শেখ হাসিনার সৃজনশীলতায় এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ
২ অক্টোবর ২০২৩ ১৫:২০
আধুনিক ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছেন জাতির পিতারকন্যা শেখ হাসিনা। দীর্ঘ ৩৮ বছর ধরে নিজ রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও আপসহীন নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশের রাজনীতির মূল স্রোতধারার প্রধান নেতা হিসেবে তিনি নিজেকে শুধু উপমহাদেশেই নয়, বিশ্ব নেতাদের নজর কাড়েন।
তার সৃজনশীলতায় বাংলাদেশ যেমন এগিয়ে যাচ্ছে, তেমনী সারাবিশ্বও মুগ্ধ হচ্ছে। বাংলাদেশ আজ বিশ্বমঞ্চে উন্নয়নের রোল মডেল। যা একমাত্র শেখ হাসিনার জন্যই সম্ভব। আর এই সম্ভব হওয়ার অন্যতম কারণ শেখ হাসিনার সৃজনশীলতা। জননেত্রী শেখ হাসিনার সৃজনশীলতার পরিচয় দিতে গেলে কয়েক শত বই লিখে ফেলা যাবে। তাই গুরুত্বপূর্ণ এবং উল্লেখযোগ্য কিছু উদাহারণ তুলে ধরা হলো।
ডিজিটাল বাংলাদেশ
একটি স্বপ্ন। বিরাট এক পরিবর্তন ও ক্রান্তিকালের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এখন এগিয়ে চলছে। একুশ শতকে বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে ৬ জানুয়ারি ২০০৯ শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো শপথ নেন। সে লক্ষ্যে কাজও করেছেন তিনি। যার ফলশ্রুতিতে আজ বাংলাদেশ একটি ডিজিটাল এবং আধুনিক দেশে পরিণত হয়েছে। এদেশ এখন আধুনিকতায় অন্যান্য দেশকে পেছনে ফেলতে সক্ষম হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশের আধুনিকতা এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ সম্পর্কে সুন্দর মন্তব্য করেছেন।
ডিজিটাল বাংলাদেশের উদাহারণ হিসেবে আমরা দেখতে পাই বর্তমানে দেশের একস্থান থেকে অন্যস্থানে সহজেই মোবাইলের মাধ্যমে টাকা পাঠানো যায়। যা আজ থেকে ৫০ বছর আগে মানুষ কল্পনায়ও আনেনি। এখন অনলাইনেই যেকোনো কিছু ক্রয় করা সম্ভব। ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে অফিস করাও এখন সম্ভব হয়েছে একমাত্র শেখ হাসিনার সরকারের কারণে। যেকোনো অনুষ্ঠান সেমিনার এখন অনলাইনের মাধ্যমে উদ্বোধন করা থেকে শুরু করে সবকিছুই অনলাইনের মাধ্যমে করা যাচ্ছে বর্তমানে। ২০২০ সালে এই দিকগুলো সবচেয়ে বেশি পরিচিত হয়েছে বাংলাদেশের মানুষের কাছে।
অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষাকার্যক্রম থেকে শুরু করে করোনা কালে করোনা ভাতা সহ সবকিছুই একদম সুন্দরভাবে পরিচালিত হয়েছে। আমরা করোনার সময় এমন একটা সহজ মাধ্যম যদি না পেতাম তবে কি হতো একবার ভেবে দেখুন!
এছাড়াও আছে সাধারণ মানুষের জন্য ৯৯৯ সেবা। এটা বাংলাদেশের মানুষের জন্য একটি অত্যাধুনিক সেবা। এই সেবার মাধ্যমে সাধারণ মানুষ যেকোনো বিপদ, সমস্যায় আইন শৃংখলা বাহিনীর সেবা পাবে সাথে সাথে। ৯৯৯ নম্বরে একটি ফোনেই মিলবে সেবা। এমন আধুনিকায়ন বিশ্বের খুব কম দেশে আছে।
এইযে এতো সুযোগ-সুবিধা এসবকিছুই ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য সম্ভব। আর করোনাকালে বাংলাদেশের মানুষ এই ডিজিটাইলেশন উপভোগ করেছে সাচ্ছন্দে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৃজনশীলতার কারণে মানুষ আজ এসকল সেবা ভোগ করতে পারছে।
দারিদ্রতা দূরীকরণ
বিশ্ব মন্দা পরিস্থিতি মধ্যেও গত কয়েক বছর ধরে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখার পাশাপাশি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনীতির প্রতিটি সূচকে এগিয়ে গেছে দেশ। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, শিক্ষা, কৃষি, খাদ্য ও তথ্যপ্রযুক্তিতে অভূতপূর্ব উন্নতি, প্রবৃদ্ধি ও মাথাপিছু আয় ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি, রেকর্ড ভাঙা রিজার্ভ, দারিদ্র্য হ্রাস, জনগণের জীবনমান উন্নয়ন প্রতিটি ক্ষেত্রে রয়েছে শেখ হাসিনার সরকারের সাফল্য।
সমাজের দরিদ্র ও অবহেলিত মানুষের জন্য একটি সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা। দারিদ্র বিমোচনের জন্য নানামুখি কর্মসূচি ও প্রকল্প বাস্বায়ন করা, জনগনের জন্য স্বাস্থ্য, বাসস্থান, খাদ্য, সামাজিক কল্যাণ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছেন গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনা। তার সৃজনশীলতায় দেশের মহিলা ও শিশুরা বিশেষভাবে উপকৃত হয়েছেন। তিনি আশ্রয়ণ ব্যবস্থার মাধ্যমে ৩৩ হাজার অতিদরিদ্র মানুষকে আশ্রয় দিয়েছেন। মুজিববর্ষে ৯ লাখ গৃহহীন পরিবারকে বাড়ি নির্মাণ করে দিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার।
এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বিধাব ভাতা, প্রতিবন্ধি ভাতা, বয়স্ক ভাতা, করোনা ভাতা, বয়স্কদের জন্য শান্তি নিবাস এবং একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প সহ বিভিন্নভাবে দারিদ্রতা বিমোচনে কাজ করে যাচ্ছে শেখ হাসিনার সরকার। সমাজের সকল মানুষকে আত্ম নির্ভরশীল করার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াটাই হলো শেখ হাসিনার সৃজনশীলতার একটি অনন্য উদাহারণ
নতুন উদ্ভাবন
বর্তমান সময়ে এদেশের সৌন্দর্য, আধুনিকতা পুরো বিশ্বের কাছে উপস্থাপন করা যায়। আর এই উন্নয়নের নেতৃত্ব দিয়েছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। এসকল উন্নয়নের মাঝে রয়েছে বেশকিছু নতুন উদ্ভাবন। রূপপুর পারমানবিক বিদ্যু কেন্দ্র, পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু টানেল, মেট্রা রেল, বঙ্গবন্ধু স্যাটলাইট এমন আরও অনেক নতুন উদ্ভাবন করেছে শেখ হাসিনার সরকার। এসকল নতুন উদ্ভাবনার মধ্যে রয়েছে সৃজনশীলতার পরিচয়।
একসময় আমরা পদ্মা সেতু নিয়ে স্বপ্ন দেখতাম, আজ সেটা বাস্তবে দেখছি। এই স্বপ্নের সেতু নিয়ে বাংলার মানুষ আজ নতুনভাবে স্বপ্ন দেখা শুরু করছে। এই সেতু হওয়ায় অনেক অনেক মানুষের ভাগ্য ফিরেছে। এছাড়াও একসময় আমরা কল্পনা করতে পারিনি পানির নিচে টানেল হবে। পানির নিচ দিয়ে গাড়ি চলবে এটা স্বপ্ন ছাড়া আর কি হতে পারে? কিন্তু আজ বাংলাদেশে এই টানেল হচ্ছে। আমরা পদ্মা সেতু নিয়ে স্বপ্ন দেখতাম, আজ সেটা বাস্তবে দেখছি।
একসময় আমরা অন্যের স্যাটলাইটের উপর নির্ভর করতাম। কিন্তু এখন আমাদের নিজস্ব বঙ্গবন্ধু স্যাটলাইট আছে। এমন আরও অনেক অনেক নতুন নতুন সৃজনশীল উদ্ভাবনা রয়েছে। যা বাংলার মানুষের জন্য অনেক অনেক বেশি প্রয়োজন ছিলো।
আর এই প্রয়োজনীয়তা মিটিয়েছেন শেখ হাসিনা তার সৃজনশীলতার মাধ্যমে। বাংলাদেশে যেসকল উন্নয়ন এবং নতুন উদ্ভাবন হচ্ছে তার বেশির ভাগই সেখ হাসিনার সৃজনশীলতার মাধ্যমে হচ্ছে। এটা নিয়ে আজ বাংলার মানুষের হৃদয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
লেখক: কলামিস্ট
সারাবাংলা/এসবিডিই
আজহার মাহমুদ মুক্তমত শেখ হাসিনার সৃজনশীলতায় এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