Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

১২ নভেম্বর উপকূলবাসির স্মরণীয় দিন

শফিকুল ইসলাম খোকন
১২ নভেম্বর ২০২৩ ১৬:২৬

আজকের বর্তমান, আগামীতে ইতিহাস; ইতিহাস যুগযুগ ধরে তথা অনন্তকাল ধরে মানুষ লালন করে থাকেন। কখনো কখনো কিছু স্মরণীয় দিন মানুষ মনে প্রাণে আগলে রাখে। আবার কখনো কখনো ইতিহাস দিবস হিসেবে পালন করে স্মরণে রাখে। কিছু কিছু দিবস সরকারিভাবে এবং বেসরকারি তথা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে দিবসগুলি পালন হয়ে থাকে। আমরা জানি, মানুষ ইতিহাস থেকেই শিক্ষা নেয়, অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করে। আর দিবস থেকে মানুষ অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করে এবং প্রতি বছর দিবসের মাধ্যমে পুর্বের ইতিহাসকে স্মরণ করে। আমার এও জানি অনেক সময় না চাইতে পেয়ে যায়, আবার চাইলেও পাওয়া যাযনা। তেমনি একটি চাওয়া হলো ‘উপকূল দিবস’। একটি দিবসের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করেও আজও স্বীকৃতি পাওয়া যায়নি। ১২ নভেম্বরের ইতিহাস আজও উপকূলবাসি ভুলতে পারেনি। প্রতিনিয়তই উপকূলবাসি আতঙ্কে থাকে, প্রতি দুর্যোগই উপকূলবাসির স্মরণীয় দিন, তবে ১২ নভেম্বর উপকূল বাসির সবচেয়ে স্মরণীয় দিন।

বিজ্ঞাপন

উপকূলের প্রায় ৫ কোটি মানুষ প্রতিনিয়ত বহুমূখী দুর্যোগের সঙ্গে বসবাস করেন। কিন্তু স্বাভাবিক সময়েও তাদের জীবন যে কতটা অস্বাভাবিক, সে বিষয়ে খুব একটা খোঁজ রাখা হয় না। উপকূলের প্রান্তিকের তথ্য যেমন কেন্দ্রে পৌঁছায় না, ঠিক তেমনি কেন্দ্রের মাঠে পৌঁছাচ্ছে না বহুমূখী কারণে। উপকূলের ভয়াবহতা উপকূলবাসিরাই কেবল বুঝবে। ১২ নভেম্বরের ঘটনা উপকূলবাসি আজও ভুলেনি। এটাই উপকূলবাসীর কাছে সবচেয়ে বেশি স্মরণীয় দিন। কারণ, ’৭০ সালের এই দিনে উপকূলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতবিক্ষত হয়েছিল গোটা উপকূল। প্রাকৃতিক দূর্যোগও এ অঞ্চলের উপর দিয়ে বেশী বয়ে যায়। প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় সিডর, আইলাসহ নানা দুর্যোগের আঘাতে বিদ্ধস্ত হয়েছে বেড়িবাঁধ। তার পরে নার্গিস, রেশমা, গিরি, রোয়ানুতো রয়েছেই। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর দক্ষিনাঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়ায় এ যাবৎকালে সবচেয়ে বেশী শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় সিডর এই জনপদের বিশাল বেড়িবাঁধের প্রায় আড়াই হাজার কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এর মধ্যে ব্যাপক ক্ষতি হয় ৩৬৬ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের। অল্প ক্ষতি হয় ২ হাজার ১৪ কিলোমিটার। ২০০৯ সালে উপকূলে আবারও আঘাত হানে ঘুর্ণিঝড় আইলা। বড় ধরনের দুটি ঘূর্ণিঝড়ের এসব এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ দ্রুত মেরামত না হওয়ায বিস্তীর্ণ এলাকা এখন প্লাবিত হয়ে আরও ভেতরে লবণাক্ত পানি প্রবেশ করছে। ১৯৭০ সালের ভোলা ঘূর্ণিঝড় (ইংরেজি: Bhola cyclone) ছিল একটি শক্তিশালী ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় যা ১৯৭০ সালের ১৩ই নভেম্বর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশের) দক্ষিণাঞ্চলে আঘাত হানে। এ পর্যন্ত ইউকিপিডিয়ার রেকর্ডকৃত ঘূর্নিঝড় সমূহের মধ্যে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ ঘূর্নিঝড় এবং এটি সর্বকালের সবচেয়ে ভঙ্করতম প্রাকৃতিক দুর্যোগের একটি। প্রায় ৫ লাখ মানুষ প্রাণ হারায়। যার অধিকাংশই গাঙ্গেয় বদ্বীপের সমুদ্র সমতলের ভূমিতে জলোচ্ছ্বাসে ডুবে মারা যান। এটি ১৯৭০-এর উত্তর ভারতীয় ঘূর্ণিঝড় মৌসুমের ৬ষ্ঠ ঘূর্ণিঝড় এবং মৌসুমের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ছিল। এটি সিম্পসন স্কেলে ‘ক্যাটাগরি ৩’ মাত্রার ঘূর্ণিঝড় ছিল। ঘূর্ণিঝড়টি বঙ্গোপসাগরে ৮ নভেম্বর সৃষ্ট হয়ে ক্রমশ শক্তিশালী হতে হতে এটি উত্তর দিকে অগ্রসর হতে থাকে। ১১ই নভেম্বর এটির গতিবেগ সর্বোচ্চ ঘন্টায় ১৮৫ কিমি (১১৫ মাইল) এ পৌঁছায় এবং সে রাতেই তা উপকূলে আঘাত করে। জলচ্ছাসের কারনে পূর্ব পাকিস্তানের দক্ষিণ উপকূলীয় অঞ্চল ও দ্বীপসমূহ প্লাবিত হয়। এতে ঐসব এলাকার বাড়ি-ঘর, গ্রাম ও শস্য স্রোতে তলিয়ে যায়। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা ছিল তজুমদ্দিন উপজেলা, সেখানে ১৬৭০০০ জন অধিবাসীর মধ্যে ৭৭০০০ জনই (৪৬ভাগ) প্রাণ হারায়।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় ১৯৮৮ সালে সংঘঠিত হয়। এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে দেশে যে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তা বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম সর্বনাশা বন্যা হিসেবে পরিচিত। ২১ নভেম্বর মালাক্কা প্রণালীতে এই ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের উৎপত্তি হয়েছিল। শুরুতে এটি পশ্চিমগামী ছিল, এরপর গভীর নিম্নচাপ থেকে ক্রমান্বয়ে আন্দামান সাগরে এসে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। নভেম্বর ২৬ তারিখে, এটি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয় এবং উত্তরদিকে ঘুরে যায়। ধীরে ধীরে, এর গতি তীব্রতর হয়ে ২৯শে নভেম্বর বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তের স্থলভূমিতে আঘাত করে। এই গতি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে শক্তিশালী অবস্থা ধরে রাখে এবং এটি ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের মধ্যবর্তী অঞ্চলে মাঝারি ঘূর্ণিঝড় হিসাবে সক্রিয় ছিল। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সর্বমোট ৬,২৪০ জনের মৃত্যু ঘটে, এরমধ্যে বাংলাদেশের ৫,৭০৮ জন এবং পশ্চিমবঙ্গের ৫৩৮ জন। অধিকাংশ মৃত্যু ঘটে প্রচণ্ড ঝড়ের কারণে, বাড়ি ভেঙ্গে পড়ে এবং আক্রান্ত অঞ্চলের বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে তড়িতাহত হয়। ১৯৯১ সালের ঘূর্নিঝড়ে নিহতের সংখ্যা বিচারে স্মরনকালের ভয়াবহতম ঘূর্ণিঝড়গুলির মধ্যে একটি। এটি ১৯৯১ সালের ২৯শে এপ্রিল বাংলাদেশে দক্ষিণপূর্ব চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রায় ২৫০কিমি/ঘন্টা বেগে আঘাত করে। এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ৬মিটার (২০ ফুট) উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত করে এবং এর ফলে প্রায় ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষ নিহত হয় এবং প্রায় ১ কোটি মানুষ তাদের সর্বস্ব হারায়। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সিডর বাংলাদেশের পাথরঘাটায় বলেশ্বর নদীর কাছে উপকূল অতিক্রম করে। সে সময় বিশ্বঐতিহ্য ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন না থাকলে পাথরঘাটাসহ উপকূলের কোন চি‎হ থাকতো না। প্রায় ৯৬৮,০০০ ঘরবাড়ি ধ্বংস এবং ২১০,০০ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছিল, প্রায় ২৪২,০০০ গৃহপালিত পশু এবং হাঁসমুরগী মারা গেছে। একারণে সাফির-সিম্পসন স্কেল অনুযায়ী একে ক্যাটেগরি-৫ মাত্রার ঘূর্ণিঝড় আখ্যা দেয়া হয়েছিল। ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যা পর্যন্ত সরকারি ভাবে ২ হাজার ২১৭ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছিল সরকার। এছাড়া আইলা, নার্গিস, রোয়ানুসহ ছোট ছোট নানা দুর্যোগসহ প্রতিনিয়ত উপকূলের বাসিন্দারা দুর্যোগ মোকাবেলা করছে। বিগত বছরে যতগুলো ঘুর্ণিঝড় হয়েছে বেশিরভাগই নভেম্বর মাসে। এতো কিছুর পরেও উপকূলকে তেমন কোন গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না।

