Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মহানায়ক এসেছিলেন যেদিন

ডা. আওরঙ্গজেব আরু
১৭ মার্চ ২০২৪ ১৪:০৩

১৭ মার্চ আমাদের জাতীয় জীবনে সেই দিন যেদিন এই মাটিতে জন্ম নিয়েছিল বাংলার শ্রেষ্ঠ শিশুটি। যার জন্মের সঙ্গে একটি জাতির ভাগ্যে লেখা হয় মুক্তির সনদ; যার কান্নায় ধ্বনিত হয় যুগ-যুগের পরাধীনতার আর্তনাদ। সারাবিশ্ব দেখেছে, সেই শিশুই একদিন বাঙালি জাতিকে পথ দেখায় মুক্তিচেতনার মশাল হাতে, এনে দেয় স্বাধীনতা। পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ বাঙালির মুক্তির মহানায়ক, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন আজ। জন্মদিন নিয়ে বিশেষ কোনো ভাবনা ছিল না বঙ্গবন্ধুর। তিনি বলতেন, ‘আমার জন্মদিনই কী, আর মৃত্যুদিনই কী, আমার জনগণের জন্য আমার জীবন ও মৃত্যু। আমি তো আমার জীবন জনগণের জন্য উৎসর্গ করেছি।’ এজন্যই তিনি মহান। বাংলার মাটি ও মানুষের সঙ্গে নিবিড়ভাবে মিশে আছেন তিনি। তার জন্ম একটি ইতিহাসের জন্ম। পরাধীনতার নিকষ অন্ধকারে নিমজ্জিত বাঙালি জাতির ভাগ্যাকাশে মুক্তির প্রভাকর রূপে জন্ম নেওয়া ‘খোকা’ নামের সেই শিশুটি শিক্ষা-দীক্ষা মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি, মহত্তম জীবনবোধ, সততা, সাহস, দক্ষতা ও দূরদর্শী নেতৃত্বে হয়ে ওঠেন বাংলাদেশ নামক স্বাধীন-সার্বভৌম জাতি-রাষ্ট্রের মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি।

বিজ্ঞাপন

১৯২০ সালের ১৭ মার্চ শৃঙ্খলিত বাঙালির মুক্তির দূত হিসেবে জন্ম হয় মুজিব নামের এক আলোক শিখার। এ আলোক শিখা ক্রমে ক্রমে ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। নিকষ কালো অন্ধকারের মধ্যে পরাধীনতার আগল থেকে মুক্ত করতে পথ দেখাতে থাকে পরাধীন জাতিকে। অবশেষে বাংলার পুর্ব আকাশে পরিপূর্ণ এক সূর্য হিসেবে আবির্ভূত হয়, বাঙালি অর্জন করে মুক্তি। টুঙ্গিপাড়ার খোকা হয়ে ওঠেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা, স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের মহান স্থপতি, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু একটি নাম নয়, একটি ইতিহাস। বাঙালি বিশ্বের যেখানেই থাকুক না কেন তার আত্মপরিচয়ের ঠিকানা, আত্মমর্যাদার প্রতীক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। আজীবন সংগ্রামী এই মানুষটির যখন জন্ম হয় তখন ছিলো বৃটিশ রাজত্বের শেষ অধ্যায়। কিশোর বয়সেই বঙ্গবন্ধু সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন।

