Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বুয়েট কি ইপুয়েট হতে যাচ্ছে?

কাজী মাসুদুর রহমান
৩ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:২৮

বুয়েট বা বাংলদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এদেশের ঐতিহ্যবাহী ও শীর্ষ স্থানীয় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৮৭৬ সালে ঔপনিবেশিক বৃটিশ সরকার তার জরিপ কাজের সুবিধার্থে ‘ঢাকা সার্ভে স্কুল’ নামে এটি প্রতিষ্ঠা করে। ১৯০৫ সালে এটি শিক্ষনুরাগী ঢাকার নবাব খাজা আহসানউল্লাহ এর অনুদানে ইন্জিনিয়ারিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের রুপ লাভ করে ১৯০৮ সালে ‘আহসান উল্লাহ ইন্জিনিয়ারিং স্কুল’ নামে প্রতিষ্ঠা পায়। ১৯৬২ সালে এটি পূর্ণাঙ্গ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে ‘পূর্ব পাকিস্তান প্রকৌশল ও কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়’ বা ‘ইপুয়েট’ নামে যাত্রা শুরু করে। বলা বাহুল্য, বৃটিশের দু’শো বছরের ঔপনিবেশিক কষাঘাত থেকে বাঁচার স্বপ্ন নিয়ে ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের জন্ম হয়েছিল। পরবর্তীতে দেখা যায়, বাঙালি অধ্যুষিত পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি পশ্চিম পাকিস্তানের নিষ্পেষণের মাত্রা বৃটিশ ঔপনিবেশিকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিল। ১৯৪৭- ১৯৭০ অবধি দীর্ঘ তেইশ বছরে নির্মম বঞ্চনা ও প্রবঞ্চনা চরিতার্থের ক্ষেত্রে তারা ছাত্র রাজনীতির ওপরই বারবার প্রবল আঘাত হেনেছিল যার অন্যতম নিকৃষ্ট উদাহরণ ছিল ‘৫২-এর ভাষা আন্দোলনে আঘাত। ২৩ বছরে পূর্ববাংলার ছাত্র রাজনীতি কার্যত নিষিদ্ধই ছিল।

বিজ্ঞাপন

বাঙালিদেরকে শিক্ষাদীক্ষায় পক্ষাঘাতগ্রস্ত (paralyzed) করার জন্য শিক্ষায় গভীর ষড়যন্ত্র আটতে থাকে। পূর্বপাকিস্তানে সংখ্যা গরিষ্ঠ জনসংখ্যা থাকা সত্ত্বেও ক্রমশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হয়। তথ্য মতে, সাল ১৯৪৭-৪৮: পূর্ব পাকিস্তানে ২৬৫০০টি, পশ্চিম পাকিস্তানে ১১০০টি[ প্রাথমিক বিদ্যালয়]; পূর্ব পাকিস্তানে ৩৪৮১ টি; পশ্চিম পাকিস্তানে ২৫৯৮টি[মাধ্যমিক বিদ্যালয়]; পূর্ব পাকিস্তানে ১ টি,পশ্চিম পাকিস্তানে ২ টি [ বিশ্ববিদ্যালয়ে]; পক্ষান্তরে,সাল ১৯৬০-৬১: পূর্ব পাকিস্তানে ২৯০০০টি, পশ্চিম পাকিস্তানে ২৯৫০০টি [প্রাথমিক বিদ্যালয়]; পূর্ব পাকিস্তানে ৩১৪১টি, পশ্চিম পাকিস্তানে ২৯৭০টি [মাধ্যমিক বিদ্যালয়]; পূর্ব পাকিস্তানে ২ টি, পশ্চিম পাকিস্তানে ৪টি [বিশ্ববিদ্যালয়]; সাল ১৯৭০-৭১: পূর্ব পাকিস্তানে ২৯৫১৮ টি, পশ্চিম পাকিস্তানে তথ্য নাই[প্রাথমিক বিদ্যালয়]; পূর্ব পাকিস্তানে ৩৯৬৪ টি,পশ্চিম পাকিস্তানে ৪৪৭২টি [মাধ্যমিক বিদ্যালয়];পূর্ব পাকিস্তানে ৫টি, পশ্চিম পাকিস্তানে ৭ টি [বিশ্ববিদ্যালয়] (তথ্য সূত্র: মোহাম্মদ ইলিয়াস আলী প্রণিত ‘যুগে যুগে শিক্ষা কমিশন ও শিক্ষার উত্তরণ)। তথ্যমতে, ১৯৫১ সালে পূর্ব পাকিস্তানে গ্রাজুয়েটের সংখ্যা ছিল ৪১০০জন এবং পশ্চিম পাকিস্তানে ৪৫০০ জন। কিন্তু ১৯৬১ সালে পূর্ব পাকিস্তানে হয় ২৮০০০ জন এবং পশ্চিম পাকিস্তানে ৫৪০০০ জন। এভাবে পূর্ব বাঙালিদের শিক্ষার মৌলিক অধিকারের ওপর চরম আঘাত হানা হয়। ক্রম বিপন্ন বাঙালি জাতির মুক্তির পরিত্রাতা হিসাবে বঙ্গবন্ধু কৈশোরের ছাত্র জীবন থেকেই আবির্ভূত হন। তার কালজয়ী ধ্রুপদী নেতৃত্বেই পূর্ববাংলার ছাত্রজনতারাই ‘৫২, ‘৬৬, ‘৬৯, ‘৭০ এর মতো ইতিহাসের দীর্ঘ বিসর্জনের পথ পেরিয়ে স্বাধীনতার চুড়ান্ত শিখরে পূর্ববাংলাকে পৌঁছে দেয়।

