Tuesday 26 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আওয়ামী লীগের এত জনপ্রিয়তা কেন?

অধ্যাপক ড. ওমর ফারুক মিয়াজী
১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৯:২০

দেশের বৃহত্তম ও সবচেয়ে প্রাচীন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের ইতিহাস অবিরাম পরিবর্তন ও বিপ্লবের ইতিহাস। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে আওয়ামী লীগ ইতিহাস সৃষ্টিকারী রাজনৈতিক দল।

যদিও আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার আগেই ৪৮-এর জানুয়ারির ৪ তারিখে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। একই বছরের ১১ মার্চ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ছাত্রলীগের উদ্যোগে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে প্রদেশব্যাপী সফল ছাত্র ধর্মঘট পালিত হয়।

বিজ্ঞাপন

১৯৪৯ সালের ২৩ জুন সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের জন্ম হয়। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতারা দলের আত্মপ্রকাশের দিন হিসেবে ইতিহাস থেকে ২৩ জুন তারিখটি বেছে নিয়েছিলেন। কারণ ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর আম্রকাননে বাংলার স্বাধীনতার লাল সূর্য অস্তমিত হয়েছিল।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে নিয়মতান্ত্রিক সংগ্রামের পথে মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব প্রদানের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় সংগঠিত করে আওয়ামী লীগ। বাঙালির ইতিহাসে, বঙ্গবন্ধু, আওয়ামী লীগ এবং বাংলাদেশ এই তিনটি নাম সমার্থক হয়ে আছে। একটি জাতির বহু ধর্ম-বর্ণ-গোত্র-শ্রেণিপেশার মানুষকে একতাবদ্ধ করে দীর্ঘ দুই যুগ ধরে মুক্তিসংগ্রাম পরিচালনা করা এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে বিশ্বের বুকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা- দল হিসেবে আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় অর্জন।

এমনকি স্বাধীনতা অর্জনের পর মাত্র তিন মাসের মধ্যে মিত্রবাহিনীকে ফেরত পাঠিয়ে নিজস্ব জনবল দিয়ে দেশ পুনর্গঠন এবং বিশ্বের অধিকাংশ রাষ্ট্রের স্বীকৃতি নিয়ে আসা আওয়ামী লীগের আরও একটি বড় অর্জন।

বিজ্ঞাপন

আওয়ামী লীগ প্রধান ও বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আন্তর্জাতিক ইমেজ এবং দূরদর্শিতার কারণেই সদ্য-স্বাধীন এই দেশটি বিশ্বব্যাপী পরিচিতি এবং গ্রহণযোগ্যতা লাভ করেছে।

কিন্তু ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগ নেতাদের হত্যার ঘটনায় থমকে যায় সবকিছু। উগ্রবাদী ও স্বৈরাচারদের অপশাসনের কারণে দুর্ভোগের শিকার হয় বাংলাদেশের মানুষ এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইতিবাচক ইমেজ হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ।

সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন স্বাধীন বাংলাদেশ হবে মর্যাদাশালী ক্ষুধামুক্ত দারিদ্র্যমুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা। আমরা সেই পথেই বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে চলেছি। জাতির পিতা দুটি লক্ষ্য নিয়ে রাজনীতি করেছেন। একটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা, আরেকটি অর্থনৈতিক মুক্তি। সেই কাজটি দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা করে চলেছেন।

রাজপথে দীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ আবারও সরকার গঠন করে থমকে থাকা দেশপুনর্গঠনের কাজ নতুন করে শুরু করে। আওয়ামী লীগ সরকারের ইতিহাস সৃষ্টিকারী সাফল্য ’৯৭-এর ২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত ঐতিহাসিক ‘পার্বত্য শান্তি চুক্তি’।

ভারতের সঙ্গে ৩০ বছর মেয়াদি গঙ্গা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি সম্পাদন হয়। এ কালপর্বে সরকারের সবচেয়ে বড় সাফল্য ক্ষুধা ও দারিদ্র্যপীড়িত দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তোলা। জাতির জনককে হত্যার পর ঘাতকচক্র পবিত্র সংবিধান কলঙ্কিত করে হত্যাকারীদের রক্ষায় ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিল। ’৯৬-এ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের প্রক্রিয়া শুরু করে। নিম্ন আদালতে হত্যাকারীদের ফাঁসির রায় হয়।

