নিরাময় অযোগ্য রোগীদের যন্ত্রণা লাঘব হোক মমতাময় মানুষের স্পর্শে
১৪ অক্টোবর ২০২৩ ১৩:১৭
চিকিৎসাব্যবস্থায় নিরাময়-অযোগ্য, জীবন সীমিত হয়ে আসা রোগী ও রোগীর পরিবারের মানুষদের সর্বাত্মক পরিচর্যা প্রদানের জন্য বিজ্ঞান ভিত্তিক সমন্বিত চিকিৎসার নামই ‘প্যালিয়েটিভ কেয়ার’ বা প্রশমন সেবা। আধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। দেশে প্যালেয়েটিভ কেয়ার শব্দটি এখনো সুপরিচিত নয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের সাথে যারা জড়িত, তারা ছাড়া অনেকেই এই শব্দটার সাথে পরিচিত নন। এক্ষেত্রে মূল চ্যালেঞ্জটা হলো আমাদের কমিনিউটির মানুষদেরকে নিরাময় অযোগ্য রোগে আক্রান্ত মানুষদের সেবার সাথে সম্পৃক্ত করা। প্যালেয়েটিভ কেয়ারের বড় একটি অংশ হলো ব্যথা নিরাময় করা। এর সাথে আরো অনেক কিছু রয়েছে। যেমন- শ্বাসকষ্ট, খেতে পারে না, সেই সাথে বড় সমস্যা হলো মানসিক সমস্যা। একজন মানুষের জীবনের শেষ সময়ে এটা খুবই প্রয়োজন। এরপরও যদি রোগী মারা যায়। সেই সময়ে পরিবারে জন্য যে সহায়তাটা প্রয়োজন সেটাও প্যালেয়েটিভ কেয়ারের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ। এই জিনিসগুলো সম্পর্কে এখন পর্যন্ত অধিকাংশ মানুষের ধারণা পরিস্কার নয় বরং রয়েছে নেতিবাচক ভ্রান্ত বিশ্বাস ও বদ্ধমূল ধারণা।
জন্মের পর মানুষের জীবনের শেষ পরিণতি হচ্ছে ‘মৃত্যু’। সেই ‘মৃত্যু’ অবধারিত হলেও সকলের প্রত্যাশা থাকে বেদনাহীন, যন্ত্রণাহীন, মর্যাদাপূর্ণ নিরাপদ ‘মৃত্যু’র। কিন্তু নিরাময় অযোগ্য রোগে আক্রান্ত মানুষদের ক্ষেত্রে অনেক সময় সেটি হয়ে ওঠে না। ফলে রোগী মৃত্যুর আগেই শারীরিকভাবে, মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। বিশ্বব্যাপী ভালো হবার নয় এমন রোগীদের রোগ নির্ণয়ের শুরু থেকেই এ চিকিৎসাব্যবস্থার আওতায় আনার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে প্রচার করা হচ্ছে।
অনেকেই ভাবেন প্যালেয়েটিভ কেয়ার বা সেবা নিশ্চিত করতে হলে অনেক টাকার প্রয়োজন, বিষয়টি পূর্ণ সত্য নয়, বরং রোগীর সেবার জন্য আন্তরিক জনবল প্রয়োজন। জনবলটা পরিবার বা সমাজ থেকে নিজস্ব মানবিক উদ্যোগ বা স্বেচ্ছাসেবী কাজের মনোভাবের জায়গা থেকে আসতে হবে। কারণ আমাদের সমাজে এমন অনেক মানুষ থাকে, যাদের আর্থিক স্বচ্ছলতা বা কোন পরিজন থাকে না, সে ক্ষেত্রে সমাজের মানুষ হিসেবে এই নিরাময় অযোগ্য মানুষদের প্রতি যদি আমাদের মানবিক দায়িত্ববোধ ও মমতার চর্চাকে যদি আমরা প্রতিষ্ঠিত না করতে পারি, তাহলে প্রান্তিক পর্যায়ে প্যালিয়েটিভ কেয়ার বা প্রশমন সেবাকে সঠিকভাবে পৌঁছে দিতে পারবো না।
প্যালিয়টিভ কেয়ার এটা একটি সামগ্রিক সেবা ব্যবস্থাপনা। এই সেবা কার্যক্রমের রোগী এবং তার পরিবার উভয়ের জন্যই। ডাক্তার, নার্স, রোগীর পরিবারের সদস্যবৃন্দও এর মধ্যে অন্তর্ভূক্ত। যারা বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী কিংবা মৃত্যুপথ যাত্রী রোগীকে যথাযথ সেবা দিয়ে রোগীর মানসিক, এবং শারীরিক বেদনাগুলোকে প্রশমিত করে থাকেন। সেই সাথে রোগীর আত্মিক ও সামাজিক পরিস্থিতিগত কষ্টগুলোকে কমিয়ে আনার চেষ্টা করেন। এই সামগ্রিক সেবা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অসুস্থ ব্যক্তিটি শারীরিক, মানসিক, আধ্যাত্মিক ও সামাজিক কষ্ট প্রশমনের মাধ্যমে নিজেকে অসহনীয় যন্ত্রণা থেকে রক্ষা করতে পারেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে এর সংজ্ঞা হলো প্যালিয়েটিভ কেয়ার এমন একটি উদ্যোগ যা নিরাময় অযোগ্য রোগে আক্রান্ত রোগী এবং তার পরিবারের জীবনের গুনগতমান বাড়ায়, যা প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্তকরণ এবং নিখুঁত বিশ্লেষণসহ ব্যথা ও অন্যান্য শারীরিক, মনোসামাজিক এবং আত্মিক সমস্যাগুলো সমাধানের মাধ্যমে দুঃসহ কষ্ট প্রতিরোধ ও প্রতিকারের প্রয়াস পায়। এই সেবা রোগ ধরা পড়ার সাথে সাথেই শুরু হয় এবং রোগীকে এই রোগ নিরাময়ের জন্য চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হোক বা না হোক প্যালিয়েটিভ সেবা চলতে থাকবে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে কোনো রোগীকে যখন কিছু করা যায় না। সেই সময়ে রোগী যাতে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ভালোভাবে জীবনযাপন করতে পারে এবং শান্তিতে মারা যেতে পারে, সেটা হাসপাতালে কিংবা বাসায় হতে পারে। প্যালিয়েটিভ কেয়ার সেটা নিশ্চিত করে।
সারা বিশ্বে হসপিস এবং প্যালিয়েটিভ কেয়ার উদযাপন এবং সমর্থন করার জন্য ওয়ার্ল্ডওয়াইড হসপিস অ্যান্ড প্যালিয়েটিভ কেয়ার ডে (ডব্লিউএইচপিসিডি) হল পালন করা হয়। এটি ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। প্রতি বছর প্রশমন সেবার গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো প্রাধাণ্য দিয়ে প্রতি বছর ভিন্ন ভিন্ন প্রতিপাদ্য বেছে নেওয়া হয়। ২০২৩ সালে এই দিবসটির প্রতিপাদ্য হল ‘মমতাময় জনগোষ্ঠী: প্রশমন সেবার জন্য একসাথে’। এই প্রতিপাদ্যের মাধ্যমে প্রশমন সেবার বারতাকে সর্বত্র ছড়িয়ে দেবার জন্য একটি মমতাময় জনগোষ্ঠী গড়ে তোলার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিরাময় হওয়ার সম্ভাবনা কম এমন রোগে আক্রান্ত হয়ে প্যালিয়েটিভ কেয়ারে থাকাদের মধ্যে ৬০ শতাংশেরও বেশি রোগীই ক্যান্সারে আক্রান্ত। এর মাঝে বেশির ভাগ রোগীরই প্রধান লক্ষণ ছিল ব্যথা। জীবন সীমিত ও নিরাময় অযোগ্য রোগী এবং তার পরিবারের শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও আর্থিক সেবা প্রদানের একটি সার্বিক প্রচেষ্টা প্যালিয়েটিভ কেয়ার বা প্রশমন সেবা। এটি গুরুতর বা নিরাময় অযোগ্য অসুস্থ রোগীদের জন্যে এক ধরণের বিশেষ সেবা। বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ৬ লাখ নিরাময় অযোগ্য বা দীর্ঘমেয়াদি নানা রোগে আক্রান্ত রোগীর প্যালিয়েটিভ কেয়ার প্রয়োজন বলে উল্লেখ করা হয় গবেষণায়।
