তবে কেন তামিমকে অবসর থেকে ফেরালেন?
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭:৪৮
রাগে, অভিমানে, ক্ষোভে তামিম ইকবাল সরে দাঁড়িয়ে ছিলেন চলতি বছরের জুলাই মাসের ৬ তারিখ। এরপর নানা ঘটনা প্রবাহ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী অনুরোধ করেছেন। মাশরাফি বিন মর্তুজা তাকে ফেরানোর জন্য এই প্রসেস সেই প্রসেসে একটা বড় রুল প্লে করেছেন। তামিম ইকবাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ অমান্য করতে পারেননি। তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার প্রক্রিয়ায় আবারো যুক্ত হয়েছেন। এরপর তো একটা মোটামুটি মেডিকেল প্রসেসের মধ্যে দিয়ে গেছে, রিহ্যাবের মধ্যে দিয়ে গেছেন।
তামিম ইকবাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছেন। দুই ম্যাচ খেলেছেন। একটায় ব্যাটিং করার সুযোগ পেয়েছিলেন এবং ৪৪ রান করেছেন। এরপর তার পুরো ক্যারিয়ারের শেষ আমরা বলে দিতে পারি। আলোচনার ট্যাগ লাইন প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়ে, স্নেহ করে, ভালোবেসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একজন ক্রিকেটারকে ফেরান এবং যে দেশের প্রধানমন্ত্রী একজন ক্রিকেটারকে সসম্মানে আসলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরানোর চেষ্টা করেন, সেই একই দেশে সেই পার্টিকুলার ক্রিকেটার- কারো হস্তক্ষেপে, অপছন্দের কারণে শেষ পর্যন্ত জাতীয় দলে টিকতে পারে না।
তামিম ইকবাল কখনো কমপ্লেইন করেননি যে, তিনি আনপ্লেবল অবস্থায় রয়েছেন। তামিম ইকবাল কখনো বলেননি যে, তিনি বিশ্বকাপে খেলতে পারবেন না। একটা দলের ফিজিও থাকে, ট্রেইনার থাকে, মেডিকেল টিম থাকে। তারা স্পেসিফিক্যালি কোথাও কখনো বলেননি– তামিম ইকবাল আনপ্লেবল অবস্থায় রয়েছেন, তাকে খেলানো যাবে না। কেউ বলেননি যে, তামিম ইকবাল পার্টিকুলারলি ৪০%, ৫০%, ৬০%, ৭০%, ৮০% কত পার্সেন্ট ফিট। এটারও প্যারামিটার কেউই সেট করে দেননি। কিন্তু দিনশেষে টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে মনে হয়েছে, তামিম ইকবাল ইজ নট প্রোপারলি ফিট টু প্লে দ্যা ওয়ার্ল্ডকাপ।
টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে আসলে কি মনে হয়েছে, নাকি শেষ পর্যন্ত ক্রিকেট বোর্ড প্রেসারে ঢেঁকি গিলেছে। সেই প্রেসারটা কে দিয়েছে? কিভাবে দিয়েছে? দিনে দিয়েছে নাকি রাতে দিয়েছে? সেই ব্যাপারগুলো আপনাদের কাছে ক্লিয়ার। আমি আর বলতে চাই না। যে ব্যাপারটা আপনারা জানেন সেটা আসলে বলার কিছুই নেই। তবে সবচেয়ে দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বাংলাদেশের ক্রিকেটে লিজেন্ডারি ক্রিকেটাররা কখনোই ভালোভাবে বিদায় নিতে পারে না এবং তারা যখন অন্য আরেকটা বড় পজিশনে যান, তখন তারা তাদের অতীতটাও ভুলে যান। মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, আব্দুর রাজ্জাক এবং হাবিবুল বাশার সুমন তাদের বিদায় কারোটাই ভালো ছিল না। সেই প্রশ্নও করা হয়েছে যখন তামিমের এপিটাফ তারা লিখছিলেন, নিজেদের কথা তাদের মনে পড়েছিল কিনা? সেই প্রশ্নের উত্তর সুকৌশলে এড়িয়ে গেছে। যখন প্রশ্নগুলো করা হয়েছিল, যে ক্রিকেটার খেলতে পারবেন না তাকে নিয়ে আপনারা চিন্তা করছেন যে সব ম্যাচ খেলতে পারবে কি পারবে না?
