পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা বাঁশখালীতেই হোক
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৫:৩০
সম্প্রতি কথা উঠেছে দক্ষিণ চট্টগ্রামেই হতে চলেছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। যা হওয়ার কথা রয়েছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর। এমনই বার্তা দিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেল। তিনি ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন যে এটি দক্ষিণ চট্টগ্রাম কেন্দ্রিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কেননা তিনটি জেলার সমতূল্য চট্টগ্রাম জেলাতে কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নেই, যেখানে রয়েছে কেবল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এগুলো হলো; বিজিসি ট্রাস্ট, বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়, আর কক্সবাজার বিশ্ববিদ্যালয়। এত বড় দুরত্বের এই জেলাতে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থাকাটা খুবই জরুরী।
দক্ষিণ চট্টগ্রামের মধ্যে রয়েছে মূলত কক্সবাজার,লোহাগাড়া, বান্দরবান আর সমসম্ভাবনাময় উপজেলা বাঁশখালী। এই বাঁশখালী উপজেলাটি ৩৯২ বর্গকিলোমিটারের জায়গা জুড়ে রয়েছে। যেখানে রয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপার সম্ভাবনাময় পর্যটন কেন্দ্র বাঁশখালী ইকো-পার্ক থেকে শুরু করে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত বাঁশখালী সি-বিচ আর নৈসর্গিক দৃশ্যের মন মাতালো বাঁশখালী চা-বাগান। এছাড়াও এই উপজেলা টিতে রয়েছে দেশের জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হওয়া বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রের বাঁশখালী কয়লা পাওয়ার প্লান্ট। এটি নিঃসন্দেহে একটি বড় অবদান রাখে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন আর সরবারাহের ক্ষেত্রে।
আমরা দেখেছি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় একটি খুব বড় পরিসরের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। যেটার প্রায় পুরোটা জুড়ে রয়েছে পাহাড় আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বেষ্টনীতে ঘেরা। ঠিক তেমনি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপার সৌন্দর্য আর সবুজের সমারোহে সমৃদ্ধ বাঁশখালী উপজেলা। যেখানে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অনন্য বিস্তৃর্ণ ভূমি। এছাড়াও এই উপজেলাটিতে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনা থেকে শুরু করে সকল ধরনের নেতৃত্ব আর যোগাযোগ ব্যবস্থার কোনো ঘাটতি নেই। কেননা এই বাঁশখালী সড়ক হয়ে কক্সবাজার, লোহাগড়া, বান্দরবানসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের সব জায়গায় চলাচলের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। এছাড়া নেতৃত্ব আর পরিচালনায় রয়েছে এখানে দেশের জাতীয় পর্যায়ের নেতৃত্বকারী ব্যক্তিত্ব। কেননা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার প্রথম প্রতিবাদকারী ব্যক্তি মরহুম মৌলভী সৈয়দের বাড়ী এই উপজেলাতে। এছাড়াও এখানে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে যুদ্ধে শহিদ হওয়া অনেক মুক্তিযুদ্ধের গণ খবর।
দক্ষিণ চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী হওয়ায় এই উপজেলাটিতে প্রায় সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা রয়েছে এই উপজেলার সাথে চট্টগ্রামের অন্যান্য জায়গা বান্দরবান আর কক্সবাজারের। এই বাঁশখালী উপজেলাটি চট্টগ্রাম শহরের দূরবর্তী হওয়ায় অসংখ্য অসংখ্য শিক্ষার্থীদের অনার্স পর্যায় থেকে শুরু করে মাস্টার্স ডিগ্রী লাভের জন্য শহরে পাড়ি জমাতে হয়। ফলে এদের অসংখ্য শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়। অনেকে এ ব্যয় নির্বাহ করতে না পেরে ঝরে যায় অকালে। এতে করে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক প্রভাব ফেলে ঝরে যাওয়া শিক্ষার্থীদের তালিকায়। যদি এই উপজেলায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয় তাহলে নিঃসন্দেহে এটি আশীর্বাদ হয়ে থাকবে দক্ষিণ চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীদের। ফলে শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটবে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায়। শিক্ষার আলো ছড়াবে প্রতিটি ঘরে ঘরে। তাই সব দিক বিবেচনা রেখেই দক্ষিণ চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী স্থান বাঁশখালীতেই যেন হোক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়।
লেখক: শিক্ষার্থী; বাকলিয়া সরকারি কলেজ, চট্টগ্রাম
সারাবাংলা/এসবিডিই
তৌহিদ-উল বারী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা বাঁশখালীতেই হোক মুক্তমত