Tuesday 13 May 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আদিলুর রহমানের কারাদণ্ড: একটি নির্মোহ পর্যালোচনা

শাহরিয়ার হাসান
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭:১৯ | আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭:৩২

মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার’ এর সম্পাদক আদিলুর রহমান এবং পরিচালক এ এস এম নাসিরুদ্দিন নাসিরুদ্দিন এলানকে দুই বছরের কারাদণ্ড এবং দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালত। ২০১৩ সালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের ৫৭ ধারায় দায়েরকৃত একটি মামলায় এই দণ্ড প্রদান করা হয়। ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান নিয়ে অসত্য ও বিকৃত তথ্য প্রচারের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল। এই মামলা চলাকালীন এবং মামলার রায় ঘোষণার পর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বাংলাদেশে অবস্থিত পশ্চিমা দেশের দূতাবাসসমূহ মামলাটি বাতিল এবং আদিলুর রহমান ও নাসির উদ্দিন এলানের মুক্তি চেয়ে বিবৃতি প্রদান করেছে। তালিকায় রয়েছে জাতিসংঘের হিউম্যান রাইট কমিশন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, এমেনেস্টি ইন্ট্যারন্যাশনাল ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মতো সংস্থা। এছাড়াও এটি নিয়ে প্রতিবেদন এবং খবর প্রকাশিত হয়েছে বিশ্বের শীর্ষ সব গণমাধ্যমে। নিঃসন্দেহে এই মামলাটিকে একটি ‘হাই ভোল্টেজ’ মামলা হিসেবে বিবেচনা করা যায় যাকে ‘বার্ডস আই ভিউ’ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করেছে দেশী ও বিদেশী নানান গোষ্ঠী। আজকের আলোচনায় এই মামলার আদ্যোপান্ত বিশ্লেষণ করা হবে তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে, আবেগ কিংবা রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে নয়।

বিজ্ঞাপন

আলোচনার শুরুতে আমাদের ফিরে যেতে হবে দশ বছর পূর্বে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গড়ে উঠা গনজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অবমাননাসহ নানাবিধ অভিযোগ নিয়ে মাঠে নামে হেফাজতে ইসলাম। তাদের নানাবিধ কর্মসূচীর ধারাবাহিকতায় ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সেই সমাবেশ থেকে ঘোষণা করা হয় বাংলাদেশের সংবিধানবিরোধী এবং মধ্যযুগীয় ১৩ দফা দাবিনামা, দেয়া হয় সরকার উৎখাতের হুমকি। ভাংচুর চালানো হয় বায়তুল মোকাররম মার্কেটসহ আশেপাশের সরকারি বেসরকারি নানান প্রতিষ্ঠানে।

বিজ্ঞাপন

তাওয়া গরম দেখতে পেয়ে রুটি ভাজতে চলে আসে তৎকালীন বিরোধী দল বিএনপিসহ এর সমমনা রাজনৈতিক দলসমূহ। স্বয়ং তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিএনপির নেতাকর্মীদের হেফাজতের সমাবেশ যোগ দেয়ার আহবান জানান। দিনভর চলা এই অরাজক পরিস্থিতি মোকাবেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ ধৈর্য্য ও সহশীলতার পরিচয় দেয়। হেফাজতে ইসলামকে বারবার অনুরোধ জানানো হয় নির্ধারিত সময়ে সমাবেশ শেষ করে ঘরে ফিরে যাওয়ার। কিন্তু দেশবিরোধী স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী প্ররোচনায় শাপলা চত্বরে অবস্থানের সিদ্ধান্ত নেয় হেফাজতে ইসলাম। বাধ্য হয়ে ৫ই মে দিবাগত রাতে হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে অভিযান পরিচালনা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। হতাহতের ঘটনা এড়ানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা সত্ত্বেও পুলিশের পক্ষ হতে উক্ত অভিযানে এগারো জন নিহত হয়েছে বলে জানানো হয় যার মধ্যে হেফাজতের কর্মীর পাশাপাশি ছিলেন পথচারী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য।

হেফাজতে ইসলামের ঘাড়ে চড়ে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্নে বিভোর দেশবিরোধী অপশক্তির পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ার পর তারা নতুন এক কৌশলের আশ্রয় নেন। শাপলা চত্বরের সমাবেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে হাজার হাজার হেফাজত ইসলামের নেতা-কর্মী নিহত হয়েছে বলে প্রচারনা শুরু করা হয়। ফটোশপের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নানান দুর্ঘটনায় মৃত ব্যক্তিদের ছবিকে শাপলা চত্বরে নিহতের ছবি প্রচারের মাধ্যমে দেশে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালান হয়। যদিও সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বশীল অবস্থানের কারণে সে অপচেষ্টা সফল হয়।