তাহলে ৪০ রান করার পরে যখন ডিসকাশন হলো, যখন তাকে ওভার ফোনে প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল যে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচটা খেলবে বিশ্বকাপে ভারতশালায়, সেই ম্যাচে তামিম ইকবাল যেন না খেলেন। সেটা কি ঠিক ছিল? অর্থাৎ বিসিবি বলছে, তামিম ইকবাল খেলার অবস্থায় নেই। আবার বিসিবিই ডিসাইড করছে, তামিম ইকবাল কোন একটা পার্টিকুলার ম্যাচ খেলবে না। তামিম ইকবাল সেখানে আবার ডিবেট করছেন যে, তিনি খেলতে চান। তামিমকে সেখানে ডিবেট করতে হয় যে, তিনি ওপেনিংয়েই ব্যাট করতে চান। তারা প্রতিপক্ষ ডিবেটররা সেখানটাই বলেন, তামিমকে মিডল অর্ডারে ব্যাট করতে হবে। ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে যেটা তিনি কখনোই করেননি। সেটাই তাকে করতে হবে, যদি দলে টিকে থাকতে চান। হাউ ফানি!
আমরা খেয়াল করে দেখবো যে, আসলে এইযে ১০০% ফিট স্কোয়াড নিয়ে আমরা যেতে চাই। সুপার ফিট ক্রিকেটারদেরকে আমরা দলে চাই। দুইটা আলাদা আঙ্গিকে যদি ব্যাপারটাকে ব্যাখ্যা করা হয়, খুব খুব ইন্টারেস্টিং লাগে। এক নাম্বার ব্যাপার যেটা, সেটা হচ্ছে এই যে ফিটনেস নিয়ে কথা বলা হচ্ছে। বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা কি আসলে টানা ৯ ম্যাচ খেলা অবস্থায় কেউ রয়েছেন? খেলানো হবে সত্যি সত্যি কাউকে? ২টা প্রস্তুতি ম্যাচ সহ সংখ্যাটা হচ্ছে ১১। দুই নাম্বার পয়েন্ট যেটা- যেই ক্রিকেটারদের খেলানো হয়, তাদেরকে কি বিশ্রাম না দিয়ে দিয়েই খেলানো হয়? ওয়ার্ল্ডকাপ ট্যুর ম্যানেজমেন্টের জন্য কি আসলে মেডিকেল টিমের কোন পরিকল্পনা থাকে কিনা?
