কৃষির রূপান্তর: খাদ্য নিরাপত্তায় ভুমিকা রাখছে
২৩ জানুয়ারি ২০২৪ ১৫:১৭
বাঙালি জাতির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নেতা, স্বাধীন বাংলার স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যিনি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ সৃষ্ঠি করেছিলেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের পথপরিক্রমায় অর্জিত অভিজ্ঞতা দিয়ে পরিষ্কারভাবে বুঝেছিলেন যে, কেবল কৃষিই হবে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রধান নিয়ামক। তিনি কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে স্বনির্ভর কৃষি অর্থনীতি প্রতিষ্ঠার জন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ ও কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কৃষকদের ২৫ বিঘা পর্যন্ত জমির খাজনা মওকুফ, কৃষকের জন্য সুদমুক্ত ঋণের প্রবর্তন, স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ২২ লাখ কৃষককে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ, ১৯৭২ সালে কৃষকদের মাঝে ১৬১২৫ মেট্রিক টন উফশী ধান বীজ, ৪৪হাজার মেট্রিক টন পাটবীজ, ১০৩৭ মেট্রিক টন গম বীজ, ১ লাখ হালচাষের বলদ গরু, ৫০ হাজার গাভী এবং ৩০ কোটি টাকা কৃষিঋণ বিতরণ, ভূমিহীন কৃষকদের মাঝে খাসজমি বিতরণ, ধান, পাট, আখ প্রভৃতি ফসলের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ, কৃষকদের মাঝে ৪০ হাজার সেচপাম্প বিতরণ, ২৯০০ গভীর নলকূপ ও ৩হাজার অগভীর নলকূপ স্থাপন, নদীখনন, বাঁধ নির্মাণ, কৃষিবিদদের ক্লাস ওয়ান মর্যাদা দান ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। তিনি ৫ শত কোটি টাকার উন্নয়ন বাজেটে (এডিপি) ১০১ কোটি টাকা কৃষি উন্নয়নের জন্য দিয়েছিলেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে তিনি কৃষি গবেষণার ওপর জোর দিয়ে নার্স সিষ্ঠেম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যার আওতায় ছিল সাতটি গবেষনা ইনষ্ঠিটিউট এবং এ গুলোর সমন্বয়ের দায়িত্ব দিয়েছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা পরিয়দকে (বার্ক)। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করে বর্তমান সরকার কৃষি খাতে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছে। বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শিতার কারণেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে কৃষিতে নিজের অবস্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে।
সাধিনতাত্তোর বালাদেশের পাঁচ দশকের বেশি সময়ের পথ পরিক্রমায় আওয়ামিলীগ মাত্র একুশ বছরের কিছু বেশি সময়ে ক্ষমতায় আসিন রয়েছেন এবং বর্তমান সরকার তার পর্যায়ক্রমে ১৫ বছর ক্ষমতায় আসিন বিধায় কৃষিকে অগ্রাধিকার দিয়ে স্বল্পমেয়াদী, মধ্যমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী পকিল্পনা গ্রহণ করেন যার মধ্যে রয়েছে এসডিজি ২০৩০, রূপকল্প ২০২১ এবং রূপকল্প ২০৪১-এর আলোকে জাতীয় কৃষিনীতি, ৮ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট, ডেল্টাপ্যান : ২১০০ এবং অন্যান্য পরিকল্পনা। করোনাকালীন বিশ্বে যখন সকল দেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে, অনেক দেশে যখন চলছে খাদ্যাভাব, তখন বাংলাদেশ তার অর্থনীতিকে সচল রেখেছে কৃষিকে ঘিরেই। বিশ্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে আজ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলছে। প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৭০ হাজার হেক্টর জমি কমে যাওয়া সত্ত্বেও ১৭ কোটিরও বেশি জনসংখ্যার দেশে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জনের সুকঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার কৃষকদের সাথে নিয়ে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে যেমন বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ ধান উৎপাদনে তৃতীয়, শাকসবজি উৎপাদনে তৃতীয়, ‘সোনালি আঁশ’ পাট উৎপাদনে দ্বিতীয়, আম উৎপাদনে অষ্টম, ছাগলের দুধ উৎপাদনে দ্বিতীয়, মাংস উৎপাদনে চতুর্থ, ইলিশ উৎপাদনে ১ম স্থানে, আলু উৎপাদনে ৭ম স্থানে রয়েছে যা কৃষি ক্ষেত্রে সাফল্যেরই প্রমান। এর জন্য প্রযুক্তি বিশেষ ভূমিকা রেখেছে যেমন ব্রি ১০৬টি ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে, দেশে এখন পর্যন্ত ১৮টি ফসলের ১১২টি জাত আবিষ্কার করেছে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা), ১১৫টি হাইব্রিড ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে বেসরকারি বীজ কোম্পানি, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) ২০০৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ফসলের ৩০৬টি উন্নত জাত উদ্ভাবন করেছে, কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে ৩৬৩টিসহ বর্তমানে ২১১টি ফসল নিয়ে গবেষণা করছে। বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট উচ্চ ফলনশীল ও অধিক চিনিযুক্ত ৪৪টি ইক্ষু জাত উদ্ভাবন করেছে, এদের গড় ফলন হেক্টরপ্রতি ১০০ টনেরও বেশি এবং চিনি আহরণের হার ১২% এর ঊর্ধ্বে, অন্যদিকে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিজেআরআই) এরই মধ্যে পাটের জীবনরহস্য উন্মোচন করেছে। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের রায়ে বিশাল সমুদ্র এলাকা জয় করে এবং বর্তমানে দেশের সমুদ্রসীমার আয়তন দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার, যেখান থেকে মৎস্যসম্পদ আহরণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। প্রাণীঅধিদফত তথ্য মতে ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশের তরল দুধের উৎপাদন ১০৬.৮০ লাখ টন, মাংস উৎপাদন ৭৬.৭৪ লাখ টন, ডিমের উৎপাদন ১৭৩৬ কোটি। ইতোমধ্যে ডিম, দুধ ও মাংস উৎপাদনে দেশ শুধু স্বয়ংসম্পূর্ণ না হলেও প্রাণিজ উৎপাদন রফতানি করার সুযোগ তৈরি হচ্ছে।
কৃষিতে ইতোমধ্যে সরকারের বিশেষ প্রণোদনায় যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্প শুরু হয়েছে এবং এতে কৃষি আরও বেগবান হচ্ছে । এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে প্রকল্প বাস্তবায়নে দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা নিশ্চিত করা। করোনাকাল বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দাবস্থার মধ্যে কৃষিই হচ্ছে আমাদের অর্থনীতি এবং টিকে থাকার মূল শক্তি। সমন্বিত আধুনিকায়ন ও যান্ত্রিকীকরণ প্রক্রিয়ায় কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
সরকার কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে একদিকে যেমন প্রবীণ কৃষকদের কাজটা সহজ করে দিচ্ছে, অন্যদিকে যান্ত্রিক কৃষির প্রতি তরুণরা আগ্রহী হবার সুযোগ সৃষ্ঠি করে দিয়েছে। বাংলাদেশে ২০১৮ সালের এক গবেষণায় দেখা যায় কৃষকের গড় বয়স ৪৮ বছর অথচ ১৯৮৮ সালে দেশের কৃষিতে নিয়োজিত চাষীদের গড় বয়স ছিল ৩৫ বছর অর্থ্যাৎ বাংলাদেশের কৃষিতেও তরুণদের অংশগ্রহণ কমছে। কিন্তু বয়স্ক মানুষের শারীরিক সক্ষমতা কমে গেলে তারা কৃষিতে সফলভাবে ভূমিকা রাখতে পারে না অর্থাৎ একদিকে তরুণদের কৃষিতে অংশগ্রহণ বাড়ানো যেমন জরুরি, একইভাবে জরুরি ব্যাপকভাবে কৃষির যান্ত্রিকীকরণ।
করোনা পরিস্থিতি সব অর্থনৈতিক খাতকে বহুদিনের জন্য স্থবির করে দিয়েছে ঠিক সেইন সময়ে সবার কাছে পেশা হিসাবে কৃষিই যেন একমাত্র ভরসার হয়ে দাড়িয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে কৃষিতে শ্রমিকের সংকট দেখা দেয়ায় ফসল কাটা, মাড়াই ও প্রক্রিয়াকরণে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে যান্ত্রিকীকরণের বিষয়টি জোরের সঙ্গে আলোচনায় এসেছে। সরকারও তাতে সাড়া দিয়েছে যথাসময়ে, কিন্তু অর্থ সংকট বা আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে উদ্যোগটির বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হলে তা দেশের কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধির সহায়ক নাও হতে পারে। কৃষিতে যন্ত্রের ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষক লাভবান হওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসংস্থান তৈরি হবে। একই সঙ্গে, ফসলের নিবিড়তা বাড়বে ও চাষ ত্বরান্বিত হবে। দেশের বিদ্যমান কৃষিব্যবস্থার আধুনিক তথা যান্ত্রিকীকরণের জন্য বাজেটে ৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার বিষয়টি নিঃসন্দেহে ইতিবাচক। বলা যায়, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে এটি আরো এক ধাপ অগ্রগতি। সেক্ষেত্রে শুধু নগরায়ণ ও শিল্পায়ন করলেই চলবে না, বরং প্রচলিত ধারার আবহমান কৃষিব্যবস্থার উন্নয়নও একান্তভাবে কাম্য ও কাঙ্ক্ষিত। বর্তমানে শহর-নগর-বন্দরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গ্রামের উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে, দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। রাজধানীসহ প্রায় সর্বত্র সুউচ্চ দালানকোঠা ও মার্কেট নির্মাণ করতে গিয়ে অত্যধিক চাপ পড়ছে কৃষিজমিতে। সরকার সমস্যাটি সম্পর্কে সম্যক সচেতন। প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং বলেছেন, গ্রামকে শহরায়ন করা হবে, গ্রামের নিসর্গ-প্রকৃতি ও সৌন্দর্য অক্ষুন্ন রেখেই। শহরের সব নাগরিক সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হবে গ্রামেও। তাই বলে কেবল উন্নয়নের নামে কৃষিজমি অধিগ্রহণ করা যাবে না। মনে রাখতে হবে যে, কৃষি অদ্যাবধি বাংলাদেশের জীবন-জীবিকা ও অর্থনীতির প্রাণশক্তি। তবে বর্তমানে কৃষিকাজে উৎসাহী তথা কৃষিশ্রমিক পাওয়া রীতিমতো দুর্লভ হয়ে উঠেছে। গত দুই বছর ধরে হাওর অঞ্চলে বোরোর বাম্পার ফলন হওয়ায় ধান কাটার শ্রমিক পাওয়া যায় না। পাওয়া গেলেও একজন শ্রমিকের মজুরি ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা। অন্যদিকে বর্তমানে বাজারে এক মণ ধানের দাম বড়জোর ৭৫০-৮০০ টাকা। ইতিমধ্যে ধানের উৎ্পাদন খরচও বেড়েছে। প্রচলিত কৃষিব্যবস্থায় যান্ত্রিকীকরণ শুরুহলে ধানবীজ, চারা রোপণসহ সার ও কীটনাশক ছিটানো, নিড়ানি, সর্বোপরি ধান কাটা, মাড়াইসহ শুকানো এমনকি সরাসরি সাইলোতে পাঠানো সবই করা সহজে সম্ভব আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে। কৃষিতে প্রতি বছর কমবেশি ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ থাকে। এর মধ্যে ৬-৭ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়ে থাকে