বিজ্ঞাপন

মুক্তিযুদ্ধের দীর্ঘ নয় মাসে ত্রিশ লাখ বাঙালির তাজা প্রাণ, অসংখ্য ক্ষত-বিক্ষত-রক্তাক্ত-পঙ্গুত্ব-আহত জীবন এবং দুই লক্ষাধিক নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে জন্ম নেয় এই দেশ, জাতি ও পতাকা। রাজনীতির এমন ধারাবাহিক সৃষ্টিশীল আবর্তনে পৃথিবীর কোনো দেশ, জাতি ও পতাকার জন্ম হয় নাই। ইতিহাসের দীর্ঘ পথপরিক্রমায় রাজনীতির গর্ভে পুন:জন্ম নেওয়া আজেকের এই বুয়েট। মুক্তিযুদ্ধে ২৩ জন বুয়েটিয়ান প্রকৌশলীরও জীবন দানের ঐতিহাসিক বীরত্ব গাঁথা রয়েছে। রক্তের প্রস্রবণে জন্ম নেওয়া স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য ১৯৭২ সালে ‘ড. কুদরত-ই খুদা’ নামে বঙ্গবন্ধু এক অভূতপূর্ব বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষানীতি প্রনয়ণ করেন। ১৯৭৩ সালের ২০ মার্চ বুয়েটের প্রথম সমাবর্তনে এই বুয়েটের মাটিতে দাঁড়িয়েই তিনি তার কালজয়ী শিক্ষাদর্শন ব্যক্ত করেছিলন। বঙ্গবন্ধু গভীর ভাবে ভাবতেন যে, বৃটিশের দু’শো বছরের এবং পাকিস্তানের ২৩ বছরের গোলামীর শিক্ষা আমাদেরকে শুধু কেরানিই বানিয়েছে, মানুষ বানায়নি। তাই এই অনুৎপাদনশীল পরনির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা থেকে বেড়িয়ে মুক্ত চিন্তার মাধ্যমে উদ্ভাবনী শিক্ষা সৃষ্টি করে একটি স্বনির্ভর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন তিনি দেখেছিলেন। এ লক্ষ্যে শিক্ষাকেই তিনি প্রধান হাতিয়ার রুপে বেছে নিয়েছিলেন এবং সেই আমলেই তিনি শিক্ষায় সর্বোচ্চ তথা জাতীয় আয়ের ২২% পর্যন্ত বরাদ্দ রেখেছিলেন। ১৯৭৩ সালে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ জারী করেন এবং স্বায়ত্তশাসনের আওতায় এগুলোকে জ্ঞান চর্চার উম্মুক্ত লীলা ক্ষেত্রে পরিণত করেন। অর্থাৎ যে বঙ্গবন্ধু শিক্ষার মাধ্যমে বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য আজীবন সাধনা করে গেছেন অথচ এই বুয়েটের একশ্রেণির শিক্ষার্থীদের দাবীর প্রেক্ষিতে বুয়েটে রাজনীতি নিষিদ্ধের মাধ্যমে শুধু এদেশের রাজনীতির ঐতিহ্যিক ধারাকেই ম্লান করার চেষ্টা করা হয়নি বরং বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী মহান রাজনৈতিক দর্শনকেও প্রজন্মের মাঝে প্রকারান্তরে ম্লান করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে।

