বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে এগিয়ে আছে ‘সারাবাংলা’
৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ১২:২১
ছয় শেষ, শুরু হলো সাত। এই ৬ বছরের যাত্রায় সারাবাংলা পত্রিকা ছিলো আপোষহীন এক পত্রিকা। সত্য সংবাদ উপস্থাপনে সারাবাংলা যেন দৃঢ় অঙ্গিকারবদ্ধ। স্বল্পসময়ে সারাদেশের পাঠকের কাছে সমাদৃত অনলাইন পত্রিকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সারাবাংলা ডট নেট। অনলাইন গণমাধ্যম হিসেবে সারাবাংলা তৈরী করেছে এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
৬ ডিসেম্বর এই পত্রিকা পদার্পণ করেছে সপ্তম বছরে। ৬ বছরের এই সময়টা মোটেও কম নয়। দীর্ঘ এই ৬ বছর তারা শুধু তাদের গুণগত মানই বৃদ্ধি করেনি, করেছে সংবাদমাধ্যমে অনন্য উদাহরণ সৃষ্টিও। প্রায় প্রতিটি দিনই সারাবাংলার সংবাদ ছিলো চোখে পড়ার মতো। এ যেন এক বিস্ময়! এই পত্রিকার সাহসী প্রতিবেদনগুলো ছিলো সময়ের সেরা। একইসাথে অনুসন্ধানী সংবাদগুলো সত্যি বলতে অভাবনীয় মাত্রায় পাঠককে মুগ্ধ করে। তাছাড়া এই পত্রিকার মতামত বিভাগ এই পত্রিকাকে নিয়ে গেছে আলাদা একটি মাত্রায়। বস্তুনিষ্ঠ, বিশ্লেষণ ভিত্তিক মতামত সকল পাঠকের কাছে বিশেষ গ্রহণযোগ্যতা তৈরী করেছে। তরুণ, নবীন, অভিজ্ঞ সব ধরনের লেখক এই পত্রিকায় সুযোগ পায়। ছাত্র থেকে শিক্ষক, সাংবাদিক, গবেষক প্রায় সব পেশার মানুষ এই পত্রিকায় লিখছেন নিয়মিত। এটা সত্যি অতুলনীয়। সেইসাথে এই সময়ের তরুণ লেখকরা এই অনলাইন পত্রিকার সাহিত্য এবং মতামত বিভাগের লেখা পড়ে বেশ সমৃদ্ধ হচ্ছে।
বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা, অঞ্চল থেকে এই গণমাধ্যমের প্রতিনিধি রয়েছে। যাদের মাধ্যমে সবধরনের সংবাদ সবসময় সাথে সাথেই পাঠকের সামনে তুলে ধরছে এই পত্রিকা। বাংলাদেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি, অধিকার নিয়ে নিয়মিত লিখা প্রকাশ করে যাচ্ছে সারাবাংলা। সেইসাথে সবার আগে সংবাদ পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে সারাবাংলার সবসময় সজাগ।
শুধু তা-ই নয়, সংবাদ প্রকাশের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ভিডিও দেওয়ার মধ্য দিয়েও সারাবাংলা পেয়েছে পাঠকপ্রিয়তা। সাধারণ মানুষের অধিকার, ন্যায্য দাবী পূরণে ও বাংলাদেশকে সার্বিকভাবে এগিয়ে নিতে এই পত্রিকার অবদান স্বীকার করতে হবে অকপটে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে নিয়মিত সাহসী প্রতিবেদন তো আছেই সেইসাথে যেখানেই মানুষের অধিকার হরণ হয় সেখানেই এই পত্রিকার ভূমিকা দেখা যায় সাহসীভাবে। বলাযায় ডিজিটাল বাংলাদেশে সারাবাংলা তাদের ডিজিটাল সংবাদ পরিবেশন করছেন পরিচ্ছন্নভাবে।
সারাবাংলা এ পর্যন্ত অনেক জাতীয় বিষয়সহ বেশকিছু বিষয়ে সাহসী রিপোর্ট করেছে। যা সত্যি প্রশংসার দাবিদার। এ পত্রিকায় সকল পেশা, শ্রেনী, ও ধর্ম গোত্রের সব খবরা খবর প্রকাশ হয়। এখানে সত্য ও সঠিক মতামতসহ সবগুলো বিভাগ পাঠকের মন জয় করতে পেরেছে। এই পত্রিকার বিভাগগুলোও মন ছুঁয়ে যাওয়ার মতো। জাতীয়, রাজনীতি, অর্থ-উন্নয়ন, সারাদেশ, শিক্ষা, আর্ন্তজাতিক, বিনোদন, খেলাধুলা, সাহিত্য, লাইফস্টাইল, মত-দ্বিমত, মুক্তমত, ফিচার সহ আরও অনেক অনেক বিভাগ রয়েছে। সত্যি বলতে এসব বিভাগ পাঠকের চাওয়াকে সমৃদ্ধ করেছে।
সারাবাংলার জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। আমি মনে করি, সময় যত গড়াবে এই পত্রিকা আরও এগিয়ে যাবে। এই ৫ বছরে সারাংবাংলা নতুন প্রজন্মকে সাথে রাখতে সক্ষম হয়েছে। এ পত্রিকার মাধ্যমে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লেখক, কবি, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, গবেষক, তৈরী হচ্ছে। সারাবাংলা লেখক তৈরীর একটা প্ল্যাটফর্ম বললেও ভুল হবে না। সাহিত্য চর্চা, সংস্কৃতি, ধর্মীয়, সভা, সম্মেলন সব বিষয়ের সংবাদ এ পত্রিকায় অত্যান্ত দায়িত্বশীলতার মাধ্যমে প্রচার করা হয়। পাঠবকদের কথা তুলে ধরতে এই পত্রিকা সবসময় সচেষ্ট থাকে।
মুক্তমত বিভাগে শিক্ষার্থী, তরুণ সকলের মতামত নিয়মিত প্রকাশ করে থাকে এই পত্রিকা। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভেতর লেখালেখির প্রেরণা এবং উৎসাহ জোগায়। আগামীর লেখক তৈরীতে তাই সারাবাংলার অবদান অস্বীকার করার উপায় নেই। আমার বিশ্বাস সারাবাংলা এই ধারা অব্যাহত রাখবে।
এছাড়াও সাবলীল এবং সুন্দর সংবাদ পরিবেশনের কারণে এই পত্রিকার জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলছে। আমার বিশ্বাস এই ধারবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে সারাবাংলা আরও বহুদূর এগিয়ে যাবে। আর এই সাফলে ধরে রাখার জন্য প্রয়োজন ধারাবাহিকতা।
পরিশষে এ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা, সম্পাদক মন্ডলী, প্রতিবেদক, রির্পোটার ও সবস্তরের কর্মকর্তাদের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ রইলো। সকল লেখক-পাঠকদেরও শুভেচ্ছা এবং ভালোবাসা জানাই। সারাবাংলা এগিয়ে যাবে সকলকে একসাথে নিয়ে।
লেখক: কলামিস্ট
সারাবাংলা/এসবিডিই
আজহার মাহমুদ বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে এগিয়ে আছে ‘সারাবাংলা’ মুক্তমত