শয়তান এখন বিমুগ্ধ দর্শক
২ মার্চ ২০২৪ ১৬:০১
শয়তান শব্দটির সাথে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। ধর্মীয় কিতাবে তার স্বরূপ ব্যাখ্যা করা আছে। যা কিছু সত্য-সুন্দরের বিপক্ষে, যা কিছু বিবেকের পরিপন্থী, যা কিছু রিপুতে ভর করে আমাদেরকে মোহাচ্ছন্ন করে বিপথে পরিচালিত করে সেটাই শয়তানের কারবার। শয়তান মানুষের শিরায় শিরায় প্রবেশে সক্ষম। ভুল পথে, কু পথে পরিচালিত করাই তার কাজ। আমরা ইনসান, আশরাফুল মাখলুকাত। আমাদের উপর শয়তানের এই রূপ আচরণ ‘শ্রেষ্ঠত্ব’ পাওয়ার কথা না। কিন্তু রিপু আমাদেরকে শয়তানের দুষ্কর্ম্মের অনুগামী করে ফেলে। তাই, ঈমানী দৃঢ়তা আর ভাল-মন্দ বিচারবোধ দিয়ে সৎকর্ম করা, কল্যাণমূলক কাজে নিজেকে ব্যাপৃত রাখা আমাদের অন্যতম করণীয়। প্রতিক্ষণ সৃষ্টিকর্তার সাহায্য প্রার্থনা করাও আমাদের আবশ্যকীয় কাজ।
পক্ষান্তরে শয়তানের কাজ মানুষকে ভুলপথে পরিচালিত করা। সব কিছু চাকচিক্যময় করে তুলে ধরা। কাম-ক্রোধ-লোভ-মোহ-মাৎসার্যের রিপুকে আকর্ষণীয় করে সেপথে মানুষকে তাড়িত করা। এজন্য তাকে প্রচুর মেহনত করতে হয়। কেননা, বিবেকবোধ সম্পন্ন মানুষ সহজেই সত্য, সুন্দর ও সৎকর্মের পথ থেকে বিচ্যুত হতে চায় না। তার পারিবারিক শিক্ষা, প্রাতিষ্ঠানিক দীক্ষা আর সামাজিক রীতিনীতি তাঁকে প্রতিনিয়ত সুরক্ষা দিয়ে থাকে। তাই শয়তানের পরিশ্রম বেড়ে যায়। তার চ্যালাদের কাজ বেড়ে যায়। সৃষ্টি কাল থেকে এভাবেই ইনসান আর শয়তানের দ্বন্দ্ব আমৃত্যু চলমান।
আজকাল অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে শয়তান অটো ম্যুড অন করে দিয়ে বেঘোরে ঘুমুচ্ছে। তার মেহনতের আর প্রয়োজন পড়ে না। উদ্বিগ্নতার কোন বালাই নেই। হতাশার কোন কারণ নাই। তার চ্যালারা শুধু অটো ম্যুড ঠিকমত কাজ করছে কিনা তার দেখভাল করছে। সারা পৃথিবী জুড়ে ইনসানের দল যেন দম দেওয়া সেই অটো ম্যুডে পরিচালিত হচ্ছে। শয়তানের অনুগত ভক্ত হয়ে নিজেরাই একে অন্যকে ভুল পথে, কু পথে নিয়ে যাচ্ছে। অন্যায়, অবিচার আর অনিয়মের নতুন নতুন রাস্তা দেখিয়ে দিচ্ছে। শয়তানের নেক নজরে আসার জন্য নিত্য নতুন অভিনব শয়তানী টেকনিক উদ্ভাবন করছে। বিশ্বায়নের মূলা ঝুলিয়ে সব কিছু একাকার করে দিচ্ছে। হারাম-হালাল এখন সমার্থক। নৈতিকতা এখন নিজের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট। শোষণ, নির্যাতন এখন বড় ভাইদের বাড়তি সুবিধা।
সৃষ্টির শুরু থেকেই স্বার্থের দ্বন্দ্ব ছিলো। শয়তানের প্রাথমিক এন্ট্রি হয় এর হাত ধরেই। সাথে পরশ্রীকাতরতাও। এরপর অনেক কিছুতেই নানাবিধ উপসর্গ যুক্ত হয়েছে। নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা আধুনিক সমাজের ‘স্ট্যাটাস সিম্বল’ হিসেবে চিত্তাকর্ষক হয়েছে। নিজ স্ত্রী অপেক্ষা পরস্ত্রী আকর্ষণীয় বোধ হয়েছে। লীলা আর কেলি একে আরও মধুময় ও রতিসুখকর করে তুলেছে। অতি স্বাধীনচেতা মনোভাবের কারণে বিবাহ বিচ্ছেদের সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। চাইলেই