বিজ্ঞাপন

গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে অষ্টম শ্রেণীতে পড়ার সময় তৎকালীন বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে যোগদানের কারণে বঙ্গবন্ধু প্রথমবারের মতো প্রেফতার হয়ে কারাবরণ করেন। গ্রেফতার এড়াতে তাকে পালানোর পরামর্শ দেওয়া হলে তিনি রাজি হননি। আজীবন এটাই ছিলো তার স্বভাব। পৃষ্ঠপ্রদর্শন-প্রবণতা তার রক্তধারায় ছিলো না। গোপালগঞ্জে সভা করে কলকাতায় ফিরে যাবার কিছুদিন পরেই সোহরাওয়ার্দী সাহেব পত্র লিখে গোপালগঞ্জের সভা ও প্রদর্শনী আয়োজন এবং ব্যবস্থাপনায় একাগ্রতা, শ্রম, নিষ্ঠা ও চমৎকার নেতৃত্বের জন্য শেখ মুজিবকে ধন্যবাদ জানান এবং কলকাতা গেলে তার সঙ্গে দেখা করতে বলেন। সেই সূত্র ধরে ১৯৩৯ সালে কলকাতা বেড়াতে গিয়ে তরুণ মুজিব তার সঙ্গে দেখা করেন এবং ধীরে ধীরে সোহরাওয়ার্দী তার রাজনৈতিক গুরু হয়ে ওঠেন। সেই সফরে তিনি নিখিল বঙ্গ মুসলিম ছাত্রলীগের সভাপতি ও তখনকার বিখ্যাত ছাত্রনেতা আবদুল ওয়াসেকের সঙ্গে আলাপ করে তাকেও গোপালগঞ্জে আসতে অনুরোধ করেন। মুজিব শহীদ সাহেবকে বলেন, ‘গোপালগঞ্জে মুসলিম ছাত্রলীগ এবং মুসলিম লীগ দুই–ই গঠন করা হবে।’ যে কথা সেই কাজ। গোপালগঞ্জে ফিরেই তিন এমএলএ ও মুসলিম লীগ সদস্য খন্দকার শামসুদ্দীনকে সভাপতি করে নিখিল বঙ্গ মুসলিম ছাত্রলীগের ফরিদপুর শাখা গঠন করেন এবং মুসলিম লীগও গঠন করা হয়। মুজিব ছাত্রলীগের সম্পাদক এবং মুসলিম লীগের ডিফেন্স কমিটির সেক্রেটারি নিযুক্ত হন। এভাবেই তার প্রত্যক্ষ দলীয় রাজনীতির সূত্রপাত। গোপালগঞ্জ মিশন স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করার পর তিনি কলকাতার ইসলামীয়া কলেজে (বর্তমান নাম মাওলানা আজাদ কলেজ) ভর্তি হন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত এই কলেজটি তখন বেশ নামকরা ছিল। এই কলেজ থেকে সক্রিয়ভাবে তিনি ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৪৭ সালে অর্থাৎ দেশ বিভাগের বছর এ কলেজ থেকে বিএ ডিগ্রী লাভ করেন। সহকর্মীদের নিয়ে ১৯৪৮ সালে গঠন করেন ছাত্রলীগ। পাকিস্তান-ভারত পৃথক হয়ে যাওয়ার পর শেখ মুজিব পূর্ব পাকিস্তানে ফিরে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠা করেন পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ যার মাধ্যমে তিনি উক্ত প্রদেশের অন্যতম প্রধান ছাত্রনেতায় পরিণত হন।

বিশ শতকের ষাটের দশকের প্রথমদিকে শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় রাজনীতিতে প্রাধান্য লাভ করেন। অসাধারণ সাংগঠনিক দক্ষতার দ্বারা শেখ মুজিব আওয়ামী লীগকে আন্তঃদলীয় রাজনীতি থেকে মুক্ত করে দলের মূল স্রোত থেকে কিছু কিছু উপদলের বেরিয়ে যাওয়া রোধ করতে সক্ষম হন। সম্মোহনী শক্তিসম্পন্ন সংগঠক শেখ মুজিব দলের উপর পূর্ণ কর্তৃত্ব স্থাপন করতে পেরেছিলেন। অবিসংবাদিত এই নেতার জীবন চলার পথ ছিল কণ্টকাকীর্ণ। পাকিস্তানের সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক আন্দোলন গড়ে তুলে ’৬০-এর দশক থেকেই তিনি বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদের অগ্রনায়কে পরিণত হন। ১৯৬৬ সালে তিনি তার বিখ্যাত ছয় দফা কর্মসূচী ঘোষণা করেন এবং এই ছয় দফাকে আখ্যায়িত করেন ‘বাঙালিদের মুক্তি সনদ’ হিসেবে।

