Monday 25 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পথের শিশু হোক ঘরের শিশুর মতো

ওসমান এহতেসাম
২৭ নভেম্বর ২০২৩ ১৭:৫৯

পথশিশু হল সেইসব শিশু যারা দারিদ্র্য, গৃহহীনতা বা উভয়ের কারণে শহর, নগর বা গ্রামের রাস্তায় বসবাস করছে তারা। শহরের ছোট-বড় পথে আমরা যাদেরকে খেলতে দেখি, ছোটাছুটি করতে দেখি, মারামারি করতে দেখি এরাই পথশিশু। এরা নানা রকম কাজ করে। কেউ জোগালির কাজ বা ফাইফরমাশ করে, মুটেগিরি করে, ইট ভাঙে, ফুল, চকলেট বা টুকটাক কিছু বিক্রি করে, কাগজ কুড়ায় বা ভিক্ষা করে। এদের পথই ঘর, পথই আশ্রয়। এদের কারও বাবা আছে তো মা নেই, কারও বাবা নেই, আবার কারও বাবা মা কেউ নেই।

বিজ্ঞাপন

মানুষের কিল, ঘুষি, লাথি খেয়ে, হোটেলের উচ্ছিষ্ট চেটে এরা বড় হয়। খুব কম বয়স থেকেই চোর, গুণ্ডা, বদমাশ, বাটপাড়, ছিনতাইকারী, বোমাবাজ, খুনিদের দেখে দেখেই এরা বেড়ে ওঠে। ভালো মানুষরূপী দানবদের ভয়ংকর চেহারার সাথেও এদের পরিচয় হয়। এরা ব্যবসায়ীদের অপকর্ম, রাজনীতিবিদদের ছলচাতুরী, পুলিশের দুমুখো রূপের খবরও রাখে। হাল আমলের নায়ক-নায়িকা, গানের শিল্পীদের এরা খুব পছন্দ করে। তাদের চলন বলন নকল করে আনন্দ পায়। খারাপ মানুষেরা এদের খারাপ পথে নিয়ে যায়। অবৈধ ব্যবসায়ীরা মাদকদ্রব্য বহন ও বিক্রি করাতে এদেরকে ব্যবহার করে। ফলে, এরাও মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) পরিচালিত পথশিশু জরিপ ২০২২-এ দেশের পথশিশুদের সার্বিক অবস্থার একটি চিত্র উঠে এসেছে। জরিপটি পরিচালনায় সহায়তা করেছে জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)। জরিপের তথ্য বলছে, দারিদ্র্য, সংসারে অশান্তি, খাদ্যের অভাবসহ নানা কারণে ঘর ছাড়ে শিশুরা। এই শিশুদের ৬৪ শতাংশই তাদের পরিবারের কাছে ফিরে যেতে চায় না। তাদের ৯২ দশমিক ১ শতাংশ ছেলেশিশু এবং ৮৪ দশমিক ৫ শতাংশ মেয়েশিশু বিভিন্ন শ্রমে জড়িত। ২০ দশমিক ৯ শতাংশ পথশিশু বর্জ্য কুড়িয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। এছাড়া ভিক্ষা করে বা ভিক্ষায় সহায়তা করে ১৮ দশমিক ৪ শতাংশ পথশিশু। জরিপের এসব তথ্যে পথশিশুদের চরম দুর্দশার চিত্রই উঠে এসেছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি দুর্দশার কথা তুলে ধরা হল।

রাস্তায় ঘুমানো:

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, এই শিশুদের প্রতি তিনজনের মধ্যে প্রায় একজন জীবনের সবচেয়ে মৌলিক সুযোগ-সুবিধা, যেমন ঘুমানোর জন্য বিছানা এবং নিরাপত্তা ও স্বস্তির জন্য দরজা বন্ধ করে রাখা যায় এমন একটি ঘর থেক বঞ্চিত। তারা পাবলিক বা খোলা জায়গায় থাকে ও ঘুমায়। প্রায় অর্ধেক শিশু মাটিতে ঘুমায় শুধু একটি পাটের ব্যাগ, শক্ত কাগজ, প্লাস্টিকের টুকরো বা একটি পাতলা কম্বল নিয়ে।

খাদ্য ও চিকিৎসার অভাব:

সাম্প্রতিক বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে যে, পথশিশুদের ৮২ শতাংশই নানা ধরনের পেটের অসুখে আক্রান্ত। এই অসুখের পেছনে যে অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ দায়ী, তা বলাই বাহুল্য। পাশাপাশি নোংরা পরিবেশে থাকার কারণে এদের মধ্যে চর্মরোগের হারও অনেক বেশি, চিকিৎসার ব্যবস্থা না থাকায় । ভাসমান এই শিশুদের ৬১ শতাংশই কোনো না কোনো চর্মরোগে আক্রান্ত। পথশিশুদের মধ্যে নানা ধরনের সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়ার হারও তুলনামূলক বেশি। রোগাক্রান্ত এই শিশুদের জন্য নেই চিকিৎসার ব্যবস্থা। তাদের নিয়ে সমাজ কিংবা সরকারের নেই কোনো চিন্তাভাবনা। তাদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও মাথাব্যথা নেই কারো। পদে পদে সমাজের লাঞ্ছনা পেয়ে আসা এই শিশুদেরকে নিয়ে কাজ করে, এমন সংগঠনের সংখ্যা হাতে গোনা।

শিক্ষা বঞ্চিত ও শিশুশ্রম:

শিক্ষার আলো থেকে অনেক দূরে তারা। পথশিশুদের একটি বড় অংশের নেই অক্ষরজ্ঞান। বাকি যারা এনজিও কিংবা অন্য কোনো সহায়ক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাথমিক শিক্ষা নেয়, তাদের অবস্থাও সুখকর নয়। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার অভাবে পরবর্তী সময়ে সমাজের মূলধারায় মিশে যাবার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয় এই শিশুরা। শৈশব-কৈশোর পার করে আসার পর জীবনযুদ্ধে তারা অনেকটাই পিছিয়ে থাকে। দু’বেলা খাবারের অভাবে অদক্ষ শ্রমিক, বাসের হেল্পার, ড্রাইভার সহ নানা ধরনের পেশায় যুক্ত হতে বাধ্য হয় বেশিরভাগই। ইতঃপূর্বে প্রকাশিত আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা ও ইউনিসেফের এক জরিপ থেকে জানা যায়, বাংলাদেশের শহরাঞ্চলে প্রায় ৩০১ ধরনের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত রয়েছে শিশুরা। হকারি, কুলিগিরি, রিকশাচালনা, পতিতাবৃত্তি, ফুল বিক্রি, আবর্জনা সংগ্রহ, ইট-পাথর ভাঙা, হোটেলের শ্রম, মাদকদ্রব্য বহন, ঝালাই কারখানার শ্রম ইত্যাদি কাজে শিশুদের নিয়োজিত করা হয় বেশি।

শিশুশ্রম মূলত দারিদ্র্যের ফল। পরিবারে অভাব-অনটনের কারণে শিশুরা অল্পবয়সেই শ্রমিক হতে বাধ্য হয়। অভাবের তাড়নায় বাবা-মা তাদের শিশু সন্তানকে পড়ালেখার জন্য স্কুলে পাঠানোর পরিবর্তে পাঠান আয়-রোজগার করতে। একসময় সেই শিশুরা আর পরিবারের কাছে ফিরে আসতে চায় না। শিশুশ্রম শিশুর স্বাভাবিক বেড়ে ওঠাকে বাধাগ্রস্ত করে। তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক, সামাজিক ও নৈতিক জীবন বিষিয়ে তোলে। তখন তারা হয়ে ওঠে অপরাধপ্রবণ। তাদের একটি অংশ মাদক ব্যবসা, ছিনতাই, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধকর্মে জড়িয়ে পড়ে। এর ফলে সৃষ্টি হয় সামাজিক বিশৃঙ্খলা।

চট্টগ্রাম আন্দরকিল্লা ফুটপাতে বসবাসরত এক পথশিশু জানান, ‘আমার মা-বাবা নেই। তাই নিজের খাবার নিজেকে যোগাড় করতে হয়। প্রতিদিন কাগজ কুড়িয়ে যা পাই তা দিয়ে হোটেলে ভাত খাই।’

মাদকাসক্তি ও অপরাধ:

