জাতীয় মাছ, জাতির কজনের মুখে জুটে?

বলা হয়ে থাকে, দেশের জাতীয় মাছ ইলিশ। জাতীয় মাছ অথচ জাতির ক’জনের মুখে জুটে এই মাছ? এমন প্রশ্নে যে কেউ একটু বিব্রত হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে দেশের অধিকাংশ মানুষ ইলিশের নাম লোকমুখে শুনে থাকলেও খাওয়া হয়নি এখনো অনেকের। কিন্তু কেন?

এই কেন’র উত্তর একজন বিত্তবান শ্রেণীর মানুষের কাছে রসিকতা কিংবা বিলাসের সুরে পাওয়া গেলেও একজন নিম্নবিত্তের মানুষের কাছে খুব হাহাকার আর দীর্ঘশ্বাসের সুরে জবাব মিলবে নিঃসন্দেহে। ইলিশের নাম শুনেছে অথচ সাধ্যের বাইরে ইলিশের চড়া দাম আর দারিদ্র্যের কারণে এখনো পেটপুরে খাওয়া হয়নি অনেক মানুষের। যাদের কাছে দীর্ঘ আশা থাকা সত্বেও কপালে জুটেনি এই মাছটি খাওয়ার সাধ্য!

হয়তো অনেক মানুষের ফ্রিজে বেশ সাজানো গুছানো অবস্থায় পড়ে রয়েছে এ মাছটি। আবার অনেকের কাছে এটি স্বপ্নই রয়ে গেলো। বাজারের পরিসংখ্যান হিসেব করলে দেখে যায় এ মাছটি যত বড় দাম তার তত বেশি। এমনও দেখে যায় কেজি প্রতি হাজার দেড়েক এই মাছের। আবার তার চেয়ে বেশি ওজনের দামও আরো বেশি। কিন্তু যাদের কাছে দুমুঠো ভাত জোগাড় করে খাওয়া খুব কষ্টের তাদের কাছে এই ইলিশ মাছ ভাতের প্লেটে উঠানো বিলাসিতা বৈকি আর কিছুই নয়।

কিন্তু জাতীয় মাছ হওয়া সত্বেও এটি কেন সবার কপালে জুটবে না, জুটবে না ভাতের প্লেটে? যেখানে ধনীরা আরাম আয়েশে পেটপুরে খাবে সেখানে গরীবরা না খেয়ে এভাবে আর কত দিন পার করবে? এর কারণ কি হতে পারে? হয়তো এর কারণ ইলিশের কোনো নির্দিষ্ট দাম নির্ধারণ করে না দেওয়া, নয়তো বা জেলেরা আড়তনামের মহাজান সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি হয়ে থাকা। এর একটা সমাধান হোক। নির্ধারিত হোক ইলিশের দাম। জাতীয় মাছ জাতির সকলের কপালে জুটুক, থাকুক সকলের খাবারের প্লেটে!

লেখক: শিক্ষার্থী, বাকলিয়া সরকারী কলেজ, চট্টগ্রাম

সারাবাংলা/এজেডএস

জাতীয় মাছ জাতির কজনের মুখে জুটে? তৌহিদ-উল বারী