বলাবাহুল্য, ৭৫ পরবর্তী অগণতান্ত্রিক পন্থায় উত্থিত দুই সামরিক শাসক জিয়া ও এরশাদের শাসনামলেও এমনটি ঘটেছিল। ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের মাধ্যমে পশ্চিম পাকিস্তানের সামরিক শাসক ও শোষকদের মতো তারা দেশে সৃজনশীল মুক্তমত চর্চা অবরুদ্ধ করে রেখে দেশের ইতিহাস ঐতিহ্যের বিকৃতি ঘটিয়েছিল যার দীর্ঘ বিকৃত প্রভাবে রীতিমতো একটি প্রজন্ম বেড়ে উঠেছে। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে কতিপয় ছাত্রলীগ কর্মী হত্যা করে। এ ঘটনায় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যাল জড়িত ২০ জন কে মৃত্যুদন্ড ও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন। উচ্চ আদালতে এটি বিচারধীন থাকায় রায় কার্যকর হয়নি। বিষয়টি ঘিরে বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবীর প্রেক্ষিতে বুয়েট প্রশাসন এখানে সকল প্রকার রাজনৈতিক চর্চা নিষিদ্ধ করেন। এতে বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের নেপথ্যে সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী শিক্ষার্থী ও তাদের প্রভাবক গোষ্ঠীর দীর্ঘদিনের একটি দুরভিসন্ধি চরিতার্থ হয়। অথচ একই ক্যাম্পাসে ২০০২ সালে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে বুয়েট ছাত্রী সাবেকুন নাহার সনি এবং ২০১৩ সালে বুয়েট ছাত্র ও শাখা ছাত্রলীগের নেতা আরিফ রায়হান দীপকে ধর্মান্ধ হেফাজতে ইসলামেরকর্মী ও বুয়েট শিক্ষার্থী চাপাতি দিয়ে কুপিয় হত্যা করে।কিন্তু এদের বিষয়ে কখনোই এখানকার শিক্ষার্থীদের একটা শ্রেণি সরব হয়নি বরং শুধু ফাহাদের মৃত্যুকেই আবেগী পুঁজি করে দীর্ঘ পাঁচ বছর বুয়েটে রাজনীতি নিষিদ্ধের আড়ালে কার্যত নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিজবুত তাহরি ও জামায়াতের শিবিরকে গোপনে কার্যক্রম চালানোর সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে মর্মে অভিযোগ আছে। যৌথভাবে তাদের বিতর্কিত সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল মর্মে মুক্তিযুদ্ধস্বপক্ষের সেখানকার প্রগতিশীল শিক্ষার্থী ও একাধিক গণমাধ্যমের তদন্তে উঠে এসেছে।

সর্বশেষ গত বছরের ৩০ জুলাই সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওড়ে শিবিরের ২৪ জন নেতাকর্মী গোপন বৈঠক হতে গ্রেফতার হওয়ার পর জামিনে মুক্ত হয়ে তারা এই কার্যক্রম চালায়। হিজবুত তাহেরি কিউ আর কোডের মাধ্যমে তীক্ষ্ণ কৌশলে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল।এমতাবস্থায় সম্প্রতি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন রাতে বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ পক্ষের শিক্ষার্থীরা ফুঁসে ওঠে। তাদের দাবীর প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ রাহিমের সিট বুয়েট প্রশাসন তৎক্ষনাৎ বাতিল করে। কোনো তদন্ত ও আত্মপক্ষ সমর্থন ছাড়াই বুয়েট প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্ত সচেতন মহলে বেশ বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এতে বুয়েট প্রশাসন তার স্বকীয় ওজন হারিয়েছে যা কখনোই শোভনীয় নয়। এতবিষয়ে বুয়েট ভিসির প্রতিক্রিয়াও সচেতন মহলকে হতবাক করেছে। এতে তার দূর্বল ব্যবস্থাপনার প্রকাশ ঘটেছে। অথচ রাজনীতি নিষিদ্ধের মাধ্যমে বিগত চার-পাঁচ বছর ধরে এখানে জাতীয় দিবস গুলো যথার্থভাবে পালিত হয়নি। পালিত হয়নি জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধার্ঘের অনুষ্ঠানাদি। সর্বশেষ উচ্চতর আদালত, বুয়েটে রাজনীতি চলতে বাধা নেই মর্মে রায় প্রদান করেছেন। প্রশ্ন হলো রাজনীতি উম্মুক্তের ক্ষেত্রে কেন আদালতের শরণাপন্ন হতে হলো? এর জন্য কি বুয়েট কর্তৃপক্ষের নৈতিক দায় ছিলনা?

উল্লেখ্য দ্রুত সময়ে আবরার ফাহাদের বিচার ঘোষিত হয়েছে (যদিও সনি ও দীপের বিচার আজও সম্পন্ন হয়নি)। তার পরেও সংঘটিত ঘটনায় কেন ছাত্ররাজনীতি বন্ধ থাকবে? সংঘটিত ঘটনা তো বিচারাধীন। শিক্ষার্থীদের রাজনীতির বিরুদ্ধে বা রাজনীতি প্রতিহতে ভূমিকা রাখা কখনোই সচেতন প্রকাশ হতে পারেনা। বরং রাজনীতির নামে যা এদেশের জাতীয়তা, ইতিহাস, ঐতিহ্য, স্বাধিনতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, অসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতী বিনষ্ট করে সেই অপরাজনীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়াই হতো আদর্শিক পরিচয়। কিন্তু অন্যের সাধারণ রাজনৈতিক অধিকারের বাধা প্রদান শুধু সাংবিধান বিরোধী অপতৎপরতাই নয় বরং মানবাধিকারেরও চরম লঙ্ঘন বটে। বিষ্মিত বিষয় হলো মাহামান্য আদালতের নির্দেশনার বিরুদ্ধেও তারা প্রকাশ্যে তৎপরতা চালাচ্ছে যা স্বাধীনতা বিরোধী গোষ্ঠীর মতো দেশের বিচার বিভাগকে অবমাননার সামিল বৈকি। হ্যাঁ, ‘ ৭৫ পরবর্তী এদেশের আবহমান সৃজনশীল রাজনীতি তার পথ হারিয়েছে। বিনষ্ট হয়েছে রাজনীতির ঐতিহ্যিক ধারা। জাতীয় স্বার্থে মেধাবী শিক্ষার্থীদের কি দায় নাই জাতীয় রাজনীতিকে সংস্কার করার? মেধাবী হলেই কি সে সামাজিক দায়বদ্ধতার বাইরে। ২০২২ সালের ইউজিসি’র তথ্যানুযায়ী বুয়েটের শিক্ষার্থী প্রতি বছরে রাস্ট্রের ব্যয় হয় ৩ লাখ ১৪ হাজার ৪৭৭ টাকা যা জনগণেরই রক্ত ঘামের পয়সা। সেই হিসাবে একজন শিক্ষার্থীর পূর্ন কোর্স অবধি রাস্ট্রের লক্ষ-লক্ষ টাকা ব্যয় হয়। কিন্তু আমরা অনেক শিক্ষার্থীকে দেখেছি, দেশেকে অবহেলা করে স্কলারশীপের মাধ্যমে বিদেশে স্থায়ী পাড়ি জমাতে। অনেককেই দেখেছি সরকারি কর্ম জীবনে বড়-বড় দূর্নীতিবাজ হতে। স্বাধীনতার পূর্বাপর এদেশের অনেক প্রখর মেধাবীদের দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে দেখেছি এবং দেখছি। রাজনীতির বিরুদ্ধে অবস্থানও একধরনের বিশেষ অপরাজনীতি। যে মেধা রাস্ট্রের ইতিহাস, ঐতিহ্য, শিল্প, সংস্কৃতি,জাতি সত্ত্বাকে আঘাত করে সেই মেধা অবশ্যই পরিত্যাজ্য। প্রকৃত রাজনীতির মাধ্যমে মননশীলতার বিকাশ ঘটে,স্বদেশপ্রেম জাগ্রত হয়।জাগ্রত হয় মানবিকতা ও সুনাগরিকতা। তাই বিরাজনীতি নয়, বরং সুস্থ ধারার রাজনীতির মাধ্যমে বুয়েট তার স্বমহিমায় অনুকরণীয় হয়ে উঠুক এই শুভ প্রত্যাশায় আমরা।

লেখক: কলামিস্ট

সারাবাংলা/এজেডএস

কাজী মাসুদুর রহমান বুয়েট কি ইপুয়েট হতে যাচ্ছে?

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর