‘ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে এমপি’ ধারণা ভাঙলো এবার
২১ জানুয়ারি ২০২৪ ১৮:০৯
১৯৭১ সালের পর জাতীয় নির্বাচনে এই প্রথম সবচেয়ে কম সহিংসতা হয়েছে চট্টগ্রাম ১৬ (বাঁশখালী) আসনে। বাংলাদেশ পুলিশের একটি সদস্যও আহত কিংবা নিহত হয়নি। নিহতের ঘটনা ঘটেনি কোন রাজনৈতিক দলেও। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে আসনে একজন লাশ হয়েছে, একই আসনে কোন মৃত্যু ছাড়াই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটি সবচেয়ে গৌরবের বিষয়।
এ আসনের ভোটাররা শুরুতেই নির্বাচন নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন। কারণ এ আসনে পুনরায় নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন নানা সময়ের বিতর্কিত সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান। সেই সাথে যোগ হয়েছে একই পরিবারের অর্থাৎ আওয়ামী লীগের আরও দুই রাজনীতিবিদ। একজন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান (ঈগল), অন্যজন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবদুল্লাহ কবির লিটন (ট্রাক)। তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করলেও তাদের পরিচয় তারা আওয়ামী লীগের বাহক। তাদের বাদ দিয়ে বাঁশখালীর রাজনীতি চিন্তা করা যায় না। এমপি মোস্তাফিজুর রহমান যেমন ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিয়ে এমপি হয়ে আবার প্রার্থী হয়েছেন, ঠিক তেমনি মুজিবুর রহমান ও আব্দুল্লাহ কবির লিটনও ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’ একই স্লোগান দিয়ে নির্বাচনী মাঠে উঠে এসেছেন। কারোর চেয়ে কারোর জনপ্রিয়তা কিংবা রাজনৈতিক কর্মী কম নেই। তারা যেন সমানে সমান। মনে রাখবেন, সমানে সমান প্রার্থীদের নিয়ে নির্বাচন হলে সংঘাত বেশি হয়। অন্যদিকে ক্ষমতার সাথে দুর্বল প্রার্থীর অসম লড়াইয়ে ভোট চুরি বেশি হয়। বাঁশখালীর আসনে যখন সমানে সমান সমীকরণ তখন আতঙ্কিত হওয়াটাই স্বাভাবিক।
এমপি মোস্তাফিজুর রহমান নির্বাচনের শুরুতেই সাংবাদিকদের সাথে সংঘাতে জড়ালেন, দিলেন আতঙ্কের বার্তা। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ১৪-১৫ জন নেতাকর্মী সঙ্গে নিয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে গেলে ইনডিপেনডেন্ট টিভির সাংবাদিক রাকিব উদ্দিন প্রশ্ন করলেন, “আপনি কি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন?” প্রশ্ন শুনে সঙ্গে সঙ্গে রেগে গিয়ে ওই সাংবাদিককে ধাক্কা দেন মোস্তাফিজুর রহমান। এক্ষেত্রে ওই এমপির বিরুদ্ধে মামলা করেন ইসি। দ্বিতীয় দফায়ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জনাব মুজিবুর রহমানের সমর্থকদের সাথে সংঘর্ষে জড়ায় তার সমর্থক দল। পরে দুই পক্ষই থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা করার কথা শোনা যায়।
এ নিয়ে নির্বাচনী এলাকায় যখন ভয়ের উৎকণ্ঠ তার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও বিতর্কের জন্ম দিয়ে নতুন মাত্রা যোগ করলেন এই সংসদ সদস্য। তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে পুলিশ কেন মামলা নিলেন তা জানতে চেয়ে বাঁশখালী থানার ওসি তোফায়েল আহমেদকে মোবাইলে হুমকি প্রদান করলেন।ওসির সরকারি নম্বরে ফোন করে বললেন, ‘শালা তুই মামলা নিলি কেন?’ ওসি তখন ঘটনা বোঝানোর চেষ্টা করলে ক্ষেপে গিয়ে মোস্তাফিজুর বললেন, ‘দুই দিন পর মামলা নিলি কেন?’ জবাবে ওসি বলেন, ‘আজকেই তারা এজাহার দিয়েছে’।
এ হুমকির কিছুদিন যেতে না যেতেই নিজের লোকদের গ্রেপ্তার করলে পুলিশের হাত কেটে নেওয়ার হুমকি দেন তিনি। একই সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে হুমকি দেওয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুজিবুল হকের ‘গায়ে হাত’ না দেওয়ার নির্দেশ দেন এমপি। এমপির এসব কথার জবাবে অসহায়ত্ব প্রকাশ করতে দেখা যায় বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদকে।
উপরের অডিও ক্লিপ দু’টি আমাদের কি বার্তা দেয়? আমাদের বার্তা দেয়- তিনি স্থানীয় পুলিশকেও চাপে রাখতে ভুল করেননি। পুলিশ যেন তার এজেন্ডা হয়ে কাজ করেন-এ অডিও ক্লিপ তারই বার্তা। তিনি স্থানীয় পুলিশকে ভয় ভীতি দেখিয়ে, পুলিশের সমর্থন নিয়ে- পুনরায় বিজয়ের মালা সুনিশ্চিত করতে চেয়েছিল। লক্ষ্য করে দেখলাম, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সীতাকুণ্ডের ওসিকে বাঁশখালীতে পদায়ন করা হয়। নতুন ওসি হিসেবে তিনি বাঁশখালীতে যোগদানের পর থেকেই তাকে নানামুখী চাপে রেখেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। এমনকি তিনি এই ওসিকে বদলির চেষ্টাও করেছেন বহুবার। অবশেষে বদলি করতে ব্যর্থ হয়ে দিনের পর দিন ওসিকে মানসিকভাবে নির্যাতন করেছেন। অডিও ক্লিপ শুনে যতটুকু অনুভব করতে পারি, তাতে মনে হয় তিনি প্রতিদিনই ওসিকে গালমন্দ করেছেন। ওসিকে তিনি একজন পুলিশের কর্মকর্তা হিসেবে না দেখে, তার দলীয় কর্মী মনে করতেন। তাই কথা বার্তায় লাগাম ছিল না এই সংসদ সদস্যের। অন্যদিকে তার নির্যাতনে ওসির মধ্যে যে অসহায়ত্ব প্রকাশ পেয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। শুধুমাত্র তিনি সংসদ সদস্য হওয়ার সুবাদে তাকে স্যার সম্বোধন করতে বাধ্য হয়েছে ওসি। ওসি সাহেব যেহেতু সরকারি চাকরি করেন তার মধ্যে নমনীয়তা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। এটা তার ভদ্রতা ও গুণাবলী। কিন্তু এই অসহায়ত্বের আড়ালে ওসি সাহেব কিন্তু তার বীরত্ব দেখিয়েছেন। তিনি দেখিয়েছেন নানামুখী চাপের পরও কিভাবে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনে ভূমিকা রাখা যায়। নিঃসন্দেহে যেকেউ স্বীকার করবে যে, অন্যান্য থানার ওসির চেয়ে এ আসনে ওসির চ্যালেঞ্জ অনেক বেশি ছিল। একই দলের রাজনীতি করা শক্তিশালী তিন প্রার্থী, সাংবাদিকের উপর হামলা, বিএনপি’র ডাকা হরতাল, এমপি মোস্তাফিজুর রহমান কর্তৃক ওসিকে হুমকি ও পুলিশের কাজে বাধাসহ সংঘাতের আশঙ্কা নিয়ে নির্বাচনী আসনটি নানা সমস্যায় জর্জরিত ছিল। এ আশঙ্কার কথা যেন সুস্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে পুলিশের প্রতিবেদনেও। চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার প্রতিবেদন বলছে, বাঁশখালীর সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমানের আচরণ সুষ্ঠু ও অবাধ ভোটের জন্য ‘হুমকিস্বরূপ। এমন বাস্তবতায় অনিশ্চিত ভোটের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল বাঁশখালীতে। যেখানে পুলিশের হাত কেটে নেয়ার হুমকি সেখানে আদৌ ভোট দেয়া যাবে কিনা? নাকি জাল ভোটের বাস্তবায়ন ঘটিয়ে নিজেই নিজের বিজয় নিশ্চিত করবেন মোস্তাফিজুর রহমান- এমন শঙ্কার কথাই বলছিলেন বাঁশখালীবাসী।
কিন্তু বিপর্যস্ত পরিবেশেও যে মৃত্যুহীন একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা যায় তা প্রমাণ করেছেন ওসি তোফায়েল আহমেদ। নির্বাচনী সহিংসতা প্রতিরোধে ওসির সফল নেতৃত্বে পুলিশের পৃথক পৃথক টিম কাজ করে প্রশংসিত হয়েছেন সর্বমহলে। বলা যায়, নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত ওসি তোফায়েল আহমেদ অত্যন্ত দক্ষতা, বুদ্ধিমত্তা এবং সাহসিকতা দিয়ে সকল প্রকার সহিংস কর্মকান্ড দমিয়ে রেখেছিলেন। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নির্বিঘ্নে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে সেটি নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসক, উপজেলা প্রশাসন, থানা প্রশাসন, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ, আনসার, এপিবিএন, র্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর টিম কাজ করেছে। পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরাও মাঠে কাজ করেছে। তবে এক্ষেত্রে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ নিশ্চিতকরণে ওসির ভূমিকা ছিল সবচেয়ে বেশি। শেষ পর্যন্ত মাঠে থেকে ওসি সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন।