বিবিধ প্রণোদনা খাতে। এখন থেকে বাকি ৩ হাজার টাকা ব্যয় করা হবে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের কাজে। তবে উল্লেখ করা আবশ্যক, এই কাজটি শুরু হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই। তবে এর সার্বিক সুফল পেতে হলে টুকরো টুকরো জমির একত্রীকরণ অত্যাবশ্যক। সমবায় প্রথা এক্ষেত্রে সুফলদায়ক হতে পারে। এর পাশাপাশি উৎ্পাদিত ফসলের আধুনিক বিপণন ব্যবস্থাও জরুরি। গত কয়েক বছরে দেশে বিপ্লব ঘটে গেছে কৃষিতে, ডিজিটাল কৃষিসহ হাইব্রিড পদ্ধতি চালুর ফলে একেবারে বীজতলা থেকে শুরু করে সার, সেচ, কীটনাশক, আবহাওয়া, জলবায়ু, ফসল উৎ্পাদন, বাজার পরিস্থিতিসহ অন্যবিধ সমস্যা নিয়ে খোলামেলা মতবিনিময়, পরামর্শ ও প্রতিকারের সুযোগ পাওয়া যায় তাত্ক্ষণিকভাবে। এর অনিবার্য ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে কৃষি ব্যবস্থাপনায়, সুফল পাচ্ছে কৃষক, সর্বোপরি বাড়ছে ফসল উৎ্পাদন। তার মানে ডিজিটাল কৃষিব্যবস্থা দেশের কৃষিতে প্রায় বিপ্লব নিয়ে এসেছে। হাইব্রিড বীজ, জিএম বীজসহ আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি ফসল, শাকসবজি, মৎ্স্য, পোলট্রি, ফলফলাদির উৎ্পাদন বাড়িয়েছে বহু গুণ। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সর্বাধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি।প্রতি বছর উদ্বৃত্ত খাদ্যশস্যসহ অন্যান্য কৃষিপণ্য সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য আধুনিক খাদ্যগুদামের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। এর পাশাপাশি কৃষির যান্ত্রিকীকরণসহ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার হলো সব মানুষের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা। এখন প্রশ্ন হলো, কোভিডের কারণে বিদেশ থেকে যে শ্রমিকরা দেশে ফিরে এসেছিল এবং এখনো বিদেশে যেতে পারেননি, শহর থেকে কাজ হারিয়ে যারা গ্রামে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছিল, তাদের কর্মসংস্থান কিংবা তাদের শ্রম বিনিয়োগ কীভাবে ঘটবে? । কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সরকার ১ লাখ ২১ হাজার ১১৭ কোটি টাকা প্রণোদনা দিিেছল, যার মধ্যে ৫ হাজার কোটি টাকা ৪ শতাংশ সুদে কৃষির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এসএমই খাতে দিয়েছে। বর্তমান সরকার মনে করছে, কৃষিতে উৎ্পাদনশীলতা বৃদ্ধিকরণ, কৃষি গবেষণায় দক্ষতা বৃদ্ধি, কৃষির বহুমুখীকরণ, রপ্তানিমুখী কৃষিপণ্যের বাণিজ্যিকীকরণ, পুষ্টিনিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও গ্রামাঞ্চলে বসবাসকারী বিপুল জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন ইত্যাদিতে জোর দিতে হবে। সেই ক্ষেত্রে বর্তমান বছরের বাজেটে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির (জিডিপি) যে টার্গেট (৭.২%) ধরা হয়েছে, তা অর্জনে কৃষি খাতের গুরুত্ব অপরিসীম বিধায় সেই খাতে প্রবৃদ্ধি কমপক্ষে ৪.৫ শতাংশ হারে বাড়াতে হবে বলে কৃষি অথনীতিবিদগণ মনে করেন। কোভিড-১৯ দেখিয়ে দিয়েছিল রপ্তানিমুখী চিন্তা পরিহার করে গ্রামীণ অর্থনীতি ও খাদ্য উৎ্পাদন খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়ন বিষয়ে। প্রবৃদ্ধি যাই হোক না কেন, তা অর্জিত হয়েছে মূলত কৃষি, প্রবাসী আয় এবং পোশাক রপ্তানি খাত থেকে।
লেখক: অধ্যাপক ও গবেষক
সারাবাংলা/এসবিডিই
কৃষির রূপান্তর: খাদ্য নিরাপত্তায় ভুমিকা রাখছে ড. মিহির কুমার রায় মুক্তমত