ঘৃণা করে।’ (অসমাপ্ত আত্মজীবনী, পৃষ্ঠা ২৫৮)।
১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ দৃশ্যত এখনই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও ক্ষমতাহীন আওয়ামী লীগের দূরত্ব আজ সারা দেশে দলের সকল পর্যায়ে স্পষ্ট হয়ে উঠছে। ক্ষমতাবান আওয়ামী লীগের পাশাপাশি নব্য আওয়ামী লীগের নেতাদের অন্যায়, অত্যাচার, অনিয়ম ও দুর্ব্যবহার এই জায়গায় নিয়ে এসেছে। নানা সময়ে খবরের পাতায় উঠে এসেছে স্বাধীনতাবিরোধী ভিন্ন আদর্শের লোকদের দলে জায়গা করে দেয়া হয়েছে। অর্থ কিংবা নানা অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে দেয়া হয়েছে দলের নমিনেশন। আর এই কাজটি করেছে দলের মধ্যে গড়ে উঠা এক মহাশক্তিশালী সিণ্ডিকেট ।
বর্তমানে একদিকে যেমন রাজপথ উত্তপ্ত করার পথে এগোচ্ছে বিরোধী শিবির, অন্যদিকে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সঙ্কট ও কূটনৈতিক ব্যর্থতায় সরকারকে ফেলেছে চাপে, এতসব চ্যালেঞ্জ মাথায় নিয়ে আগামী নির্বাচনের পরিকল্পনা করতে হবে আওয়ামী লীগকে। যুক্তরাষ্ট্রের এক ভিসা নীতি প্রণয়ন নিয়ে যে এলোমেলো বক্তব্য শোনা যাচ্ছে তা পরিস্কার যে, সরকারের বিভিন্ন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ও নেতাদের মধ্যে কোন সমন্বয় নেই। যে যার মত করে বক্তব্য রাখছে। যার এই বিষয়ে কোন ধারনা নেই এমন সব নেতারা রসিয়ে রসিয়ে জনসভায় বক্তব্য রাখছেন গলা ফাটিয়ে। তাছাড়া দল ও সরকারে এমন কিছু মানুষকে এমন জায়গায় বসানো হয়েছে তাদের জনভিত্তি নিয়ে তৃণমূল আওয়ামী লীগের বহুদিনের প্রশ্ন । কেন্দ্রের বহু নেতা আজ আমি লীগ প্রতিষ্ঠায় ব্যস্ত। দেশ গোল্লায় গেলেও তাদের ঠেকায় কে ?
অথচ যে কূটনৈতিক ব্যর্থতায় আজ র্যাব ও আমেরিকার ভিসা নীতি সেই কথা কেউ বলছেই না। কোন কোঠা বা যোগ্যতায় ইউরোপ আমেরিকার কূটনৈতিক ঠিক করা হয় সেটিও বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে সবার সামনে। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ যখন বিরাট ভূরাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের মধ্যে আছে সেখানে বহির্বিশ্বে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরতে শুধু ব্যক্তি বা আমলাদের পছন্দের লোক হলে যোগ্য হয়ে ওঠে না।
বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি মিথ্যা নয়, তা আজ অতি বাস্তব। যদি বাংলাদেশের এ উন্নয়নের যাত্রা অব্যাহত থাকে, তাহলে আগামী কয়েক দশকের মধ্যে বাংলাদেশ যে একটি মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নত দেশগুলোর মতো উচ্চ আয়ের দেশ হবে তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু এই উন্নায়নচিত্র দেশ এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সঠিকভাবে তুলে ধরতে আওয়ামী লীগ সফল হয়নি। নিজের আখের গোছানো নেতাদের হাত থেকে দলকে মুক্ত করে ত্যাগী নেতাদের হাতে নেতৃত্ব তুলে দিতে হবে।
সাধারণ মানুষের কাছে যেসকল প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করাবে আওয়ামী লীগকে যেমনঃ শেয়ার বাজার কেলেংকারী, বেসিক ও সোনালী ব্যাংকসহ সরকারী বেসরকারী ব্যাংকগুলো থেকে ঋণের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা তুলে নেয়া; বড় বড় অবকাঠামো নির্মানের কাজে বিলম্ব ও কয়েক দফায় হাজার কোটি টাকার খরচ বৃদ্ধি; রাস্তা বানাতে ভারত চীন এবং এমনকি ইউরোপের চেয়ে বেশি খরচ; দেশ থেকে বছরে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার; এবং স্থানীয় কিছু নেতাকর্মীদের অনাচার, নির্যাতন, নদী ও ভূমি দখল আওয়ামী লীগকে আগামী নির্বাচনে বেকায়দায় ফেলে দিতে পারে। আমরা দেখেছি প্রশাসনের কর্তাব্যাক্তিরা এবং আওয়ামী লীগের ভেতরে থাকা ও জামায়াত-বিএনপি থেকে এসে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়া লোকেরা এইসব অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। সরকার বা দল এই লুটেরাদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কার্যকর এবং দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ নিতে পারে নি। আওয়ামী লীগের আগামীর প্রধান দুই চ্যালেঞ্জ হবে মৌলবাদ-দুর্নীতি এবং বর্তমানের ক্ষমতাসীন নব্য আওয়ামী লীগের কাছ থেকে জাতির পিতার দর্শন, আদর্শ নীতিতে ফিরে আসা !
এক পরিণত রাজনৈতিক শক্তি ও চেতনার নাম, এক যৌথ পরিবারের অনুভূতির নাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এই দীর্ঘ যাত্রার সফলতা ও অনুভূতি যেন ইতিহাসের উইপোকার দখলে না যায়। বাংলাদেশে চলমান যে দুর্নীতি, স্বাধীনতা বিরোধীদের যে অপতৎপরতা চলছে তার বিরুদ্ধে একটা জাতীয় জাগরণ সৃষ্টি করতে হবে। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠায় আপোষহীন কার্যক্রমের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে। আওয়ামী লীগকে এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। দুর্নীতির উচ্ছেদ এবং সেই লক্ষ্যে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে অবশ্যই। আমাদের বিশ্বাস, এ কাজটি আওয়ামী প্রধান বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকারের পক্ষেই করা সম্ভব। আর কারও দ্বারা নয়। স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত – বিএনপির শত ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করে পিতার স্বপ্নের স্বদেশ, অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ নির্মাণে শেখ হাসিনাকে পারতেই হবে।
লেখক: প্রধান সম্পাদক, জাগরণ টিভি ও সাধারণ সম্পাদক, গৌরব’৭১
সারাবাংলা/এসবিডিই