আওয়ামী লীগ সরকারের ৫ বছরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ৬.৪ শতাংশে উন্নীত এবং মুদ্রাস্ফীতি ১.৪৯ শতাংশে কমিয়ে আনা সম্ভবপর হয়। ’৯৮-এর জুনে ৯৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে নির্মিত দক্ষিণ এশিয়ার ৫ম এবং বিশ্বের ৯২তম দীর্ঘ বঙ্গবন্ধু সেতু চালুর মাধ্যমে দেশের উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হয়ে ওঠায় সমগ্র দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে এর সুফল পরিলক্ষিত হয়।

২০০৮-এর নির্বাচনে রূপকল্প তথা ভিশন-২০২১ ঘোষণা করেছিলেন তিনি। যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ হবে ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং মধ্যম আয়ের দেশ। ইতোমধ্যে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত হয়েছি এবং উন্নয়নশীল দেশে প্রবেশ করেছি।আজ গ্রামে গ্রামে পৌঁছে গেছে ইন্টারনেট, কম্পিউটার, স্মার্ট ফোন। উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের জন্য অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি সরকার দেশকে আধুনিক অবকাঠামো সমৃদ্ধ করে তুলছে। আওয়ামী লীগ সরকারের হাত ধরেই বাংলাদেশ প্রবেশ করেছে পারমাণবিক বিশ্বে, স্থান করে নিয়েছে মহাকাশে।

আধুনিক ও বিজ্ঞানভিত্তিক উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর থেকেই মহাপরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করেন। টানা তিন মেয়াদের সরকারের সময় এই ১৫ বছরে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম বিশেষ করে অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।

ঐতিহ্যবাহী দলটি বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গড়া এই দল ও তার উত্তরসূরি যে কিনা তারই সুযোগ্য কন্যা টানা ১৫ বছরের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বের বলে বাংলাদেশ একটি অপার সম্ভাবনার দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

আওয়ামী লীগের এই ১৫ বছরে দলটি বাংলাদেশকে একটি দূর্বল অর্থনৈতিক দেশ থেকে সব শর্ত পূরণ করে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে পদার্পন করিয়েছে। আর তা করতে গিয়ে মানুষের জীবনমানকে উন্নত করতে হয়েছে, আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হয়েছে।

বিশেষ করে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সাবমেরিন ক্যাবল থেকে শুরু করে ফ্লাইওভার, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট স্থাপন, যমুনা নদীর বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে শুরু করে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রমাণ করে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের এই ১৫ বছরে উন্নয়নের চিত্র কতটা অর্থপূর্ণ ছিল।

তবে যেসব উন্নয়ন দেশকে বদলে দিয়েছে বা দিচ্ছে সেই মেগা প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন আওয়ামী লীগের সফলতার স্বাক্ষর বহন করছে। এই প্রকল্পগুলো বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে সম্মানের জায়গায় নিয়ে গেছে।

গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ মাছ, মাংস ও ডিম উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। ইলিশ উৎপাদনে বিশ্বে প্রথম। বর্তমানে বিশ্বে বাংলাদেশ ধান উৎপাদনে তৃতীয়, পাট উৎপাদনে দ্বিতীয়, স্বাদু পানির মাছ উৎপাদনে দ্বিতীয়। প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ কৃষককে কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড প্রদান করা হয়েছে। ১ কোটি কৃষক ১০ টাকা দিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলেছেন। ভর্তুকির টাকা সরাসরি ব্যাংকে জমা হয়। সেচের জন্য সুলভমূল্যে বিদ্যুৎ এবং কৃষিযন্ত্র ক্রয়ে ৭০ শতাংশ ভর্তুকি পাচ্ছেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের সাথে বহির্বিশ্বে ভাবমূর্তি উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হয়েছে। বাংলাদেশকে আজ আর কেউ বন্যা, খরা, দুর্যোগের দেশ হিসেবে দেখে না। বাংলাদেশ এখন উদীয়মান অর্থনীতির দেশ। উন্নয়নের রোল মডেল। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।

জাতিসংঘসহ দুই ডজনেরও বেশি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং সংগঠনে বাংলাদেশ সক্রিয় সদস্য। গত অক্টোবরে পঞ্চমবারের মতো বিপুল ভোটে বাংলাদেশ জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। প্রতিবেশীদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহ-অবস্থানের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বাংলাদেশ।

ভারতের সঙ্গে স্থলসীমানা চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ছিটমহলবাসীর ৬৮ বছরের বন্দি জীবনের অবসান হয়েছে। ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমানার শান্তিপূর্ণ মীমাংসার মাধ্যমে সরকার বঙ্গোপসাগরের ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার সামুদ্রিক এলাকার ওপর সার্বভৌম অধিকার অর্জন করেছে। ১২ লাখের মতো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বিশ্বে মানবিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশ এগিয়েছে অনেক, তবে দেশকে আরও এগিয়ে নিতে হবে। একটি উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ অর্জন আমাদের লক্ষ্য। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পর আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য হলো স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা।

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের নানা অনুষঙ্গ ধারণ করে আমরা তরুণদের প্রশিক্ষিত করে তোলার উদ্যোগ নিয়েছি। শেখ হাসিনা বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট জনগোষ্ঠী, স্মার্ট শিল্প কলকারখানা ও ব্যবসা-বাণিজ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বাণিজ্য, কৃষিসহ সব ক্ষেত্রে রোবোটিকস, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ন্যানো টেকনোলজি, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, জৈব প্রযুক্তি অর্থাৎ ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। সব ক্ষেত্রে গবেষণার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

আওয়ামী লীগ একদিকে সংগ্রামের ঐতিহ্য ধারণ করে আরেক দিকে সরকার পরিচালায় উন্নয়নের মাধ্যমে মানুষের সেবা করার ব্রত নিয়ে কাজ করছেন। শেখ হাসিনার উন্নয়ন পরিকল্পনা আধুনিক ও বিজ্ঞান মনস্ক। একটি আধুনিক ও বিজ্ঞানভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনে যা যা পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন তার সরকার গত ১৫ বছরে সেটা হাতে নিয়েছে এবং বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। যার ফলে দেশ আজ একটি আধুনিক ও বিজ্ঞানভিত্তিক দেশে পরিণত হয়েছে। এসব করতে গিয়ে শেখ হাসিনাকে অনেক চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে হয়েছে।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে মুগ্ধ হয়ে, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে- ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ২৪তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। এই লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ স্মার্ট বাংলাদেশ স্লোগানে দেশের মানুষের শতভাগ ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্য অর্জনে কাজ করে যাচ্ছে।বাংলাদেশের বিস্ময়কর অগ্রযাত্রা পর্যালোচনা করে এজন্যই জাতিসংঘের রেজ্যুলেশনে বলা হয়েছে- বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে সক্ষমতা অর্জন করেছে।

উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত থাকলে অল্প সময়ের মধ্যেই উন্নত দেশের তালিকায় যুক্ত হবে ডিজিটাল বাংলাদেশ। মাত্র এক যুগের মধ্যে এই বাংলাদেশের অবিস্মরণীয় উত্তরণ কোনো অলৌকিক কিছু নয়। বরং আওয়ামী লীগ সরকারের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা এবং গণমানুষের জন্য গৃহীত সুপরিকল্পিত উদ্যোগ বাস্তবায়নের কারণে আজ স্মার্ট জাতি হিসেবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমীহ আদায় করতে সমর্থ হয়েছি আমরা।

সর্বোপরি বলা যায় যে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনায় সকল ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সফলতার চিহ্ন রেখেছে। তাছাড়াও পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র সৃষ্টির মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা বর্তমানে তার নেতৃত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্বমঞ্চে সম্মানীয় ও উচ্চতর শিখরে পৌছিয়েছেন। আওয়ামী লীগ এর ভবিষ্যত পরিকল্পনায় ও দেশের সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নের মাধ্যমে দেশকে স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে অঙ্গীকারবদ্ধ। এজন্যই আওয়ামী লীগ এর জনপ্রিয়তা বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি।

লেখক: জেনেটিক্স এন্ড এনিম্যাল ব্রিডিং বিভাগ, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়

সারাবাংলা/আইই

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর