শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসা
১৭ মার্চ ২০২৪ ১৫:১১
‘আজকের শিশু / পৃথিবীর আলোয় এসেছে
আমরা তার জন্য একটি সাজানো বাগান চাই।’
প্রবীণ শিল্পীদের দরদভরা কণ্ঠে গান হয়ে একটা বিষয়েই আর্তি জানায় – শিশুর অধিকার কী?
আজ ১৭ মার্চ, মহান মুক্তিযুদ্ধের অমর মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন। তিনি এইদিনে ১৯২০ সালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
এই দিনটিকে আমরা জাতীয় শিশু দিবস হিসেবেও পালন করে থাকি। ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশের তৎকালীন মন্ত্রিসভা ১৭ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনকে ‘জাতীয় শিশু দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে। ১৯৯৭ সালের ১৭ মার্চ থেকে দিনটি সরকারিভাবে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
এর আগে ১৯৯৪ সালের ১৭ মার্চ বেসরকারিভাবে শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনকে জাতীয় শিশু কিশোর দিবস হিসেবে পালন করে ‘বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা’ নামক সংগঠন। ১৯৯৩ সালে দিবসটির প্রস্তাব করেন নীলিমা ইব্রাহীম।
শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর অগাধ স্নেহ ও ভালোবাসার প্রতি শ্রদ্ধা আর ভক্তি জানাতেই এই দিনটি জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশুদের প্রতি অত্যন্ত স্নেহশীল ছিলেন। তিনি শিশুদেরকে দেখতেন দেশের ভবিষ্যৎ হিসেবে। শিশুদের মুখে হাসি ফুটাতে সর্বদা নিয়োজিত ছিলেন তিনি।
এই দিনটি আমাদের জাতির ইতিহাসে এক অত্যন্ত গুরুত্ব ও তাৎপর্যপূর্ণ দিন। জাতীয় শিশু দিবস শুধু একটি উৎসব নয়, বরং এটি একটি প্রতিশ্রুতি। এইদিন আমরা শিশুদের অধিকার রক্ষা ও তাদের সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি নিয়ে থাকি।
শিশুদের বেঁচে থাকার, শিক্ষা লাভের, স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ করার অধিকার রয়েছে। তাদেরকে নিরাপদে বেড়ে ওঠার সুযোগ করে দেওয়া আমাদের কর্তব্য।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার শিশুদের জন্য বহুবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল। এরমধ্যে শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা বিনামূল্যে করাসহ শিশুদের খেলার মাঠ ও বিনোদন কেন্দ্র স্থাপন করা উল্লেখযোগ্য।
এছাড়া বর্তমান সরকারও শিশুদের উন্নয়নের জন্য নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। শিশুদের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হচ্ছে। শিশুদের অধিকার রক্ষায় আইন প্রণয়নও করা হয়েছে।
আসলে শিশুদের সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার জন্য আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। শিশুদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে হবে। সেসাথে তাদের অধিকারও রক্ষা করতে হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসে আমাদের সবার মাঝে শিশুদের প্রতি আরও বেশি টেককেয়ারসহ নানা উদ্ভাবন নিয়ে কাজ করা উচিত। এই দিবসে আমরা যেন বলতে পারি –
‘প্রাণপণে পৃথিবীর সবার জঞ্জাল
এ জাতীয়কে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার অঙ্গীকার।’
লেখক: জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও কলামিস্ট, সহযোগী সম্পাদক, আজকের সূর্যোদয়
সারাবাংলা/এসবিডিই