সমতাবিহীন আত্মনির্ভরশীল সমাজ গঠন সুদূর পরাহত
২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৮:২১
উন্নয়ন আর সমৃদ্ধির পূর্বশর্ত হচ্ছে প্রত্যেক নাগরিককে আত্মনির্ভরশীল হিসেবে গড়ে তোলা। সমতাবিহীন কখনো আত্মনির্ভরশীল জাতি গঠন সম্ভব নয়। সমতার দেয়াল তুলে আত্মন্নোয়ন বা পরন্নোয়ন হয়না। আজকে তৈরী পোশাক শিল্প সেক্টর এত উন্নত হওয়ার পিছনে নারীদের অবদান সর্বাগ্রে। নারী হচ্ছে দেশের একটি দক্ষ জনশক্তি। দেশের একটি বৃহৎ জনসংখ্যাকে বাইরে রেখে কখনো কাঙ্খিত ফল লাভ করতে পারেনা। আমাদের মতো পশ্চাদপদ, বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার হাতেগোনা কয়েকটি দেশ এখনো কর্মক্ষেত্র নারীদের জন্য উপযুক্ত স্থান হয়ে উঠতে পারেনি। তাই এই ব্যাপারে সরকারকে আরো বেশি কুশলী ও মনযোগী হতে হবে।
নারী বলুন আর পুরুষ বলুন লিঙ্গের কারনে আলাদা আলাদা মানুষ হলেও এখানেই পরিচয় শেষ নয়। একজন পুরুষের যেমন পারিবারিক দেয়া নাম থাকে সেভাবে নারীর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। নামেতে কিছু যায় আসেনা। নাম হচ্ছে শুধুমাত্র একটি পরিচয় হওয়ার যোগসূত্র। এই নামের পরেও প্রত্যেক মানুষের ক্ষেত্রে অগোচরে আলাদা আরেকটি পরিচয় গড়ে ওঠে। সে পরিচয়টা হয় একমাত্র কর্মের দ্বারা। সেটা হোক একজন কৃষক তাতে কিছু যায় আসেনা। এই পরিচয়টা একজন কৃষকের আত্মমর্যাদা ও সম্মানের। এছাড়া ব্যবসায়ী, কামার, কুমার, জেলে, মুচি, তাতী, চিকিৎসক, আইনজীবি, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ইত্যাদি পেশার মানুষের আলাদা কদর ও বৈশিষ্ট্য আছে বলেই গুরুত্বও কোনো অংশে কারো কম নয়।
পৃথিবীতে কোনো কর্মই ফেলনার নয়। পেশাকে কোনো সময় ছোট করে দেখার অবকাশ নেই। ভাবতে অবাক লাগবে করোনাকালীন দীর্ঘ লকডাউনের সময়ে কত হাজার হাজার লোক চাকুরিচ্যুত হয়েছে, তার কোনো সঠিক হিসাব নেই। কারো কারো তো জন্ম বেড়ে ওঠা ঢাকা-চট্টগ্রামের মতো মেগা শহরে, অভাব অনটনের কারনে শুন্য হাতে অনেককে গ্রামের বাড়িতে ফিরে যেতে হয়েছে। আবার পেশা পরিবর্তন করে নতুন করে জীবন ধারণ করেছে। আবার কেউ কেউ এমনভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে রীতিমতো সংবাদের শিরোনাম হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার লক্ষ্মীদ্বার গ্রামের দয়াল চন্দ্র বর্মনের কথাই যদি বলি- সেতো খুব দরিদ্র কৃষক পরিবারের সন্তান করোনার লকডাউনের সময় ঘরবন্দী হলে সে এই সময়টাকে ইংরেজীতে কথাবলাকে কাজে লাগিয়ে দেশব্যাপী একটি বিশাল পরিচিতি গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। কখনো নামী স্কুল কলেজে পড়েননি। এমনকি কলেজে ওঠেই পড়ালেখা ছেড়ে দিয়েছিলেন। পরে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছেন। পরিবারের সাথে কৃষিকাজ করলেও ইংরেজীর প্রতি তার ভীষণ আগ্রহ ছিল। ফসলি জমিতে কাজ করতে করতেই তিনি অনর্গল ইংরেজীতে কথা বলতেন। আর ইংরেজীর ওপর একটি কনটেন্ট বানিয়ে দেশজুড়ে হৈচৈ ফেলে দিয়েছিলেন দয়াল। তাকে এখন অনুসরণ করার সংখ্য ফেসবুক ও ইউটিউব মিলে তিন লক্ষাধিক। এরকম আরো বহু উদাহরণ আছে। আরেকটি উদাহরণ আমি দিতে পারি, আমার একজন অত্যন্ত প্রিয় মানুষ, যার সাথে আমার দীর্ঘ তিন দশকের কাছাকাছি সময় সৃজনশীল শিল্প প্রকাশনায় যুক্ত থাকতে হয়েছে। যিনি দেশে-বিদেশে ইতিমধ্যে অসাধারণ সৃজনশীল মানুষ হিসেবে নিজের পরিচিতিকে অসামান্য করে তুলেছেন চারুআড্ডার পরিচালক চারুউত্তম বড়–য়া’র কথায় আপনারা ধরুন। করোনার সময় তিনি যেটি করেছেন, মানুষ যখন নিজেকে নিয়ে দ্বন্দ্ব-সন্দিহান, অসহায়ত্বের মধ্যে ডুবে ছিল, মৃত্যুর প্রহর গুনছে তিনি সেই সময়ে একমাত্র মানুষদের উজ্জ্বীবিত করতে, উৎসাহ-অনুপ্রেরণা যোগাতে এই চারুআড্ডাকে লক্ষ লক্ষ মানুষের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে সক্ষম হন। ধর্ম, শিক্ষা,স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি, সাহিত্য এমনকোনো বিষয় ছিলনা তিনি উপস্থাপন করেননি। সময়ে সময়ে তিনি দেশ-সমাজ-সম্প্রদায়ের খুঁটিনাটি বিষয় মানুষের সামনে তুলে এনেছেন এবং উজ্জীবিত করেছেন। সে কারনেই আজ তার পরিচিতিটা কী পরিমান প্রসারিত হয়েছে চিন্তা করতে পারেন।
এ জন্য বলি মানুষ হিসেবে জন্ম লাভ করেছি বলে এটাই যদি আসল পরিচয় হয় থাকে, তবে তার কোনোরকম সার্থকতা নেই। সার্থকতা হচ্ছে তার কর্মে। আমার পরিচিত অনেককে বলি একজন মেথর নালার মলমূত্র বা সেপটিক ট্যাংঙ্ক পরিস্কার করে মাত্র আধঘন্টার শ্রমের বিনিময়ে সে তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা আয় করেন। এই আয় বাংলাদেশের অন্যকোনো পেশার মানুষের বেলায় হবে কি? না, হবেনা। বেশি আয় করছে বলেই কি তারা অনেক সুখি? সুখ কি অর্থ দিয়ে কেনা যায়? যে দ্বীন-দরিদ্র মানুষ সেকি সুখি নয়? সুখ আর দুঃখ হচ্ছে একটি আপেক্ষিক ব্যাপার এটি কোনোভাবে অর্থ দিয়ে পরিমাপ করা যায় না। তেমনি কোনো পেশাকে ছোট বা বড় করে দেখার সুযোগ নেই। আপনি ভাবতে পারেন! গ্রামে যে লোক আলো বাতাসের সাথে বড় হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে যার সামান্যতম জ্ঞান ছিলনা। সেই লোক ঢাকার বুকে বিভিন্ন উঁচু উঁচু বিল্ডিং পরিস্কার করার ঠিকাদারী নিয়েই আজ অট্টালিকায় ঘুমাচ্ছেন! সেই মানুষটি যখন একদিন আমাকে তার অফিসটি দেখাতে নিয়ে গেলেন সত্যিই আমি বিস্ময়ে আঁতকে উঠেছি। অথচ এই ধারনাটি খুব বেশি মানুষের মাঝে নেই। আরেকটা উদাহরন দিই- ভোর ৪ টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত যদি কর্ণফুলি নদী সংলগ্ন ফিশারি ঘাটে যান, সেখানে গিয়ে দেখতে পাবেন জীবন-জীবিকার জন্য কতো হাজার হাজার মানুষ কর্মে জড়িত। যারা মাথায় মাছের খাছি নিয়ে এই মোকাম থেকে ঐ মোকামে দৌঁড়াচ্ছে। এখানে রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী সবাইকে পাবেন। তাই বলে কি এটা পেশা নয়? এই জন্য বলি যে যেটাই করিনা কেন মানুষ হিসেবে নয় কর্ম দিয়ে পরিচয়টা গড়ে তুলতে হবে। সেভাবে যে সব নারীরা ঘরে বসে কুঠির শিল্প, হস্ত শিল্পের মতো কাজ করেন সেটিই তার পরিচয়। কারণ তার মধ্যে যে শিল্প ভাবনা আছে অনেকের মধ্যে তা নেই। একজন গৃহিনীকেও ছোট করে দেখার অবকাশ নেই। মূল কথা হচ্ছে যে যেটাই করুক কেন তাকে তার মধ্যে ডুবে থাকতে হবে তবেই লক্ষে পৌঁছানো সহজতর হবে।
আজ বাংলাদেশের নারীরা সকল ক্ষেত্রে এগিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী পুরুষ সবাইকে সমানভাবে মূল্যায়ন করছেন। তিনি সেদিন এক বক্তৃতায় আক্ষেপ করে বললেন- তার খুব ইচ্ছা একজন নারীকে বিচারপতি হিসেবে দেখার। ভবিষ্যতে আশাকরি সে আকাঙ্খাও তিনি পূরণ করবেন। তবে আমরা কথায় কথায় ব্যক্তি স্বাধীনতার কথা বলে তার বরখেলাপ করি। সেটা যাতে না হয়। যেমন গণতন্ত্রের কথা বলে কাজ করি অগণতান্ত্রিক! আজকাল মেয়ে বলুন আর ছেলে বলুন তাদের মধ্যে শিষ্টাচার, নমনীয়তা, ভদ্রতা উবে গেছে। রাস্তাঘাটে বের হলে মনে হয়ে এটি আর বাংলাদেশ নেই। পাশ্চাত্য সংস্কৃতিতে ভড়ে গেছে। শহর থেকে গ্রামে মাদকে ছেয়ে গেছে। কাপড়-চোপড় থেকে শুরু করে আচার-আচরণে সুশিক্ষার কোনো বালাই নাই। পার্ক-বিনোদন কেন্দ্র গুলোতেও এখন স্বস্তি নেই, উঠতি তরুণ-তরুণীদের অনৈতিক মেলামেশা সমাজকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এই যদি আমাদের সন্তানদের অবস্থা হয় তাহলে স্বাধীনতার অর্থ কি দাঁড়ায় আপনারাই বলুন। আবার অপরদিকে কিছু নারী-পুরুষ আছে যারা শুধুমাত্র নাইমলাইটে আসার জন্য যেমন-তেমন কাজ করে সমাজ-দেশকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এইসব স্বার্থান্বেষী মহলকে সমাজ-সংগঠন থেকে পরিত্যাগ করতে হবে। একথা সত্য যে, পুরুষদের চাইতে নারীরা অনেক বেশি ধর্ম ভীরু। অধিকাংশ নারী মনেকরেন ধর্মই তাদেরকে স্বর্গে নিয়ে যাবেন। এই ধরণের কাল্পনিক, অবাস্তব জগত থেকে সড়ে আসতে হবে। ধর্ম দিয়ে কিছু সময় আত্মতৃপ্তি লাভ করা যায় বটে কিন্তু কর্মবিহীন কারো লক্ষ্য অর্জিত হয়না। ধর্ম অন্তরে ধারণ লালন ও আচরণ করার বিষয়। ধর্ম হচ্ছে জীবন পথের একটি সঠিক নির্দেশনা, এটি এমন কোনো ওষুধ নয় যে, আপনি সেবন করা মাত্র সুস্থ হয়ে যাবেন। ধর্মীয় উগ্রতা হচ্ছে মারাত্মক একটি ব্যাধি। যা এখন অহরহ ঘটে চলছে। কোন ধর্মে ধর্মীয় উগ্রতাকে কখনো স্থান দেয়নি। সমাজ আজ বিপথে পরিচালিত হচ্ছে এই সমাজ ব্যবস্থার জন্য ধর্মীয় গুরুরা অনেকটা দায়ী। সঠিক রাস্তা দেখাতে পারেন একমাত্র ধর্মীয় গুরুরাই। ধর্মীয় গুরুদেরকে আগে অনৈতিকতার বেড়াজাল থেকে বের হয়ে নিজেদেরকে সঠিক শিক্ষায় পরিচালিত করতে হবে, তাহলে কোনো ধর্মের অনুসারীদের বিপথে পরিচালিত হওয়ার সুযোগ নেই।
একবিংশ শতাব্দীর এ পর্যায়ে এসে আজকে আমরা অনেক নারীকে উদাহরণ হিসেবে উদ্ধৃত করতে পারি। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারী হয়েও যারা ইতিহাসের স্বর্ণাক্ষরের উজ্জ্বল হয়ে আছেন সাহিত্যিক, শিক্ষাব্রতী, সমাজসংস্কারক, নারী অধিকার আন্দোলনের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়া, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অগ্রসেনানী স্বাধীনতা সংগ্রামী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, কল্পনা দত্ত, চারুবালা বড়ুয়া। সাহিত্যিক শিক্ষাবিদ শহীদ জননী জাহানা ইমাম, কবি বেগম সুফিয়া কামাল, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, রাজনীতিক সাজেদা চৌধুরী, রাজনীতিক অগ্নিকন্যা মতিয়া চৌধুরী, একুশে প্রদকে ভূষিত, ভাষাসংগ্রামী শিক্ষাবিদ প্রতিভা মুৎসুদ্দী, রবীন্দ্র গবেষক সানজিদা খাতুন, শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ প্রীতিকনা বড়ুয়া, শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. সুনন্দা বড়ুয়া এছাড়া ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির মুক্তির সংগ্রামে দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমহানী, আত্মদানের সেই কালজয়ী ইতিহাসের কথা কেউ কোনোদিন ভুলবে না। তারা নারী জাগরণের অগ্রদূত, পথপ্রদর্শক। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী সমগ্র বিশ্বে নারীদের মধ্যে একজন অসম্ভব প্রতিভাশালী ও ক্ষমতাধর নারী হিসেবে নারীদের মর্যাদা ও সম্মানকে অনেক বেশি এগিয়ে নিয়েছেন।
নারীবাদের জনপ্রিয় লেখক মেরি ওলষ্টোনক্র্যাফট্ এর জীবনের উল্লেখযোগ্য কিছু অংশ তুলে ধরে লেখার ইতি টানতে চাই। মেরির (জন্ম ১৭৫৯ খ্রিষ্টাব্দে, মৃত্যু ১৭৯৭ খ্রিষ্টাব্দে) জন্ম লন্ডনের বাইরে এপিং বনের কাছাকাছি এক দরিদ্র কৃষক পরিবারে। আগাগোড়া জীবনটাই ছিল তার সংগ্রামের। অভাব অনটনের কারণে ছোটকালেই ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে হয়েছে মেরিকে। কতকিছুই যে করতে হয়েছে তার কোন সঠিক হিসেবে নেই। প্রথম দিকে যে কাজই করেছে সবগুলোতে ব্যর্থ হয়েছে। তার জীবনের প্রথম কাজটি ছিল এক বিত্তশালী বিধবাকে সেবাযত্ন করা। মাত্র ১৯ বছর বয়সে ঘর থেকে বেরিয়ে যান। তার বাবা ছিল রাগী, অত্যাচারী; মা ছিল ভিরু। মেরি বেড়ে ওঠেন খামারে খামারে। লেখাপড়া করার যৎ সামান্য সুযোগ সুবিধাও তার কপালে জোটেনি। তবে স্বাধীনচেতা ছিল। ৩২ বছর বয়সে মাত্র ৬ সপ্তাহে লেখেন তার তেরো পরিচ্ছদের অসম্ভব জনপ্রিয় ভয়ঙ্কর বইটি। যেটি হাতে লিখে পুরো এক বছরেও কেউ শেষ করতে পারবেনা। তার বইয়ের নাম ছিলো “ভিন্ডিকেশন অফ দি লাইটস অফ ওম্যান”। এই বইটিই ছিল নারীবাদের প্রথম মহাঘোষণা। বইটি প্রকাশিত হয় ১৭৯২ খ্রিষ্টাব্দে। এটি ছিল মানুষের লেখা সবচেয়ে বিপ্লবাত্মক, বিখ্যাত ও আপত্তিকর বইগুলোর মধ্যে একটি। বইটি প্রকাশের পর ইতিহাসের প্রথম বিপ্লবী নারী লেখক হিসেবে মেরি পান প্রগতীশীলদের অভিনন্দন ও প্রশংসা। তবে তার কপালে নিন্দাই জোটে বেশি। তার এই বই প্রকাশিত হলে পুরষতন্ত্র ক্ষেপে ওঠে, রক্ষণশীলদের কাছে মেরি হয়ে ওঠেন এক নিষিদ্ধ ঘৃণ্য নাম। তার আগে কোনো নারী লেখাকে উপজীব্য করে জীবিকার পথে হাত বাড়াননি। অভিনব পেশা গ্রহণের পর মেরির জীবন হয়ে ওঠে সম্পূর্ণ কর্মের ও লক্ষ্যের; যেমন মেধাবী ছিলেন তেমনি ছিলেন রোম্যান্টিক। নারীবাদের আদর্শ জননী হিসেবে তিনি আজো অজেয়, জীবন্ত কিংবদন্তী। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে পর নির্ভরশীলতা কাটিয়ে নারী হয়ে উঠুক আত্মপ্রত্যয়ী আত্মমর্যাদার প্রতীক। সমতাবিহীন আত্মনির্ভরশীল সমাজ গঠন সুদূর পরাহত।
লেখক: প্রাবন্ধিক ও সাংবাদিক
সারাবাংলা/এসবিডিই
বিপ্লব বড়ুয়া মুক্তমত সমতাবিহীন আত্মনির্ভরশীল সমাজ গঠন সুদূর পরাহত