প্রেম, চাইলেই ব্রেক আপ। চাইলেই ডিভোর্স। একে অপরকে দোষারোপ। লজ্জা শরমের মাথে খেয়ে লাইফে এসে কান্নাকাটি, খিস্তিখেউড় এখন স্বাভাবিক হয়ে গেছে। এদের কোন পরিবার আছে বলে মনে হয় না অথবা পরিবারই এদের অনুগামী। ধর্মীয় অনুশাসন এদেরকে বিচলিত করে না। ইচ্ছাধীন প্রবৃত্তিই এদের কাছে অনুসরণীয়। এক সময় সমকামিতা সামাজিক ব্যাধি ছিলো। মানুষ তার সু প্রবৃত্তি দিয়ে তাকে বাতিল করেছে। বহুগামিতাকে পরিহার করেছে। এক নারী-পুরুষেই আমৃত্যু তার জৈবিক ও মানষিক সন্তোষ স্থাপন করেছে। কালে কালে শয়তানের আছর প্রবল হয়েছে। ইনসানের ঈমানী ও ভেতরকার সু-কলা দুর্বল হয়েছে। এখন যথেচ্ছারিতা আর খাও দাও ফুর্তি করো-র আয়োজন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশ্বায়নের ঢেউ একে দেশজ সীমানা ভেঙ্গে এক বিশ্বের বাহারি চমক দেখাচ্ছে। তাই আজ যেটা ইউরোপ, আমেরিকায় প্রতাপ ছড়াচ্ছে কাল সেটা এশিয়া-আফ্রিকায় অপরিহার্য হয়ে উঠছে।
বিশ্বায়নের চেতনা খারাপ না। কিন্তু নিজস্বতাকে বিসর্জন দিয়ে যখন তা নিজ মূলকে উপড়ে ফেলে তখনই কথা উঠে, তখনই দেখা দেয় সংঘাত। আমরা নানাভাবে বিশ্বায়নের সুবিধাভোগী। আবার অনেক ক্ষেত্রেই হয়ে পড়েছি আত্ম-বিধ্বংসী। এখন আমাদের নিয়ন্ত্রণ আমাদের কাছে নেই। আমাদের মধ্যেই একদল দাঁড়িয়ে গেছে বিশ্বায়নের নামে আমাদের সু প্রবৃত্তির বিরুদ্ধচারী হিসেবে। আর এর অগ্রভাগে রয়েছে কতিপয় বুদ্ধিজীবী আর তথাকথিত শিক্ষিত মানুষ। আমাদের সমাজে স্থানীয় সমাজ বলে একটা অদৃশ্য শাসন স্তর ছিলো। এখন নেই। যাও আছে তা শয়তানের নতুন অতি উৎসাহী মানুষদের হাতে। যা কিছু অন্যায় এরা তার পক্ষে একজোট অথবা ক্ষেত্র বিশেষে এক্কেবারে নিরব। আগে প্রতিবেশীর ছেলে-কে ডেকে পরামর্শ দেওয়া যেত, খারাপ কিছু দেখলে তার অভিভাবদেরকে বলা যেত। এখন তার সুযোগই নেই। তা করতে গেলে বিপদ বাড়ী ডেকে আনা ভিন্ন কোন পথ থাকবে না। আগে শিক্ষকরা ছাত্র-ছাত্রীদের যথার্থ অভিভাবক ছিলো। বাড়ী বয়ে এসে খবরাখবর নিত। সুপরামর্শ দিত। সাহায্যকারী হিসেবে অতুলনীয় ছিলো। আর এখন? ছাত্রীরা এখন শিক্ষকদের পার্ট টাইম রঙ্গবিলাসের আইটেম হয়ে গেছে। ছাত্ররা শিক্ষকদের মাদক সাপ্লাই ও সেবনের পার্টনার হয়ে গেছে। শিক্ষকদের অভিযোগ আজকালকার ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশোনা করে না। ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগ প্রাইভেট না পড়লে কোন কাজ হয় না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির কাজ হয়ে পড়েছে এক্সট্রা কারিকুলার কর্ম আর ভৌত অবকাঠামোর ঠিকাদারিতে ভাগ বসানো। লক্ষ টাকা খরচ করে ম্যানেজিং কমিটিতে একেকজন নির্বাচন করে থাকেন। নিছক শিক্ষাসেবা করতে? নাকি নিজ পরিচয়ের পৃষ্ঠদেশে রঙ্গিন পালক লাগাতে? এর কোনটাই না। আসল উদ্দেশ্য বিনিয়োগকৃত অর্থের জ্যামিতিক রিটার্নের জন্য। একথা বললেই সবাই তেড়ে আসবে।
