সাতে সারাবাংলা; সারাবাংলার সাথে কাটুক সারাটি সময়
৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ১২:১২
ছয় পেরিয়ে সপ্তমে পা। দীর্ঘ এই ছয় বছরের পথচলার নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে সারাবাংলার সপ্তম বর্ষে পদার্পন। যদিও ছয় বছর প্রতিষ্ঠার, কিন্তু সারাবাংলা সাথে আমার সম্পর্ক বেশিদিনের নয়। মাত্র কয়েকটা মাস। এই অল্প মাসে সারাবাংলার সাথে যেন নিবিড়ভাবে জড়িয়ে গেলাম। যেন মনে হয় আমি এই পরিবারেরই একজন সদস্য।
অল্প কদিন হলো সারাবাংলা সাথে পথ চলার, এই অল্প সময়ে আমার বেশকটি লেখা তারা চাপিয়েছে। আমি এতটাই আনন্দিত হয়ে যাই যে, যখন আমার লেখাটি সারাবাংলার টাইমলাইনে প্রকাশিত হয়। আমি এইও দেখেছি, অনেক লেখকের লেখা পাঠানোর কয়েকদিন পর চাপানো হয় কিন্তু সারাবাংলাই আমার লেখা পাঠানোর সাথে সাথেই তারা তা অতি যত্নের সাথে প্রকাশ করে।
সারাবাংলার অনুসন্ধানী মূলক সংবাদ গুলোই সারাটা দেশের মানুষকে অবাক করে দেয়। তাদের ভয়হীন প্রতিবেদনগুলো রীতিমতো মানুষের কাছে অবাক করার মতো। সমাধিক পরিচিত এই অনলাইন ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম মানুষের এতটাই কাছে চলে গেছে যে, কখন সারাবাংলার সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে এই আশায় পাঠক সমাজ আশায় থাকে। সারাবাংলার টাইমলাইনে কেবল ‘রিফ্রেশ বাটন’ ক্লিক করে এই ভেবে যে, নতুন কোনো সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে কি-না এক নজরে দেখার জন্য!
সারাবাংলা একটি তরুণ ও নতুন লেখকদের মিলনমেলা। এই মিলনমেলায় নতুনত্বের উপস্থিতিতে নতুন উৎসাহ সৃষ্টি করে। আমরা দেখেছি যে, সারাবাংলা যে মুক্তমত নামে বিভাগ আছে, এই বিভাগে এতটা যত্ন দিয়ে নতুন নতুন লেখকদের লেখাকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে, তা সত্যিই অনন্য। নতুনদের লেখা প্রকাশের ক্ষেত্রে সারাবাংলা কয়েকধাপ এগিয়ে। তাদের লেখা গুলো যখন প্রকাশিত হয় তখন নতুন লেখকরা আরো অনুপ্রাণিত হয়, পায় দ্বিগুণ উৎসাহ। যেখানে নতুন নতুন লেখকরা লেখার প্লাটফর্ম খুঁজে না পেয়ে প্রতিভাকে বিকশিত করতে পারে না সেখানে সারাবাংলা তাদের লেখা ছাপিয়ে দিয়ে তাদের সামনের পথ চলাকে আরো দৃঢ় করে দেয়। এ যেন আনন্দের আর উৎসাহের যেকোনো লেখকের কাছে।
পাশাপাশি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ভিডিও প্রচারের জন্য রয়েছে সারাবাংলার যথেষ্ট সুনাম। সদ্য অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া টি-২০ বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচের লাইভ সম্প্রসারণের মাধ্যমে ম্যাচ-বিশ্লেষণী যেন প্রশংসার দাবি রাখে। বলতে গেলে সাধারণ মানুষের অধিকার, দেশের অগ্রগতির চিত্র আর আপোষহীন সংবাদ প্রকাশনা যেন সারাবাংলাকে নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়।
পরিশেষে বলা চলে, এই অগ্রযাত্রায় শামিল হতে পেরে আমি সত্যিই আনন্দিত আর অনুপ্রাণিত। আমি দেশের অন্যান্য পত্রিকা আর অনলাইন প্লাটফর্মে লিখে থাকলেও সারাবাংলার সাথে আমার অন্যরকম ভালোবাসা রয়েছে। যা মনকোঠরে, গভীরভাবে আবেগময়। এই আবেগ আর ভালোবাসায় সারাবাংলার সাথে যেন কাটুক আমার সারাটি সময়। এ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা, সম্পাদক মন্ডলী, প্রতিবেদক, লেখক ও শুভাকাঙ্খীদের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো। এগিয়ে যাচ্ছে সারাবাংলা আর আমরা আছি তার সাথে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসে আর ভালোবাসায়।
লেখক: শিক্ষার্থী
সারাবাংলা/এসবিডিই
তৌহিদ-উল বারী মুক্তমত সাতে সারাবাংলা; সারাবাংলার সাথে কাটুক সারাটি সময়