গবেষণায় জানানো হয়, প্যালিয়েটিভ কেয়ারে থাকাদের মধ্যে ৬২ শতাংশ রোগী চিকিৎসা বা হাসপাতাল দ্বারা রেফার হয়ে হোম কেয়ারের জন্য এসেছেন। আর তাদের মধ্যে বেশিরভাগ রোগীর ক্ষেত্রেই লিম্ফিডিমা কেয়ার প্রয়োজন হয়। এছাড়াও এই রোগীদের মধ্যে মানসিক সমস্যা ও দুশ্চিন্তার লক্ষণ সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। তাদের মধ্যে ১৮ শতাংশ রোগী মনোসামাজিক ও আধ্যত্মিক সেবা পেয়েছেন। গবেষণা ফলাফলে আরও বলা হয় রোগীদের অর্ধেকেরও বেশির বয়স ৫০-৮০ বছরের মধ্যে ছিল। ৮৭ শতাংশ রোগী মহিলা। ৮৩ শতাংশ রোগী বিবাহিত। ৬৬ শতাংশ রোগী গৃহিনী/গৃহকর্তা। ৫২ শতাংশ রোগীদের জন্য চিকিৎসার খবর নিজের এবং বন্ধুদের ও পরিবারের সদস্যদের সমন্বয়ে অর্থায়ন করা হয়। এছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর মোট মৃত্যুর মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ মারা যায় নন-কমিউনিক্যাবল ডিজিজ বা অসংক্রমণ রোগে। এই রোগে আক্রান্ত মানুষের শতকরা ৭০ জন মৃত্যুর আগে তীব্র শারীরিক ব্যথা সহ্য করেন। যাদের প্যালেয়েটিভ কেয়ারের প্রয়োজন হয়।
আশাবাাদের বিষয় হলো, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ বিভাগ ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন-এর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় আয়াত এডুকেশন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়ার্ল্ডওয়াইড হসপিস প্যালিয়েটিভ কেয়ার এলায়েন্স এবং সেন্ট ক্রিস্টোফারস হসপিস এর যৌথ উদ্যোগে একটি উপজেলা ভিত্তিক বয়স উপযোগী সমন্বিত প্যালিয়েটিভ কেয়ার মডেল প্রকল্প পরিচালিত হচ্ছে, যেটি ‘মমতাময় নারায়ণগঞ্জ’ নামে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ও বন্দর উপজেলায় পরিচালিত হচ্ছে। উল্লেখ, তিন বছর মেয়াদী এই পাইলট প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবায় প্যালিয়েটিভ কেয়ারকে সংযুক্ত করা। নিরাময় অযোগ্য, জীবন সীমিত রোগে আক্রান্ত রোগীদের জীবনের প্রান্তিক সময়টুকু ভোগান্তি বিহীন, যন্ত্রনা বিহীন, বেদনা বিহীন ও নিরাপদ করার লক্ষ্যে প্যালিয়েটিভ কেয়ার বা প্যালিয়েটিভ সেবার জন্য একটি সামাজিক সেবা কাঠামো গড়ে তোলা। যেখানে নিরাময় অযোগ্য রোগে আক্রান্ত রোগী ও তার পরিবার খুব সহজে স্বল্প খরচে চিকিৎসা সেবা এবং পরিচর্যা পেতে পারেন। এই প্রকল্পের লক্ষ্য হল উপজেলা স্তরে এবং গ্রামীণ এলাকার জনগোষ্ঠীর যুব স্বেচ্ছাসেবক, স্বাস্থ্যকর্মী, নার্স এবং চিকিৎসকদের দক্ষতাবৃদ্ধি করার মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থায় প্রশমন সেবাকে একীভূত করা।
মমতাময় জনগোষ্ঠী: প্রশমন সেবার জন্য একসাথে
প্যালিয়েটিভ কেয়ারের ক্ষেত্রে ‘মমতাময় জনগোষ্ঠী’ হচ্ছে একটি সহানুভূতিশীল সমাজের কল্পনা এবং চলতি বছরের প্রতিপাদ্য। কারণ যখন একটি পরিবারে একজন নিরাময় অযোগ্য রোগে আক্রান্ত রোগী থাকে, তখন এই বোঝাটা সামলাতে যদি ঐ সমাজ বা জনগোষ্ঠীর সবাই মিলে রোগী ও রোগীর পরিবারের সকলের প্রতি আন্তরিক ও সহানুভূতিশীল হয়, তাহলে সেটি বোঝাটি ভাগাভাগি হয়ে যায়। এর মাধ্যমে এটি বোঝানো হয় যে, প্রশমন সেবাটি শুধুমাত্র পেশাদারী স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর দায়িত্ব নয়, এই দায়িত্বটি একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা। যার মাধ্যমে সবাই যার যার জায়গা থেকে আন্তরিকভাবে রোগীর জীবনের প্রশান্তির আনার জন্য সম্পৃক্ত হবে। সর্বোপরি একটি সহানুভূতি ও ভালবাসার পরিবেশ গড়ে উঠবে, যেখানে জীবন-সীমিতকারী অসুস্থতায় ভোগা বা মৃত্যুপথযাত্রী রোগী কোন প্রকার অবহেলা, অযত্ন, অনাদরের শিকার হবে না। বরং এর বদলে মমতার পরশে রোগীর আপন ইচ্ছায় প্রতিফলনের মাধ্যমে একটি সুন্দর জীবনের অন্তিম অবসান ঘটবে। এখানে একসাথে কাজ করার মাধ্যমে, আমরা প্রশমন সেবাকে সকলের জন্য সহজলভ্য, সহানুভূতিশীল এবং অর্থবহ করে তুলতে পারি, একইভাবে ব্যক্তি এবং সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জীবনকে সমৃদ্ধ করতে পারি।
ওয়ার্ল্ড হসপিস অ্যান্ড প্যালিয়েটিভ কেয়ার দিবস হলো বিশ্বব্যাপি প্যালিয়েটিভ কেয়ারের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর এবং প্যালিয়েটিভ কেয়ার সেবায় সকল শ্রেণীর মানুষের প্রবেশাধিকার বৃদ্ধির লক্ষ্যে সমর্থন জানানোর একটি সুযোগ। প্যালিয়েটিভ কেয়ারের ক্ষেত্রে এখনো চারটি বিষয় গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। সামাজিক সচেতনতা, প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী, অবকাঠামো এবং সর্বশেষ একটা কার্যকর নীতি প্রনয়ণের মাধ্যমে কাজ বাস্তবায়ন করা। আমাদের বর্তমান সরকার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় স্বাস্থ্য খাতে অনেক যুগান্তকারী কাজ করেছে। প্যালিয়েটিভ কেয়ারের ক্ষেত্রেও এমন উল্লেখযোগ্য কিছু পদক্ষেপ আশাকরি। সরকারি ও বেসরকারি খাতগুলোর সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে কাজটি করতে পারলে আরো বেশি ফলপ্রসু হবে বলে মনে করি। একটা সময় প্যালিয়েটিভ কেয়ার সম্পর্কে মানুষ জানতো না, কিন্তু এখন কিছু মানুষ জানে, আবার অনেকের মাঝে এ সেবা সম্পর্কে বেশ ভুল ধারণা রয়েছে। তবে আমরা মনে করি অন্যান্য স্বাস্থ্য সেবার মতো প্যালিয়েটিভ সেবা ও এর ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে ব্যাপক প্রচার ও প্রসার প্রয়োজন। আর এ ক্ষেত্রে জনসচেতনতা তৈরির জন্য গণমাধ্যম খুবই শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে পারে। আর গণমাধ্যমের এ শক্তিকে কাজে লাগিয়ে অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব।
বিশ্ব হসপিস এবং প্যালিয়েটিভ কেয়ার দিবস ২০২৩-এ অঙ্গীকার হোক- আসুন, মমতা ও একতার বন্ধনে, প্যালিয়েটিভ সেবার বারতা ছড়িয়ে দিতে কাজ করি একসাথে। যেন রোগীরা সঠিকভাবে, দ্রুততম সময়ে স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির মাধ্যমে জীবনের অন্তিম সময়গুলোতে অসহনীয় ভোগান্তির বদলে একটু প্রশান্তির ছোঁয়া খুঁজে পায়। কারণ নিরাময় অযোগ্য রোগে ব্যক্তিগণ আমাদের সমাজেরই অংশ। আমাদের কারো না স্বজন। স্বাস্থ্য বিষয়ক আমাদের সকল উন্নয়ন র্কমকান্ডে প্যালিয়েটিভ কেয়ারের অর্ন্তভূক্তি নিশ্চিত করার উদ্যোগে সম্পৃক্ত হওয়া আমাদের দায়িত্ব। এ বিষয়টির প্রতি লক্ষ্য রাখার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারকগণ ও প্যালিয়েটিভ কেয়ারের সাথে সম্পৃক্ত সংশ্লিষ্ট সকলকে একান্ত অনুরোধ জানাচ্ছি। বিশ্বের সকল জীবন সীমিতকারী রোগে আক্রান্ত মানুষ এবং তাদের পরিবারের মানুষের জীবনের কষ্টগুলো লাঘব হোক মমতাময় নিঃস্বার্থ ভালবাসায়।
লেখক: জনস্বাস্থ্য কর্মী ও প্রশিক্ষক
সারাবাংলা/এসবিডিই
নিরাময় অযোগ্য রোগীদের যন্ত্রণা লাঘব হোক মমতাময় মানুষের স্পর্শে মুক্তমত সুমিত বণিক