ইতিহাস থেকে মানুষ শিক্ষা নেয়, দিবস থেকে মানুষ অভিজ্ঞতা অর্জন করে এবং দিবসের ইতিকথা স্মরণে রাখে। ঠিক তেমনি মনে রাখার মতো একটি দিন ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর। উপকূলে যে ভয়াবহতা হয়েছে তা মনে এ প্রজন্মের মানুষ জানেনা। হয়তো এই দিনে দিবস হিসেবে পালন করলে হয়তো এ প্রজন্মের মানুষ মনে রাখতো। তাই আমরাও চাই একটি দিবস। যার নাম হবে ‘উপকূল দিবস’। হয়তো প্রশ্ন জাগবে, এত দিবসের ভিড়ে কেন আবার ‘উপকূল দিবসের’ দাবি? আমার প্রশ্নটা ঠিক এর বিপরীত। এত দিবস থাকা সত্ত্বেও ‘উপকূল দিবস’ নেই কেন? উপকূল অঞ্চলে আমার জন্ম, উপকূল নিয়েই ভাবি। খবর লেখার মধ্য দিয়ে আমি প্রতিদিন উপকূলের কথা মনে পড়ে মনে পড়ে উপকলের ভয়াবহতা। কিন্তু একটি দিবস থাকলে অন্তত সবাই মিলে একযোগে উপকূলের কথা বলার সুযোগ পাই! দিন ঠিক করার আগে নিজের কাছে নিজের আরেকটা প্রশ্ন- কেন উপকূল দিবস চাই?

দিবসসমূহ দ্বারা বোঝানো হচ্ছে বাংলাদেশের স্বকীয় ও বিশ্বব্যাপী পালিত দিবসসমূহকে। এই সবগুলো দিবসের তালিকা নিম্নে প্রণীত হলো। দিবসগুলোর অধিকাংশই প্রায় নিয়মিত পালিত হয় এবং হয়ে আসছে। কিন্তু কিছু কিছু দিবস, বিভিন্ন রাজনৈতিক ক্ষমতাবলে, প্রতিহিংসাবশত, ঐ রাজনৈতিক দলের ক্ষমতা চলাকালীন রাষ্ট্রীয় ভাবে পালিত হয়না। আন্তর্জাতিক ও বৈশ্বিক দিবসগুলোর জন্য সরকারি ও আন্তর্জাতিকভাবে অর্থ বরাদ্দ পাওয়ার প্রেক্ষিতে তা পালিত হয়। তবে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশে বহুল প্রচলিত কিছু কিছু দিবস বাংলাদেশে পালিত হয়না সাম্প্রদায়িক কারণবশত। যেমন: ইহুদিদের বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি বাংলাদেশে পালিত হয়না কেননা বাংলাদেশে ইহুদি ধর্মাবলম্বীরা বাস করেন না। তাছাড়া সাংস্কৃতিক পার্থক্যের কারণে অন্যান্য অনেক দেশের বা জাতির স্বকীয় ঐতিহ্যমন্ডিত দিবসও বাংলাদেশে পালিত হয়না। সাম্প্রদাযিক অনুষ্ঠানাদির মধ্যে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও মুসলমানদের বিভিন্ন ধর্মীয় দিবস মূল ধারার সংস্কৃতি হিসেবে পালিত হয়।