জীবনের একদম শুরু থেকেই নানা ধরনের বৈষম্যের শিকার এই শিশুদের একটি বড় অংশই বিপথগামী হয়ে যাওয়ার বিশাল সম্ভাবনা থাকে। অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটানো এদের নেই পরিবারের ছায়াটুকুও। নৈতিক শিক্ষার আলো থেকেও এরা অনেক দূরে। পথে হারিয়ে যাওয়া এই শিশু কিশোরদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ বিভিন্ন ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়া অনেকটাই নিয়তির লিখনের মতো। ভিক্ষাবৃত্তি, চুরি, ছিনতাইয়ে জড়িয়ে অনেক ছোটবেলাতেই পুলিশের খাতায় নাম লেখায় এরা। হতাশ আর স্নেহবঞ্চিত এই শিশুদের অনেকেই বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্যে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে।

বাংলাদেশের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের হিসেব অনুযায়ী, আট থেকে দশ বছরের পথ শিশুদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ গাঁজা, সিগারেট সহ বিভিন্ন ধরনের নেশায় আসক্ত। বারো থেকে আঠারো বছর বয়সের কিশোররা আসক্ত হয়ে পড়ছে ফেনসিডিল আর হিরোইনের মতো নেশাদ্রব্যে। পাশাপাশি এই মাদক সেবনের মাধ্যমে একই সিরিঞ্জ বারবার ব্যবহার করায় দুরারোগ্য সব রোগ ছড়িয়ে পড়ছে এই কিশোরদের মধ্যে। এমনকি টাকার লোভে অনেকেই জড়িয়ে পড়ছে মাদক চোরাচালানের কাজেও। ঢাকায় থাকা পথশিশুদের সত্তর শতাংশই প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে মাদক চোরাচালানসহ নানা ধরনের অপরাধ কাজে জড়িয়ে আছে।বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের তথ্যমতে, পথশিশুদের ৮৫ শতাংশই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মাদকে আসক্ত।

গত ২০ নভেম্বর রাজধানীতে এক পথ শিশুর সঙ্গে আমার কথা হয়। আমি তার কাছ থেকে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানতে চাই। তখন শিশুটি বলেন, আমারে মাহাজন প্রতিদিন সব খারাপ জিনিস খাওয়াইয়া দেয়। আমার পকেটে ৪/৫টা ইয়াবা দিয়ে বলে এগুলো বিক্রি করবি তাহলে কিছু টাকা পাবি। ২৫০ টাকা করে বিক্রি করি প্রতি পিস। ৪টা বিক্রি করলে ১০০০ টাকা হয়। আমারে দুই/তিনশ টাকা দেয়। বাকিটা তারা নিয়ে নেয়।”

যৌন হয়রানি ও পাচারের শিকার:

বাংলাদেশের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, পথশিশুদের ৫১ ভাগ ‘অশ্লীল কথার শিকার’ হয়। শারীরিকভাবে নির্যাতনের শিকার হয় ২০ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি যৌন হয়রানির শিকার হয় মেয়েশিশু। কেউ কেউ বিভিন্ন চক্রের মাধ্যমে পাচার হয়ে যায়। যারা পাচারের শিকার হয়, তাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রি হয়। নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হয় তারা। যারা মেয়ে, তারা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়। কোনো কোনো গ্যাং তাদের যৌনকর্মী হতে বাধ্য করে।

১৬ বছর বয়সী লিজা বলেন, আমাকে রাস্তায় ঘুমাতে হয়, থাকার কোন জায়গা নেই। নানা মানুষ নানা প্রস্তাব দেয়। যা বলে তা শুনতে হয়, কিছুই তো করার নেই।

সারাদেশে পথশিশুদের নিয়ে অনেক বেসরকারি সংগঠন সাহায্য ,সহযোগিতার হাত বাড়ালেও দিনশেষে তাদের পথেই ফিরে যেতে হয়। তাদের পুরোপুরি পুনর্বাসনের জন্য খুব বেশি উদ্যোগ নেই। দেশে অনেক বেসরকারি ও ব্যক্তিগত উদ্যোগ আছে এই পথশিশুদের জন্য। সরকারি কিছু উদ্যোগও আছে। কিন্তু কোনো উদ্যোগই টেকসই নয়। এটা ঘায়ে মলম দেয়ার মতো। আসলে তাদের দরকার স্থায়ী পুনর্বাসন। ফ্যামিলি অ্যাটাচমেন্ট। সেটা কিভাবে করা যায় তা সরকারকে ভাবতে হবে।