আমি একতরফা ওসির প্রশংসা করছি বললে ভুল হবে। আমি নিজেও সাংবাদিক হওয়ার সুবাদে সকাল ৮ থেকে নির্বাচনী ফলাফল প্রকাশ করা পর্যন্ত বাঁশখালীতে ছিলাম। আসলে এমপি মোস্তাফিজুর রহমান একের পর এক যেভাবে বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন, ওসি সাহেবকে যেভাবে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছেন- তা আমাকে আগ্রহ যুগিয়েছে বাঁশখালী যেতে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৭ জানুয়ারি সকাল ৭টায় চসাসের সভাপতি সৈয়দ দিদার আশরাফী, ফিরোজ উদ্দিন, আনিসুর রহমান, গাজী গোফরান ও মনসুর আলমসহ চট্টগ্রাম সাংবাদিক সংস্থা থেকে আমরা ৪০ জনের একটি প্রতিনিধি দল বাঁশখালীর উদ্দেশ্যে রওনা হই। সকাল আটটা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। আমরাও ভিন্ন ভিন্ন টিমে ভিন্ন ভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করতে শুরু করলাম। কিছু কিছু ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি একেবারেই নেই, আবার কিছু কিছু ভোটকেন্দ্রে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি লোকজন দেখা গেছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে তিন প্রার্থীর সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। আমি প্রতিটি ভোটকেন্দ্রেই রিজাইডিং অফিসারের সাথে কথা বলেছি, কোথাও কোনো সংঘর্ষের ঘটনা নেই। তবে ভোটকেন্দ্রের চারপাশেই তিন প্রার্থীর সমর্থকদের মুখোমুখি অবস্থান ছিল। দুপুর একটা পর্যন্ত যতগুলো ভোটকেন্দ্রে গিয়েছি সংঘর্ষের কোনো ঘটনা ঘটেনি। দুপুর একটার পর একটি কেন্দ্র পরিদর্শন করে আমার ওই কেন্দ্রটি সুবিধাজনক মনে হয়নি। সীমানা প্রাচীর ভেদ করে কেন্দ্রের ভেতরেই মুখোমুখি অবস্থানে ছিল নৌকা ও ট্রাকের সমর্থকরা। উভয় পক্ষের প্রতি দলে ৪০/৫০ জনের মতো লোক ছিল। তারা দলবল সহকারে এদিক থেকে ওধিক, ওদিক থেকে এদিক হাঁটছিল। দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তারাও তাদের শোডাউনের দূরত্ব বজায় রেখে একপাশে আড্ডা করছিলেন। তখন আমি দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসারের সাথে কথা বললে তিনি হতাশা প্রকাশ করে বললেন, ‘তাদেরকে বারবার কেন্দ্রের ভেতর থেকে বাহিরে পাঠানো হলেও তারা কথা শুনছে না।’ পরে কেন্দ্রটি ভিজিট শেষ করে নিরাপত্তার স্বার্থে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মহোদয় ও ওসি সাহেবকে আমি বিষয়টি অবগত করি। অবগত করি, বাঁশখালীর কালীপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের কালীপুর এজহারুল হক উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে যেকোনো মুহূর্তে সংঘর্ষ হতে পারে। দু’পক্ষের সমর্থকরা ভোটকেন্দ্রের ভেতরে অবস্থান করছে।’ তারপর ভোটগ্রহণ শেষ হওয়া পর্যন্ত এ কেন্দ্রে আর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। জানা যায়, ওসি সাহেব নিজে উপস্থিত হয়ে তাদের সরিয়ে দেন।
তবে ভোটগ্রহণের শেষ পর্যায়ে কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করেন মোস্তাফিজুর রহমান। বিকাল তিনটার সময় উত্তর সরল প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সংসদ সদস্য নিজে এসে কেন্দ্র দখল করতে আসলে সাধারণ ভোটাররা তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে।ঠিক একই দিনে আমরা যখন ভোটের মাঠে ব্যস্ত। তখন সংসদ সদস্য থানায় গিয়ে ওসিকে ধমকালেন। ওসির সামনে তার এক পুলিশ কর্মকর্তাকে বারবার মারতে গেলেন। তাৎক্ষণিক এটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এ ঘটনার জের ধরে নির্বাচনের মাত্র ১৫ মিনিট আগে প্রার্থিতা বাতিল করা হয় মোস্তাফিজের। এভাবেই সংসদ সদস্য মোস্তাফিজ অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটলো, হলেন পরাজিত। ৫৭ হাজার ৪৯৯ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুজিবুর রহমান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল্লাহ কবির ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৩২ হাজার ২২০ ভোট। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে বলেই মুজিবুর রহমানের মতো একজন সজ্জন ব্যক্তিকে এমপি হিসেবে পেয়েছেন বাঁশখালীবাসী। এমপি মুজিবুর রহমানের বিজয় মানেই বাঁশখালীবাসীর বিজয়। একটি মৃত্যুহীন সুষ্ঠু নির্বাচন মানেই ওসি তোফায়েল আহমেদের বিজয়। সংঘাত ও সহিংসতা সৃষ্টি করে যে এমপি হওয়া যায় না – তাই যেন প্রমাণ করলেন ওসি তোফায়েল আহমেদ।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট
সারাবাংলা/এসবিডিই
‘ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে এমপি’ ধারণা ভাঙলো এবার ওসমান এহতেসাম মুক্তমত