বেকারদের নিয়ে তামাশা বন্ধ হোক
১৫ অক্টোবর ২০২৩ ১৮:২৭
বর্তমানে বাংলাদেশের চাকুরি নিয়োগ খাতে এক ধরণের রমরমা সিন্ডিকেট চক্র তৎপরতা চালাচ্ছে। যেখানে প্রজাতন্ত্রের অনেক উচ্চপদস্থ কর্মচারিরা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। যার ফলে এই চাকুরি নিয়োগ খাতে কোনোভাবেই স্বচ্ছতা নিশ্চিন্তকরণ সম্ভব হচ্ছে না।
দেশে চাকুরি প্রত্যাশী তথা বেকারদের সংখ্যা যেন ক্রমাগত ভাবে বেড়েই চলেছে। বর্তমানে তা অনেকটা ক্রমবর্ধমান আকার ধারণ করেছে। সম্প্রতি বেশ ক’টি সরকারি নিয়োগ পরীক্ষায় সময়সূচির হেরফের সহ নানা অনিয়মের ঘটনা সোস্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় চলছে। এই নিয়ে দেশের সরকারি নিয়োগ পরীক্ষাগুলোতে আরও কত অনিয়ম যেন বাসা বেঁধেছে। এভাবেই চাকুরি প্রত্যাশীদের নিয়োগ সিস্টেম ঘিরে প্রতিনিয়তই তামাশা চলছে। এদিকে চাকুরিতে আবেদন ফি ৫০০-৭০০ টাকা করে গুণতে হচ্ছে। কেউ কেউ আবার এটা ১০০০ টাকাও আদায় করছে।
এছাড়াও একই দিনে ৬-৭টি পরীক্ষা, একই সময়ে নেওয়ার অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন কর্তৃপক্ষ। যা খুবই দুঃখজনক। পরীক্ষা পদ্ধতিও সময়সাপেক্ষ। যেখানে ১টি পরীক্ষা একবারের পরিবর্তে ৩টি ধাপে নেওয়া হয়। যথা– প্রিলি, রিটেন ও ভাইভা। আবার সব পরীক্ষা কেন্দ্র ঢাকায়।
বেকার ভাতা দূরে থাক, কথা দিয়েও চাকুরিতে প্রবেশের বয়স না বাড়ানো এবং কর্মমুখী শিক্ষা প্রদান করতে না পারা ৫৩ পেরোনো দেশটির জন্য সর্বোচ্চ ব্যর্থতা। যা খুবই কলঙ্কজনক। বেকাররা ক্লায়েন্ট না। তারা দেশের সম্পদ। পরিচর্যার অভাবে তাদেরকে বোঝা বানানো হচ্ছে।
সর্বোপরি– বেকারদের চাকুরিতে নিয়োগে স্বচ্ছতা, যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ এবং তা সঠিক বাস্তবায়নের মাধ্যমে বেকারদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে হবে। এই ব্যাপারে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিয়াগ প্রক্রিয়ায় কর্মরত কর্মচারিদেরকে যথাযথ তদারকি নিশ্চিত করতে হবে এবং কর্মচারিদের মধ্যে কারো অনিয়ম প্রমাণিত হলে, তার বিরুদ্ধে যথাযোগ্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তবেই কেবল বেকারদের চাকুরিতে নিয়োগে স্বচ্ছতা আনয়ন কিছুটা হলেও সম্ভবপর হবে।
লেখক: শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম কলেজ
সারাবাংলা/এসবিডিই