২০১৭ সাল থেকে উপকূল দিবসের দাবি তুলছেন উপকূল বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন, কোস্টাল জার্নালিস্ট ফোরাম, কোস্টাল ইয়ুথ নেটওয়ার্ক-আলোকযাত্রা, পাথরঘাটা উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন, নৌ সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটিা, নির্ঝর এন্টারপ্রাইজ, প্রিন্ট মিডিয়া পার্টনার দৈনিক খোলা কাগজ, অনলাইন মিডিয়া পার্টনার বিডিমিরর একাত্তর ডটকম, উপকূলীয় উপজেলার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘আস্থা’, পাথরঘাটা উপজেলা নাগরিক অধিকার ফোরামসহ ১০০টি সংগঠনের সমন্বয়ে “উপকূল দিবস বাস্তবায়ন কমিটি”। উপকূলে ‘৭০-এর ঘূর্ণিঝড়, ২০১৫ সালের সিডর, সিডর পরবর্তী আইলা, হারিকেন, নার্গিস, রোয়ানু, মোরা,বুলবুল, ফণি, ইয়াসসহ বিভিন্ন দুর্যোগের আঘাতে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। শুধু ঘূর্ণিঝড় এলেই প্রচার মাধ্যমের ক্যামেরাটা উপকূলের দিকে ছুটে। কিন্তু স্বাভাবিক সময়ে উপকূলে জীবন- যাপন কতটা যে অস্বাভাবিক তা গণমাধ্যমের দৃষ্টিতে আসেনা। সরকারের রাজস্ব খাতে উপকূল বাসির এতো অবদান থাকা স্বত্বেও এবং উপকূলীয় এলাকায় দুর্যোগে প্রাণহানিসহ ক্ষয়ক্ষতি হওয়া স্বত্বেও মিডিয়ায় তেমন গুরুত্ব পাচ্ছে না। এজন্য বিভিন্ন ঘূর্ণিঝড়ে নিহতদের স্মরণ, দুর্যোগ মোকাবেলায় মানুষদের সচেতন, উপকূলের সমস্যা আর সম্ভাবনাকে প্রকাশের আলোয় আনার জন্য ১২ নভেম্বরকে ‘উপকূল দিবস’ পালন করা প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। দিবসটি যখন পালন হবে, তখন সরকারের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে উপকূল ফোকাস হবে এবং উপকূল সুরক্ষা নিশ্চিত হবে। আর দিবসটি শুধুমাত্র, উপকূলে বসাবসরত ৫কোটি মানুষের উন্নয়নের স্বার্থে। ইতিমধ্যে দিবসের জন্য “উপকূল দিবস বাস্তবায়ন কমিটির” যে আন্দোলন আন্তর্জাতিক, জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমে সাড়া ফেলেছে এবং সামাজিকভাবে যে জনমত তৈরি হয়েছে, তা ইতিহাসে ব্যতিক্রম।

পরিশেষে বলতে চাই, বাংলাদেশ এখন আর ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ নয়, দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির মধ্য দিয়েই সেটা স্পষ্ট। বাংলাদেশ এখন এগিয়ে যাচ্ছে। তাই ৭১০ কিলোমিটার দীর্ঘ উপকূলীয় এলাকার জীবন-জীবিকা মানুষরা দেশের উন্নয়নের অগ্রণী ভুমিকা রাখছে। গণতন্ত্র, অথর্নীতি ও দেশের উন্নয়ন অগ্রগতিকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিতে উপকূলীয় অঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষদের ভুমিকা কম নয়। আর এসব খেটে খাওয়া মানুষদের নিরাপত্তা, সুযোগ-সুবিধা দিলে পরিপূণর্ভাবে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। সে কারণে উপকূলের জন্য সরকারের এগিয়ে আসতে হবে, এনজিওসহ গণমাধ্যমেরও এগিয়ে আসা উচিত। আসুন আমরা সবাই উপকূলের জন্য একটি দিন একটি দিবস চাই যার নাম হবে ‘উপকূল দিবস’। পাশাপাশি উপকূলের দুঃখ, দুর্দশা, জীবন জীবিকা নিয়ে গণমাধ্যম এবং সরকারের বিশেষ নজর দেয়া এখন সময় মাত্র।

লেখক: সাংবাদিক, কলামিষ্ট

সারাবাংলা/এসবিডিই

১২ নভেম্বর উপকূলবাসির স্মরণীয় দিন মুক্তমত শফিকুল ইসলাম খোকন

বিজ্ঞাপন

মাদকের টাকার জন্য মা'কে খুন
২৩ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:৫৭

আরো

সম্পর্কিত খবর