বলছি, পথশিশুদের জন্য মায়াকান্না কেঁদে লাভ নেই৷ বছরে দু’তিন বার এদের কয়েকজনকে নিয়ে অনুষ্ঠান করে বাহবা কুড়ানো টুড়ানোর দিন শেষ৷ এখন যেতে হবে সমস্যার গভীরে৷ তাদের মূল ধারায় ফিরিয়ে আনাই হলো আসল কাজ। তাদের শিক্ষা, থাকার স্থায়ী জায়গা এবং খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে। তারা যদি যেখানে আছে, সেখানেই থাকে, তাহলে কোনো লাভ নেই। পথ থেকে তাদের ঘরে তুলতে হবে। তাদের সুন্দর ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সমাজের সকল স্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। সেলফি বাজি কিংবা লোক দেখানোর মন মানসিকতা ত্যাগ করেন সামাজিক দায়বদ্ধতার খাতিরে আমার-আপনার দেখানো একটু সহানুভূতি হয়তো এই শিশুদেরকে সমাজের আর দশটা শিশুর মতো বেড়ে ওঠার সুযোগ করে দিতে পারে।

এ বিষয়ে আমি নিজে পরিকল্পনামন্ত্রী মোহাম্মদ আবদুল মান্নানের সঙ্গে আলাপ করলে তিনি বলেন, সরকার পথ শিশুদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে কাজ করছে। সরকারের কার্যক্রমে আন্তরিকতার কোন ঘাটতি নেই। শিশুরাই আগামীর ভবিষ্যৎ। এ কথাটি মাথায় রেখে পথ শিশুদের পুনর্বাসন করার কাজ চলমান।

পথ শিশুদের অপরিচ্ছন্ন, রোগ জীবাণু বাহক,অপরাধী জনগোষ্ঠী হিসেবে দেখা যায়। এ দৃষ্টি ভঙ্গি পরিবর্তন করে রাষ্ট্রীয় দায় বদ্ধতার আত্ততায় তাদের শৈশব নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিতে হবে। তাদের আবদ্ধ জায়গায় আনার আগে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নের সেবা নিয়ে পথ থেকে সরে আসার আগ্রহ তৈরি করতে হবে। আর তাদের ফিরেয়ে নেয়ার উদ্যোগ গুলো শুধু প্রকল্প ভিত্তিক না করে স্থায়ী রূপ দিতে হবে। আজকের শিশু আগামী দিনের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সরকারকে পথ-শিশুদের নিরাপদ জীবন প্রদানের উদ্যোগ যত দ্রুত নেয়া হবে, দেশ ও জাঁতি ততো দ্রুত উন্নত হবে। কারণ পথ শিশুরা বাস্তবতার কারণেই অনেক সাহসী ও মেধাবী হয়ে থাকে।

তাছাড়া গত অর্থ বছরে পথশিশুদের জন্য যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তা পথশিশুদের জন্য আশাব্যঞ্জক নয়। পথশিশুদের জন্য বাজেট বৃদ্ধি করতে হবে। সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের জন্য সমাজের ধনী মানুষের সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে। বর্তমানে পথশিশুদের জন্য যেসব কর্মসূচি চলছে সেগুলো পুনর্বাসনমূলক। পথশিশুদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হলেও পথশিশু তৈরি হওয়ার মৌলিক কারণ নিয়ে কোনো প্রকল্প বা কার্যক্রম চোখে পড়ে না। পথশিশু তৈরি হওয়ার যেসব কারণ বর্তমান সেগুলোর জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রয়োজন। তাদের পড়াশোনার সুযোগ করে দেওয়া, কারেকশন সেন্টারে শিশুদের কাউন্সিলিংয়ের ব্যবস্থা করা। তারা সমাজের বোঝা না হয়ে সম্পদে পরিণত হতে পারে। উপযুক্ত শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে তারা যেন আত্মনির্ভরশীল মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারে, সে ব্যাপারে আমাদের সচেষ্ট হতে হবে। আলোকিত বাংলাদেশ গড়তে অবশ্যই পথশিশুদের জন্য মৌলিক অধিকারের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে।

লেখক: কলামিস্ট

সারাবাংলা/এসবিডিই

ওসমান এহতেসাম পথের শিশু হোক ঘরের শিশুর মতো মুক্তমত

বিজ্ঞাপন

সাগরে লঘুচাপ, কমছে তাপমাত্রা
২৫ নভেম্বর ২০২৪ ১৩:৩৩

ঢামেকে অভিযানে ২১ দালাল আটক
২৫ নভেম্বর ২০২৪ ১৩:২০

আরো

সম্পর্কিত খবর