আমি যদি একটু এক্সাম্পলে বলি– সাকিব আল হাসান ওয়ানডে ক্যাপ্টেন। তিনি এশিয়া কাপে ব্যাক করার পরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের কোন ম্যাচ খেলেননি। আমার কোন কমপ্লেইন নেই। আমি প্রসেসটার কথা বলছি। তার বিশ্রাম দরকার, তাই তো? এখন এই সাকিব আল হাসান কিংবা সাকিব আল হাসানের সতীর্থ অন্য যারা রয়েছেন তাদের তো বিশ্বকাপে টানা ৯ ম্যাচ খেলতে গিয়ে ৩/৪ ম্যাচ পরে বিশ্রাম প্রয়োজন হতে পারে। পারে তো নাকি? তখন কি টিম ম্যানেজমেন্ট, মেডিকেল টিম, ক্রিকেট বোর্ড অফস? সেই বিশ্রামটা তাদেরকে দেবেন না। পেস বোলিং ডিপার্টমেন্টে শরীফুলের কথা আমরা বলতে পারি, তাসকিনের কথা আমরা বলতে পারি এবং হাসান মাহমুদের কথা আমরা বলতে পারি। প্রত্যেককেই বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। মেহেদী হাসান মিরাজ ওয়ান অব দ্যা ফিটেস্ট যাকে ধরা হয়, তাকেও বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। মুশফিকুর রহিম ওয়ান অব দ্যা হার্ড ওয়ার্কিং ক্রিকেটার। তিনিও বিশ্রাম চেয়েছেন, নিয়েছেন।
যখন নামটা পার্টিকুলারলি তামিম ইকবাল খান এবং তাকে আপনার জোর করে অবসরে পাঠাতে হবে। বিশ্বকাপ স্কোয়াডে রাখবেন না। ঠিক তখন তার বিশ্রাম, তিনি যে বিশ্রামটা চেয়েছেন। এটাকে বারবার বলা হয়েছে। তামিম ইকবাল থার্ড ম্যাচটা খেলতে চাননি। সেটা একটা অপরাধ হয়ে গেছে। কিন্তু অন্য ক্রিকেটাররা পুরো সিরিজ খেললো না, সেটা কোন ঘটনা না। অন্য ক্রিকেটার সিরিজের প্রথম ২/৩ টা ম্যাচ খেলেন নি, সেটা কোন বিষয় না। তামিম ইকবাল একটা ম্যাচ খেলতে চান নি। যেহেতু তিনি ইনজুরি থেকে ব্যাক করেছেন। বলা হচ্ছে একটা ম্যাচ খেলেছেন। আরেকটা ম্যাচে তো তিনি পুরো ওভার ফিল্ডিং করেছেন। সেই আলোচনাটা কেউ করেন না। মাঠে থাকা মনে হয় যেন অনেকটা জান্নাতে থাকার মতো। ব্যাপারটা কি তাই?
সেকেন্ড পয়েন্ট যেটা, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। আমরা ওয়ার্ল্ড কাপ স্কোয়াডে আমাদের সবচেয়ে বড় কনসার্নের জায়গা হচ্ছে ওপেনিং। বাংলাদেশের ওপেনিং নিয়ে এই মুহূর্তে সবাই চিন্তিত। এদিকে প্রচুর মানুষের অভিযোগ লিটন কুমার দাশের পারফরম্যান্স নিয়ে। ভেরি অনেস্ট। লিটন কুমার দাশকে নিয়ে প্রশ্নের উত্তর আমি এড়িয়ে যায়। লিটনকে আমি ইন্সপায়ার করতে চাই। আমি বিশ্বাস করি যে, তিনি তার পারফরম্যান্সের আলোয় ফিরবেন। আমি বিশ্বাস করি সেটা। নেগেটিভ আর্টিকেল লিখলেই আসলে একজন ক্রিকেটার ভালো করবেন, খারাপ করবেন সেটা তো আসলে ডিটারমিনেশন হতে পারে না।
কিন্তু যাদেরকে দলে নেয়া হয়েছে। আমি ছোট করছি না। যাদেরকে অতীতে নেওয়া হয়েছিল এবং যাদেরকে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল, কেউ যদি মনে করেন যে তামিম ৮০% ফিট, কেউ যদি মনে করেন তামিম ৯০% ফিট। এই ৮০%, ৯০% ফিট তামিমের থেকে ১০০% ফিটেস্ট নাঈম শেখরা বেটার? ছোট তামিমরা কি বেটার? কোনো ভাবে কি মনে হয়?
