আওয়ামী লীগের স্বপ্নপূরণ হতে যাচ্ছে
১৯ আগস্ট ২০২৩ ১৬:২৭
বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিপ্লব ঘটাতে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। প্রথমবারের মতো চালু হল সর্বজনীন পেনশন স্কিম। সে স্কিমের আওতায় সরকারি চাকুরীজীবী ব্যতীত দেশের সকল নাগরিক পেনশন সুবিধার অন্তর্ভুক্ত হল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৭ই আগষ্ট উদ্বোধনের পর এটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে। অর্থাৎ কারো বয়স ১৮ বছরের বেশি হলেই এখন অনলাইনে এটিতে নিবন্ধন করতে পারবেন।
উদ্বোধনের সময় শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের যারা সরকারি চাকুরিজীবী তারা তো পেনশন পান, কিন্তু যারা চাকরি করেন না তারা তো পান না, কাজেই এটা সরকারি চাকরিজীবিদের জন্য না। তার বাইরে যে জনগোষ্ঠী তাদের জন্য এই ব্যবস্থা। ”
আমার যতদূর মনে পড়ছে ২০১২ সালে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর রিপোর্ট করতে শেখ আব্দুল আজিজের সাক্ষাৎকার নিয়েছিলাম। অনেকেই হয়তো জানেন না শেখ আব্দুল আজিজ কে? উনার পরিচয় তুলে ধরলাম:
ভাষা সংগ্রামী শেখ আবদুল আজিজ ১৯২৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ থানার টালিগাতি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শেখ আজিজ আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ছিলেন দলটির সবোর্চ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম প্রেসিডিয়াম সদস্য। বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভার একাধারে যোগাযোগ, কৃষি, তথ্য এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে দলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। দীর্ঘদিন সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন তিনি।
স্বাধীনতা ঘোষণা কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের প্রবাসী সরকারের ৯ নম্বর সেক্টরের লিয়াজোঁ অফিসার ছিলেন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ ও এলএলবি পাস করেন।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর সাড়ে তিন বছর কারাগারে ছিলেন শেখ আবদুল আজিজ। রাজনীতিই তার পেশা ও নেশা। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের দাবিতে আন্দোলন করেছেন।
এবার আসি ঊনার সেদিনের কথায়। আমি প্রশ্ন করেছিলাম, এতো বছরে আওয়ামী লীগ তার কাংখিত লক্ষ্যে কি পৌঁছেছে ? তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, না। আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছিলো সমাজকল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা (কথাটি তিনি বলেছিলেন সোস্যাল ওয়েলফেয়ার কান্ট্রি)। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ সরকার এই পেনশন স্কিম চালু করেছে।
সমতা স্কিমে চাঁদার হার একটিই – এক হাজার টাকা। তবে এক্ষেত্রে প্রতিমাসে ব্যক্তি দেবে পাঁচশ টাকা আর বাকি পাঁচশো দেবে সরকার। মূলত দারিদ্রসীমার নিচে বসবাসরত স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য এই স্কিম। এক্ষেত্রে দারিদ্রসীমা নির্ধারণ করবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। যেমন বর্তমানে বছরে যাদের আয় এখন বছরে ৬০ হাজার টাকার মধ্যে তারাই কেবল এই স্কিমের অন্তর্ভুক্ত হবেন।
এক কথায় বলাই যায় স্বপ্নপূরণে আওয়মী লীগ তার কাংখিত লক্ষ্যে এবার পৌছাতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এবার সত্যিকার আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা হবে। কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে।
লেখক: কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স ইনচার্জ, গ্রীন টিভি
সারাবাংলা/এসবিডিই