আমরা যা বলি তা করি না। আর যা করি তা আগে থেকে বলি না। এটা মোনাফেকির লক্ষ্মণ। আজকাল শব্দ প্রয়োগেও অনেক হ্যাপা। একশ্রেণীর শিক্ষিত মানুষ আছে উৎক্ষিপ্ত শব্দ শুনেই মানুষকে পক্ষভুক্ত করে ফেলে। মোনাফেক শব্দ প্রয়োগেই এই শ্রেনীর প্রবল আপত্তি দেখা দেবে। কেউ এতে মৌলবাদের গন্ধও শুঁকবেন। ধর্ম নিয়ে এখন আর কথা বলা যায় না। যেন এটা একটা ঝামেলার বিষয়। প্রতিপালনে এত হ্যাপা যে মনমত কোন কাজই করা যায় না। অথচ প্রতিটি ধর্মের মূল বাণী, দর্শন এক। সত্য, সুন্দরের চর্চা। মানুষের কল্যাণ, পরোপকার। তাই যার যার ধর্ম থেকে আমরা এত এত দূরে সরে যাচ্ছি। আবার এরাই ধর্মীয় কোন ইস্যুতে ফানা ফানা হয়ে যায়। মাত্রাতিরিক্ত করে সব কিছু গুবলেট করে দেয়। আমাদের সময়ে নতুন নতুন কিছু তত্বের আবির্ভাব হয়েছিলো। এর মধ্যে কল্যাণ মূলক অর্থনীতি অন্যতম। এর অস্তিত্ব কোন কোন দেশে পাওয়া গেলেও আর সব জায়গায় অনুপস্থিত। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় হয়ে যেটি আজো সদম্ভে টিকে আছে তা হলো ‘সারভাইভাল ফর দ্য ফিটেস্ট’। এটাই আজকের বাজার অর্থনীতির মূল নেপথ্য কারিগরদের একমাত্র পছন্দের শ্লোগান। পরিবার ভেঙ্গে গেছে, সমাজ বহুধা বিভক্ত হয়েছে, জাতীয় জীবনে আমরা আর মামুদের ভাগ-বাটোয়ারার সংস্কৃতি চালু হয়েছে। নিজে বাঁচলে বাপের নাম। তাই, সর্বত্র বিভাজন আর অনৈক্যের মারাত্মক খেলা চলছে। মুষ্টিমেয় লোক করে খাচ্ছে, কিছু লোক পকেট ভরছে। কেউ কেউ ভল্ট পালটে বিদেশে স্থানান্তর করছে। কিছু লোকে মিলে ইচ্ছেমত প্রকল্প বানাচ্ছে, কিছু লোকে কনসালটেন্সির নামে ¯্রফে দালালী করছে। কিছু কিছু লোক ইচ্ছেমত বালিশ কান্ড করছে। তাদের এই কায়কারবারে উপরের সব জায়গাতেই লোক সেট করা আছে। তাদের হাজার কোটি টাকার লোন পাশ হয়ে যায় গোপনে, নিমিষে। অথচ গরীবের ও মধ্যবিত্তের বা মুরুব্বীহীনদের ব্যাংক থেকে টাকা পেতে কাগজের চাহিদার শেষ নেই, কোন সময়সীমা নেই। কোন ভরসাও নেই। একদল আজ বেশ সোচ্চার। এরা পজিটিভ দৃষ্টিধারী। সব কিছুতেই পজিটিভ উপাদান দেখতে পান। নেগেটিভ কিছু এদের জন্য গাত্রদাহের উদ্রেক করে। এরা প্রগতির ধ্বজাধারী, উন্নয়নের চেতনাধারী, দেশপ্রেমের সোল এজেন্ট। আরেক দল রুচি বিকৃত করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। এ যেন আকর্ষণীয় এক কমপিটিশন। রুচির বিকৃতিতে কে কাকে অতিক্রম করে ভাইরাল হয়ে যাবে তার প্রতিযোগিতায় মশগুল। অযোগ্যরা কদর পাচ্ছে। তাদের বিকৃত মুখে হাসির ঝিলিক সভ্যতা-ভব্যতাকে বৃদ্ধাংগুলি দেখাচ্ছে। পুন: পুন: মিডিয়ার সামনে হাজির হয়ে তারা এই বার্তাই ছড়াচ্ছে যে রুচি মানুষের একান্তই ইচ্ছাধীন বিষয়। এর কোন নির্দিষ্ট সংজ্ঞা নেই। থাকতে নেই।
একটা সমাজে মুরুব্বির দায়িত্ব পালন করে থাকে বুদ্ধিজীবী আর মিডিয়া। এরা আরেক কাঠি সরেস। বুদ্ধিজীবিও মানুষ। তাদেরও রিপু তাড়না, বিত্তবাসনা আছে। তারা রোদ-বৃষ্টির খেলায় অতিশয় পটু। দু’ধারী তলোয়ারের মত। সুবিধা বুঝে সরব, অন্যসময় নিরব। এই দর্শনের চেয়ে উত্তম কোন বিকল্প তাদের কাছে নেই। দেশে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার আধিক্য এতই যে এর হিসেব নেই। তাই, প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে, শীর্ষ স্থান ধরে রাখতে তাদেরও কাটতির প্রয়োজন। তাই স্কুপ নিউজের প্রতি তাদের ঝোঁক। কোনটা প্রচারযোগ্য আর কোনটা প্রচার করা অনুচিত তার ব্যাকরণ তাদের জানা। তবু,‘উপায় নেই গোলাম হোসেন’ জাতীয় মনোভাব নিয়ে ভাইরাল হতে পারে এমন সব অখাদ্যকে রুচিকর খাদ্য বানিয়ে প্রচার করে যাচ্ছে। এভাবেই পাবলিকের মধ্যে একটা উল্লেখযোগ্য অংশ এখন রুচির বিকৃতিকে আর মাথায় নিচ্ছে না। শো বীজের আর মডেলদের একটা অংশ এদের কাছে তাই রোল মডেল হয়ে উঠছে। এ নিয়ে কথা বললে প্রকাশ্যে সমর্থনের লোকসংখ্যা খুব কম পাওয়া যাবে, একান্ত আলাপচারিতায় হয়ত অনেক হবে। সংস্কৃতি নিয়ে বলার কিছু নেই। বিদেশি সংস্কৃতির অনুকরণে আমরা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছি। বিপরীতে দেশজ সংস্কৃতির নামে যা হচ্ছে তা ডালে চালে খিচুড়ির মত উপাদেয় তবে হজমের পক্ষে বিব্রতকর।
শয়তানের কাজ শয়তানি করা। এতে যথেষ্ট সময়, মেধা আর মেহনতের প্রয়োজন। বিপরীতে আশরাফুল মাখলুকাত নামে সৃষ্ট ইনসান আগে যেমন ঈমানে, চরিত্রে, শিক্ষায়, চর্চায় যথেষ্ট শক্তিশালী ছিলো এখন একেবারে দুর্বল চিত্ত, লোভাতুর, স্বার্থপর হয়ে পড়েছে। তাই শয়তানের মেহনত কমে গেছে। নিত্য নতুন ছলনা, চাতুরীর জাল বিস্তারের উপযোগী সৃজনশীল মেধার দরকার পড়ছে না। তার এখন অখ- অবকাশ কাল। মর্ত্যে তার হয়ে সে কাজটিই করছে ইনসান রূপী কতিপয় মানুষ। শয়তান এখন অবকাশে থেকে তাদের ভিডিও ফুটেজ দেখছে।
হতাশা নয়। ভালো মানুষদেরকে এগিয়ে আসতে হবে, সোচ্চার হতে হবে। পারিবারিক বন্ধন দৃঢ় করে প্রাথমিকভাবে ইনসানের দীক্ষা প্রদান করতে হবে। সমাজকে দায়িত্ব নিতে হবে। কেউ কিছু বলছে না বলে সবাই নিশ্চুপ বসে থাকবে তা হবে না। বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে যারা ডামাডোল দেখে হতাশায় ব্যাকফুটে গিয়ে বসে আছেন তাদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। আওয়াজ তুলতে হবে। মিডিয়ার বোধোদয় কাম্য। বাণিজ্যের বিষয়টি থাকবে। তাই বলে সম্পাদকীয় নীতিমালা কি শক্তভাবে অনুসরণ করা যায় না? রিভিউ করা যায় না? খুব জনপ্রিয় একটি প্রবাদ আমাদেরকে সব কিছু থেকে নিবৃত্ত রাখছে। আর তা হলো ‘বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাধবে কে’? আসুন, আমি, তুমি, সে আমরা সবাই উদ্যোগী হই। কেউ একটু আগ বাড়িয়ে অগ্রসর হই। অন্যরাও তার সাথে নৈতিক সহমত পোষণ সহ একাত্ম হয়ে কাজ করি। সময়ের কোন সীমা নেই। মহাকালের কাছে সময়ের আলাদা হিসাব রয়েছে। আজ যা দুরূহ বলে মনে হচ্ছে কাল তা-ই অতি বাস্তব হিসেবে দৃশ্যমান হতে পারে। দরকার শুধু নিজের কাছে শুদ্ধ থাকা আর কাজে নেমে পড়া। সবার সুবোধ জাগ্রত হোক।
লেখক: অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা
সারাবাংলা/এসবিডিই