শুধুমাত্র একটা জাতীয় দল পরিচালিত হচ্ছে, সিলেক্টেড হচ্ছে কারো কারো ইচ্ছের উপর ডিফেন্ড করে। যে আসলে আমি কাকে দেখতে চাই, যে কাকে দেখতে চাই না। অথচ দেশের প্রধানমন্ত্রী চান, তামিম ইকবাল বিশ্বকাপ খেলুক। তামিম ইকবাল ইন্টারভিউতে বলেছিলেন– তিনি বিশ্বকাপটা খেলতে চান এ কারণেই যে, প্রধানমন্ত্রী ওয়ান্টেড। সেভাবেই তিনি নিজেকে তৈরি করেছিলেন। আমি কোন পলিটিক্যাল আলোচনায় যেতে চাই না। আমি প্রধানমন্ত্রীর ওই পজিশনটাকে রেসপেক্ট করতে চাই। সেই জায়গায় যিনিই থাকুন না কেন, এটা রেসপেক্টেড একটা পজিশন। তামিম ইকবাল সেই রেসপেক্টটা প্লে করেছেন। কিন্তু দিনশেষে প্রধানমন্ত্রীকেও আসলে কেউ কেউ খুব একটা হিসেবের মধ্যে কি ধরতে চাই না? তাই কি মনে হয়? আমার কাছে অন্তত তাই মনে হয়।
চন্ডিকা হাথুরুসিংহে এবং ক্যাপ্টেন তারা যখন নাজমুল হাসান পাপনের বাসায় গিয়ে, এটা ওপেন সিক্রেট। কেউ বলবে না। অফিসিয়ালি এসে বলবে না মাইক্রোফোনের সামনে ওপেন সিক্রেট। জানিয়ে দেন যে, হাফ ফিট তামিম ইকবালকে নিয়ে তারা বিশ্বকাপে যেতে চান না। যখন আলোচনা হয় এইরকম, কোচ হাথুরু কোনো ভাবেই তামিমকে মানতে চান না। সেটা কতটুকু লজিক্যাল? এবং বিসিবি সেটা মেনে নেয়। তামিম ইকবাল যদি বলেন, আসলে আমি খেলার মতো অবস্থায় নেই। তামিম যদি বলেন যে, আমি হাফ ফিট। সেটা একটা ব্যাপার। কিন্তু তামিমকে তো কোথাও বলেননি যে, তিনি একদম খেলার মতো অবস্থায় নেই। তিনি ৫০% ফিট, ৬০% ফিট। এই আলোচনাগুলো কিন্তু কখনো তামিমের দিক থেকে আসেনি।
আরেকটা উড়ো খবর। যেটা আজকে জিজ্ঞেস করা হয়েছে। যারা সংবাদ মাধ্যমে কর্মরত। সেটা ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট কিংবা অনলাইন হতে পারে। সিলেকশন প্যানেলকে জিজ্ঞেস করা হয়েছে। ইন্টারেস্টিং প্রশ্ন যে, ওই যে ৫ টা ম্যাচের কথা। তামিম ইকবাল ৫ টার বেশি ম্যাচ খেলবে না। সিলেকশন প্যানেলের সদস্যদেরকেই তো বলতে হবে, যদি বলে। তারা যেহেতু সিলেক্ট করবেন, তাইতো? এইরকম কি কোন আলোচনা ছিল, যে তামিম ইকবাল ৫ টার বেশি ম্যাচ খেলতে পারবেন না। তারা কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি। তার মানে পুরো ব্যাপারটাকেই নিজেদের কোর্টে নেওয়ার জন্য যেভাবে যেভাবে ডেকোরেট করা দরকার, সেটা করা হয়েছে।
তামিম ইকবালকে দলে না রাখার জন্য যা যা করা দরকার, সেটা করা হয়েছে এবং ফাইনালি সেটা আলোর মুখ দেখেছে। বাংলাদেশ দলটা যে একটা বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছে। এই দলটা যে ১৭-১৮ কোটি মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে। যে দলটাকে নিয়ে অনেক বেশি স্বপ্ন। কারণ আমাদের ফরম্যাটটা ফেভারিট ফরম্যাট ওডিআই। যেখানে অনেকটাই আমাদের কন্ডিশনে আমরা খেলতে যাব, সেই ব্যাপারটা মাথায় না রেখে পছন্দের ক্রিকেটার কে হবে? তাদের নিয়ে আমরা চিন্তিত হয়ে পড়ি।
তামিম ইকবালকে বাদ দেওয়ার কথা চিন্তা করার আগে আমরা কখনো ভাবি না, এই যে নিউজিল্যান্ড সিরিজে টানা আমরা ২ টা ম্যাচ খারাপ করলাম। ৫০ ওভার খেলতে পারিনা। ৩৫ ওভার খেলতে পারি না। ২০০ রান করতে পারি না। পৌনে ২০০ রান করতে পারি না। সেগুলো নিয়ে আমরা কেউ ভাবি না। আমরা পরিকল্পনা নিয়ে ব্যস্ত। কাকে বাদ দিব?
মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের এপিসোড শেষ হয়েছে। তামিম ইকবালের এপিসোড শুরু হয়েছে এবং এটা অ্যাড করে দেয়া হয়েছে। আজকে এই ডিসিশন মেকিং-এর সাথে যারা জড়িত; রাষ্ট্রের প্রধান নির্বাহীর নির্দেশনা, ইচ্ছা, বাসনা, পরামর্শ ও স্নেহ সেগুলোকে কতটুকু তারা মাথায় নিচ্ছেন? আদৌ কি রেখেছেন?
তামিম ইকবালকে যে বাদ দিয়েছেন, তামিমের সাথে কি কেউ একবার কথা বলেছেন? তামিম তোমাকে আমরা বাদ দিয়ে দিলাম। ম্যাশের সাথে এটা করা হয়নি। মাশরাফির কথা বলছি। অন রেকর্ডে তিনি সেটা বলেছেন। তামিম ইকবালও বলবেন একই ঘটনা ঘটেছে। ডিসরেসপেক্ট করে আসলে রেসপেক্টেড হওয়া যায় না। চন্ডিকা হাথুরুসিংহে তার খেলোয়ড়ি ক্যারিয়ারে বিতর্কিত ছিলেন। কোচিং ক্যারিয়ারের প্রথম অধ্যায়ে বাংলাদেশে ম্যাজিক দেখিয়ে এখান থেকে চলে গিয়েছিলেন। এখনো তার ম্যাজিক আমরা দেখছি। হাথুরুসিংহে ইজ ওয়ান অব দ্যা গ্রেটেস্ট ম্যাজিসিয়ান। হাথুরু ক্যারি অন। আপনি জিতেছেন। হেরে গেছে বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অবসর ভেঙে জাতীয় দলে ফিরেছিলেন তামিম ইকবাল। শেষমেষ, হাথুরু গ্রুপের আনলিমিটেড কর্তৃত্বের কাছে হেরে বিশ্বকাপের দলেই জায়গা পেলেন না তামিম ইকবাল খান। বাস্তবতা হলো অনেকটা জোর করেই বের করে দেয়া হলো দেশের ইতিহাস সেরা ওপেনারকে। তামিম বিশ্রাম চাওয়ায় যেনো সব অশুদ্ধ হয়ে গেলো। অথচ সদ্য সমাপ্ত ওডিআই সিরিজে দলের অর্ধেকের বেশি ক্রিকেটারকে বিসিবিই বিশ্রাম দিয়ে খেলিয়েছে। তামিমের ওয়ার্কলোড নিয়ে চিন্তিত ডিসিশান মেকাররা তাকে বেরই করে দিলেন।
সর্বোপরি– বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি বন্ধ করা সময়ের দাবি। যদি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ক্রিকেট বোর্ডের এই অমীমাংসিত সমস্যার সমাধান নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়, তবে অচিরেই বাংলাদেশের ক্রিকেট বিশ্বমঞ্চ থেকে হারিয়ে যাবে।
লেখক: শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম কলেজ
সারাবাংলা/এজেডএস