দেশে অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টিতে ব্যর্থ হয়ে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার নতুন পরিকল্পনা করে দেশবিরোধী চক্র। আর এর পুরোধা হিসেবে মাঠে নামেন মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার’ এর সম্পাদক আদিলুর রহমান। বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ডেপুটি এটর্নী জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করা আদিলুর রহমানের প্রতিষ্ঠান ‘অধিকার’ এর ওয়েবসাইটে ১০ জুন, ২০১৩ তারিখে ‘হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর সমাবেশ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন’ শিরোনামে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিংস প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। বাংলা এবং ইংরেজী উভয় ভাষায় প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে দাবি করা হয় হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে ৬১ জন নিহত হয়েছে যাদের বিস্তারিত তথ্যাদি তাদের অধিকার সংগ্রহ করেছে। এছাড়া এই রিপোর্টে আরো দাবি করা হয় প্রায় আড়াইহাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। অধিকারের প্রতিবেদন প্রকাশিত হবার পর সেটিকে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করে দেশী বিদেশী সংবাদমাধ্যমসমূহে নানান নেতিবাচক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় যা রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করে।

অধিকারের ৬১ জন নিহত হবার দাবিকে যাচাই বাছাই করার জন্য তথ্য মন্ত্রণালয় হতে ১০ জুলাই, ২০১৩ তারিখে তথ্য অধিকার আইনে নিহতের তালিকা চাওয়া হয়। কিন্তু অধিকার তালিকা প্রদানে অস্বীকৃতি জানিয়ে তাদের উদ্দেশ্যমূলক অপ-প্রচার অব্যাহত রাখে। এর প্রেক্ষিতে ১০ আগস্ট, ২০১৩ তারিখে গুলশান থানায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আশরাফুল ইসলাম একটি জিডি করে সেই জিডির আলোকে অধিকারের কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করে আদিলুর রহমানকে গ্রেফতার এবং প্রতিবেদন তৈরিতে ব্যবহৃত তিনটি ল্যাপটপ ও দুটি সিপিইউ জব্দ করা হয়। জব্দকৃত ডিভাইসমূহের ফরেনসিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে ৬১ জন নিহতের নাম সম্বলিত একটি তালিকা পাওয়া যায়। পুলিশের পক্ষ হতে উক্ত তালিকা যাচাই বাছাই করার জন্য বিস্তারিত তদন্ত পরিচালনা করা হয়। তদন্তকালে দেখা যায়, নিহতের তালিকায় উল্লেখিত চারজন জীবিত রয়েছেন, ভিন্ন ঘটনায় নিহত সাতজনকে হেফাজতের সমাবেশে নিহত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, মৃত পাঁচ জন ব্যক্তির নাম দুইবার করে উল্লেখ করা হয়েছে, এগারোজনের কাল্পনিক নাম যুক্ত করা হয়েছে যাদের কোন ঠিকানা উল্লেখ করা হয়নি, সাতজনের নামের পাশে ভুল তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় ছিলো সাতাশ জনের নামের পাশে ‘ইয়েট টু কনফার্ম’ লিখা থাকলেও ‘অধিকার’ কর্তৃক প্রকাশিত প্রতিবেদনে তাদেরকে মৃত হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। এতে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে, দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা এবং অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির হীন উদ্দেশ্য নিয়ে সম্পূর্ণ স্বেচ্ছায় ও সজ্ঞানে অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান এবং পরিচালক নাসির উদ্দিন এলান একটি বানোয়াট ও মিথ্যা প্রতিবেদন তৈরি এবং তা দেশে বিদেশে প্রচার করেছেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সালে ঢাকার সিএমএম আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন এবং ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সালে সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে এটি মামলা (মামলা নং-০১/২০১৩) হিসেবে গৃহীত হয়।

আইনী ভাষায় দুটি আপাতভাবে দ্বান্দিক কথা প্রচলিত রয়েছে। কথা দুটো হলো ‘জাস্টিজ হারিড, জাস্টিজ বুরিড’ এবং ‘জাস্টিজ ডিলেইড, জাস্টিজ ডিনাইড’। দুটো কথা একসাথে বিচার করলে আমরা এটি বলতে পারি যে, ন্যায়বিচারের স্বার্থে যেকোন আইনী প্রক্রিয়ায় পরিমিত সময় এবং উভয় পক্ষের সমান সুযোগ পাওয়া অপরিহার্য। এবার দেখা যাক উক্ত মামলায় আদিলুর রহমান ও নাসির উদ্দিন এলান কি কি আইনী সুবিধা পেয়েছেন কিভাবে মামলা পরিচালিত হয়েছে।