১৯৭০ সালের ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত পাকিস্তানের প্রথম সাধারণ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের একমাত্র মুখপাত্র হিসেবে আবির্ভূত হন। তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে পূর্ব পাকিস্তানের জন্য বরাদ্দ ১৬৯ টি আসনের মধ্যে ১৬৭টি আসনে (মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত সাতটি আসন সহ) জয়লাভ করে। আপামর জনগণ তাকে ছয় দফা মতবাদের পক্ষে নিরঙ্কুশ ম্যান্ডেট প্রদান করে। ছয় দফা বাস্তবায়নের দায়িত্ব তার উপরই বর্তায়। ১৯৭১ সালের ৩ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের সব প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে রমনা রেসকোর্সে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন এবং শপথ নেন যে, পাকিস্তানের শাসনতন্ত্র প্রণয়নের সময় তারা কখনও ছয় দফা থেকে বিচ্যুত হবেন না। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ লাখো মানুষের উপস্থিতিতে ঢাকার তৎকালীন ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু বজ্রদৃপ্ত কণ্ঠে উচ্চারণ করেন, ‘এবারের সংগ্রাম, মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম’। এই ঘোষণায় উজ্জীবিত জাতি স্বাধীনতার মূলমন্ত্র ধারণ করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। অদম্য সাহস ও আত্মত্যাগ, সাংগঠনিক শক্তি নিজের বাঙালীসত্তার গভীর অনুরণন উপলব্ধি করেছিলেন তিনি। কখনো স্বভাবের প্রেরণায়, কখনো সযত্ন উৎসাহে তার উন্মোচন ঘটিয়েছিলেন।

দেশবাসীকেও তেমনি অনুপ্রাণিত করেছিলেন সেই সত্তার জাগরণ ঘটাতে। দেশ ও মানুষের প্রতি ভালোবাসা থেকে এক মোহনীয় স্বপ্ন রচনা করেছিলেন তিনি ধীরে ধীরে, সেই স্বপ্ন সফল করার আহবান জানিয়েছিলেন সকলের প্রতি। মাত্র ৫৪ বছরের একটি জীবন তিনি পেয়েছিলেন। ৩০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে কেবল পাকিস্তান আমলেই ১৮ বার কারারুদ্ধ হয়ে ১২ বছর জেলে কাটিয়েছেন। ২৪টি মামলা তিনি সাহসের সঙ্গে লড়েছেন এবং দুইবার মৃত্যুর সামনে দাঁড়িয়ে দেশবাসীর অকুণ্ঠ ভালোবাসায় ফিরে এসেছেন। তিনিই প্রথম নেতা যিনি মাতৃভাষায় প্রথম জাতিসংঘে ভাষণ দিয়ে বাংলা ভাষার মুখ উজ্জ্বল করেন। বাংলা ভাষার সম্মানে পৃথিবীব্যাপী ২১ ফেব্র“য়ারি আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে উদযাপিত হচ্ছে। বাঙালি হিসেবে এটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। এমনকি ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রমনার রেসকোর্স ময়দানে যে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়ে বঙ্গবন্ধু পরোক্ষভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন সেটাও আজ ইউনেস্কো স্বীকৃত বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশীদার।

সন্তানের সাথে পিতার যে সম্পর্ক, বাংলাদেশের সাথে বঙ্গবন্ধুর সম্পর্ক ঠিক তাই। বঙ্গবন্ধুর কাছে তাই আমাদের প্রত্যেকের ব্যক্তিগত ঋণ রয়েছে, তার ত্যাগ ও তিতীক্ষায় ভরা জীবনের ঋণ, তার রক্তের ঋণ। বঙ্গবন্ধুর সাথে নাগরিক হিসেবে, ব্যক্তি মানুষ হিসেবে আমাদের আরেকটি সম্পর্ক রয়েছে। তিনি নিজের জীবনে একটি উচ্চ আদর্শ রূপায়িত করে আমাদের জন্য জীবনের আলো হয়ে আছেন। অর্থাৎ তিনি আমাদেরকে একটি দেশ দিয়ে গিয়েছেন এবং একই সাথে রেখে গিয়েছেন একটি অনন্য আদর্শ। বঙ্গবন্ধু সারাটা জীবন কাটিয়েছেন অত্যন্ত সাদামাটাভাবে। যখন ক্ষমতার শীর্ষে তখনও তিনি বসবাস করেছেন ৩২ নম্বরের একটি সাধারণ বাসায়। আর একারণেই দারিদ্র্য-পীড়িত বাংলার গণমানুষের প্রাণপ্রিয় নেতা ছিলেন তিনি। বঙ্গবন্ধু সর্বোতভাবে মানুষের কল্যাণে নিবেদিত ছিলেন। রাজনীতিতে জড়িত হয়েছিলেন দেশের মানুষের দুঃখ ঘোচানোর জন্য। বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিজীবন বলতে কিছুই ছিলনা। তার ধ্যান-জ্ঞান, স্বপ্ন-কর্ম সবই ছিল আমাদের মঙ্গলের জন্য। তার পুরো জীবনটাই ছিল বাঙালির জন্য নিবেদিত তাই ফাঁসির মঞ্চকেও কখোনো তিনি ভয় পাননি।

বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের জন্য তার যে ভালোবাসা এবং প্রতিদানে জনগণের যে ভালোবাসা তিনি পেয়েছেন তার কথা তিনি নানা ভাষণে বারবার ব্যক্ত করেছেন। যেমন ১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনের পরে ১৯৭১ সালের ৩ জানুয়ারি জনপ্রতিনিধিদের শপথবাক্য পাঠ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হবার কোনো ইচ্ছা আমার নেই। প্রধানমন্ত্রী আসে এবং যায়। কিন্তু যে ভালোবাসা ও সম্মান দেশবাসী আমাকে দিয়েছেন, তা আমি সারাজীবন মনে রাখব। অত্যাচার, নিপীড়ন এবং কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠকেও আমি ভয় করি না। কিন্তু জনগণের ভালোবাসা যেন আমাকে দুর্বল করে ফেলেছে।’

বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির কেন্দ্র ছিলো জনগণ। জনগণের জন্য ভালোবাসা ছিল তার সব কর্মকাণ্ডের প্রেরণা, জনগণের ওপর বিশ্বাস ছিলো তার কর্মকাণ্ডের ভিত্তি এবং জনগণের কল্যাণই ছিল তার সব কর্মকাণ্ডের লক্ষ্য। তার কর্মকাণ্ডের লক্ষ্য তিনি খুব সহজ দুটি ভাষায় প্রায়ই ব্যক্ত করতেন। তিনি প্রায়ই বলতেন, তার লক্ষ্য হচ্ছে ‘সোনার বাংলা গড়ে তোলা’, কিংবা তিনি বলতেন ‘দুঃখী মানুষের মুখে তিনি হাসি ফোটাতে চান’। বঙ্গবন্ধু তার জনসভায় খুবই সহজ-সরল ভাষায় বক্তৃতা করতেন। তাই তার বক্তব্য ছিলো সুস্পষ্ট। যেমন বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর পরই ১৯৭২ সালে এক জনসভায় তিনি বলেন, ‘আমি কী চাই? আমি চাই বাংলার মানুষ পেটভরে ভাত খাক। আমি কী চাই? আমার বাংলার মানুষ সুখী হোক। আমি কী চাই? আমার বাংলার মানুষ হেসে-খেলে বেড়াক। আমি কী চাই? আমার সোনার বাংলার মানুষ আবার প্রাণভরে হাসুক।’

১৯৪৭-এ উপমহাদেশের বিভক্তির আন্দোলনের পুরোধায় থাকা বঙ্গবন্ধুর উপলব্ধি, পর্যায়ক্রমিক আন্দোলন ও সর্বশেষে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটিয়ে তিনি যে অনন্য উদাহরণ স্থাপন করেছেন তাতে এ মহান নেতা কেবল হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবেই নয়; সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হয়েই থাকবেন। বাংলাদেশ তথা বাঙালিত্ব তার মননে যেভাবে মিশে ছিল, তার উদাহরণ ১৯৭১-এ পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে থাকা অবস্থায় তার দেয়া বক্তব্যই স্পষ্ট- ‘আমি বাঙালি, বাংলা আমার ভাষা, বাংলা আমার দেশ। আমার মৃত্যুর পর আমার দেহ যেন বাংলায় সমাধিস্থ করা হয়।’

বাংলা, বাঙালি, বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ এক ও অবিচ্ছেদ্য অংশ। শেখ মুজিব মানেই বাংলাদেশ। মুক্তিকামী মানুষের স্লোগানের নাম শেখ মুজিব। তিনি চিরন্তন চিরঞ্জীব; বাঙালির প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের মাঝে অবিনাশী চেতনার নাম শেখ মুজিব। জন্মদিনে তার প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।

লেখক: নির্বাহী সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি

সারাবাংলা/এসবিডিই

ডা. আওরঙ্গজেব আরু মহানায়ক এসেছিলেন যেদিন মুক্তমত

বিজ্ঞাপন

খুলনায় যুবকের পেটে মিলল ইয়াবা
২২ নভেম্বর ২০২৪ ১২:০২

আরো

সম্পর্কিত খবর