একটি সেতুর অপেক্ষায় সুবিধাবঞ্চিতরা
৯ অক্টোবর ২০২৩ ১৬:৫৩
একটি সেতু ঘোচাবে উপজেলার কালাপাকুজ্জ্যা ইউনিয়নবাসীর ভাগ্য। কাপ্তাই হ্রদের শাখা কাচালং নদীর উপরে মাইনীমুখ ইউনিয়নের ফরেস্ট অফিস থেকে কালাপাকুজ্জ্যা ইউনিয়নের রহমতপুর এলাকার সংযোগে সেতুটি নির্মিত হলে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহ অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। তবে লংগদু উপজেলার কাচালং নদীতে একটি সেতু খুব প্রয়োজন। এখানে সেতু স্থাপন করলেই কালাপাকুজ্জ্যা হয়ে লংগদু-বাঘাইছড়ি অর্থনৈতিক অঞ্চল পর্যন্ত বিভিন্ন শিল্প খাতে বিপ্লব ঘটবে এতে কোনো সন্দেহ নেই।
বিশেষ করে লংগদু উপজেলার সার্বিক উন্নয়ন ২নং কালাপাকুজ্জ্যা ইউনিয়ন সমগ্র অঞ্চল জুড়ে অগ্রগতি আরও বেশি বেগবান ও ত্বরান্বিত হবে বলে আশা করেন সচেতন নাগরিক।
লংগদু সদরের সাথে দূরত্বও ১০-১৫ কি.মি কমে যাবে। এতদাঞ্চলের অবহেলিত, উপেক্ষিত ও বঞ্চিত মানুষের ব্যাপক কর্মসংস্থান হবে। সেতুটির কারণে উপজেলা হয়ে রাঙামাটি জেলার সঙ্গে সারা দেশের যোগাযোগ বেড়ে যাবে এবং কাপ্তাই হ্রদ হয়ে সহজেই জেলা শহরে কালাপাকুজ্জ্যা ইউনিয়ন তথা উপজেলার উৎপাদিত শহরে প্রেরণ উপযোগী মৎস্য, শষ্য ইত্যাদি রপ্তানিযোগ্য কৃষিজ পণ্য পরিবহণ সহজীকরণ হবে এবং সরকারও বিরাট রাজস্ব আহরণ করতে পারবে।
অভিজ্ঞ মহলের মতে সেতু স্থাপনের কারণে মানুষ চলাচল ও যান চলাচলের পথ সুগম হবে। তখন দেখা যাবে পর্যটন সম্ভাবনার কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে লংগদু। তাই উক্ত স্থানে একটি সেতু প্রয়োজন। কারণ এই অঞ্চল দিয়ে দেশের সর্ববৃহৎ সীমান্ত উপজেলা বাঘাইছড়িতে গমনাগমন ও বিভিন্ন শিল্প কারখানা স্থাপনের জন্য এবং কৃষি খাতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ স্থান। তাই এতদাঞ্চলে শিল্প স্থাপনের ফলে অনেক বেশি সরকার লাভবান হবে বলে শিল্পোদ্যোক্তারা মনে করছেন। এমনকি উপজেলা সদরের মতো উন্নয়ন করাও সহজতর হবে এবং অত্র জেলার সার্বিক অর্থনৈতিক গুরুত্ব আরও বহুগুণ বেড়ে পার্বত্যাঞ্চল অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির দিকে দ্রুত এগিয়ে যাবে।
জানা গেছে, হ্রদ বেষ্টিত এ অঞ্চলে ইতিমধ্যে অনেক স্থানীয় উদ্যোক্তারা বিভিন্ন শিল্প স্থাপনে জরিপ চালিয়েছেন। এতে তারা অভিমত দিয়েছেন যদি এখানে একটি সেতু নির্মাণ করা হয় তাহলে পুরো উপজেলা পর্যটন স্পট ও অনায়াসে হালকা শিল্পকারখানা দ্রুত স্থাপনের দ্বার উন্মোচিত হবে। এমনকি শুধু ইউনিয়ন বা উপজেলা নয় পুরো রাঙামাটির সামগ্রিক অর্থনৈতিক গুরুত্ব আরও বেড়ে যাবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ইতিবাচক হস্তক্ষেপের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে জোর দাবি জানানো হচ্ছে।
লেখক: গণমাধ্যমকর্মী
সারাবাংলা/এসবিডিই