সুনির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেফতার হবার সত্বেও আদিলুর রহমান দুই মাসের মাথায় উচ্চ আদালত হতে জামিন লাভ করেন এবং নাসির উদ্দিন এলান মামলার কার্যক্রম শুরুর আগেই আগাম জামিন পান। ২০১৪ সালের ৮ জানুয়ারি সাইবার ট্রাইবুন্যাল আদালতে এই মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়। আদিলুর রহমান অভিযোগ গঠনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে ‘লিভ টু আপিল’ আবেদন করলে উচ্চ আদালত মামলার কার্যক্রমের উপর স্থগিতাদেশ প্রদান করে। দীর্ঘ আইনী প্রক্রিয়া শেষে চারবছর পর ২০১৭ সালের ৯ জানুয়ারি উচ্চ আদালত হতে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। আদিলুর রহমান স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল আবেদন করেন। সেই আবেদনের শুনানী শেষ হতেও লাগে আরো চারবছরের বেশি সময়। ২০২১ সালের ১৮ আগস্ট আপিল বিভাগ হতে আদিলুর রহমানে আপিল খারিজ হয়ে যাবার পর ৫ অক্টোবর সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। অর্থাৎ আদিলুর রহমানের আবেদনের প্রেক্ষিতে উক্ত মামলাটি আট বছরের বেশি সময় স্থগিত অবস্থায় ছিল। উক্ত মামলায় মোট স্বাক্ষীর সংখ্যা ছিলো আটাশ জন। মোট বাইশ জন স্বাক্ষী মামলায় সাক্ষ্য প্রদান করেন, চারজন স্বাক্ষী মারা যাওয়ায় সাক্ষ্য দিতে পারেননি। এছাড়াও সাক্ষ্য দিতে আসেননি আদিলুর রহমানের স্ত্রী এবং কর্মচারী।

প্রায় দুই বছর সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা চলাকালীন সময়ে আদিলুর রহমান ও নাসির উদ্দিন এলান স্থায়ী জামিনে ছিলেন এবং তাদের আইনজীবীগণ মামলা দীর্ঘায়িত করার জন্য সম্ভাব্য সকল আইনী সুযোগ গ্রহন করেছেন। অবশেষে ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সালে মামলা দায়েরের সুদীর্ঘ দশ বছর পর রায় ঘোষণা করেন সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালত। মামলার সংক্ষিপ্ত রায়ে বিচারক সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন প্রসিকিউশন তাদের আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণে সক্ষম হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি আইনে উক্ত অপরাধের সর্বোচ্চ সাজা অনধিক দশ বছর কারাদণ্ড এবং এক কোটি টাকা জরিমানা। আদিলুর রহমান এবং নাসির উদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়া সত্ত্বেও বিজ্ঞ বিচারক মাত্র দুই বছরের কারাদণ্ড ও দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে শাস্তি ঘোষণা করেন। তর্কাতিতভাবেই এটিকে ‘গুরুপাপে লঘুদন্ড’ বলা চলে।

উক্ত মামলা চলমান থাকার পুরোটা সময় বিভিন্ন দেশী ও আন্তর্জাতিক সংস্থা উক্ত মামলাটিকে হয়রানী ও নিপীড়ন মূলক মামলা হিসেবে অভিহিত করেছে। মামলাটি নিয়ে হয়েছে হরেক রকম অপপ্রচার। অথচ কেউ যদি সচেতন ভাবে এই মামলা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানার চেষ্টা করতো তাহলে এই মামলার মেরিট সম্পর্কে সহজেই বুঝতে পারতো। অবশ্য কেউ যদি জেগে জেগে ঘুমাতে চায় তাহলে তাকে জাগানো আসলেই কঠিন। সকল প্রতিবন্ধকতাকে পাশ কাটিয়ে যেভাবে এই মামলা পরিণতি পেয়েছে তাতে এই রায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।

‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা’ ও ‘ন্যায়বিচার’ এই শব্দগুলো আমরা ইদানিং প্রায়শঃ শুনতে পাই এবং যেকোন সভ্য সমাজে এই বিষয়গুলো কাম্য। কিন্তু এই বিষয়গুলোই যখন রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয় তখন সেটি গ্রহনযোগ্য হতে পারে না। আমাদের মনে রাখা উচিৎ মত প্রকাশের স্বাধীনতা আর মিথ্যা বলার স্বাধীনতা এক নয়। আর যে মিথ্যা রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা এবং অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বলা হয় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াও রাষ্ট্রের দায়িত্ব। অথচ সেই ব্যবস্থা নিতে গিয়ে যখন ‘ন্যায়বিচার’ নিশ্চিত করা হলো তখন সেই ন্যায়বিচারকেই প্রশ্নবিদ্ধ করার বহুবিধ অপচেষ্টা আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তরফ হতে যা কখনোই কাম্য হতে পারে না। এই ডাবল স্ট্যান্ডার্ডই বরং ন্যায়বিচার এবং আইনের শাসনের পরিপন্থী। আমরা যৌক্তিক হব, ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দের বাইরে গিয়ে সত্যের অনুসন্ধান করব এবং প্রকৃতপক্ষেই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হব, এই আহবান নিয়েই শেষ করছি এই লিখা।

লেখক: কলামিস্ট

সারাবাংলা/এসবিডিই

আদিলুর রহমানের কারাদণ্ড: একটি নির্মোহ পর্যালোচনা মুক্তমত শাহরিয়ার হাসান

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর